একজন স্টুডেন্টের কাছ থেকে এর চেয়ে বেশি আর কী আশা করা যায় আমার জানা নেই!। কী সুন্দর লেখা! কী সুন্দর তার অনুভূতি! একজন ছাত্র তার শিক্ষককে মিস করবে এটাই তো স্বাভাবিক! তবে সেটা যদি হয় মাত্র ৭ বছরের একটা স্টুডেন্টের পক্ষ থেকে। কী যে আনন্দ লাগে তখন! সত্যি এক অসাধারণ অনুভূতি। তখন দিলের গভীর থেকে একটা দোয়া চলে আসে সেই প্রিয় ছাত্রের জন্য। যা আল্লাহ কখনো ফিরিয়ে দেন না। দোয়া, ভালোবাসা চেয়ে পাওয়া যায় না। বলার আগেই ভাষাহীন যে দোয়া মনের অজান্তেই হৃদয়ের গহীন থেকে শব্দের কোন সাহায্য ছাড়াই বেরিয়ে আসে তা আল্লাহ কখনো ফিরিয়ে দেন না। আমার জীবনের অন্যতম এক লক্ষ্য হলো ঠিক সেই টিচারটা হওয়া যে টিচারের ভালোবাসা, স্বপ্ন, হৃদয়ের কোমলতা, স্নিগ্ধতা- সবকিছু তারা অনুভব করবে। যাকে তাদের হৃদয় থেকে ভালোবাসবে। এক কথায় যদি বলি- রাসুলের শিক্ষকতার আদর্শটুকু নিজের মধ্যে ধারণ করা এবং ছাত্রদের বাস্তব জীবনে এর পরিস্ফুটিত করা। যেখানে পড়িয়েছি সেখানেও ছাত্ররা আমার জন্য ছিলো ফিদা। আই লাভ মাই অল স্টুডেন্টস।
রাফান। ছোট্ট ছেলে। পড়া লেখায় বেশ মনোযোগ আছে। এবং তাদের ফ্যমেলিটাও বেশ ভালো। সে আমার জীবনের ফার্স্ট হোম স্টুডেন্ট। আমি ব্যক্তিগতভাবে কখনোই টিউশনি পছন্দ করিনি। আমি মনে করতাম একটা মানুষ কেন অন্য হাজার হাজার কাজ থাকতে এই টিউশনিটাকে বেছে নেয়। আমার নিজের আত্মমর্যাদায় লাগতো। এদিকে বাসা ভাড়া মাসের খাবার খরচ। কোনো ইনকাম সোর্স না থাকায় এই খরচ গুলো বহন করাটা কষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। বাড়িতে টাকা না দিলেও অন্তত নিজের খরচটা নিজে চালাতে হবে। জীবনের তাগিদে একটা পুরনো সাইকেল কিনি। এর আগে ফুডপাণ্ডার সমস্ত কার্যক্রম গুলো সেরে ফেলি। কারণ ফুড পান্ডায় কাজ করতে হলে ওদের নিজস্ব কোম্পানিদের একটা ক্রাইটেরিয়া আছে, কিছু রুলস আছে সেগুলো মেনে, আইডি খুলে কাজ করতে হয়। বেশ কিছু দিন কাজ করার পর কেমন যেন পোষাচ্ছিলনা। পরিশেষে রোকনের মাধ্যমে একটা টিউশনি মেনেজ হয়। এটাই ছিলো আমার জীবনের ফার্স্ট টিউশনি। 05/feb/2023 05/Feb/2023 05/Feb/2023 12/02/2024 গল্পের একটি বই পড়ে শুনাচ্ছিলাম তাকে। এক পর্যায়ে আমার গায়ে হেলান দিয়ে গল্প শুনতে লাগলো। বড় হও বাবা অনেক বড় হও। ...
প্রিয় স্টুডেন্ট! প্রতিটা মুহূর্ত আপনার ফুরোচ্ছে না। বার বার ওয়াটসআ্যপ চেক করা। বুকের ছোট্ট একটা কোণে শুন্যতা আর হাহাকার অনুভব করা। ভেতর থেকে অসহ্য এক যন্ত্রনা অনুভব করা। নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আবার বড় আকারে নিঃশ্বাস এসে সামনে পড়া। নাকের নিঃশ্বাসের বড় বড় শব্দ নিজের কানে এসে আছড়ে পড়া। মনের অজান্তেই কখনো চোখের কোনো পানি এসে জমা হওয়া। মানুষের সমুদ্রে বাস করেও কেমন যেন শুন্য এক গ্রহে আমার বাস করা। মাঝে মাঝে হৃৎপিণ্ড কেঁপে কেঁপে উঠা। পুরো পৃথিবীটাই কেমন যেন বিরানভূমির মত লাগা। চিৎকার দিয়ে কান্না করতে ইচ্ছা করা। এমনটা হচ্ছে আমি জানি। যেমনটা আমি আঁচ করতে পারছি। আপনি মানুষ, আর মানুষ হিসেবে এরকমটা হওয়া অস্বাভাবিক কিছু না। কিন্তু দিন শেষে আমরা জানি– একেবারে অলৌকিক ঘটনা কিছু না হলে আমাদের কিছুই হবে না, কিচ্ছূ না। সব কল্পনার সাগরে ঢেউয়ে ঢেউয়ে ভেসে যাবে। হারিয়ে যাবে দূর অজানা গন্তব্যে। তারপরেও এত জল্পনা, কল্পনা, ভাবনা কেন? এর সঠিক কারণ আমার জানা নেই। শুধু ভালো লাগা না অন্যকিছু–এর সঠিক উত্তরটাও জানা নেই আমার। আপনার উত্তরটাও এর ব্যতিক্রম হবে আমার মনে হয়না। হে প্রিয়ংকরী! স...