১১.০৬.২৫

বোনদের জীবনটা খুব স্বচ্ছন্দে যে যাচ্ছে বিষয়টা তা না। বাসায় আসলে আমার ভেতরটা ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। একরাশ শুন্যতায় মাথা নিচু করে বসে থাকি আর ভাবি- জীবনটা কেন এমন? দোলা ভাইয়ের পড়নে টি শার্ট আর প্যান্ট দেখে অসম্ভব খারাপ লাগছিলো আমার।

বোনটা আমার বড় সাফার করছে। নিজের পুরো জীবনটাকে হারিয়ে ফেলেছে। নিজের অস্তিত্বটাই বিলিন করে দিয়েছেন। সন্তান আর সংসারের ঘানি টানতে টানতে। 

উপর থেকে দেখতে যতটুকু দেখা যায় ভেতরে তাদের ততটুকুই সাফার করছে। 

সামনে কুরবানীর ঈদ। বাড়ি যেতে হবে। বাচ্চাদের গায়ের জামাকাপড়গুলো আমাকে মর্মাহত করে। কী করতে পারি আমি। 

এদিকে আব্বা অসুস্থ ডাক্তার দেখানো একেবারে জরুরি হয়ে পড়েছে। কিন্তু জোর করেও ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া যায় না। কেন যেন এমন। এত মায়া টাকার প্রতি কেন বাবা?

আবার ছোট ভগিণীপতি হারুন। চাকরি করে মাদ্রাসায় হিফজ বিভাগে। ছুটি হয়েছে গতকাল। সব গুছিয়ে বাড়িতে আসবে। বাসে উঠার সময় টাকা সব গায়েব হয়েগেছে।


Popular posts from this blog

জীবনের ফার্স্ট টিউশনি (১০/১২/২০২৩)

রাফানের আম্মু