Rafan 2.0

 Rafan's Mom (+8801315-685627)

Rafan's unknown (+8801878-186095)

Rafan's Bashar khala(+8801630-952766)

Rafan's Father (+880 1711-431673)

Rafan's Dada (+8801736-983966)


আসসালামুয়ালাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। 

পহেলা নভেম্বর ২০২৩ থেকে আপনাদের সাথে আমার যাত্রা শুরু হয়। এটিই ছিল আমার জীবনের প্রথম হোম টিউশন। দীর্ঘ এই ৯ মাসের যাত্রায় আপনাদের সাথে একটি ভালো ও গভীর সম্পর্কই গড়ে উঠেছে বলবো। কারণ আপনাদের দায়িত্বশীলতা আপনাদের চিন্তা-চেতনা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। বিশেষ করে আপনাদের জানা ও মানার আগ্রহ আমাকে মুগ্ধ করেছে। 


একজন টিচার হিসেবে তাঁর কী দায়িত্ব সে বিষয়গুলো আমি অনুভব করি এবং ধারণ করি। শুধু দায়িত্ব আদায় করাটাই যথেষ্ট বলে মনে হয় না আমার কাছে । যেমনটি আমরা জানতে পারি "একজন শিক্ষকের দৃষ্টিকোণ থেকে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবনী" অধ্যয়নের মাধ্যমে।

কারণ শিক্ষকগনই একজন ছাত্রের রাহবার। ভবিষ্যত পথের দিশারী। অন্ধকারে আলো জ্বালিয়ে বিচরণের টর্চলাইট ও মশাল ধরাতে শেখান। যেন জ্ঞানের আলোয় সকল অন্ধকার দূর করে পৌঁছাতে পারে  জীবনের শেষ গন্তব্যে।


একজন টিচার হিসেবে আপনাদের সাথে ৯ মাসের সুদীর্ঘ এ যাত্রায় জানি না কতটুকু দায়িত্ব আদায় করতে পেরেছি। তবে আমি চেষ্টায় কমতি করিনি। তারপরেও মানুষ হিসেবে চলা-ফেরায়, কথা-বার্তায় ভুল-ভ্রান্তি হতেই পারে। আমার পক্ষ থেকে যদি কোন ভুল-ত্রুটি হয়ে থাকে আশা করি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আর আপনাদের প্রতি আমার পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ নেই। আলহামদুলিল্লাহ আপনারা অনেক অনেক সচেতন অভিভাবক‌। 

আপনাদের কলিজার টুকরো সন্তানদেরকে আল্লাহ তায়ালা দুনিয়া ও আখেরাতের জন্য কবুল করুক। এবং তারা আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠুক। পরিশষে আমি তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করি। 

কিছু নাসিহা:

 কোন ভাবেই যেন জীবনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ভুলে না যাই।

সন্তানদের সবচেয়ে ভালো বন্ধু হওয়া। যেন তারা যে কোন সমস্যা ও বিপদে আপনাদেরকে আশ্রয়স্থল মনে করে। সবার আগে শাসন না করে তাদের কথা শোনা এবং সমস্যার সমাধান করা। তারপর স্নেহ ও ভালোবাসার সাথে শাসন করা।

শৈশব কাল থেকেই সন্তানদের মাঝে জীবনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য গুলো গেঁথে দেয়া।

বন্ধু নির্বাচনে সতর্কতা অবলম্বন করা।

কারণ: রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মানুষ তার বন্ধুর আদর্শে গড়ে উঠে। সুতরাং তার বন্ধু নির্বাচনের সময় এ বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত, সে কাকে বন্ধু নির্বাচন করছে।(তিরমিযী, আহমাদ ও বায়হাক্বী)

الْمَرْءُ عَلَى دِينِ خَلِيلِهِ فَلْيَنْظُرْ أَحَدُكُمْ مَنْ يُخَالِلْ

Prophet (ﷺ) said, "Man follows his friend's religion, you should be careful who you take for friends"

Md. Jubayer Hasan

—---------------------------

প্রিয় বাবা রাফান! গত শুক্রবার (১৭.০১.২০২৫)তুমি হিফজ সবক নিয়েছো। শুনেছি আজকে। খুব আনন্দ লাগছিলো তখন। হৃদয় ভরে দোয়া করেছি তোমার জন্য বাবা রাফান। জানি সবার আগে খবরটা আমাকে জানাতে তুমি। হয়তো তুমি আমার কথা বলেছো। আমি শুনেছি বাবা রাফান। কিন্তু কাটা তারের বেড়া যে আমি দিয়ে দিয়েছি বাবা। 


মাফ করে দিও আমাকে রাফান। তুমি একটা গিফট আমার কাছে পাবে। জানিনা আদৌ পাঠাতে পারব কি না কোন দিন। তবে তোমার এই উপহারটা রেখে দিলাম হৃদয়ে চাপা দিয়ে, দোয়ার কাইফিয়্যাতে। 


জানিনা তোমাকে কোন উপকার আমি করতে পেরেছি কিনা। তবে তোমার সুন্দর ভবিষ্যতের আলোটুকু গ্রহণ করার জন্য যতটুকু ভিত্তি গড়ে দেওয়া দরকার আমি ট্রাই করেছিলাম। কতটুকু পেরেছি আমি জানিনা। সুযোগ হলে কখনো তোমার আম্মুকে জিজ্ঞেস কইরো। 


তুমি বড় হলে গিফটা আমি পাঠাবো ইনশাআল্লাহ। বড় হও তুমি বাবা অনেক বড় সে দোয়াই করি তোমার জন্য। 

০৪:২০ am

২০.০১.২৫

--------------------------------------

রাফানের গিফ্ট।

আপনার প্ল্যান।

আমার একটা অনোরোধ থাকবে রাফান লাইফ যেন আমাদের বিষয়টাকে ভুল না বুঝে। ওদেরকে পজিটিভলি বিষয়টা বোঝাবেন। যখন তারা বড় হবে। 

৩ তারিখ লালমিটায়ার দিকে আসবো। 


ওর বাবার কাছে জানতে চাইতে পারে।


কোন প্রয়োজন হলে ফোন করতে পারেন। সপ্তাহে একদিন।


আমি গিফট টা পাঠিয়ে দেই।? এটা আপনি কিনে এনেছেন। এটা বলবেন। 


যখন রাফান বললো আম্মু! জুবায়ের স্যার তো আসছে না। 

তখন আপনি তার মুখ চেপে ধরছেন। মনে হচ্ছিলো পৃথিবীতে বেঁচে থাকা আমার অর্থহীন‌। ছোট্ট একটা বাচ্চার মুখেও আমার নাম নেয়া যাচ্ছে না যাদেরকে আমি বালোবাসি‌ সবচেয়ে বেশি। এ কেমন নির্মম বাস্তবতা। এ বাস্তবত মেনে নেওয়া এতটাই কঠিন, এতটাই ভারি যার ভার আমি বহন করতে পারছি না। 


০৮:২৯ pm

২৪.০১.২৫

--------------------------------------


আমার লেখালেখির জন্য একটা পেইজ খুলবো। সেটা হবে ছদ্মনামে। যেন আমাকে কেউ চিনতে না পারে। বাট আমার লেখা ও কাজে তারা উপকৃত হয়। আর 


সেই পেইজে আপনি লাইক দিয়ে রাখতে পারেন। সেখানে হয়তো কিছু লেখাজোকা পাবেন। 


আফিয়া সিদ্দিকী লে 

আর কোন লেখা, বা কোন প্ল্যান পাঠানোর প্রয়োজন হলে বলবেন। এটা পাঠাবো বই আকারে।  আপনি এটা বই অর্ডার দিয়ে এনেছেন। এরকম


আমরা কি কোদিন আগের স্বাভাবিক জীবন, দায়দায়িত্ব বা  আগের সেই স্বাভাবিক সম্পর্কে ফিরে যেতে পারবো না? যেমন আপনি রাফান রাইফের আম্মু। আর আমি একজন স্বাধারণ হোম টিউটর‌ ছিলাম। 


আপনি এটা পারবেন। বাট সময় লাগবে অনেক। আমি চাই এমনটা হোক। ভুল বোঝাবুঝি যা হয়েছে সবাই ভুলে যাই কোন একদিন এটাই আমার চাওয়া। আর ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখা। 


যখন ভাবি রাফানের কথা- ছোট মানুষ, তার হৃদয়টা ও ছোট। জগতের বুঝেনা কিছুই এখনো। তার ভালোবাসার প্রিয় স্যার আসবে তাকে দেখতে, গল্প করতে, বাকি থাকা গিফটগুলোও নিয়ে আসবে। আনন্দের কি সুন্দর জাল একটা বুনে রেখেছিল মনে‌। কিন্তু স্যার তো আর আসছে না। আর যে কখনো আসবে না তোমার স্যার। রাফসান। 

এগুলো ভাবলে বুকটা ফেটে যাঢয় সোজা কথা। তখন আর কিচ্ছু ভালো লাগেনা। তখন মনে হয় আমার অস্তিত্ব অন্যের বেদনার কারণ। আমার বেঁচে থাকা অর্থহীন। কষ্টের কারণ। 

১২:৩০ am

২৫.০১.২৫

--------------------------------------


বরাবর

প্রধান মুফতি সাহেব দা.বা.

মারকাযুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়া ঢাকা।

হযরতপুর, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১৩


বিষয়: ত্বালাক সংক্রান্ত একটি জিজ্ঞাসা।


প্রশ্ন: প্রায় বছর দশেক আগের কথা। পারিবারিক কোন এক কলহকে কেন্দ্র করে আমার স্বামী রাগের মাথায় আমাকে ত্বালাক দিয়ে দেয়। 

দীর্ঘদিনের ব্যবধানে ঠিক কী বলেছিলো দো’জনের কারোই মনে নেই এখন। তবে আমার স্পষ্ট এতটুকু মনে আছে–’ত্বালাক’ বলেছিলো।


এরপর স্বাভাবিক-ই চলতে থাকে আমাদের পারিবারিক জীবন। আমরা মানিয়ে নিয়েছিলাম, ঠিকঠাকই চলছিলো সব। এখন পর্যন্ত সুদীর্ঘ আঠারো বছরের সংসার আমাদের। দুটি বাচ্চাও আছে। 


কিন্তু গত কয়েকদিন আগে, জানুয়ারির ১০/১১ তারিখের কথা। বড় একটা  ই্স্যুকে কেন্দ্র করে রাগের মাথায় আবারো আমাকে দু’টি ত্বালাক দিয়ে দেয় এবং খুব‌ মারধর করে। (ভুল দু'জনেরই আছে) যা বলেছিলো–”তোকে আমি এক তালাক দিলাম। দুই তালাক দিলাম।”। যখন সে এ কথা বলে তখন আমি তার মুখ চেপে ধরে বলি– ‘আর বলো না।’  তখন সে থেমে যায়। তাকে আর কিছু বলতে শুনিনি। তবে তার মাথা ঠান্ডা হলে বললো– “আচ্ছা, তখন কি তুমি আমার মুখ চেপে ধরেছিলে? আমি কি মনে মনে কিছু বলে ফেলেছিলাম?” এরকম একটা বিষয়। 


আমরা রিলিজিয়াস টাইপের না। জেনারেল লাইনে আমাদের পড়াশোনা। দ্বীন সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান শুন্যের কোঠায়। তবে একটা ব্রেকথ্রু আমাকে দ্বীনে ফেরায়। সে বছর দশেক আগের কথা। তখন থেকে  দ্বীন মানা ও শেখার আপ্রাণ চেষ্টা করি, এখনো করার চেষ্টা করছি। কিন্তু গত বারো বছর ধরে চেষ্টা করেও আমার স্বামীকে দ্বীনে ফেরাতে পারিনি। তার কথা হচ্ছে–“তুমি তোমার কবরে যাবে, আমি আমার কবরে যাবো” এটাকে এভাবেই মেনে নিয়েছি। 


যেহেতু দ্বীনের জ্ঞান আমাদের একেবারেই নেই, তাই অনলাইনে কিছু স্কলারদের বক্তব্য দেখে বেশ কিছু প্রশ্ন জন্ম নিচ্ছে মনে এবং দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছি। 


কয়েকজন স্কলার বলেছেন– এক বৈঠকে বা এক তুহুরে শতকোটি তালাক দিলেও নাকি এক ত্বলাকই হবে। এক বৈঠকে তিন ত্বালাক দিলে তিন তালাক হবে–এটা নাকি উমর (রা.) রাষ্ট্রীয় একটা ফরমান ছিলো। এর আগে এমনটা ছিলো নি।


আরেকজন বলেছেন “এ বিষয়টাতে মতানৈক্য আছে। আর যে বিষয়গুলোতে মতানৈক্য থাকে সেখানে যে কোন একটা মত আপনি নিতে পারেন।”


সাধারণ মানুষ হিসেবে আমরা কী করবো, কিছুই বুঝতে পারি না। দুর্ভাগ্যক্রমে এখনো একসাথে আছি আমরা। কিন্তু প্রতিটা মূহুর্ত অতিবাহিত হচ্ছে–মানসিকভাবে মনে হচ্ছে জাহান্নামের আগুনে ধাপড়াচ্ছি। 


এখন  সম্মানিত মুফতি সাহেবের কাছে আমার জানার বিষয় হচ্ছে– আমরা কি স্বামী স্ত্রী হিসেবে আছি? যদি থাকি আলহামদুলিল্লাহ।  আর যদি না থাকি আমার করণীয় কি?


একজন স্ত্রী হিসেবে বেশ কিছু সমস্যায় আমি আছি। আমাদের এ বিষয়টি নিয়ে সে কোন মাথা ঘামাচ্ছে না। যেহেতু আমি দ্বীন মানতে চাই এবং আল্লাহর বিধান মানা আমার জন্য ফরজ। তাই এটা আমার জানতে হবে। এবং আমার আখেরাতের জন্য হলেও গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে হবে। 

আমি এ বিষয়টা নিয়ে জানতে চাইলে সে রেগেমেগে ফায়ার হয়ে যায় এবং  বলতে থাকে এটা নিয়ে এতো ঘাঁটাঘাঁটি করছিস কেন্? 


এই ফতোয়া টা আমার হাজবেন্ডকে দেখানোও যাবে না। আমাকে মেরে ভাসিয়ে দেবে নদীতে। বলবে এটা নিয়ে এত ঘাঁটাঘাঁটি করতে গেলি কেন? তার আচরণে মনে হয় যেভাবেই হোক সে আমাকে রাখতে চায় এমনকি অবৈধ হলেও। তাকে যে কথা বলে বোঝানো যাবে সেই অপনশটাও নেই। সে কারো সাথে কথা-ই বলতে চায় না– এ বিষয় নিয়ে। আর আমি কোন মাধ্যমে এখানে জানতে চেয়েছি এটা জানলেও এক ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।

আগেই বলেছি দ্বীনের ব্যাপারে তিনি বড় উদাসীন। এমনকি কালিমাটা পর্যন্ত জানতো না। ধীরে ধীরে চেষ্টা করে আমি শিখিয়েছি। 

এবং অন্যকোন মাধ্যমে, বৈধ কোন উপায়ে তাঁর কাছে আমাকে রাখবে সে সম্ভাবনাও ক্ষীণ। আমি যতটুকু ওনাকে চিনি এবং জানি প্রয়োজনে আমাকে মেরে ফেলবে তারপরেও কোন ধরণের কিছু তিনি করবেন না। কোন কিছু না করেই যেভাবে আছে এভাবেই রাখতে চান তিনি। বৈধ পন্থায় শরয়িভাবে একসাথে থাকতে চাই আমি। গুনাহের কারণে আমার আখেরাত বরবাদ হোক এটা আমি চাই না।


তবে মাঝে মাঝে মনে হয় মরে যাওয়া আমার জন্য হয়তো ভালো সমাধান। আর কিছু ভাবতে পারি না। পরক্ষনেই আবার ছোট ছোট কলিজার টুকরো সন্তান দুটির মুখ চোখের সামনে ভেসে ওঠে। (হে আল্লাহ! কী করবো আমি জানি না।)


তাকে দেখাতে না পারলে এবং বিষয়টা বলতে না পারলে আমি কী করবো? এভাবে চলতে থাকা কি আমার জন্য বৈধ হবে? যদি না হয় তাহলে আমার করণীয় কি?


মুফতি সাহেবের কাছে আকুল আবেদন এই যে, উক্ত বিষয়টি বিবেচনা করে কুরআন হাদিসের আলোকে দলিলসহ সমাধান দিয়ে আমাকে বাধিত করবেন। এবং আমার করণীয় কি সবিস্তারে জানিয়ে উপকৃত করবেন। 


12:23pm

01.02.25

—-----------------------------

এ কারণে আমার নাম্বারটা ও দিতে পারছিনা যে প্রয়োজনে কোন বিষয় জানার জন্য আমাকে ফোন করবেন।  আমার সাথে




তাকে যদি বলতে না পারি এবং দেখাতে না পারি আর আমাদের সম্পর্ক এরকম চলতে থাখে





এখন আমরা এক সাথেই আছি। আমরা রিলিজিয়াস টাইপের না। তবে আমি দ্বীন মানার আপ্রাণ চেষ্টা করছি। আমার স্বামী দ্বীনের ব্যাপারে খুবই উদাসীন। এ বিষয়টা আমাকে পুড়ে পুড়ে খাচ্ছে। কিছুই বুঝতে পারছি না-কী করবো আমি?  আর তাকে এ বিষয়টা বলতেও পারছি না। সে বলে তুমি এই বিষয়টা নিয়ে এত ঘাঁটাঘাঁটি করছো কেন? আমি যে





তখন আসলে কী বলেছিল আমাদের বৈবাহিক জীবনের বয়স আঠারো বছর চলছে।   আঠারো বছর চলছে আমাদের বৈবাহিক জীবনের।  আঠারো বছর। কোন এক করণে বাকবিতন্ডা হয় আমাদের মাঝে। এক পর্যায়ে রাগের মাথায় এক তালাক দিয়ে দেয় আমাকে। (একথা বলে তোকে আমি তালাক দিয়ে দিলাম।) পড়ে আমরা আবার ঠিক হয়ে যাই। 

কিন্তু আমার স্বামীর এখন মনে নেই‌। 


এভাবে চলতে থাকে আমাদের দীর্ঘ আঠারো বছর। 

আমরা দ্বীনদার কোন ফ্যামেলি না। এমনকি সে (আমার হাজবেন্ড) কালিমা টুকু জানতো না।

একটা ব্র্যাকথ্রো আমকে দ্বীনে ফেরায়। আমি সাধ্যমতো দ্বীন মানার ট্রাই করি। সে দ্বীনের প্রতি খুবই উদাসীন। 


আমার দুটো সন্তান আছে। 


আমি খুব ভয়ংকর একটা সিচুয়েশনে আছি। এই মাসআলাটার সমাধান আমি জানবো এটাও তিনি চান না। যদি নেগেটিভ কোন কিছু আসে। এটাও আমি তাকে জানাতে পারবো না। তুই এটা নিয়ে এত ঘাঁটাঘাঁটি করছিস কেন? ওর রিয়েকশন দেখলে মনে হয় আমাদের সম্পর্ক অবৈধ হলেও সে আমাকে রেখে দিবে। আর আমাকে অন্যকোন উপায়ে তার কাছে রাখবে এ কাজও সে করবে না। আমাকে মেরে ভাসিয়ে দিবে নদীতে। 



একথা বলে। তোকে আমি ১ তালাক দিলাম, ২ তালাক দিলাম। তখন আমি এ কথা বলে তার মুখ চেপে ধরি- আর বলো না। তখন সে থেমে যায়। তাকে আর কিছু বলতে শুনিনি। 


বৈবাহিক সম্পর্ক আমাদের  আজ অব্দি আঠারো বছর। কিন্তু আজ এক নির্মম বাস্তবতার মুখোমুখি দাড়িয়ে আছি। 


কোন কারনে যদি কখনো আমি যোগাযোগ করতে চাই তখন কিভাবে কর? 



আসসালামুয়ালাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।


নেগেটিভ কিছু আসেলে আপনার উচিত হারাম থেকে বেঁচে থাকা। এর জন্য যতটুকু সাপোর্ট আপনার দরকার কেউ না করলেও আ…

হয়তো আপনার বড় কোন ডিসিশন নিতে হবে। তবে হারাম থেকে আপনাকে বাঁচতেই হবে। ঈমানী এই ‘ইমতেহানে’ (পরীক্ষায়) উত্তীর্ণ আপনাকে হতেই হবে। হয়তো ঠুনকো জীবনের কিছু ঠুনকো আবেগ আর মমতা আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরবে আপনাকে।


পথ যেহেতু আল্লাহ আপনাকে দেখিয়েছেন বিপদও সেই এক আল্লাহই তো দিয়েছেন। 

আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কোন বিপদ আপদ দুঃখ দুর্দশা কিচ্ছু আসতে পারে না,  আসেও না। একটু চোখদুটো মেলে ধরি কুরআনের বুকে,

“আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কোন বিপদই আপতিত হয় না। যে আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে, আল্লাহ তার অন্তরকে সৎপথে পরিচালিত করেন। আল্লাহ প্রত্যেক বিষয়ে সর্বজ্ঞ।” সুরা তাগাবুন, আয়াত-১১


তবে কিছু স্মৃতি, কিছু মায়া, কিছু ভালোবাসা যা আল্লাহরই দান সবই বিসর্জন … 

“আঠারো বছরের একসাথে সুঃখ-দুঃখের জার্নি। কত স্মৃতি জড়িয়ে আছে জীবনের পরতে পরতে পাতায় পাতায়! এই মানুষটার সাথে। কীভাবে …?

আমার (মানে, আপনার) প্রথম ভালোবাসা, প্রথম প্রেম, সেই প্রথম স্পর্শ। আর… এসব বাস্তব কিছু চিন্তার উদ্রেক হবে হৃদয়ে মণিকোঠায়। এগুলো সত্যি ভুলে যাওয়ার মতো না। কিন্তু…

দ্বীন আমার ( মানে, আপনার) সবার আগে। রবের বেঁধে দেওয়া সীমানাই আমাদের শুরু ও শেষ সীমানা। ক্ষণিকের সুখের আশায়, তুচ্ছ আবেগ আর মিছে মায়ায় চিরস্থায়ী সুখের সবুজ উদ্যানেটাকে বিরানভূমিতে পরিণত করতে পারি না আমরা। 


বান্দা হিসেবে পরীক্ষাগারে আছি সবাই। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়টাই মূল দায়িত্ব। কাগজের পাতায় কাগজের (কালি ও কলমের) পরীক্ষা এটা না। এটা জীবনের পাতায় জীবনের পরীক্ষা। আপনার আমার কাছে মনে হতে পারে এ এক মহাপরীক্ষা হ্যাঁ, এটা শুধু মহাপরীক্ষা না মহা, মহা, মহাপরীক্ষা। জীবনের বাস্তব এ পরীক্ষার কথা বলেছেন আল্লাহ সেই চোদ্দশতবছর আগেই এবং জীবনের দর্পনে এর চরম বাস্তব উদাহরণও আছে ঢের।

“তোমাদের সম্পদ ও সন্তান সন্ততি তোমাদের জন্য পরীক্ষা। আর আল্লাহরই নিকট রয়েছে মহা পুরস্কার।” সুরা তাগাবুন, আয়াত-১৫


‘‘মানুষ কি মনে করে যে, তারা এ কথা বলেই অব্যাহতি পেয়ে যাবে যে, আমরা ঈমান এনেছি এবং তাদেরকে পরীক্ষা করা হবে না?’’

সুরা আনকাবুত, আয়াত-২

পরীক্ষা হবে অনেকভাবে, বিভিন্ন পদ্ধতিতে এটাও কুরআন আমাদের সুস্পষ্টভাবে বলে দিয়েছে, 

‘‘এবং অবশ্যই আমি তোমাদিগকে পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের। যখন তাঁরা বিপদে পতিত হয়, তখন বলে,  إِنَّا لِلهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ নিশ্চয়ই আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই তারই সান্নিধ্যে ফিরে যাবো’’ 


কী দিয়ে কিভাবে পরীক্ষা আমাদের নিবেন আল্লাহ তাও বলে দিয়েছেন। উত্তরণের পথও বলে দিয়েছেন তিনি। শুধু জানতে হবে এবং এপ্লাই করতে হবে। 


“তোমরা কি ভেবেছ যে, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে, অথচ আল্লাহ এখন পর্যন্তও পরখ করেননি তোমাদের মধ্যে কে জিহাদ করেছে আর কারা ধৈর্যশীল।” সুরা আল ইমরান, আয়াত-১২০

প্রথম কাজ ধৈর্য। 

আল্লাহর এ মহা পুরষ্কার আমাদের ক্ষুদ্র বিবেক আঁচ করতে পারে না। তাই নানা অযুহাতে নিজকে সরিয়ে রাখি রবের দেয়া বিধান থেকে, সাময়িক কিছু আবেগ আর মায়ার জালে আটকা পরে। অতীতে ফেলে আসা তুচ্ছ স্মৃতির মায়ার ফাঁদে পরে। 


কখনো অতি কাছের মানুষটাও সত্রু হয়, হয় নারি ছেঁড়া ধন সন্তানটাও যেমন, 

“হে মুমিনগণ, তোমাদের স্বামী-স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততিদের কেউ কেউ তোমাদের দুশমন। অতএব তোমরা তাদের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন কর। আর যদি তোমরা মার্জনা কর, এড়িয়ে যাও এবং মাফ করে দাও তবে নিশ্চয় আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু।” সুরা তাগাবুন, আয়াত-১৪


অর্থাৎ- ১, যারা তোমাদের নেক কাজ ও আনুগত্যের পথে বাধা সৃষ্টি করে, জেনে নিও তারা তোমার কল্যাণকামী ও হিতাকাঙ্ক্ষী নয়, বরং শত্রু।

(একটু ভাবুন, এখন আপনার জন্য ভালো কাজ কি? কোন কাজটি আপনার দুনিয়া ও আখেরাতের জন্য কল্যাণকর? এর জন্য বাঁধা কি কি? কে কে? বা কারা? এখানে আমাকে একটু নিষ্ঠুর মনে হতে পারে, এগুলো তো আমার কথা না। তাহলেই বাস্তব বিষয়গুলো বুঝে আসবে)

অর্থাৎ-২,তুমি তাদের পিছনে পড়ো না, বরং তাদেরকে তোমার পিছনে লাগাও, যাতে তারাও আল্লাহর আনুগত্যের পথ অবলম্বন করে নেয়। তুমি তাদের পিছনে পড়ে নিজের পরিণাম মন্দ করো না।


যদি দাম্পত্য জীবনের সম্পর্কেটা ঠিক থাকে। আলহামদুলিল্লাহ! 

আর না হয়…

এভাবে অত্যন্ত কাছের মানুষটার সাথে থেকেও শুয়ে থাকা হবে জোজন জোজন দূরের অপরিচিত একটা মানুষের সাথে। বাহ্যিক দৃষ্টিতে সব স্বভাবিক দেখালেও বাস্তবে এ এক বাস্তব পতি…। (কথাটা যদিও কঠিন বলে ফেললাম কিন্তু শরিয়ত তো এমনটাই বলেছে। আমি কী করবো।)


বাকি জীবনটা পতিতালয়ে কাটিয়ে দেয়ার চেয়ে সেখান থেকে বের হয়ে ভিক্ষা করে বাঁচা ভালো না? হয়তো গভীর কিছু ইমোশন আপনাকে পেছন থেকে টেনে ধরবে। এটা একটা শয়তানের প্রতারণা। বান্দা আল্লাহ রাসুলের চেয়ে দয়ালু কখনই হতে পারে না।


আমার শেষ কথা, ঈমান আমলের হেফাজতে সবার আগে। তাই জীবন বাজি রেখে দ্বীনের পথে অটল থাকতে হবে। এই পরীক্ষা শুধু আপনার জীবনেই প্রথম না। ইতিহাসের পাতা কানায় কানায় ভরা এরকম উদাহরণে। দ্বীনের জন্য নিজের ঈমান আমলের জন্য জীবন বিলিয়ে দেওয়াও আল্লাহ পছন্দ করেন। 

এতটুকুই আমার কথা। 


দ্বীন আমার প্রথম বাকি সব পরে। দ্বীনের জন্য, ঈমান আমলের জন্য সুমাইয়া রা. এর কথা মনে আছে? তিনি একজন সাধারণ মহিলাই ছিলেন। সদ্য ইসলাম গ্রহণ করেছেন। ইসলামৈর আলো পেয়েছেন এর বয়স খুব বেশি হয়নি। 

কিন্তু 

কিন্তু কি…

লজ্জা স্থানে বর্ষার আঘাত, তারপর শাহাদাত জান্নাতের সবুজ পাখি। এটা ছিলো তাদের জীবন। আমি হয়তো কীবোর্ডের খোঁচায় সহজে বলে দিয়েছি, বাট আমি কি…?


“ছোট্ট একটা বাচ্চার কান্না আমি কাঁদছি নিজের এই অপরাধের কথা ভেবে, ক্ষমা চেয়ে চেয়ে। নিজের অজান্তেই চোখ দুটি অশ্রুসিক্ত হয়ে যায়। তালাকে দেওয়ায় হাত আমার ছিলো কি না জানিনা। তবে আল্লাহ ক্ষমা আমাকে করবেন কি না তাও জানি না‌। নিরাশ আমি হইনা কারণ আল্লাহই তো বলেছেন, ”আল্লাহর রহমত থেকে কখনো নিরাশ হয়ো না”






এরকম করলে এরকম করতে হবে, আল্লাহ এটা জানেন না? আর তখন ছোট বাচ্চা থাকতে পারে। থাকতে পারে কোলের শিশু। এমনকি থাকতে পারে পেটেও। কী করতে হবে তখন। 


আল্লাহর চেয়ে দয়াবান আর মায়ার কেউ আছে? না। তো আল্লাহ বলছেন। করতে হবে, থাকতে হবে আলাদা। 


বান্দার দয়া আর মায়ার উপর ভর করে আল্লস সিদ্ধান্ত দিলে কেমন হতো। 

ঠিক আছে ছোট বাচ্চা যেহেতু আছে। এভাবূই থেকে যাও। আর এরকম করো না। এটাই নিয়ম। আমরা মানুষ। আর মানুষের জ্ঞান সীমিত। আমাদের কাছে যা কল্যাণের, ভালো, দয়ার, মায়ার আসলে এটা দয়া মায়া ও কল্যাণের না। 


হতে পারে কোন বিষয় তোমরা অপছন্দ করছ অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হতে পারে কোন বিষয় তোমরা পছন্দ করছ অথচ তা তোমাদের জন্য অকল্যাণকর। আর আল্লাহ জানেন এবং তোমরা জান না।

সূরা বাকারার- ২১৬


বাচ্চারা আপনার সারাজীবনের, এমনকি মৃত্যুর পরেরও। ওরা আপনাকে কখনোই ছেড়ে যাবেনা। থাকবে আপনার হৃদয়ের গভীরে, কলিজার ঠিক আশপাশে। না, কলিজার ভেতরেই। তবে পরীক্ষাটায় আপনার পাশ করতেই হবে যদি তাদেরকে আপনি চান। 

কখনোই তারা দূরে যাবে না আপনার মাতৃ হৃদয়ের স্পন্দন থেকে। 





আমাদের জ্ঞান অতি নগন্য, অতি সামান্য। যা বস্তুর মৌলিক বিষয়ে পৌঁছাতে পারে না। এমন  কিছু ইমোশন আছে যার কন্ট্রোল আমাদের হাতে নেই। তাই অনেক কিছু ভালো লাগে যা বাস্তবতার মোড়কে ভালো না। 


6:36৩ pm

30.01.25

--------------------------------------








০১/০২/২০২৫

বরাবর

প্রধান মুফতি সাহেব দা.বা.

মারকাযুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়া ঢাকা।

হযরতপুর, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১৩


বিষয়: ত্বালাক সংক্রান্ত একটি জিজ্ঞাসা।


প্রশ্ন: প্রায় বছর দশেক আগের কথা। পারিবারিক কোন এক কলহকে কেন্দ্র করে আমার স্বামী রাগের মাথায় আমাকে ত্বালাক দিয়ে দেয়। দীর্ঘদিনের ব্যবধানে ঠিক কী বলেছিলো দো’জনের কারো-ই মনে নেই এখন। তবে আমার স্পষ্ট এতটুকু মনে আছে ‘ত্বালাক’ বলেছিলো।

এরপর স্বাভাবিক-ই চলতে থাকে আমাদের পারিবারিক জীবন। আমরা মানিয়ে নিয়েছিলাম, ঠিকঠাকই চলছিলো সব। এখন পর্যন্ত সুদীর্ঘ আঠারো বছরের সংসার আমাদের। দুটি বাচ্চাও আছে। 

কিন্তু গত কয়েকদিন আগে, জানুয়ারির ১০/১১ তারিখের কথা। বড় একটা ইস্যুকে কেন্দ্র করে রাগের মাথায় আবারো আমাকে দু’টি ত্বালাক দিয়ে দেয় এবং খুব‌ মারধর করে। (ভুল দু'জনেরই আছে) যা বলেছিলো ‘তোকে আমি এক তালাক দিলাম। দুই তালাক দিলাম।’। যখন সে এ কথা বলে তখন আমি তার মুখ চেপে ধরে বলি-‘আর বলো না।’  তখন সে থেমে যায়। তাকে আর কিছু বলতে শুনিনি। তবে তার মাথা ঠান্ডা হলে বললো-‘আচ্ছা, তখন কি তুমি আমার মুখ চেপে ধরেছিলে? আমি কি মনে মনে কিছু বলে ফেলেছিলাম?’ এরকম একটা বিষয়। 


আমরা রিলিজিয়াস টাইপের না। জেনারেল লাইনে আমাদের পড়াশোনা। দ্বীন সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান শুন্যেও কোঠায়। তবে একটা ব্রেকথ্রু আমাকে দ্বীনে ফেরায়। সে বছর দশেক আগের কথা। তখন থেকে দ্বীন মানা ও শেখার আপ্রাণ চেষ্টা করি, এখনো করার চেষ্টা করছি। কিন্তু গত বারো বছর ধরে চেষ্টা করেও আমার স্বামীকে দ্বীনে ফেরাতে পারিনি। তার কথা হচ্ছে ‘তুমি তোমার কবরে যাবে, আমি আমার কবরে যাবো’ এটাকে এভাবেই মেনে নিয়েছি।


যেহেতু দ্বীনের জ্ঞান আমাদের একেবারেই নেই, তাই অনলাইনে কিছু স্কলারদের বক্তব্য দেখে বেশ কিছু প্রশ্ন জন্ম নিচ্ছে মনে এবং দ্বিধাদ্বন্দে ভুগছি। 

কয়েকজন স্কলার বলেছেন– এক বৈঠকে বা এক তুহুরে শতকোটি তালাক দিলেও নাকি এক তালাকই হবে। এক বৈঠকে তিন ত্বালাক দিলে তিন তালাক হবে- এটা নাকি উমর (রা.) রাষ্ট্রীয় একটা ফরমান ছিলো। এর আগে এমনটা ছিলো না। 

আরেকজন বলেছেন ‘এ বিষয়টাতে মতানৈক্য আছে। আর যে বিষয়গুলোতে মতানৈক্য থাকে সেখানে যে কোন একটা মত আপনি নিতে পারেন’

সাধারণ মানুষ হিসেবে আমরা কী করবো, কিছুই বুঝতে পারি না। দুর্ভাগ্যক্রমে এখনো একসাথে আছি আমরা। কিন্তু প্রতিটা মূহুর্ত অতিবাহিত হচ্ছে ঠিকই কিন্তু মানসিকভাবে মনে হচ্ছে জাহান্নামের আগুনে ধাপড়াচ্ছি। 

এখন সম্মানিত মুফতি সাহেবের কাছে আমার জানার বিষয় হচ্ছে- আমরা কি স্বামী স্ত্রী হিসেবে আছি? যদি থাকি আলহামদুলিল্লাহ। আর যদি না থাকি তাহলে আমার করণীয় কী?

একজন স্ত্রী হিসেবে অত্যন্ত ভয়বহ কিছু সমস্যায় আমি আছি। আমাদের এ বিষয়টি নিয়ে সে কোন মাথা ঘামাচ্ছে না। বা ঘামানোর কোন প্রয়োজনও বোধ করছে বলে মনে হয় না। যেহেতু আমি দ্বীন মানতে চাই এবং আল্লাহর বিধান মানা আমার জন্য ফরজ। তাই এটা আমার জানতে হবে। এবং আমার আখেরাতের জন্য হলেও গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে হবে। 

আমি এ বিষয়টা নিয়ে জানতে চাইলে সে রেগেমেগে ফায়ার হয়ে যায়। এবং বলে এটা নিয়ে এতো ঘাঁটাঘাঁটি করছিস কেন্? 

এই ফতোয়াটা আমার হাজবেন্ডকে দেখানোও যাবে না। আমাকে মেরে ভাসিয়ে দেবে নদীতে। বলবে এটা নিয়ে এত ঘাঁটাঘাঁটি করতে গেলি কেন? তার আচরণে মনে হয় যেভাবেই হোক সে আমাকে রাখতে চায়। এমনকি অবৈধ হলেও। তাকে যে কথা বলে বোঝানো যাবে সেই অপনশটাও নেই। সে কারো সাথে কথা-ই বলতে চায় না এ বিষয় নিয়ে। আর আমি কোন মাধ্যমে এখানে জানতে চেয়েছি এটা জানলেও এক ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।

আগেই বলেছি দ্বীনের ব্যাপারে তিনি বড় উদাসীন। এমনকি কালিমাটা পর্যন্ত জানতো না। ধীরে ধীরে চেষ্টা করে আমি শিখিয়েছি। 

এবং অন্যকোন মাধ্যমে, বৈধ কোন উপায়ে তাঁর কাছে আমাকে রাখবে সেসম্ভাবনাও ক্ষীণ। আমি যতটুকু ওনাকে চিনি এবং জানি প্রয়োজনে আমাকে মেওে ফেলবে তারপরেও কোন ধরণের কিছু তিনি করবেন না। কোন কিছু না করেই যেভাবে আছে সেভাবেই রাখতে চান তিনি। আমি চাই বৈধ পন্থায় শরয়িভাবে একসাথে থাকতে। গুনাহের কারণে আমার আখেরাত বরবাদ হোক এটা আমি চাই না।

তবে মাঝে মাঝে মনে হয়ে মরে যাওয়া আমার জন্য হয়তো ভালো সমাধান। আর কিছু ভাবতে পারি না। পরক্ষনেই আবার ছোট ছোট কলিজার টুকরো সন্তান দুটির মুখ চোখের সামনে ভেসে ওঠে। (হে আল্লাহ! কী করবো আমি জানি না।)

তাকে দেখাতে না পারলে এবং বিষয়টা জানাতে না পারলে আমি কী করবো? এভাবে চলতে থাকা কি আমার জন্য বৈধ হবে? যদি না হয় তাহলে আমার করণীয় কী?

মুফতি সাহেবের কাছে আকুল আবেদন এই যে, উক্ত বিষয়টি বিবেচনা করে কুরআন হাদিসের আলোকে দলিলসহ সমাধান দিযয়ে আমাকে বাধিত করবেন। এবং আমার করণীয় কী সবিস্তারে জানিয়ে এবং বিভিন্নজনের বিভিন্ন লেকচার শুনে আমার মনে দ্বিধাদ¦ন্দের যে উদ্রেক হয়েছে তা দূর করে উপকৃত করবেন। 


নিবেদক

রোমানা খান

লালমাটিয়া, মোহাম্মদপুর, ঢাকা

যোগাযোগ: ০১৭৯১৭৫৭৫৯০

10:44 am

01.02.25

--------------------------------------


সে কি সত্যি দ্বীন মানতে চায়?

এই ঘটনার পেছনে (তালাকের) তার কি কোন হাত আছে? ভুল আছে আমার এবং তার।

তার সাথে কথা বলে এবং তার কিছু পোস্ট দেখে তাই মনে হলো। এটা রিয়েল। 


তাকে কেন নিতে চাই? 

তার মধ্যে কি আছে? 

—----------------------


জীবনটা কখনো এমন এক মোরে এসে দাঁড়ায় যা কল্পনাতীত। নিজের অজানা। কীভাবে কি যেন হয়ে যায় বিন্দুমার নিজের কোন খবর থাকেনা।‌ 

জঘন্য এক অপরাধে তছনছ হয়েগেছে একটা মানুষের জীবন। গাছ শুন্য হয়ে যাচ্ছে প্রায় দুটি ফুল। এই অপরাধবোধ টুকু নিয়ে বেঁচে থাকা আমার জন্য দুনিয়াট একপ্র যে যেকার নরকে পরিণত হয়েছে। কী করবো আমি জানিনা। আল্লাহ! হে আল্লাহ! আমি তো তোমার গুনাহগার এক বান্দা। তুমি দেখছো হৃদয়ের আকুতি। হায়! আল্লাহ আমি কি করবো আমি জানিনা। আমাকে রাস্তা দেখাও। 


একটি বই পড়ছিলাম। আমার মা জান্নাত। পৃষ্ঠা কয়টা পড়তেই চোখ দুটি অশ্রুসিক্ত হয়ে গেলো। শতচেষ্টা করেও সামনে আর বাড়তে পারলাম না। থেমে থেমে মনে হচ্ছিলো ঘেঁটে যাওয়া সেই অপরাধের কথা। আর চোখের সামনে ভেসে উঠছিল মায়া ভরা চোখ দুটি। রাফান  আর রাইফের কথা। 


বুকটা ভারি হয়ে আসছিলো। পড়া চালিয়ে যেতে পারছিলাম না। চোখদুটো অশ্রুসিক্ত হয়ে যাচ্ছিলো। 

10:01 Pm

03.02.25

--------------------------------------


জীবনের অনেকটা দূর পথ আপনি পারি দিয়ে ফেলেছিলেন। পথ বেশিদূর বাকি ছিলো না। পূর্ণতা অপূর্ণতা, সুখ-দুঃখের মধ্য দিয়ে দুইভাগ তো কেটেই গেছিলো। শেষ অংশটুকু বাকি ছিলো শুধু। 

কিন্তু কী এমন এক ঝড় হাওয়া এসে এলোমেলো করে দিলো সব। জীবনের গতিপথ পাল্টে দিলো। পালের মোর ঘুরিয়ে দিলো গন্তব্যহীন পথে। 

সেই অপরাধবোধ আমাকে কুরে কুরে খাচ্ছে প্রতিনিয়ত। 

11:29 Pm

03.02.25

--------------------------------------


মনে হয়না আর কোনদিন আমি সুস্থভাবে বাঁচতে পারবোয় না। কোন বই পড়লেই রাফান রাইফের মলিন মুখ দুটি চোখের সামনে ভেসে উঠে। এমন এক মহা অপরাধ আমি করলাম যার জন্য কচি কচি বাচ্চার দুটির জীবন নরকে পরিণত হলো। 


মায়ের আদর থেকে বঞ্ছিত করলাম। একসাথে থাকলেও এটা হবে এক গুরতর অপরাধ। দূরে কোথাও চলে গেলেও কলিজার টুকরো মাকে হারাবে। মাথার উপর থেকে হারাবে মায়ের শীতল ছায়া। জীবনের ঝাঝালো রোদে তাদের তালু ফেটে যাবে। মা হারা বেদনায় হৃদয় ফাটা চিৎকারে আকাশ পাতাল ভারি করে তুলবে। 


ভাবতে গিয়ে গুলিয়ে ফেলি সব। আর ভাবতে পারি না তখন। 


আজকে একটি বই‌ পড়ছিলাম। নাম–’আমার মা আমায় জান্নাত।’ পাতায় পাতায় এত আবেগের ছোঁয়া লেগে আছে, প্রতিটি শব্দে প্রতিটা বাক্যে কান্না আসছে।

বিশেষ করে সবচেয়ে বিশি মনে পড়ছে রাফান‌ রাইহের কথা। ছোট ছোট দুটি কচি ফুল, দুনিয়ার আলো বাতাসের ধরণ এখনো কিছুই তারা বুঝে না। এর আগেই তাদেরকে আমি কী বিশাল, ভয়ঙ্কর ধাক্কাটাই না দিলাম! পাগল প্রায় উত্তাল সমুদ্রের তরঙ্গের ন্যায়, যা জীবনতরীটাকে ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়েছে। ডুবিয়ে দিয়েছে অতলে। 


হায়রে আল্লাহ, এর দায়ভার তো আমাকেই নিতে হবে। আমি তো অবুঝ, ভুল তো তোমার বান্দারই করবে। ক্ষমাও তো তুমি করবে। তোমার ক্ষমা ছাড়া কোথায় যাবো? তুমি কি জাহান্নামে দিবা আমাকে আল্লাহ! জাহান্নামে দিয়ে তুমি খুশি হবে আল্লাহ! তোমার ভালো‌ লাগবে? তোমার দিকে ফিরে আসা বান্দাটাকে ঘার ধরে জাহান্নামে নিক্ষেপ করতে একটু মায়া হবে না তোমার, হে আমার প্রিয় রব! ক্ষমা করে দাও না। দাও না ক্ষমা করে হে আমার রব! 

সকল সমস্যার সমাধান তো তোমার কাছে। সমাধান একটা বের করে দাও না। আমার কোন রাস্তা জানা নাই আল্লাহ! তুমি যা ভালো মনে করো তাই কইরো। তুমি তো বান্দার অকল্যাণ চাও না। 

মা, মা, মা, বাবা সন্তানের কল্যাণের বাইরে কোন কিছু ভাবতে পরে? তাদের হৃদয়ের গভীরে ভালোবাসা আর মায়ার যে দোলা তুমি দিয়েছো তাতেই তারা সন্তানের ব্যাপারে এরকম…


হে রব আমার! আমি তো তোমারই আদরের বান্দা। তুমি কীভাবে পারবে তোমার আদরের বান্দা কে ফিক্কা দিয়ে জাহান্নামে ফেলে দিতে। একটুও মায়া হবে না তোমার। একটুও না‌। 

ফিরিয়ে দিও না আল্লাহ! ক্ষমা করে দাও। সমাধানের পথ বের করে দাও। দাও না আল্লাহ!


কার কাছে যাবো তুমি ছাড়া? বলো, কার কাছে যাবো?  আমার হৃদয়ের আকুতি কী শুনতে পাওনা হে আমার রব? 


কিন্তু এর সঠিক কোন সমাধান আমার জানা নাই। 

02:18 Pm

04.02.25

--------------------------------------


ঘুম ভাঙ্গলো। তখন ভোর ৫:২৬। ঊষার আলো চতুর্দিক ছড়িয়ে পরার গতানুগতিক সময়টা যদিও এখনো দেরি। বাস্তবে ভোর হয়েছে আরো ঘণ্টাখানেক আগে। তাহাজ্জুদ যারা পরেন তাদের সকাল হয় সবার আগে। তখনো আমাদের মতো সাধারণ অপদার্থ মানুষগুলো বিছানা থেকে শরীর আলাদা করতে পারি না। 

আরেকটু আরেকটু করতে করতে পুরো জীবনটাই ফুরিয়ে যায়। একসময় বার্ধক্য স্বাগত জানায়। জীবনের ডালপালাগুলো সব নুয়ে পরে। মন চাইলেই তখন হুড়মুড় করে উঠে পড়া যায় না। 


যাক লিখতে চেয়েছিলাম মাত্র দুটি লাইন। কলম লাগামহীন হয়ে পড়েছে। 


প্রথম যে লাইনটা মাথায় এসেছে- ‘আমি যা করলাম…।’ রে আল্লাহ!

05:36 Am

05.02.25

--------------------------------------


প্রিয় বোন আমার, প্রিয় বোন আমার, হে বোন আমার, হে প্রিয় ভাই আমার!  ক্ষমা করে দিয়েন আমায়। 

বাবা রাফান! হে বাবা রাইফ! মাফ কইরা দিও আমার মত গুনাহগার এই বান্দাডারে। 


তোমার মায়ের শীতল ছায়া টাকে বিষাদে পরিণত করলাম। জীবন তল্লাটে দুপুর রোদের ঝাঝালো চাহনিতে যে ‘ছায়াগাছটি’ তোমাদের ছিলো তার ভিত্তিমূল আমি নষ্ট করে দিলাম।


ভাই, আমার! আপনাকে নিক্ষেপ করেছি জাহান্নামের আগুনে। 

জানি এর কোন ক্ষমা নেই। কিন্তু…

08:23 Am

05.02.25

--------------------------------------

‘আমার মা আমার জান্নাত’ বইটি পড়ছি। পাতায় পাতায় চোখের পাতা ভিজে যাচ্ছে, আর অপরাধবোধে ভুগছি। বইরাজ্য থেকে জীবনচিত্র ভেসে উঠছে চোখের পাতায়, চোখের মণিকোঠায়‌।


কী যে করবো আল্লাহ! কী যে করবো! হে আমার রব! রাস্তা একটা বের করে দাও না‌। আমি তো সলজ্জ বদনে তোমার দোয়ারে হে রব! 

08:44 Am

05.02.25

--------------------------------------


এর কোন ক্ষমা আছে? মনে হয়, নাই। পরক্ষণেই আবার এই আয়াত টা মনে হয়ে যায়, ‘নিরাশ‌ হয়ো না আল্লাহর অসীম রহমত থেকে।’ আর ভাবতে থাকি ক্ষমা কি হবে না। বান্দার অসহায় মাখা ( ভগ্নহৃদয় আর  ভাঙ্গাচোড়া মুখটা কি ) মুখটা আল্লাহ কি দেখেন না। সলজ্জ বদনে অ

আশা আমি করতেই পারি আল্লাহ তো আশার আলো‌ দিখিয়েছেন। তাহলে দেখতে স্সমস্যা কি? 

09:24 Am

05.02.25

--------------------------------------


কি জানতে চেয়েছিলো তারা পরে‌ আপনি‌ বল্লেন বলতে পারবে না। 

--------------------------------------


কাড়ি কাড়ি টাকা আর লাক্সরি রিসোর্টে আমি হয়তো ঘুরাতে পারবো না আপনাকে, তবে , তবে এক রাজ্য সুখ আর ভালোবাসা উপহার দিতে পারবো। ঘুরাতে পারবো হৃদয় কাননে। পুষে রাখতে পারবো হৃদয় গহীনে। যেতে পারবো অনন্তকালের সুখের পথে। অন্ধকারে রবের দোয়ারে বসে চাওয়ায় হেল্প করতে পারবো। 

চলো হে প্রিয় অনন্তকালের দিকে…

11:31 pm

22.02.25

--------------------------------------

দুনিয়ার সব চাওয়া পূর্ণতা পায় না। হয়তো প্রকৃতি তাতেই কল্যাণ রেখেছেন। থাক না কিছু চাওয়া অপূর্ণ।


কল্যাণ হলে পূর্ণ করে দিবেন তাতে কোন সন্দেহ নেই–হোক আজ নয়তো কাল‌। আপনার আমার ইচ্ছা, চাওয়া ষ, বাসনা সৎ দীধা নেই তাতে। আর রব সদিচ্ছা পূর্ণ করেন এটাই প্রকৃতির নিয়ম। এ জন্য দীল তন মন দিয়ে চাইতে হবে রবের কাছে‌। 


কখনো ভুলে যাবো না আপনাকে। প্রতিটা মূহুর্ত আগলে রাখবো হৃদয়ের গভীরে দোয়ার কাইফিয়্যাতে। মঞ্জুরি সাইনটা যখন হবে তখনই আপনাকে টেনে আনবো সবসময়ের জন্য। জান্নাতে যাওয়ার আগে ছারবো না। জান্নাতে গিয়ে ….


বাচ্চা দু'টো আমার কলিজার একটা টুকরো মনে হয়। হোক সে যে কেউ। আমার জীবনের ক্ষুদ্র একটা পরিকল্পনা বলি। রাস্তায় পড়ে থাকা অসহায় বাচ্চাগুলো দেখলে চোখের অশ্রু ধারে আর রাখতে পারি না আমি। টপ টপ করে ঝরতে থাকে অশ্রু। মনের অজান্তেই। রাফান রাইফ ব্যাপারে কিছু বলার নেই আমার। 

ওরা বাবার শুন্যতা অনুভব করবে না কখনই। এটা আমার বিশ্বাস‌। আমি এতটুকু বলতে পারি ওরা আমার কলিজার একটা টুকরো। বলতে পারেন আবেগি কথা। হুম, মনে আপনার হতেই পারে। তবে এটাই আমার কথা। ওরা বড় হলেও আমার কাছে বাচ্চাই থাকবে সারাজীবন। ভালো থেকো প্রিয় বাবা রাফান রাইফ।

08:17 Am

23.02.25

--------------------------------------


যেমন একজন আপনি চাই আমি। সেই‌ সব গুণ আছে আপনার মধ্যে। আপনিই আমার স্বপ্নের ‘আপনি‌।’  আল্লাহর কাছ থেকে আমি মঞ্জুরিটা নিয়ে নিবো। এটা আমার কথা। আল্লাহর সাথে রাগ করবো, অভিমান করবো। কল্যাণ থাকলে সব প্রতিকূলতা দূর করে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে দিতে বলবো। 

10:36 Am

23.02.25

--------------------------------------


আপনি কল দিলে খুব ভয় ভয় কাজ করে আমার। ভয়ে সবকিছু অন্ধকার হয়ে আসে। ঝাপসা দেখি চোখে। সেটা যদি হয় আপনারই নাম্বার থেকে আপনারই ফোন থেকে তখন হৃৎপিণ্ড কেঁপে উঠে। বুকের ভেতরটা ধুকপুক করে উঠে। প্লিজ আপনার জন্য দোয়া করবো রবের দোয়ারে, নামাজের পরে, অন্ধকার গভীর রাতে তাহাজ্জুদের জায়নামাজে। 


একটু শান্ত হোন। ফোন দিলেও এমনভাবে দিবেন যেন কারো কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে। এটাই আমার কথা। আপনার ফোন থেকে কখনই ফোন বা মেসেজ কিচ্ছু করবেন না। কিচ্ছূ না। 


ইনশাআল্লাহ, আপনার জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। এর জন্য আমাকে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে, দরকার হবে মোটামুটি বেশ কিছু টাকাপয়সার। আল্লাহর কাছে চাচ্ছি। এটা নিয়ে টেনশন করবেন না। ঠিক সময়ে আমি ঠিকই হাজির হবো আপনার পাশে। এটা আমি রক্ষা করবো। যখন আল্লাহ চাবে। আল্লাহ না চাইলে তো কিছু করা আমাদের পক্ষে কখনই সম্ভব না। আল্লাহ চাইলে দুনিয়ার কোন বাধা আমাদের আটকাতে পারবে না। আর আল্লাহ না চাইলে দুনিয়ার কোন শক্তি আমাদের এক করতে পারবেনা। এটাই আমার কথা। 

10:45 Am

23.02.25

--------------------------------------


কিছু খেতে পারছি না। জোর করেও না‌। পেট পুরা খালি থাকে। কিযে করি কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। কোন‌কিছু ভাবতেও পারছি না। ভাবতে গিয়ে সব গুলিয়ে ফেলছি। কী চাবো আর না চাবো কিছু বলতে পারি না। আমি খুব দূর্বল হয়ে যাচ্ছি। ভেতরে ভেতরে খুব কান্না করছি। আল্লাহর কাছে চাচ্ছি। যদি কল্যাণ থাকে দূরে ঠেলে দিও না। কাছে নিও তোমার হে রব। তুমি চাইলে সকল বাঁধা উপেক্ষা করে আর সমাধান করে দিতে পারে নিমিষেই। পারো না হে রব আমার। পারো তো আমার রব। 


করো না আল্লাহ, একটা কিছু করো। লাঞ্চিত কইরো না‌ কাউকে আল্লাহ। ভুল হলে তো তোমার কাছেই আসবো। তাই না। কার কাছে যাবো। মনটা তো তুমিই দিয়েছ মাওলা। ভেতরে যা হয় তাও তো তোমারই দান। দীনের জন্যই তো চাই হে রব আমার, হে রব আমার, হে রব আমার। 

04:21 pm

23.02.25

--------------------------------------

দেখার পর

________22.02.25________

#০১

‘আমার বেশকিছু অর্নামেন্স হারিয়েছে।…

আপনাদের মতো মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির সুন্দর করে ভালোভাবেই বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়ে যাবে।’

হুম, এটা সত্যি। একেবারে নিরেট সত্য কথা। এত অর্থকড়ি আমাদের নাই। খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকাটাই আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের জীবন। এর বাইরে চিন্তা করাও হয়তো বোকামি।‌ কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ, ছুম্মা আলহামদুলিল্লাহ! যা দিয়েছেন আল্লাহ আমাদের, টকা আর অর্থকড়ি দিয়ে তা মাপা যায় না। আর এটা সম্ভবও না।

আমাদের প্রফেটের কি খুব বেশি অর্থকড়ি ছিলো। কখনো তো এমনও হয়েছে চুলায় আগুন ধরে নাই। খাবার খেতে না পেরে পাথর বাঁধতে হয়েছে পেটে। তার মানে আল্লাহ তাঁর…


সবকিছু অর্থের বিবেচনায় হয়না। মূল থিম অন্যটা। কিন্তু আমাদের সমাজের চোখ ডুবে আছে পাশ্চাত্যের মেলে ধরা সেই সমাজ ব্যবস্থায়। 


আম্মা আর বোন মাঝে মাঝে হতাশ হয়ে পড়েন– না ভালো একটা ঘরবাড়ি আছে আর না আছে অর্থকড়ি। ইত্যাদি…ইত্যাদি 

তখন আমি বলি আম্মা দেখ, আল্লাহ আমাদের যা দিয়েছেন দশ বারোটা থানায় তা তুমি খুঁজে পাবেনা। অর্থের মানদণ্ডে তা মাপা যায় না।

হ্যাঁ, এটা ঠিক দেখ তোমার আমার চোখের সামনেই কত বড় বড় দালান গড়ে তুলছে। আয়েশি জীবন যাপন করছে। তারাই তো তোমাকে এসে বলছে তোমারই প্রসংশা করে তোমারই গুণ গেয়ে– ‘আপনার মতো সুখী মানুষ অত্র এলাকায় দ্বিতীয়টা আর নেই।’


দেখ আম্মা, টাকা পয়সা অর্থকড়ি যতটা না জরুরি তারচেয়ে বেশি জরুরি হচ্ছ- যাই আছে তা হালাল হওয়া। আলহামদুলিল্লাহ আমাদের জানা মতে সিকি পরিমান হারাম আছে বলে আমার জানা নেই। প্রতিটা পয়সা চকচকে ঝকঝকে। 


(আমি জানি এই কথাটা আপনি ইন্টেনশনালি বলেন নাই। কথার কথা বলে ফেলেছেন। বা বের হয়ে গেছে। আপনি হয়তো বুঝতেও পারেন নাই‌। কি বলেফেলেছেন। 


এটা আমি পজেটিভলি নিয়েছি। সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথে এটা আমাকে অনেক হেল্প করবে আশা করি। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম একটা কথা বলার জন্য।


ছোট্ট একটা স্টরি বলি, বছর পাঁচেক আগের কথা। নতুন ঢাকা‌ এসেছি। খেলাধুলা আর নানা অকাজে কেটেছে গ্রামের পুরো সময়টা। পড়ীক্ষার আগের রাত ছাড়া বইয়ে চোখ বোলানো হতো না কখনই। এমনও তো হয়েছে রাস্তায় পাশে কোন মসজিদে বসে থেকে বাড়ি চলে এসেছি। এক কথায় পড়া হয়নি এক ফোঁটাও। 

ঢাকার প্রতিযোগিতা মুলক পড়া। কী অসাধারণ সাফল্য তাদের। পাত্তাই দেয়না কেউ কাউকে। জীবনের নির্মম বাস্তব কিছু অভিজ্ঞতা সেই সময়টাতে হয়েছিলো। একবার তো অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম কোন একটা বইয়ের পরীক্ষার ভয়ে। 


পরীক্ষা দিতে গেছি। জিজ্ঞেস করছে একের পর এক প্রশ্ন। কিছুই পারছিনা আমি। হাঁ করে বসে আছি। আর যাও বলছি তা পুরো ৩৬০ ডিগ্রি বিপরীতে। স্যার রেগে মেগে ফায়ার। কী বলেছিলেন তখন স্যার একটা কথা আমাদের লাইফের মোড়টাই ঘুরিয়ে দিয়েছে। “তোমার মতো ছেলেকে এখানে ভর্তি করেছে কে?” 

এটা শোনার পর আর বেঁচে থাকা আমার জন্য কঠিন ছিলো। সেই মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নিলাম। যে দিন আমি এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে সেদিনই আমি আপনার সাথে কথা বলবো। এই যে বের হলাম আমার কথা বাস্তবায়ন হওয়ার আগ পর্যন্ত তার সাথে কথা বলি নাই।


আপনাকেও ধন্যবাদ আপনার এ মহামূল্যবান মন্তব্যের জন্য। )


(বিলাসী কষ্ট, 

এলাকার সবাইরে লাগাইয়া দিছে (বউ দেখা নিয়ে))

09:09 pm

23.02.25

--------------------------------------


#০২

মনটা খুব অস্থির হয়ে আছে। ফোনে একটু কথা বলার জন্য মনটা আকুলি-বিকুলি করছে। ইশ, কী যেন কথা একটা বলা বাকি আছে। কীভাবে বলবো? সুযোগ যে বন্ধ, মেসেজ তো আমি দিয়েও দিতে পারছি না। আচ্ছা দিয়েই দেই না আরেকজনের একটা নাম্বার দিয়ে। থাক, দিবো না আজ। জমা রাখি। পরে সুযোগ হলে বলবো। তারপরেও মন আবার বলে, দেই না একটা মেসেজ। কত কষ্ট করে যে আটকাতে হয়েছে নিজেকে। 


যদি বলি, অদৃশ্য একটা দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলতে হয়েছিলো। দেই, দেই করে আর দেইনি। কল দেওয়ার বাটনটা রেখে দিলাম আপনার হাতেই। থাক না আপনার হাতেই। আমি তো রিস্কহীন, না আছে কোন বাঁধা আর কোন আশপাশের ঝরঝাপটা। তাই চাইনি আমার কোন একটা আবেগি খোঁচায় আপনি কোন ক্ষতির সম্মুখীন হোন। তাই রেখে দিলাম আপনার হাতেই। 

যখন মনে হবে আপনি এখন বাঁধাহীন বা রিস্কহীন তখন খোঁচা একটা মেরে দিয়েন যদি মন চায়।

ভালো থাকবেন হে প্রিয়!

বাবা দুটিকে যোগ্য থেকে যোগ্য করে গড়ে তুইলেন। যোগ্যতাহীন মানুষের আনা পরিমান দাম এ দুনিয়াতে নেই। পৃথিবীকে দেওয়ার মতো তাদের  কিছু থাকে না। খেয়ে দেয়ে নিজে বেঁচে গেলেই হলো–এই তাদের চিন্তা। 


(একটা কথা বলেছিলেন, 

“রাফান রাগ করে… এই টাইপের একটা কথা আপনি বলেছিলেন। পরে আর শেষ করতে পারেন নি। আমিও আর জিজ্ঞেস করি নি। আসলে বিষয়টা কি? একটু খুলে বলবেন?)”

11:23 pm

23.02.25

--------------------------------------


#০৩

নামাজটা শেষ করলাম মাত্র। একটা চিন্তা মাথায় এলো। আচ্ছা যদি এমন হয়। সুযোগটা সময় মতো আসে নাই। যদিও এসেছে জীবনের শেষ লগ্নে, পড়ন্ত বিকেলে। জীবনের পাতাটা ঝড়ে পড়বে হয়তো অল্প কিছুদিনের মধ্যেই। জীবন প্রদীপটা নিভু নিভু আলো এখনো যদিও দিচ্ছে, বাট সেই উজ্জ্বলতা আর ঝলক নেই এখন আর। 


তখন কী করবো? আখেরাতে পাওয়ার জন্য শুধু সাফ কাওলা বা কবলা করে নিবো? জমির মালিক হতে হলে তো দলিল লাগবে। তাইনা। দলিল ছাড়া তো মালিকানা হয়না। (দলিল ছাড়া তো আর মালিক হওয়া যায় না। ) বায়না করে নিজের করে রাখতে হবে। 


আমি আসবো, আসবো আমি ইনশাআল্লাহ। সময় হলেই আসবো, হোক আজ না‌ হয় কাল। বায়নাটা করে রাখবো। রাফান রাইফ না চাইলেও চুপি চুপি বায়না করে রাখবো। না হয় মালিকানা হস্তান্তর হবে না। আল্লাহর কাছে তো বলা যাবে না– কই আমার সেই ‘আপনি’টা? আমার ‘আপনিটাকে’ দাও। দুনিয়াতে তো দেও নাই। এখনো কি দিবানা? বায়না কিন্তু করে আসছি দুনিয়াতে। আর তুমি তো জানোই দলিল আমার আছে।


ঝামেলা যা হইছে অনেক হইছে। এখন আর ঝামেলা পাকাইয়ো না। বুচ্ছ, খেলেছো অনেক। খেলাঠেলা আর চলবেনা। উহু ,চলবে না চ…ল…বে…না। যাই করো সোজাসুজি কইরা ফেলাও। 

-যা যা পাগল বান্দা আমার। 

কীযে আনন্দ লাগবে তখন। আল্লাহ যখন বলবে পাগল বান্দা আমার। হে রব আমার আমরা তো তোমার পাগল বান্দা। কিচ্ছু যে নাই আমাদের। তুমিই তো বলেছো, “তোদের কোন অভিভাবক নাই, নাই সাহায্যকারীও আল্লাহ ছাড়া।”  সুরা আনকাবুত, আয়াত ২২। 

তুমিই তো আমাদের অভিভাবক, তুমিই তো আমাদের বন্ধু, অভিভাবকের দায়িত্ব আদায় করবা কিন্তু রব আমার।  ঠিক আছে?

তুমি যে কত ভালো আল্লাহ। হে রব আমার তুমি এতো ভালো কেন। তুমি এত মায়া করো কেন আমাদের হে রব আমার। প্রিয় রব আমার। আয় আল্লাহ! তুমি আমার আল্লাহ। তুমি আমার রব, আমার রব, আমার 


এখন দাও। আল্লাহ হেসে বলবে, আরে বোকা তোর এটাই লাগবে। আচ্ছা যা, দলিল যেহেতো তোর আছে যা নিয়ে যা তোর আপনিটাকে। 


আপনি জান্নাতে গেলেও আপনি আমার ‘আপনিই’ থাকবেন। দুনিয়াতে হলেও আমার ‘আপনিই’ থাকবেন। আপনির গণ্ডি থেকে বের হবেন না কখনই। 

আপনি শব্দটা আমার বেশ প্রিয় একটা শব্দ। সম্মানেরও মনে হয়।  আপনি থেকে তুই তুমি তে আসাটা বড় কঠিন। গুণী মানি সম্মানিত কেউ হলে তো আরো কঠিন। আর যে ‘আপনি’ সেই আপনিটার তো একটা সম্মান আমার কাছে আছে। দুনিয়ার আর কারো কাছে থাকুক বা না থাকুক। 

আপনি ‘আমার আপনি।’ আজ না হয় কাল এখানে না হয় সেখানে। 

হুম আপনি ‘আমারই আপনি।’ তবে আমি আপনার আপনি কিনা‌ কে জানে। হয়তো এর বিপরীত হবে না‌। 


আরেকটু সুন্দরী বানিয়ে দিলাম। তোরে আরেকটু … যা, এখন খুশি, 

মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকবো। 

উহু, টাইপের মাথা নাড়বো, আর বলবো, না। 

-আরে আবার কি হলো? হয় নাই, তোমার দিদার ছাড়া কেমনে শান্তিতে থাকি। কেমনে হই খুশি আমি, আমরা। 

তোমার দিদার দাও হে রব! 


12:07 Am

24.02.25

--------------------------------------


#০৪

রাতেও কিছু খেতে মন চাচ্ছিল না। ( রাতেও কিছু খেতে ইচ্ছে করছিলো না)ক্ষুধা ছিলো পেটে ঠিকই। কিন্তু গলা দিয়ে নামাতে পারছিলাম না কিছু। (গলা দিয়ে কিছু নামাতে পারছিলাম না)

তখন আপনার সাথে দেওয়া সেই কথাটা রাখার জন্য জোর করেই খেয়েছি। (খেয়েছি কিছু। তাও আবার জোর করে, দুইবারে)খুব কষ্ট হয়েছে খেতে। তারপরেও খেয়েছি। দুইবারে খেয়েছি। 

আমি তো মানার চেষ্টা করছি আপনি কি করছেন?

কইরেন প্লিজ, শরীরটাকে ফিট রাইখেন। যেন হাতটা ধরতে পারেন আমার। না পারলেও প্রবলেম নাই আমি আপনার হাত ধরবো। কোলে তুলে নিবো।

আর কপাল বরাবর একটা … খাবো। 


তখন হয়তো আপনার শরীরের কিছুই থাকবে না। শুধু মনটা ছাড়া। সবকিছুই ভেসে যাবে কালের স্রোতে। অজানা গন্তব্যে, না ফেরার দেশে। শুধু কুণ্ডলী পাকানো ছোট্ট একটা মানুষ (দেহ) হয়তো পরে থাকবেন আপনি। তখনো আপনার কপালটা ছুঁয়ে দেখতে চাই‌। ঝড়ে যাওয়া চুলের গোড়ায় সিঁথি কেটে দিতে চাই। মাথায় আলতো করে হাত বোলাতে চাই। সান্ত্বনার হাত।  আপনার নাকটা ছুঁইতে চাই। সামনে বসে ক্ষণিকের গল্প করতে চাই। আমার লেখা ভান্ডার থেকে কিছু লেখা আপনাকে শোনাতে চাই। শুনবেন না? 

হুম, শুনবেন আপনি, এটা আমি জানি! 


গল্প আপনার অনেক প্রিয়। আপনার প্রিয় মানুষটির কাছ থেকে কোন প্রিয় গল্পটি শুনতে চান। জানতে পারি কি একটু? বলেন না একটু শুনি। 

আমার যতটুকু মনে পড়ে তিমি মাছ আপনার ভীষণ রকমের প্রিয়। 

তিমি মাছের গল্পটাই আমরা করবো। আমার মনে হয় এটা আপনার প্রিয় গল্পের একটি। তিমি হয়ে ঘুরবো আর গল্প করবো তাইনা। কী যে মজা হবে তখন। রাফান রাইফ আর যারা থাকবে সবাই মিলে তিমি হয়ে দুধের নহরে ডুব দিয়ে তিমির গল্পইটাই করবো। 


জান্নাতি পাখি উড়ব…

 

12:07 Am

24.02.25

--------------------------------------


#০৫

সন্তানকে তারবিয়া কীভাবে করবো আমি প্ল্যান করে রেখেছি। 

বকাঝকা আর মারধর করে সন্তানকে সন্তানের কাঙ্খিত বস্তুটা অর্জন করানো যায় না। আর এটা সুন্নাহ সম্মত কোন পদ্ধতি ও না। কী করা যায় আসলে, কথা অনেকসময় কাজ করে কম। প্রযুক্তির এ যুগে মেসেজো কাজ যে খুব একটা করবে মনে হয়না। 

আচ্ছা তাহলে কী করা যায়। দরদ আর চোখের অশ্রুমিশিয়ে ছোট্ট একটা চিরকুট লিখুন। সন্তানের অবসর সময়ে ঠণ্ডা যখন তার মেজাজ। সুন্দর করে রেখে দেন তার পড়ার টেবিলে। খামের উপরে লিখে রাখবেন আম্মার পক্ষ থেকে আমার প্রিয় কলিজার প্রতি। বাকি যা লেখার অশ্রুর ফোঁটায় ফোঁটায় লিখে যান। 

06:53 pm

24.02.25

--------------------------------------


#০৬

খুব করে ইচ্ছে করছে অন্তত একটা কথা তো বলি। কিন্তু আমার হাত পা যে বাঁধা। তাই অপেক্ষায় রইলাম। আপনার ফোনের অপেক্ষায়। যা বলতে চাচ্ছি সব লিখে রাখি। সেদিনই বলবো। আপনার ফোনের অপেক্ষায় হে প্রিয় ‘আপনি’ আমার’

এত নিষ্ঠুর আপনি। এত পাষাণ কীভাবে হলেন আপনি। আমি হয়তো বলেছি ফোন না দিতে। কিন্তু একটা কথাও কি বলা যাবেনা।


আমার তো ফোন দেওয়ার দরজা বন্ধ। জানিনা কখন কোন সিচিউশনে আছেন আপনি। আপনার কোন বিপদ শুরু হয়ে যায় কিনা। তাই, চাই না আপনার উপর কোন ঝড়ঝাপ্টা আসুক। সময় হলে ‘আমার আপনি’ হয়েই আপানি আসবেন। আসবেন না? 

-কখনো বলে আসবো আবার কখনো বলে আসবো না। 

-আচ্ছা যান আপনি না চাইলে আমি কি আর আনতে পারবো। তবে আমি আসবো। নিতেই আসবো। এতটুকু আমার চাওয়া– ‘আপানিটা’ আমার হোন। আর ( আমার ‘আপনিটার’ কপালে আলতো করে একটু হাত বুলিয়ে দিতে পারি।) এর চেয়ে বেশি কিছু চাওয়া আমার নেই। 

 ঠিক আছে ভালো থাকেন। আপনার অপেক্ষায় আছি। 

পরে যখন কল দিবেন এত কথা শোনার সময় কি আপনার হবে? আমি কোন কথাই বলবো না। শুধু পড়ে শোনাবো। শুনবেন না? 

-হুম, বলুন শুনবো (আপনার ‘বলুন’ টা কি যে মায়া লাগে আমার।)

- ভালো, গুড…স্টুডেন্ট।

হায়রে রব তুই এমন করতেছোছ কেন। 

কিছু একটা কর না। 

আমি কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। 

9:40 pm

24.02.25

--------------------------------------


#০৭

খুব বেশিকিছু আমি চাইনা আপনার কাছে। এখানে না হয় সেখানে এমনি করে যেন আপনাকে পাই– “কোমল হাতে আপনার ললাটে জমে থাকা জীবনের মৃদু ঘামটুকু মুছে দিতে পারি। গায়ে, মুখে মাথায় পরম ভালোবাসায় পরশ বুলিয়ে দিতে পারি। যেন হাতের স্পর্শে গত হওয়া জীবনের সকল ব্যথা আর সমস্ত যন্ত্রণার উপশম হয়। এবং আপনার হৃদয়ে বেদনার সামান্য চিহ্নও না থাকে। থাকবে শুধু আনন্দ। অনাবিল হাসি। তৃপ্তি ভরা শান্তিস্নিগ্ধ সুন্দর জীবন। প্রেম প্রীতি আর ভালোবাসার একচ্ছত্র আধিপত্য। এবং থাকবে দীন ও রবের পূর্ণ আনুগত্য। 

আর

হৃদয় ভরে আপনাকে দেখতে পারি‌। সহাস্যবদনে আপনার ভালোবাসার কোমল দুটি হাত বুলিয়ে দিতে পারেন আমার মাথায়, চোখে মুখে। আপনার মুখের একটুকরো হাসি আমি দেখতে চাই আপনারই পাশে বসে, আপনারই কোলে মাথা রেখে। আখেরে পারি জমাতে পারি অনন্তকালের সুখের দিকে। 

চাইনা তো এর চেয়ে বেশিকিছু। এতটুকুই আমার চাওয়া। 

কারো হাত ধরে যেতে পারে অনন্তকালের সুখের পথে। হতে চাই সেই হাতটা আমি। 


11:25 pm

24.02.25

--------------------------------------


#০৮

স্কুলের কোন ইভেন্টে‌‌র বা কোন আয়োজনের ছবি যখন এভ্যারোজ পেইজের ওয়ালে দেখি। মনোযোগ দিয়ে দেখি আর খুঁজি। কী খুঁজি আসলে। কীই বা খোঁজার আছে সেখানে। অচেনা সবমুখ। তারপরেও যেন চেনা। কেন এমন অচেনা সব মুখগুলো চেনা চেনা লাগে।


মনে হয় কেউ একজন আছে। হুম একজন। আমার জীবনের প্রথম হোম স্টুডেন্ট। হুম, রাফান। হয়তো আছে হয়তো নেই। তারপরেও খুঁটে খুঁটে সব ছবিগুলোই দেখি। আছে হয়তো শেষ ছবিটার কোন একটা কোনে।


কেন এমন লাগে? আপনি কি‌ কিছু বলতে পারবেন? আমার কিচ্ছু জানা নাই রে। তুই যে আমার আপনি। 

10:57 am

25.02.25

--------------------------------------


#০৯

এখন আপনি ‘আমার আপনি’ না। অন্যের তুই বা তুমি। চান না আমার আপনি হতে? আমার অল্ডেস্ট স্টুডেন্ট হতে? আমি তো চাই আপনার আপনি হতে, আমি আপনার স্যার হতে। 


সময় যখন হবে, রবের মঞ্জুরিটা সাইনটা যখন হবে। 

12:44 am

26.02.25

--------------------------------------


#১০

আটকা পড়েছি অদেখা এক জালে। চামড়ার দুটি চোখে যে জাল দেখা যায় না। শুধু অনুভব করা যায়। হুম শুধু অনুভব করা যায়।


আরে না আমি যে আমার আমিটাতেই আটকে গেছি‌। তাহলি কি সেই আমিটাই কল্পিত সেই কারাগাড় ব কাঠগড়া। ঠিক এরকম না। তাহলে কি। আরে না তেমন কিছু না। আমার আমিটাতেই আটকে গেছি।‌ 


হুম, এটাই। এই ধরেন। আমার আমি টা যা চায় সে যে তাই। তো আটকালাম কি তাতে নাকি আমাতে। কেমন যেন সেই সেটা তো আমিই। যাক আর বুঝিয়ে বলতে পারবো না। 


তার ‘সে টা’ যা চায় সে তো তাই। নাকি। তাইতো বলা যায় সেও তার সেটাতেই আটকে গেছে। 

কিছু শব্দ আর মনভোলানো কিছু মায়ায় আটকায়নি কেহই। তবে এটা বাদ দেওয়া যাবে না যে, এর সিঁড়ি বেয়েই আজ এত দূর। 


দীন আর স্বপ্নের সেই আমিটাতেই যে আমি খেলা করছি দিন রাত। আপনিও স্বপ্নের সেই আপনিটাতেই খেলা করছেন সকাল বিকাল।‌ 


আমি আমার সত্তার বাইরে নই। হৃদয়ে ঐ ছোট্ট একটা কোনে অদেখা সেই আপনিটাই যে আমি। 

আপনি আপনার সত্তার বাইরে নাই। ভেতরেই কোন একটা কোণে অদেখা সেই আমি টাই যে আপনি। 

মানে বলতে চাচ্ছি, কেমন যেন অপনিটাই সেই আমিটা আমিটাই সেই আপনিটা।


তবে যার সিঁড়ি মনের অজান্তেই কার ইশারায় যে ব্যবহার করে ফেলেছি। এই যে, দীন, বলুন, একেবারে বিপদে না পড়লে মিথ্যা বলি না, জুবায়ের, আরো কত্ত কিছু। 

তবে দীন যে সেই মেইন সিঁড়ি। যা আমি আপনি দুইটাকেই এক করেছে। বেঁধে ফেলেছে এক সুতোয়।


তুই যে আমার, তুই যে আমার সেই ‘আপনি’। বলুন। 


(তাহাজ্জুদের পর জায়নামাজে বসে)

5:25 am

26.02.25

--------------------------------------


#১১

আচ্ছা যদি এমন হয়। রাফান রাইফ বড় হয়েছে। চাকরি ব্যবসা বাণিজ্য ইত্যাদি করে। তাদের নিজেদেরও সংসার হয়েছে। আপনি একা তাদের দুজনের সংসারে ভালোই যাচ্ছে আপনার দিন। খাওয়া দাওয়া ইবাদাত আর আল্লাহ বিল্লাহ করা। আর পনেরো বছর পরে রাফানের বয়স হবে মোটামুটি তেইশ বছর। আপনার হবে পঞ্চান্ন। রাইফের আঠারো। 


তখন কি আর নিজেকে নিয়ে ভাবার এত ফুরসত থাকবে আপনার। থাক পরে আছি থাকি না কয়টা দিন আর বাঁচবো। সন্তানের ইনকাম ষ। তার বিবাহের চিন্তা। লাইফের পড়ালেখার চিন্তা সব মিলিয়ে হারিয়ে সব। 


তখন আমার একটা পরিকল্পনা কি জানেন। আপনার মনটা হয়তো চাবে হয়তো চাবে না। আমার চাওয়া থাকবে আপনি আমার হয়ে থাকেন। আপনার কাছে আমি না আসলাম যদি কোন পারিপার্শ্বিক সমস্যা থাকে যেমন: আপনার সন্তান, পুত্রবধূ। বা আরো কোন সমস্যা। প্রয়োজনে যোগাযোগও না থাকলো বাট আপনি আমার হয়ে থাকেন।


কেউ জানালো না যাস্ট আমি আপনি আল্লাহ, আর অন্য দুজন এই। 


ভোগ করার জন্য তো আপনাকে নিতে চাই না। তাহলে কেন জীবনের শেষ লগ্নে হাতটা ধরতে এত কাঁপবে আমার হৃদয়। ভোগ আর সাময়িক আনন্দ প্রশান্তির জন্য হলে তো আপনাকে কবেই কু প্রস্তাব করে বসতাম। ব্ল্যাকমেইল করতাম। আপনাকে ব্যাবহার করে ছুঁড়ে ফেলতাম কোন এক নর্দমায়। খুঁজেই পেতেন না। আমাকে। 

পেতেন বলেন। 


কথাগুলো একটু কঠিন ভাবে বলে ফেলার জন্য আমি দুঃখিত। ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। 


তবুও চাই আপনি আমার আপনি হয়ে থাকেন। 


জানেন, আজকে কি একটা মজার ব্যপার ঘটেছে।

হঠাৎ আবার মনে হলো। এই লোকটা আমারে পাবে। সত্যি সত্যি তাই মনে হয়েছে। এটা যখন মনে হয় খুব শান্তি লাগে মনে। 


তুই আমার আপনি টা যখন বুড়ি হবি না। তখন চুপি চুপি কানে কানে বলবো আর আপনি শুধু বলবেন কবুল। পরে আর কিছু না। 


12:18 am

26.02.25

—----------------------------

#১২

স্পোর্টস ডে। সবাই যার যার মতো করে কাজ করছে। করছি আমিও। এখন আমার ডিউটি। দাঁড়িয়ে আছি একা। তখন শুরু হলো আমার ভাবা রোগ। বুকের উপর হাত দুটো বেঁধে এক দিকে তাকিয়ে ভাবছি তো ভাবছিই। 


হঠাৎ কালো একটা বোরকা নজরে পড়লো। চেহারা দেখি নাই তখনো। চেহারা দেখা না দেখা খুব গুরুত্ব আমার কাছে নাই। হুট করে তাকালম পায়ের দিকে।


পায়ের দিকে তাকানো একটা রোগ আছে আমার। মানুষের দৃষ্টি যায় মুখে, না হয় বুকে। আমার পুরো উল্টো, সোজা যায় পায়ে।  কেন এমন হয় এটা আমি জানিনা। 


সে বছর পনেরো আগের কথা। তখনো আসলে খুব বেশি একটা বুঝি তেমন না। একেবারে বুঝি না তাও না। পাশের বাড়ির এক আত্মীয়। খেলাধুলার সুবাধে পরিচয় তার সাথে। মানুষ ভালো কিনা‌ জানি না। তবে খেলে ভালো। খেলায় পটু। 


একদিন দুপু্র বেলা। গোসল করছে পুকুরে। ঘাটে বসে মলে ঢলে গোসল করে ঘণ্টা খানেক লাগিয়ে। পাশে কেউ থাকলে গল্প করে জমিয়ে। কোন এক কথার লেজ ধরে বলছে আচ্ছা,  মেয়েদের কোন দিকে ছেলেদের প্রথম দৃষ্টি পড়ে? জানো কেউ? এই প্রথম শুনলাম এ ধরনের কোন প্রশ্ন। তবে প্রশ্নটা‌ শুনে বুঝতে পারলাম অভজার্ব তিনি আগেই করেছেন।


জানাশোনা যেহেতু আমার নেই। মানুষটাও বয়সে একেবারে কচি টাইপের। সহাস্য বদনে বলেদিলাম, ‘পায়ের দিকে।’ একটু মুচকি হাসলো লোকটা‌। যে হাসিতে একটু কেমন কেমন যেন আছে। মানে উত্তরটা আমার হয় নাই। এরকম হাসি তো হাসারই কথা তাইনা। পায়ে আসলে দেখার কি আছে? নাইতো কিছু দেখার। আসলে মানুষ যেমন চিন্তা করে, বিশ্বাস করে তাই বলে।

আমি তাই চিন্তা করতাম। এমনটা দেখার ট্রাই করি এখনো। 

স্বভাবিক ভাবেই এরকম কাঁচা উত্তর তার পছন্দ না হোয়ারই কথা। হলোও তাই। 

বল্লেন আরে না। এরকম কিছু না। যুক্তিটা ও ছিলো তার বেশ। না মেনে উপায় ছিলো তখন। আর বুঝতামনা তখন এত কিছু। 

‘আরে তাকায় বুকের দিকে।’


নজরটা আটকে গেলো পায়ের দুটো স্নিকারের দিকে। পিংক কালারের একটা একটা রেখা টানা। যেমনটা আপনার জুতায় আমি দেখেছিলাম। 

পায়ের জুতা আর বোরকা টা দেখলেই কেমন যেন একটা মোচড় দিয়ে উঠে‌ ভেতরটা। চোখে ভেসে উঠে সেই কালো বোরকা আর ডোরা কাটা স্নিকারের ছবি দুটো।

 

তবে মুখটা কেমন যেন ঘোলাটে ঘোলাটে ভাসে। লজ্জায় তাকাতে পারি নাই তখন। তবে একটা জিনিস আমার চোখে এখনো ভাসছে। মনে হয় এখনই দেখছি। যখন আমাদের দুজনের দু'দিকে চলে যাওয়ার সময় হলো। আপনি বলছেন আপনি যান। আমি বলছি আপনি যান। পরে মাথা নিচু করে হাঁটা টা আমিই দিলাম। 

অল্প একটু দূরে গিয়ে আবার পেছনে একটু তাকালাম। একটু দেখি, তখনো আপনি দাড়িয়ে আছেন কিনা। হয়তো দাঁড়িয়ে দেখছিলেন। আমি যেই তাকালাম  ততক্ষণে আপনি দুইটা হাঁটা মাত্র দিয়েছেন। আপনার হাঁটার ধরণটা ভাসছে এখনো। তবে হাঁটার এক কদমেই দেখেছিলাম। এটাই ভাসছে চোখে এখনো। 

তাই এখনো ঐ মিসের কালো বোরকা আর স্নিকারস দুটো দেখলে 



যে উত্তরটা তিনি বলেছিলেন। 

01:29 pm

26.02.25

—----------------------------


#১৩

আপনি ‘আমার আপনি’ হবেন।


ইদিনিং কি জানি হয়েছে আমার জানি না। ঘুমটা খুব হালকা হয়ে গেছে। একেবারেই হালকা। মনে হয় তাকিয়ে আছি। অথচ আমি ঘুমে। 

আর পেটে প্রচন্ড ক্ষুধা, কিন্তু দুই লুকমা খেলেই আর খেতে ইচ্ছা করে না। এই যে গতকাল রাতে। কি খাবো? কি খাবো? ভাবছিলাম। ডিম পোলাও খেতে মন চাচ্ছে। একজনকে সাথে নিয়ে ডিম পোলাও নিয়ে বসলাম। তিন লুকমা খেতেই আর যাচ্ছে না। সাথে যে আছে সে বলছে আপনি এই ওষুধ টা খান। ইদানিং আপনার খাবার খাবার রুচছেনা। 


আর গত দু'দিন স্পোর্টস গেলো। খেলেছি ইচ্ছা মতো। সকালে নাস্তা খেয়ে গেলাম। কিন্তু দুপুর খাবো খেতে পারছি না। যাচ্ছে না। পরে গোশতের একটুকরো পিস খেলাম তাও এক প্রকার জোর করে। 


খেলে পুরো শরীরে হাতুড়ি পেটা ব্যাথা আসছে। নড়তেই পারছি না। 


এই অবস্থা। এমন কেন হচ্ছে?


09:28 am

28.02.25

—----------------------------


#১৪

ভালো আছেন তো আপনি? আছেন না ভালো? জানিনা কেমন আছেন, সত্যি কেমন আছেন আপনি? কেমন আছে আপনার রাফান রাইফ?


ভালো হয়তো আপনি নাই। শুন্য শুন্য লাগে তাই না। কি যেন একটা শুন্যতা অনুভব হয়। আর ভাবছেন আচ্ছা ফোন কি একটা দিবো আমি? না যে করেছে লোকটা। কেমনে দেই। দিতে মন আপনার চেয়েছে। আমি দেখতে পেয়েছি। হুম সত্যি দেখতে পেয়ছি। 

যেরকম অদৃশ্য দড়ি দিয়ে বেঁধেছি নিজেকে, আপনিও তাই করেছেন। মনে হচ্ছে। 


আমার কি মনে চায় না? আমি কি খুব ভালো আছি? জোর করে ভালো থাকার চেষ্টা করছি। জোর করে সবকিছু কি আর হয়।


কবে আবার কথা হবে জানি না। তবে আপনার অপেক্ষায় রইলাম। 


এই এই শুনেন। একটু দাঁড়ান, একটু দাঁড়ান। ফোন দিলে আমার সব কথা কিন্তু শুনতে হবে। ঠিক আছে? মনে থাকে যেন? 


09:38 am

28.02.25

—----------------------------


#১৫

আপনাকে‌ দেওয়া সেই কথা কি রাখতে পারবো? পারবো হয়তো। আবার কখনো ভাবি … না, না, পারবো। বাকি আল্লাহ তো চাইতে হবে। রব চাইলে কার সাধ্য আছে আটকাবার। 


রব কেন চাইবে? আমি আমরা চাই বলে? তাই তো হওয়ার কথা। বান্দার চাওয়ার একটা মূল্য কি তাঁর কাছে নাই। আছে তো‌। তো দিলে সমস্যা কি। কারো অকল্যাণ না করে। সবার ভালো করে। 


যখন ভাবি কোন এক সময় হবেন হয়তো আমার। তখন নিজেকে গুটিয়ে রাখি আপনার জন্য। ওর যে একটা অধিকার আছে আমার কাছে। আছে আসলে?? আপনি আসার আগে আরেকটা মানুষের অধিকার আছে। পরে দুটি প্রাণের অধিকার। এই গেলো অধিকারের বিবেচনায়। 

দ্বীতিয়ত রবের নিজের ও রবের অধিকর। বড়


04:02 pm

28.02.25

—----------------------------


#১৬

পেয়েছিলাম তোরে, মনের মতন করে। 

কী করে ভুলি যে তোরে।

থাকবি তুই থাকবি তুই আমার পুরোটা হৃদয় জোরে।


রাখবো তোরে আমার পুরো হৃদয় জোরে।ঔঔঔ শোন ঔঔঔ নঞঞ


রাখবো ভেবেছিলাম হৃদয় গহীনে।

হাসি কান্না, 


04:02 pm

28.02.25

—----------------------------


#১৭

কথা আমি বলছি প্রতিদিনই। 

কথা হচ্ছে প্রতিদিনই। কোন না কোন ভাবে। কোন এক মাধ্যমে। আমি বলছি। হোক ভেতরে একটা কোনে আপনার জন্য বরাদ্দ যে জায়গাটা সেখানে। আপনি সেখানে আছেন। 


সেই কোনে থাকা আপনিটার সাথে। নীরবে নিভৃতে মনে মনে, কখনো নিজের কানে শুনে শুনে।


01:32 pm

01.03.25

—----------------------------


#১৮

প্রথম রমজান। খুব করে মনে পরছে গত হয়ে যাওয়া সেই স্মৃতিগুলো। মাঝে মাঝে কেমন কেমন শুন্যতা অনুভব হচ্ছে। মোচড় দিয়ে ওঠছে অত্মটা মাঝে মাঝে। ছোট্ট সোনামনিটার সামনের একটু সময়ের জন্য বসতে পারতাম! সেই তোমার প্রিয় টিচার হিসেবে। রাইফকে কোলে নিতে পারতাম! 


আচ্ছা একটা কথা বলি। আমার হৃদয়ের পুরো অংশটা আপনারা কেন নিলন? হৃদয়ের পুরো অংশটা আমার কেন নিলেন আপনারা। আপনার সাথে কথা বলার আগেও (আমাদের এ অবস্থা শুরু হওয়ার আগে ) কেমন কেমন লাগতো আমার। শব্দের গলায় ঝুলাইতে পারবো না এখন সেই মুহূর্তের স্মৃতিগুলো (শব্দের মালায় গাঁথতে পারবো না। )।


তবে এতটুকু মনে আছে কেমন যেন অন্যরকম অনুভব হতো। আপনার একটা মেসেজ আসলেই হঠাৎ ভেতরটা কেমন যেন নাড়া দিয়ে উঠতো আমার। তখনো সাধারণ টিচারই আমি। কেন হতো অমন আমার। হতো কি আপনারও। জানিনা আমি। মন তো বলে হতো। কারণ মেসেজটা একাটা আমি দিলে সাথে সাথেই রিসপন্স করতেন আপনি।


আরো আগ্রহী হতাম রাফানকে পড়াতে। কীভাবে তাকে পড়বো প্ল্যান আমাকে আগেই করতে হতো। বলা যায় করতাম ষ। কোন স্টরিটা বলবো। সেই স্টরিটা থেকে সে কোন‌মেসেজটা ফাইন্ড আউট করবে‌। ভালো লাগতো আমার। কেন ভালো লাগতো আমার?



02:50 am

02.03.25

—----------------------------

#১৯

হঠাৎ করে কান্না আসছে কেন?


পুরনো কিছু স্মৃতি জীবনাটে পুরো জাপটে ধরে রাখে। আপনাদের বাসায় আসা যাওয়ার সেই স্মৃতিগুলো খুব করে মনে পড়ছে। রাফসানের সাথে গল্প করা। নতুন কিছু পেলে আমাকে দেখানোর জন্য উদগ্রীব হয়েব থাক। গল্পের ছলে তাকে কিছু না কিছু শেখানোর চেষ্টা করা। ইশ, আল্লাহ। 


বাবা রাফান রাইফ তোমরা অনেক বড় হইবা। হইবানা। হইবো না কেন স্যার। হইবো স্যার। আপনি একটু দোয়া কইরেন। ইনশাআল্লাহ আমরা পুরো পৃথিবীর সম্পদ হইবো স্যার। 


বাবা তোমাদের জন্য তো সবসময় দোয়া করি। একটু এদিকে আসো তো বাবা আমার, তোমাদের দুজনের কপালে একটি চুমু দিয়ে দেই। 

আল্লাহ ওদেরকে তুমি দীনের জন্য কবুল কইরো। আর মা বাবার চোখের শীতলতা বানাইয়ো।


(প্রথম রমযান)

05:57 am

02.03.25

—----------------------------

#২০

-একটা কথা বলি? 

-বলুন। 

-ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া ছবিটা। দোয়ার কাইফিয়্যাত, আর পেছনে কালো একটা দেয়াল। এটা দেখলে কেন অমন লাগে আমার? কেমন যেন লাগে। ভেতরটা একটু নাড়া দিয়ে উঠে। রমযানে আপনি একবারের জন্যও ফেসবুকে ঢুকেন নাই। এর আগের থেকেই হয়তো ঢুকেন না। তাই আমার কাছে মনে হলো। 


-কেমন লাগে আপনার??

-জানিনা, বলে বোঝানোর মতো উপযুক্ত শব্দ আমার কাছে নাই। আপনি দেখলে আঁচ করতে পারতেন। 


05:13 am

03.03.25

—----------------------------

#২১

অনেকদিন পর আজকে একটু ভালো ঘুম হয়েছে। শেষ কবে ভালো ঘুম হয়েছিলো আমার ঠিক মনে নেই। কেন হলো জানিনা আপনার ব্যপারে জানতে ইচ্ছে করছিলো। 


05:29 am

03.03.25

—----------------------------

#২২

কিরে তোর কী একটুও মনে হয় না। সরি, আপনি থেকে তুই বলে ফেললাম। এসএমএসটা নজরে পড়ে নাই? পড়ছে তো। তাহলে কেন? কেন অমন করছেন? 


ভালো থাকেন এই দোয়াই করি সবসময়। হঠাৎ কিছুই ভালো লাগছেনা আজ। এসএমএসটা দেওয়ার পর থেকে আরো বেশি খারাপ লাগছে। 


তুই যে ‘আমার আপনি।’ কোন একদিন যেন পাই তোরে। এখানে না হয় সেখানে। সরি বার বার তুই বলে ফেলছি। 


আর কোনদিন কি কথা বলবেন না আপনি? একবারও না? কতটা পাশান আপনি। কীভাবে এতটা পাশান হলেন আপনি। 


আপনার মাঝে তো আসলে যৌবনের নেই কিছু। তারপরেও কেন চাই আমি?

দুটি কারণ

১- দ্বীন।

২- আপনি আমাকে সম্পুর্ন বুঝতে পেরেছেন। আর আমি ঠিক যে মানুষ টা চাই ঠিক সেই মানুষটি আপনি। 


কোন একদিন ফোনের অপেক্ষায় রইলাম। 


08:57 pm

03.03.25

—----------------------------


#২৩

আপনি‌ যে আমার হৃদয়ের একটা অংশ হয়ে গেছেন। সব কিছুতেই আপনাকে খুঁজে পাই। যাকেই দেখি মনে হয় এতো সেই আপনি।

কি এক অদৃশ্য মায়া যে টানে বার বার আমায়। তারপরেও বেঁধে রাখি নিজেকে, আর বলি থাক‌ না অপেক্ষায়। জানিসনা, অপেক্ষার ফলটা সবসময় মিষ্টি হয়। 

হবে তো একদিন আজ নয় কাল, এখানে নয় সেখানে। হবে তো। এত চিন্তা কিসের। কান আল্লাহর কাছে। চা হৃদয় দিয়ে মন দিয়ে। 


যে দিবে, তাকে রাজি করা। তাইলে তো হলো। এত ইতর বিতর করতাছো কেন! চাও আল্লাহর কাছে চাও। বুঝেছো মনু। আমি ছারছিনা কিন্তু কখনোই। এই জন্যই তো এবারে ২ পড়েছে। আগের এক সব মিলিয়ে তিন। রংবেরং কাছে আপনি এখন একা। 


রবের সাইনটা হলেই তো হলো। সাইনটা নিয়ে হতে হবে। 


10:23 pm

04.03.25

—----------------------------


#২৪

হঠাৎ ঘুম ভাঙল, ফোন হাতে সময়টা দেখলাম। সাহরীর তখনো ৪৯ মিনিট বাকি। 

অর্ধেক শুয়ে আছি এখনো। ঘুমের কোয়াশা লেগে আছে চোখে। হৃদয়ের কোনে দোয়ার যে দোলা প্রথম বয়ে গেলো। নিজের অজান্তেই ভেতর থেকে বলে যাচ্ছে, “আমার দাদাকে আল্লাহ,....। রাফান রাইফকে.…। আপনিকে…যাই করো অন্তত জান্নাত দিও। ওপারে সুখে রাইখো। আমার আম্মাকে…। দুনিয়ার সবাইকে…। বিশেষ করে যারা কষ্টে আছে…। মনে মনে একটা দুয়া হয়তো করেছিলাম। 

রাব্বানা হাবলানা মিন আজ ওয়া জিনা ওয়া জুররিয়্যাতিনা কুররাতা আউন।”


ভাবছিলাম সাহরী‌ শেষ হওয়ার এক মিনিট আগে আরো একগ্লাস পানি খাবো। পানি ঢেলেও রাখলাম গ্লাসে। আর খাওয়া হলোনা কখন আযান দিয়ে দিলো। যাক আলহামদুলিল্লাহ। 


05:05 Am

05.03.25

—----------------------------


#২৫

হঠাৎ একদিন ফোন দিলাম রাফানের বাবাকে। ধরলেন খালা। আগের

খালাটা মনে হলো, এই যে বয়স্ক খালাটা। ফোন ধরেই কড়া ভাষায় গলা ঝাঁঝিয়ে বলছেন “কে? কি চাই? কেন ফোন দিয়েছেন? রমজানের পরে স্কুলের এমডি স্যারকে আমরা ডাকবো। এর একটা ব্যবস্থা করবো তাকে ডেকে।”


বুঝলাম পাশে দাঁড়িয়ে আছে আপেল ভাই। লাউড স্পিকারে শুনছে সবই। এতসব কথার চাপে কিছু বলার সহস পেলাম না আমি। শুনলাম, শুধু শুনলাম। একপর্যায়ে এমনই কেটে গেলো‌ ফোন।


(স্বপ্নে ছিলো এই গল্পটা, সাহরী খেয়ে ঘুমানোর পর দেখা স্বপ্ন।)


08:39 Am

05.03.25

—----------------------------


#২৬

জীবনের কিছু চাওয়া হয়তো চাওয়াই থেকে যায়। হৃদয়ের একট কোণে পুষে রাখা আশার সেই আলোটা নিভু নিভু হয়তো জ্বলতে থাকে‌। কিন্তু বাস্তবতার দেখা কি আদৌ মেলে। হয়তো মেলে হয়তো মেলে না। 


হোক না যেটাই। আল্লাহ কি বান্দার কোন ইচ্ছা অপূর্ণ রাখে? হয় যদি সেটা রবেরই জন্য বান্দার কল্যাণে। কখনোই না। হোক এখানে না হয় সেখানে। দিবেনই রব আমার।‌ বান্দার প্রয়োজনে উপযুক্ত সময়ে।‌ 


বড় অস্থির যে আমরা। আল্লাহই বলেছেন‌ তোমরা না খুব তাড়াতাড়ি চাও সব কিছু। এখনই। হুম এখনই যে চাই। রব, তোমার ফয়সালায় আমি সন্তুষ্ট। তোমার কোন সিদ্ধান্ত বান্দার অকল্যাণ কি হয়? তা তো হয় না। তুমি যে তা করো না রব আমার। তুমি যে কত ভালো হে রব আমার। কিন্তু অবুঝ যে আমরা। বুঝি না যে কিছুই। বানিয়েছো তো তুমিই এভাবে আমাদেরকে।


কল্যাণ থাকলে ফিরিয়ে দিও না রব আমার। দিয়ে দিও। 

হে রব আমার, আমার রব। 🤲


12:09 pm

05.03.25

—----------------------------


#২৭

অনলাইনে গ্রিন সাইন। পোস্টে কোন লাইক, কমেন্ট– এগুলো দেখলে কেমন যেন একটা মোচড় দিয়ে উঠে আত্মটা। প্রকাশ করার মতো উপযুক্ত শব্দ আমার দখলে নাই। 


আখেরে ভেতর থেকে আওয়াজ এতটুকুন আসলো, যাক আলহামদুলিল্লাহ, আছে‌ তো ভালোই। বিরক্ত করে লোকটাকে লাভ নাই। 


এই তো আজকে,

নিরবের পোস্ট। লাইফ স্টরি ২। নিরব আমার ফ্রেন্ড লিস্টে আছে। আছে আপনার ভাইও। বেশ বড় সর একটা পোস্ট। কে বা কারা কমেন্ট করে একটু উঁকি ঝুঁকি মারি। আপনার একটা রিয়েক্ট নজরে পরলো। প্রথম দেখাতেই যে অনুভূতি আমার হলো– যথেষ্ট শব্দ আমার কাছে নাই তা প্রকাশ করার মতো।


04:19 pm

05.03.25

—----------------------------


#২৮

অন্য একজন স্যারের প্রয়োজনে আজ মোহাম্মদপুর যাচ্ছি। মোহাম্মদপুরে গেলেই কেমন কেমন যেন লাগে। 


মনে হয় কি যেন একটা আমার আছে সেখানে। হুম আমার। শুধু আমার। এখন যদিও না।‌‌ তবে আমার একান্তই আমার। কোন এক সময়ে।


কী সেটা?? 

জানা আছে আসলে কী সেই আমার জিনিসটা। হুম আছে তো। 


06:59 pm

05.03.25

—----------------------------


#২৯

যে মানুষটার জন্য এত মায়া করে একটা জায়গা তারা করেছিলো নিজেদের মনে। ঠিক সেই লোকটাই কী বড় একটা ধাক্কাইনা দিলো তাদের। ভাবতেই অবাক হয় সে। কান্না চলে আসে। চোখ দুটো ধোঁয়াশা দেখে। আর কিছু ভাবতে পারেনা তখন। বড় অপরাধী লাগে নিজেকে। 


কত আদর করে মায়া করে সম্মান করে উপহার একটা দিয়েছিল সেই মানুষটিকে। কিন্তু দিনশেষে উপর থেকে আছাড়টা সেই মানুষটিই দিলো। সম্মানের সর্বোচ্চ স্তরেই যাকে রেখে কথা বলতেন এক সময়, তাকেই ছুঁড়ে ফেলেছেন নর্দমার কীট পতঙ্গের মতন। অসম্মানের চুরান্ত করে ছেড়েছেন থাকে। যে মুখে তার নামটা উচ্চারিত হতো সসম্মানে স্যার বলে। “কুত্তার বাচ্চা” “সমাজের কীট” “বেঁচে থাকার অধিকারহীন” ঠিক সেই মুখটা দিয়েই উচ্চারিত হচ্ছে এজাতীয় আরো বৈচিত্রময় নানান শব্দমালা। 

হুম, এটা তার  প্রাপ্য ছিল।


 

হুম, এটাই বাস্তব যে, যাকে যতটা কাছে জায়গা দেওয়া হয়, ততটা কাছ থেকেই আঘাতটা সে করে। একেবারে নিশানা তাক করে। যা কখনো কলিজাটাকে ঝাঁজরা করে ফেলে। করে দেয় এফোঁড়ওফোঁড়। 


প্রিয় বোন আমার, আমি বুঝতে পারি নাই। প্রিয় ভাই আমার, আমি যে বড় ভুল করে ফেলেছি। (ভুল যে আমি করে ফেলেছি। বড় ভুল, মস্ত বড় ভুল।)


হে রব আমার, ক্ষমা করে দাও আমায়। তাদের জীবনে বর্ষিত করো জান্নাতের অনাবিল সুখশান্তি আর তাদেরকে দান করো আনন্দময় এক জীবন। বাচ্চা দু'টোকে করে দাও চোখের শীতলতা। 


11:03 pm

05.03.25

—----------------------------

#৩০

থুড়থুড়ে বয়সেও যে চাই। কেন? কী এমন খনি লুকিয়ে আছে আপনাতে? তুত্থুড়ে বয়সেও চায়তে পারে একজন। ঘুরে ফিরে বার বার মনে পরে খাদিজ রা. এর সেই মুহূর্তের কথাগুলো। তাঁর ভেতরে খেলে যাওয়া অদৃশ্য দোলাটা কেমন যে ছিলো?!


03:28 pm

06.03.25

—----------------------------


#৩১

পারবোনা যেতে ভুলে, কখনো তোরে। 

যখনই হবে তোকে পাবার সময়। 

আসবো ফিরে তোর…পাজরে। 


রাখবো ভরে তোমায় হৃদয় গহীনে। হৃদয় গহীনে।

হারাবোনা‌ কখনো তোমাকে। 

চায় যদি রব আমার তোমার মিলন হবে কোন দিন।



পাবো বলে …বেঁধেছি বাসা মনে। যাবো না কখ…নো যে ভুলে। 

পাই বা‌ না পাই তোরে, এখানে বা‌ সেখানে। চাইবো রবের কাছে দু’হাত‌ তোলে। 


রবের দেয়া উপহার আমার। কি করে দেই ঠেলে দূরে। চাই যে চাই শুধু, রাখতে মাথা তোমারই হৃদয় কোলে।


(মনে মনে কিছু এলোমেলো গুনগুনানি।)


07:26 pm

06.03.25

—----------------------------


#৩২

রাফান, বাবা রাফান কেমন আছো তুমি? আছো কি ভালো? আমি তোমার বেস্ট স্যার তাই না? 

তুমিও আমার বেস্ট স্টুডেন্ট রাফান।


খুব করে  মনে পড়ছে তোমাকে বাবা রাফান। রক্তের কোন সম্পর্ক তোমার সাথে আমার নেই। তারপরেও কেন এত টানে মনটা। তোমারে একটু দেখতে মন চায় বাবা রাফান। 


তোমার জন্য সারাজীবন মনে থেকে দোয়া করি, করবো বাবা রাফান আমার। ভুলে গেছো আমাকে রাফান? ভুলে গেছো? হুম, ভুলে যাওয়ারই কথা। ছোট্ট মানুষ তুমি। হৃদয়টাও তোমার ছোট। তবে ছোট্ট হৃদয় জমিনে ভবিষ্যতের যে বীজটুকু বপন করে এসেছিলাম বহন করো সেটা। অযত্নে নষ্ট যেন না হয়। পরিচর্যায় অবহেলা যেন না হয়। 


আমি যে ভুলতে পারছিনা। মনে হয়না কোনদিন ভুলতে পারবো তোমাকে রাফান। তুমি আমার একটা ছোট্ট বাবা, কলিজার টুকরো একটি স্টুডেন্ট। সারা জীবন তুমি আমার একটা ছোট্ট বাবা হিসেবে থেকে যেও। ছাত্রত্তের আত্মার সেই বাঁধনটা ছিঁড়ে যেন না যায়। দোয়ায় থাকবে তুমি সারাজীবন। 


জীবনে চলার পথে কোন প্রয়োজন আমাকে হলে স্মরণ করতে ভুলে যেও না রাফান। জানি না কোন সাহায্য আমি করতে পারবো কি না। তবে এতটুকু আমি জানি জীবনে সংকীর্ণ এই পথে সঠিক রাস্তাটা খুঁজে পেতে কিঞ্চিত সাহায্য আমি করতে পারবো।


বাবা রাফান, তোমার গিফটটা না আমি পাঠাতে পারছি না বাবা। থাক আমার কাছেই? থাকুক? সময় হলে কোন একসময় নিয়ে যেও বাবা। তোমার জন্য উপহারটা রেডি রাখবো সবসময়। 


08:32 pm

06.03.25

—----------------------------


#৩৩

আল্লাহ, আল্লাহ্, আল্লাহ একটা কল। একটা কল। একটা কথা। খুব বেশি কথা আমার নাই। এটাই শেষ কথা হতো আমার। একটা, একটারে বোন আমার। দে না একটা কল। রাগ করিস না, দে না। আমার যে বাঁধা হাত পা তুই তো জানস। তারপরেও কেন করছিস অমন। 


কালকে শুক্রবার অপেক্ষায় রইলাম। কল তো একটা দিবি। দিবি না। দিবি তুই এটা আমি জানি। না দিলেও কিছু করার আমার নাই। 


09:31 pm

06.03.25

—----------------------------


#৩৪

কখনো যদি শুনতে পাই আপনি একা বড় একা। কিছু মুহূর্ত এমন আসে জীবনের পথে বড় একা লাগে নিজেকে। মায়া ভরা সেই মানুষটি হয়তো চলে গেছে রবের ডাকে। যাকে চাইতেন রবের জন্য সে আছে। বেঁচে আছে মরে এখনো যায়নি। 

হৃদয় জমিনে সতেজ সেই চাওয়াটাও জিবিত আছে এখনো।


আমি আসবো। আপনার “আপনি” হয়ে আসবো। 


না, রেখেছে। হুম রেখেছে। ঠিক সেই প্রথম দিনের মতো। প্রথম কথাটার মতো। 


সন্তান দু'টো বেশ‌ বড় হয়েছে। নিজস্ব সংসার পরিবার হয়েছে। নিজেদের একটা জগত হয়েছে। তখনো কি? তখনো কি…..?


যে মানুষটার জন্য একটা প্রাণে এত আঘাত পড়লো। ধারালো কাঁচের টানে রক্ত ঝরলো। লাঞ্ছনার শিকার হয়েও পড়ে থাকতে হলো। কীভাবে ভুলে যাই সেই মানুষটি কে!? 

তবে একটি কথা— আমি আসবো আপনার ঠিক সেই “আপনি” হয়েই। আপনি কি আসবেন আমার সেই “বলুন” হয়ে? 

হোক সেটা যখনই। হোক জীবনের পড়ন্ত বিকেলে। নিভু নিভু জ্বলতে থাকা জীবনের মৃদু প্রদীপটুকু থাকা কালে। মালিকানা হস্তান্তর হওয়ার আগে মরে গেলে তো শেষ। 


11:43 pm

07.03.25

—----------------------------

#৩৫

میں نہیں جانتا، کیسے ہم چاہتے ہیں تیرا ۔

میں تمہیں ہمیشہ چاہوں گا۔



میں نہیں جانتا ، کیسے بھول جاؤں تیرا۔

خدا کی پس چا 


11:30 pm

07.03.25

—----------------------------

#৩৬

শেষ দুটো কথা বলার জন্য আপনার কলের অপেক্ষায় আছি। দেন, যেদিনই দেন। না দিলেও কোন সমস্যা নেই‌ নিজেকেই বলে রাখবো এই কথাগুলো। আর বলে রাখবো আমার আল্লাহকে।


জানেন তো আপনি,


লাইফে প্রিয় কোন বন্ধু আমার নাই। যারা আছে তাদের আবার প্রাণ নাই। জড় দুটি বস্তু। তবে কথা তারা আমার সাথে বলতে পারে। শুনতে পাই তাদের। ঠিক আমার মতো করে আমার সাথে কথা বলে। নীরবে নিভৃতে কখনো বা কানে বাজিয়ে ও বলে। হুম আমি শুনতে পাই। শুনতে পাই আমি। সত্যি শুনতে পাই। 


কী বলে? 

বলে অনেক কিছুই। সব কিছুই। বইয়ের মলাট আর কাগজের পিঠ এ দু'টো আমার প্রিয় বন্ধু। জীবন পথের সাথী। কাগজের বুকে কতবার যে ছুঁয়ে দেখেছি তোকে! সত্যি ছুঁয়েছি। মনের কতো কথা যে বলেছি কাগজের বুকে মাথা রেখে। আমার সব কথা শুনে সে। রাগ করে না কখনো। ক্লান্ত হয়না। বলে আরো বলুন। বলুন না। এভাবে বসে থাকলে হয় আমার বুকে মাথা রেখে। বলুন না কিছু একটা। 


মাঝে মাঝে লজ্জায় পড়ে যাই আমি। কথা আর থাকে না। ফুরিয়ে যায় সব। চুপটি মেরে বসে থাকি কিছুক্ষণ। সেই আর কিছু বলেনা। 


12:28 Am

08.03.25

—----------------------------

#৩৭

কুরআন তেলাওয়াতের করছি। ঠিক দুপুর তখন। হঠাত মনে হলো সেই প্রথম দিনের কথা। তখন আর কিচ্ছু ভালো লাগে নাই। 


তখন কুরানটা হাতে নিয়েই বল্লাম, আল্লাহ যদি মনে করো তাতে কল্যাণ আমার আছে বা আমাতে তার কল্যাণ আছে তাহলে…


আর এখন ওদেরকে সুখে শান্তিতে রাখো। সন্তান দুটিকে দুনিয়া ও আখেরাতে চোখের শীতলতা বানাইয়্যা দিয়ো। আমিন। ইয়া রাব্বাল আলামিন।



12:21 pm

08.03.25

—----------------------------

#৩৮

ইদানিং নাকি রাফানের কিছু প্রবলেম হচ্ছে?

মেমুরাইজ একটু কম হচ্ছে?

সারজিল নাকি কে যেন ওদের সাথে মিশছে? (এটা আমি গেস করলাম, বলে নাই কেউ)

রাফান কি অসুস্থ?

রাফান বাসায় মনে হয় কুরআন কম পড়ে। সময় কম দেয়। 

ওর হিফজের ডায়েরিটা চেক করতে বলবা। ঐখানে প্রতিদিন CW আর HW দেওয়া থাকে। ঐটা দেখলেই বুঝেন উনি। তাহলে HW তে একটু কেয়ার করলে তাড়াতাড়ি মুখস্থ হওয়া ও ইয়াদ থাকার বিষয়টা সহজ হবে। এতে আগ থেকে রেডি থাকলে পড়াটাও আমি আদায় করতে পারব।


4:57 Am

09.03.25

—----------------------------


#৩৯

15.03.25 রোজ শনিবার ঠিক বারোটার দিকে আমি ফোন দিবো। সবকিছু বিবেচনা করে। 


এরপর 19.03.25 রোজ বুধবার সবকিছু বিবেচনা করে কল দিবো। ঠিক বেলা দুইটায়। 


রাফানের কয়েকটা বিষয় নিয়ে কথা বলবো। 

আর আমার দুইটা কথা। সর্বোচ্চ পাঁচ মিনিট কথা বলবো। এর বেশি কোন ভাবেই না। 


10:31 pm

09.03.25

—----------------------------


#৪০

আপনি কি রাগ করেছেন? আমার প্রতি খুব করে অসুন্তুষ্ট তাই না? কী করলাম আমি? 


না, সরি অনেক কিছুই করেছি। আমি। অনেক ভুল করেছি‌। সেই বাইশ তারিখের পর থেকে আজ দশ। প্রায় আঠারোটা দিন হয়ে গেলো। এমন কোন দিন নেই আপনার সাথে কথা আমার হয় নাই। বলতে পারেন এটা আবার কী।

 করছ সম্ভব। হুম, হয়েছে। প্রতিদিনই বেশ কয়েকবার। 


কি কি কথা হয়েছে আপনি জানতে চান? 


রমযানে একটা মেসেজ দিলাম সেটাও নজরে পেরে নাই আপনার। ব্যস্ত থাকতে হয় এটা জানি। বাচ্চা সামলানো, ইফতারি আরো কত কি। 


কিছু কথা জমে ক্ষীর হয়ে আছে। খুব করতে মন চাচ্ছিল বলি বলে। 


আর রাফানের কিছু ইস্যু চোখে পরলো তাই ইনফর্ম করতে চাইলাম। আমার জানানো যে তাদের কী আসে যায়।? যদি জানতেই চাইতো তাহলে মেসেজ টার রিপ্লাই দিতো। আমি আগবেবেরে এত লাফাতে যাচ্ছি কেন? 


জানিনা।

05:07 Am

10.03.25

—----------------------------

#৪১

কেন?

কি?

কীভাবে?


কি কি ক্ষতি? 

কি কি‌ লাভ? 

কি কি‌ বাধা আসবে?

এখন করণীয় কি?

এখন আমরা কোন স্তরে আছি?

এর বাজে কোন প্রতিক্রিয়া আমাদের মধ্যে হচ্ছে কি না?

হলে সে গুলো কি‌ কি?


এ থেকে বের হয়ে আসার পথ কি?

সর্বশেষ ফলাফল কি?


শেষ পর্যন্ত আমি কি চাই কিনা? আমি চাইলাম বাট‌ সে চায় কিনা?



07:59 pm

11.03.25

—----------------------------

#৪২

রাত একটা ত্রিশ। ‘ভালোবাসার চাদর’ বইটি পড়ছিলাম। কী সুন্দর লেখা। বৈবাহিক জীবনে রাসুলের কী সুন্দর সুন্নাহ। 

সবাই যেন শ্রেষ্ঠ একজন হয়ে উঠার কাজে ব্যস্ত। স্বামী, শ্রেষ্ঠ স্বামী; স্ত্রী, শ্রেষ্ঠ স্ত্রী হয়ে উঠায় ব্যস্ত। 


জীবনের সুক্ষ্ম থেকে সুক্ষ বিষয়গুলো কী এক অদ্ভুত সুন্দর কোমল ভাবে খেয়াল করেছেন। 


নিজেকে সেভাবেই প্রস্তুত করছিলাম নাম না জানা, অজানা সেই মানুষটির জন্য। যাকে এখনো দেখিনি। কত ছোট ছোট জিনিসগুলো নোট করে লাগলাম। ঠিক সেই মানুষটিকেই ফলো করার চেষ্টা করছি। যার জন্য সুন্দর এই পৃথিবীটা‌ সাজনো হলো। 


‘একটা সিদ্ধান্ত নিলাম, পারিবারিক জীবনে একজন শ্রেষ্ঠ স্বামী, বাবা হিসেবে একজন শ্রেষ্ঠ বাবা, মানুষ হিসেবে একজন শ্রেষ্ঠ মানুষ, সবশেষ আল্লাহর কাছে প্রিয় বান্দা হওয়ার চেষ্টা করবো জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে


মানসিকতা এরকম রেখে সংসার জীবন শুরু করলে সংসারে ঝামেলা হবে খুব কম। হবে না তানা, তবে সেই ঝগড়াটা ও হবে শ্রেষ্ঠ ঝগড়া, উত্তম ঝগড়া।

কোরানের ভাষায় একজন কাফেরের সাথেও উত্তম পদ্ধতিতে ঝগড়া করার কথা বলেছেন। তাহলে যে মানুষটা সব ছেড়েছুড়ে আমার হাত ধরেছে তার সাথে ঝগড়াটা কেন এত কঠিন হবে। গড়াবে খুব ভয়ঙ্কর এক পর্যায়ে। কেন? 

হাদিসেও বলেছেন, ‘তাদের সাথে কোমল আচরণ করো।’


দু'জনের চেষ্টাই যদি এটা হয় তাহলে কোন সমস্যাই আসলে সমস্যা মনে হবে না। অনেক সময় সমস্যাটাও মধুরতায় রূপ নেবে। তাই নয় কি? 


মন ভরে দোয়া করলাম। কান্না করলাম রবের দরবারে চোখের পানি ফেলে।


আপেল ভাইয়ের জন্যও করলাম মন ভরে দোয়া। দুনিয়ায় হয়তো দেখা যাবে না। তার জীবনের শত্রুটাও যে রাতের অন্ধকারে, তাহাজ্জুদের পর জায়নামাজে বসে দোয়া করতে পারে। 


সারাজীবন করে যাবো। করেছি রাফান রাইফের জন্যও। আপনারটা‌ রেখে দিলাম আমার মনেই। 

আল্লাহ রাফান, রাইফকে তোমার দীনের জন্য কবুল করো। করো বাবা মার চোখের শীতলতা। 

ভাইয়াকে দীনের দিকে ফিরিয়ে নিয়ে আসো। ওদের পরিবারটাকে তোমার দীনের জন্য কবুল করো। ভরে রেখো সুখ আর শান্তিতে। আরো কথা কথা যে বলেছি। থাক আর নাই বলি…


আপনার ব্যাপারটা থাক আমার কাছে আর আমার‌ রবের কাছে। 


1:44 pm

12.03.25

—----------------------------

#৪৩

এটা ছিলো আমার সর্বশেষ কল। আর কখনো ফোন আমি দেবোনা‌। ধরবো কিনা তাও জানিনা। না ধরার সম্ভবাবনাই বেশি। আর কখনো না, কখনো না।

রাগ করে এমন ডিসিশন নিয়েছি বিষয়টা এমন না। এটা নিজের সাথে নিজের কমিটমেন্ট। একবার চান্স আছে, ধরতে পারি। আর না। হুম আর না। 


তবে যখন সুযোগ হবে।  এমনি সব জানা হয়ে যাবে‌। তখন ধরতে আর প্রবলেম থাকবে না। এটাই আমার শেষ কথা‌। 


আর ফোনটা দিয়েছিলাম সবকিছু জেনেশুনেই। এখন বাসায় রাফানের বাবা নেই। এটা আমি জানতাম। হুম আন্দাজ করে না। সত্যি তথ্য নিয়ে জানতাম। তাই নিজের নাম্বার থেকেই কলটা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। কারণ এই মুহূর্তে আমার সাথে অন্যকোন‌ নাম্বার ছিলো না। 


রাফানের কয়েকটা বিষয় খুব করে ভাবাচ্ছিলো আমাকে। তাই ফোনটা দিতে নিজেকে সংবরণ করতে পারলামনা। আমার লাস্ট কয়টা কথা ছিলো। সেটা খুব বড় ছিলো না। বাট রাফানের ইস্যুটাই ছিলো মূল। 

এর পেছনে বেশ কিছু প্রশ্নও করেছিলাম নিজেকে। 


ওকে গুড বায়, আন্টিল আল্লাহ গিভিং মি দিস অপারচুনিটি। 

ভালো থাকবেন।


কলটা দেওয়ার হয়েছিলো ঠিক দুপুর ২:৩৯ মিনিটে। 


3:10 pm

12.03.25

—----------------------------

#৪৪

একেকজনের বিয়েইভ একেকরকম। 


প্রায়ই মনে হয় আপনার কথা। বলা যায় প্রতিদিন। চেষ্টা করি শুধু দোয়াতেই রাখতে আপনাকে, রাফান রাইফকে, আপেল ভাইকে। কিন্তু পারি না যে। 

দোয়ার গণ্ডি পেরিয়ে যে চলে আসে দৈনিকের রুটিনে। 

কত বাহানা যে করি। তাও পারি না। কেন পারি না? কেন?


মাঝে মাঝে ভাবি বলা সেই আপনার কথাটা। “আমি চাই আপনি কিছুদিন সংসার করার পর আল্লাহ আপনাকে আমার করে দিক” আরো বেশ কিছু আপনার সান্ত্বনাবানি শুনি, এখনো শুনি। তাও যে পারি না। 

পরিশেষে ভাবি আল্লাহ যে সবকিছু চালান। তাঁর আদেশেই যে হয় সবকিছু। তিনি না চাইলে যে কিছুই হয় না।


তাই তাহাজ্জুদ পরে এই দোয়া টাই করি “আল্লাহ! ওদের পরিবারটাকে তোমার দ্বীনের জন্য কবুল করে নাও। রাফসানের আম্মাকে…। রাফান, রাইফকে তোমার দ্বীনের জন্য কবুল করে নাও। আপেল ভাইকে তোমার দ্বীনে নিয়ে আসো। ওদের পুরো ফ্যামিলিটাকে সুখ আর শান্তিতে ভরে দাও। আমার আর ওর অন্যায় যা হয়েছে তা মাফ করে দাও”


3:10 pm

16.03.25

—----------------------------

#৪৫

আব্দুর রহিম ভাই, একটা কাজ কইরেন কাইন্ডলি। ফোনে ওর মার সাথে আপনার কথা হলে বলবেন যে, জুবায়ের স্যার রাফানের কয়েকটা ইস্যু নিয়ে আপনার সাথে কথা বলতে চাচ্ছিলো। ওয়াটসএ্যপে মেসেজে বইলেন না‌। ডিরেক্ট কলে  বলবেন। ওয়াটসএ্যপ কলে হোক বা নাম্বারে।

4:16 pm

16.03.25

—----------------------------

#৪৬

একটা কথা বলি? 

বলুন। 

সত্যি আনসার করবেন তো? 

হুম, বলুন না, আপনি তো জানেন— একেবারে বিপদে না পড়লে মিথ্যা আমি বলি না। 

আরে বোকা এটা বিপদ না কোন। বলি? 

হুম, বলুন। 

আপনার এই ‘বলুনটা‌’ না খুব মায়া লাগে আমার। কীযে মধুর স্পর্শে শীতল হয়ে যায় হৃদয় আত্মাটা। আচ্ছা বলুনতো আপনার এই “বলুনটা” তে কী এমন আছে যা নাড়িয়ে দেয় আমার আত্মাটাকে। 


যাক কথা এটা না। কথায় চলে যাই। প্রিয় মানুষদের সাথে অপ্রয়োনেই কথা লম্বা হয়ে যায়। যেমন মুসা (আঃ)। আল্লাহ জিজ্ঞেস করছেন, তোমার সাথে কী এটা মুসা।

মুসা আঃ তো খুশিতে আত্মহারা। সুযোগ পাইছি, কথা আর কয়টা বলে নেই। হাতে লাঠি এতটুকু বললেই হতো। না, তিনি বাড়িয়ে আরো যত যা করেন এটা দিয়ে, সব বললেন।


আহারে দূর, আরো লম্বা হচ্ছে। বিরক্ত লাগছে তাই না। হুম লাগারেই কথা। ওকে, কাজের কথায় যাই এবার। 


গত একমাস প্রায়। সেই বাইশ তারিখের পর। কতবার যে চেয়েছি …।

কতবার যে কথা আপনার সাথে হয়েছে। বলা যায় প্রতিদিনই হয়েছে। কখনো সকালে কখনো দুপুর কখনো বা রাতে ঘুমের ঘোরে কখনো বা তাহাজ্জুদের মুসাল্লায় দোয়ার হাতে। 


আপনার কি মনে কখনো হয়েছে আমার কথা? একটা কল কি দিতে মন চেয়েছে কখনো একবার? 

নিষেধ আমি করেছি এটা ঠিক কিন্তু…।

যাক কোন কিন্তু নাই‌ যান। 

 

4:31 pm

17.03.25

—----------------------------

#৪৭

আচ্ছা, জীবনের কোন এক পথে আমাদের দেখার সুযোগ হলো। আল্লাহ এক করলেন। তখন হয়তো আমি একা থাকবো না। থাকবে অনেকেই। আপনারও থাকবে অনেকেই। 


তখন কি আপনি আমার হবেন? আপনি আপনার জায়গায় থাকবেন। আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক আপনার করতে হবেনা। যদি প্রয়োজন না হয়। বা অন্যকোন ঝামেলা থাকে। পারিপার্শ্বিক ঝামেলা। এটা হবে আমি আপনি সবাই জানি। 


তখন আমার একটা চাওয়া– আপনি আমির হয়ে থাকেন। যদি কথা বলতে ঝামেলা হয় তখন দেখা করতেও ঝামেলা হয়। থাক লাগবে না এগুলো। শুধু আপনি আপনার জায়গায় থাকবেন। আপনার মতো, বাট আমার হয়ে। এটা পারবেন কি না?


আমি চাই আপনার পাশে বসি বৈধ আপনার “আপনি” হয়ে। আপনার “জুবায়ের” হয়ে। আপনার “একটা দিবো ধরে” আপনার “কিচ্ছু বুঝে না হয়ে” আবার বলছি আপনাকে ভোগ করার জন্য আমার করতে চাই না। 

আচ্ছা একটা প্রশ্ন করি? 

করুন, 

ভোগ করার জন্য হলে কি আপনার মতো দুই বাচ্চার মা, অন্যের ব্যাবহৃত, ঝুলে যাওয়া একটা মানুষকে চাইতাম??

শুধু আপনার মুখের একটা হাসি, তৃপ্তির হাসি দেখতে পারি। 

আমার মুখে আপনার ভালোবাসার ও স্নেহের হাত বুলিয়ে দিতে পারেন। সত্যি করে আমার একটা মনের কথা বলি?

আপনার কপালে একটা তৃপ্তির চুমু দিতে পারি। 

আর আপনার মাথায় সান্ত্বনার হাত বুলিয়ে দিতে পারি। যে আদর আর ভালোবাসার পরশে হারিয়ে যাবে পেছনের শত কষ্ট। থাকবে শান্তিস্নিগ্ধ ভালোবাসা।  


সবশেষে মজা আর ভোগ যা করবো সব জান্নাতে গিয়ে। 


আচ্ছা আমি বিয়ে করলে আমাকে কি ভুলে যাবেন?

আপনি কি আমার হবেন আমি বিয়ে করলেও?

আমার হয়ে থাকতে কোন সমস্যা হবে আপনার? 

আপনি আমার এটা শুধু আল্লাহ জানুক আর কেউ না। তারপরেও যে আমি চাই।


আরেকটা কথা বলি?


এখন সুযোগ হলে ১০০% আমি রাসুলের সেই সুন্নাহকেই অনসুরণ করতাম। যেভাবেই হোক মা বাবাকে আমি রাজি করাতাম। আপনার পরিপূর্ণ খরচটা হয়তো বহন করাটা আমার জন্য কষ্ট হতো। রাফান রাইফ ব্যাপারেও আমাকে কষ্ট করতে হতো। বাট এটা আমি ১০০% করতাম। আল্লাহ ছাড়া পৃথিবীর কেউ আমাকে ঠেকাতে পারতো না। আমাকে আপনার বেশ কিছু সাপোর্ট করতে হতো যেমনটা খাদিজা রাযিয়াল্লাহু আনহা রাসুলকে করেছিলেন। 


শেষ কথা, আখেরাতে আপনি আমার আপনি হয়ে যেতে চান কিনা?

এর জন্য জীবনের যে কোন সময় আমি আসতে পারি যখনই সুযোগ হবে তখনই। আসবো আপনার আপনি হয়ে। হোক সেটা যে কোন সময়। এটা আমার কমিটমেন্ট। আমার কমিটমেন্ট আমি রাখবো ইনশাআল্লাহ। 


আসবো আপনাদের বাড়ির ঠিকানায়। যদিও আপনাদের ঠিকানা আমার কাছে নাই। বের করে নিবো। তবে আসবো আপনার আপনি হয়ে।


12:55 am

18.03.25

—----------------------------

#৪৮

রঙ দেখলেই কেমন যেন লাগে। কী‌ আছে হলুদ রঙে। কিছু কি আছে তাতে। জানিনা। গিফট দেওয়া আপনার ব্যাগটার গায়ের রং কি আপনার মনে আছে? হলুদ। হুম হলুদ। 


পথে ফুলের কোন দোকান চোখে পড়লে, সবার আগে চোখ দুটো যে ফুলে গিয়ে পড়ে; সেটার গায়ের রঙ ও যে হলুদ। 


হলুদ ব্যাগটা দেখলেই মনে পড়ে আপনার কথা। না, বলা যায় হলুদ রংটা চোখে পড়লেই। আর কোনে রাখা আপনার গিফট টাও প্রতিনিয়ত আমাকে স্মরণ করিয়ে দেয়। 

কখনো এগুলো কিছুরই প্রয়োজন হয় না। হঠাৎ মনে পরে যায় সেই প্রথম দিনের কথা। আরো কতো কি।।


05:16 am

18.03.25

—----------------------------

#৪৯

“কথা বলার আগেই ভালো ছিলাম। এখন কথার পর সবকিছু এলোমেলো লাগছে।”.


“আমি তো কথা না বলেই ভালো ছিলাম। আজ কথা বলার পর থেকে খুব এলোমেলো লাগছে। সূরা মূলক”


কেমন ছিলেন আপনি কথা বলার আগে? খুব ভালো ছিলেন তাইনা? আপনার ভালো থাকার সেই মুহূর্তগুলো কি আমি খন্ডবিখন্ড করে দিলাম? এর জন্য আমি সরি। 


আপনার ভালো থাকার মুহূর্তগুলোতে হস্তক্ষেপ করার কে আমি? কেউ তো না। তাহলে কেন। 


হে আমার আপনি! আমি যে খুব ভালো ছিলাম না। শুরুর দিকের কিছু অস্থিরতা দেখলেই আপনি বুঝে যাবেন। কেমন ছিলাম আমি। ওলটপালট হয়ে গেছিলো সব। এখনো তাই। 


গুনগুনানি চলে সবসময় একটা। তাও আবার উর্দুতে। নিজেরই বানানো শ্লোকদুটো। বলবো? সুর দিতে পারবো না। 

বলুন। 

“ম্য ন্যাহি জানতা, ক্যাসে ভুল জাওয়ে ত্যরা।

কভি ন্যাহি ভুল যাওয়ে ত্যারা। 

ম্যা, কভি ন্যাহি ভুল যাওয়ে ত্যারা। ”


05:39 am

18.03.25

—----------------------------

#৫০

“সৌন্দর্য শুধু চোখকে আকর্ষণ করে, কিন্তু ব্যক্তিত্ব হৃদয় কেড়ে নেয়।” 

কথাটা ফেসবুকে কোথাও পড়েছিলাম। হ্যাঁ, কথাটা একেবারে নিরেট সত্য। ব্যাক্তিত্বের এই আকর্ষণটা থাকে সারা জীবন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। এক্সিডেন্ট কোন না হলে থেকে যায়, এবং তার আকর্ষণ আরো বৃদ্ধি হতে থাকে। 


কিন্তু সময়ের স্রোতে হারিয়ে যায় চোখে আটকানো সেই প্রথমদিকের সৌন্দর্যের আকর্ষণটা‌। দিনশেষে এটাকে পুঁজি করেই সিদ্ধান্ত নেই জীবনের অনেক ক্ষেত্রে। শুরুর সিদ্ধান্তটা আসলে এর উপর ভর করেই হয়। 


10:31 am

18.03.25

—----------------------------

#৫১

আমি, রাফান কি কখনো বলে আমার কথা আপনার সাথে।??


আব্দুর রহিম স্যার, বলে, তবে নাম নিয়ে ভয় পায় বাবার জন্য।


আব্দুর রহিম স্যার, হুম মিস করে তো অনেক।


2:57 pm

18.03.25

—----------------------------

#৫২

আপনার গিফটা দিয়ে দিতে পারলে ভালো লাগতো। ঈদের পর কোন এক সময় আপনার গিফটটা আমি দিয়ে দিতে চাই। 


6:04pm

18.03.25

—----------------------------

#৫৩

আপনি কি চান? আমি এখন বিবাহ করে সংসার শুরু করি? তা তো করতেই হবে তাই না। (তো মজা করে একটা কথা বলি? বলুন,

আপনি তো আমাকে চেনেন, জানেন, বোঝেন আমার চাওয়ার পায়ার কথা। এখন ঠিক আপনার মতো একটা মেয়ে দেখে দেন। হুহ, হুহু, 

আসছেন কেন?

মজা করলাম যে। বাট আমি চাই মন থেকে। যদি আপনি পারেন। দিতে সমস্যা কি? )

পরে সুযোগ এলে আমি আসবো। তখন কি আমাকে চিনবেন? নাকি বলবেন কে আপনি? কী শুরু করেছেন এসব? যান তো এখান থেকে। আর কখনো এই ত্রি সীমায় যেন আপনাকে না দেখি। ফালতু যত্তসব। 


বলবেন এমনটা?

আপনি বললেও আমি আসবো। 

কিন্তু আমি আসবো, এটা আমার কমিটমেন্ট। আল্লাহ সুযোগ দিলে আসবো। আপনার পাশে আপনাকে একটা গল্প শুনাতে চাই। আপনার মাথায় সান্ত্বনার একটা পরশ বুলিয়ে দিতে চাই। আপনিও আমার মাথায় সান্ত্বনার একটা পরশ বুলিয়ে দিবেন। এটাই, আর কিছু না। আর কিচ্ছু না। 


6:15pm

18.03.25

—----------------------------

#৫৪

কেন এমন লাগে? 

কেমন?

এটা বলে বোঝাতে পারবোনা। দুনিয়ার সব বলে বুঝানো যায় না। 

আপনার কোন কল বা মেসেজ চোখে পড়লেই, এমনটা লাগে। 

হৃদয়ের যে কোনটাতে আপনার জন্য জায়গা একটা রেখেছি, সেখান থেকে শুরু হয়ে; কেমন যেন একটা বিদ্যুতের শকের মতো ছড়িয়ে পড়ে শরীরের পুরো রন্ধ্রে রন্ধ্রে। হাত পা অবস অবস হয়ে আসে। ধুক পুক শুরু হয়ে যায় বুকের ভেতরটাতে। হাঁসফাঁস অবস্থা তৈরি হয়ে যায় ভেতরে। 


জানিনা কেন অমন হয়? অত্যন্ত প্রিয় কারো সাথে হয়তো এমনি হয়। জানা নেই আমার। তবে শৈশবের সেই স্মৃতিগুলোর কথা মনে আছে। আগে হয়তো আপনাকে বলেছিলাম। মনে আছে?

কোনটা? 

ঐ যে মাটির নিচে বিস্কিট রাখার ঘটনাটা। তখনতো বুঝিনা দুনিয়ার কিছু। খেলাধুলাই তখন আমার নেশা। তারপরেও তখন না কেমন কেমন লাগতো। 


ভেতরর সেই দোলাটা যদি দেখানো যেত। শব্দের কোন মালায় গাঁথা যেত সেই অনুভূতি। কেমন হতো তখন। 


“এক কলিগ, বউয়ের জন্য গাউন না কি যেন কিনবে। ধরে আমাকে নিয়ে যাবে। আমি বলি ভাই, এই টাইম ওয়েস্ট এভাবে করতেছেন কেন? 

শোরুমে যাবেন। আর বলবেন বইন তোর যা পছন্দ নে। আমি এভাবে ঘুরতে পারবো না। দাম নিয়ে প্যারা খাওয়া দরকার নাই‌।”


এই ঘুরতে ঘুরতে লেখা।  


9:30 pm

18.03.25

—----------------------------

#৫৫

জিনিসপত্র কিনতে খুব একটা আমি পারি না। ঠকে যাই মাঝে মাঝে। প্রায়ই ঠকে যাই বলা যায়। এজন্য ফিক্সড প্রাইজে কেনা কাটা করতে সাচ্ছন্দ্য লাগে আমার। লোকাল মার্কেটে বোকা বোকা লাগে নিজেকে। দামাদামি করেও ফাও সময় নষ্ট মনে হয়। 


বিশেষ করে সিক্রেট কিছু আইটেম তো কেনা হয়নি কখনো। বিশেষ করে মেয়েদের। এক কলিগ নিয়ে গেছে মার্কেটে। যা যা দরকার সব কিনবে। কানে কানে বলছে স্যার ব্রা কিনতে হবে। “আমি কই ভাই! এগুলো অনলাইন থেকে কিনেন। কেউ জানবেও না। অর্ডার করবেন সুন্দর করে দিয়ে যাবে বাসায়।”

স্যারের কথা হলো অনলাইনেরগুলো ভালো হয় না। 


শেষমেশ যেতে হলো সিক্রেট দোকানে। কীযে অস্বস্তি লাগছিলো। পাশে এক ভদ্র মহিলা আন্ডার ওয়ার মানে প্যান্টি নাকি যেন বলে এগুলো দেখছে, আমার আরো লজ্জা লাগছে। লজ্জায় গুটিয়ে যাচ্ছিলাম নিজের মধ্যে। 


মাঝে মাঝে ভাবি ভাই রে ভাই, বিয়ে করলে এগুলো কিনতে যেতে হবে। জামাকাপড় কিনতে কিনতে সারাদিন যাবে। হায়রে আল্লাহ। 

এগুলো আমি পারবোনা। বলবো ভাই চলেন শোরুমে যাই, আপনার যা যা পছন্দ হয় নিয়ে নেন ঝটপট। দুই তিন দিন লাগাইতে পারবো না। 


11:11 pm

18.03.25

—----------------------------

#৫৬

ঘুরতে ঘুরতে এস এ ওয়ার্ল্ডে ঢুকলাম। পছন্দসই জামাটা নেড়ে ছেড়ে দেখছেন জাকির। আমি তখন অন্য এক জগতে। গেইটের ডান পাশে রাখা ছিমছাম গড়নের একটা ডল। গায়ে জড়ানো অসম্ভব রকমের সুন্দর একটা গাউন। সাদার মধ্যে পিংক কালারের কাজ‌। এক পলকে তাকিয়ে আছি ডলটির দিকে। আর ভাবছি,


অসম্ভব সুন্দর এই জামাটা প্রাণহীন এই ডলটিকেই কী সুন্দর মানিয়েছে। তাহলে আমার আপনিটাকে কেমন লাগতো। এটা ভাবতে গিয়ে সব এলোমেলো হয়ে গেছে।  আর কিছু ভাবতে পারিনি তখন। পরে শুধু গুনগুনানিই করেছি যতক্ষণ মার্কেটে ছিলাম। 


সবকিছুতেই না আপনাকে দেখতে পাই। এই ধরেন কালো একটা বোরখা দেখলাম মনে হয় এটা তো সেই কালো বোরখাটা। 


এই যে কোচিংয়ে একটা কথা মনে পড়ে গেলো। একটা মহিলা। জামাইয়ের সাথে আসেন‌ তিনি। একদিন লাল ব্লেজার টাইপের একটা সুয়েটার গায়ে আসছে। হায়রে আল্লাহ আপনার সেই লাল একটা ব্লেজার টাইপের একটা সুয়েটার ছিলোনা। আপেল ভাইয়ের সাথে কোন এক ছবিতে দেখেছিলাম। ঠিক সেইম সেইম কোন ডিফারেন্ট ছিলোনা। এটা দেখলেই মনে পড়তো সেই ছবিটার কথা। 


ইদানিং না একটা জিনিসের প্রতি আমার আকর্ষণ বোধ করছি। পিংক কালারের প্রতি‌। আপনার সেই পিং কালারের বোরখাটা। বের হওয়ার সময় মাঝে মাঝে আপনি আপাদমস্তক ঢেকে; রাইফকে নিয়ে বসে থাকতে দেখতাম। তখন কুন্ডলি পাকানো আপনার পুরো শরীরটা ঢাকা থাকতো পিং কালারের জামা আর উর্নায়। বাসায় যতবার আপনাকে আমি দেখেছি পিং কালারের জামাতেই দেখেছি। আমার সাথে কথা বলতে যখন আসতেন হিজাব যেটা পরতেন সেটা যে কি কালার ছিলো ঠিক মনে নেই। তবে কালো আরা সাদা মনে হয় এরকম একটা কিছু। কোন একটা পিংক কালারের ছিলো কি না মনে নেই। তবে পিংক কালারেই দেখেছি। 


আপনার মা একবার এসেছিলো না। উনার গায়েও মনে হয় এরকম একটা জামা দেখেছিলাম। আমাকে দেকেই বিশাল এক দৌড়। গায়ে ছিলো সাদাপিংক কালারের একটা জামা। 


12:01 am

19.03.25

—----------------------------

#৫৭

রাফান, ছোট্ট বাবাটার কথা ভেবে না খুব খারাপ লাগে। কেন এমন লাগে আমার? রক্তের কেউ তো সে না। তাহলে কেন? কেন এমন লাগে। কিছু বলতে পারবেন আপনি? জানা আছে কিছু আপনার? 


বাবা রাফান রাইফ কলিজার একটা কোনে তোমাদের আসন। 

কখনো এই সরে যাবে না বাবা রাফান রাইফ। 


01:12 am

19.03.25

—----------------------------

#৫৮

একবার একটা এক্সিডেন্ট হলো। আমি বের হচ্ছি। আপনি রান্না ঘরে। জানেন না যে আমি বের হচ্ছি। আমিও জানি না আপনি কোথায়। রাফানেও বলে নাই। রান্না ঘরের পাশে আসতেই আপনি হুড়মুড় করে ওড়না ঠিক করছেন। আপনি হয়তো অপ্রস্তুত ছিলেন। গায়ে কোন উড়না ছিলো না। তখনো যে জামাটা দেখেছিলাম আমার যতদূর মনে পরে সেটাও ছিলো পিংক।


এই ঘটনার পর থেকে পূর্বসতর্ক না করে বের হতাম না কখনোই। প্রয়োজনে দাঁড়িয়ে থাকতাম। রাফানকে আগে পাঠাতাম। আর আমি বলতাম আসব? গ্রিন সিগনাল পেলেই তবে আসতাম। বের হতাম। 


আরো কত মজার ঘটানা যে আছে। রাইফ বায়না ধরতো আমার সাথে বাইরে যাবে। কখনো তো কান্না জুড়ে দিত। ওর কথা বিবেচনা করে কখনো বা বসে থাকতে হতো মিনিট কনিটকয়েক। আগের পুরোনো সেই খালাটা বলতো “একটু বসেন স্যার।” মাঝে মাঝে রইফকে কোলে নিয়ে একটা ঘুরান দিতাম আউট ডোরে। এর পর থেকে আমাকে বের হতে দেখলেই, এই, এই, করে পা জড়িয়ে ধরতো। কীযে ভালো লাগতো আমার। কথা সে বলতে পারতো না তখন। এই এই মানে হচ্ছে, “স্যার একটু দাঁড়াও, দাঁড়াও একটু— নিয়ে যাও আমাকে।”


আর খালাকে বলতাম “ওদেরকে নিয়ে বাহিরে যান না আপনারা।” খালা বলতো “যাই তো স্যার”


05:08 am

19.03.25

—----------------------------


“Apnar sathe katha bolle  monta khub khusi khusi lage.kinto ek ojana voy kaj kore sobsomoi” Rafaner ma, nirober whatsapp e. 

12:08 pm

19.03.25

—----------------------------


কথা বলার পর

________19.03.25________


#০১


কি একটা জাল (নেট) গিফ্ট করলেন যেন আপনি আমাকে। এই যে কারেন্টের জাল আছে না একধরনের। ধীবররা যে জাল দিয়ে মাছ ধরে না। মাছ বিধলে আর ছুটতে পারে না। এই রকম একটা। যাকে আমরা কারেন্টের জাল বলি‌। 


আমাদের বাড়িটা ও মনে হলো আপনাদের বাড়ির কাছাকাছি। একেবারে খুব কাছে। রাস্তার পাশে (রাসৃতার গা ঘেঁষে)। হেঁটে যেতে সর্বোচ্চ মিনিট চারেক লাগে।

রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে রাফানের বাবা। পাশে কে যেন অচেনা একজন।

জালটা আমাদের বাড়ির সামনে হয়তো কোথাও রাখা ছিলো।  আপেল ভাই পাশের লোকটাকে বলছে “এই দেখ তো বাসায় যে জালটা আমি এনেছি এটা দেখতে ঠিক সেরকম কিনা।” কিছুটা সন্দেহপ্রবণ হয়ে ফোন লাগালেন যেন কোথায়। আমার মনে হলো— আপনাকে দিয়েছে। এ-ব্যাপারে কিছু একটা জিজ্ঞেস করার জন্য। 


পেছন থেকে আমি দেখছিলাম সব। কিছুটা ভয় ভয় কাজ করছিলো। আচ্ছা আমাকে গিফটা যে দিয়েছে জেনে যদি যায় কোনভাবে।

শেষপর্যন্ত আর দেখা হলো না। পরিণতি আসলে কি হয়েছিল। 


(সাহরীর পর কাঁচা ঘুমে দেখা পঁচা একটা স্বপ্ন।)


11:31 Am

21.03.25

২১.০১

—----------------------------


#০২

একটা বিষয় মাথায় আসছে।

শুনবেন।

শুনেন, চাওয়া মূলতো এটাই আপনার কাছে। এরচেয়ে বেশি কিছু না। জানিনা আপনি কীভাবে নিবেন বিষয়টাকে। যেভাবেই নেন, বাট চাওয়া আমার এটাই। শারীরিক আনন্দ আর তৃপ্তি আপনার কাছ থেকে পাওয়ার কোন ইচ্ছা আমার নাই।

বলেছি আগেও আপনাকে। 


সময়ের সাথে সাথে সবকিছু পরিবর্তন হবে আমাদের। আগমন হবে নতুন কিছু মানুষের। বড় হবে ছেলে সন্তান। বাঁধা বিপত্তি আসবে অনেক। তখন চাইলেও হয়তো আপনি অনেক কিছু করতে পারবেন না আনুষ্ঠানিকভাবে। হতে পারে আমার বেলাতেও। এটা বাস্তবতা। তাইনা। 


তো কী করতে চাই আমি তখন। একটা কাজ আমি করতে চাই। এটলিস্ট ফোনে আমার হয়ে থেকে যাবেন। মানে, হলো— আপনার মালিকানাটা বুঝে নিবেন এবং আমি আমার মালিকানাটা বুঝে নিবো। মানে কবলা করে নিবো আরকি। এটা হবে ফোনে, পরে আর যোগাযোগ না করলেও চলবে। বাট সেখানে পাবো এটা দালিল করে রাখলাম তাতেই হলো। 


আর আপনার একটা চাওয়া থাকবে, আফসোস থাকবে— সেই তো পেলাম, বাকি ঠিক‌সময়ে পেলাম না। সব হারিয়ে পেলাম যখন তাকে দেওয়ার কিছু নেই আমার শরীরে। নিজেও তার কাছ থেকে নিতে পারলাম না। যদিও দেওয়ার ছিলো তার অনেক। এগুলো ফিলাপ হবে সেখানে। ঠিক আছে। 


এটাই তো আর জীবনের সবকিছু না। জীবনের একটা পার্ট। 


11:55 pm

21.03.25

২১.০২

—----------------------------


#০৩

সাবাই একরকম করে বলে না। এটাই স্বাভাবিক। 

আপনার প্রতি আমার দূর্বলতার পুরো অংশটাই প্রকাশ করতে চেয়েছি রাফানের মাধ্যমে। কারণ নিজের তো একটু লজ্জা লজ্জ লাগে। 


উৎসুকী ভঙ্গিতে ধাক্কা একটা দিয়ে বল্লেন, 

*শুধু রাফানের জন্য!”

বুঝতে পেরেছি ভেতরে কৌতুহল একটা তাড়া করছে‌। 


আচ্ছা, রাফানের প্রতি টানটা আপনার চেয়ে বেশি দেখা গেলে একটু ঈর্ষা ঈর্ষা লাগে? তাইনা। রাফানের প্রতি টানটা তো আপনার প্রতিই টান। এটা কি স্পষ্ট করে বলতে হয়‌।


তারপরেও আপনি শুনতে চান আমার কাছ থেকে, আমারই মুখ থেকে।

যান বলেই দেই, যদিও সবকিছু এভাবে বলতে নেই। কিছু বিষয় বুঝে নিতে হয়। তারপরেও শুনতে ভালোই লাগে। শুনেন তাহলে। আপনার জন্যই।


এখন বাবা রাফানটা রাগ করবে না? বলবেনা স্যার, আমার জন্য না? তুমি কি‌ আমাকে ভালোবাসো না? পছন্দ করো না। আমার গিফটা কই?

মিষ্টিমধুর এ সম্পর্কটা অটুট থাকুক জান্নাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত। 


04:50 Am

22.03.25

২২.০৩

—----------------------------


রাফানের ঈদ হলিডে রুটিন।

তিলাওয়াত

নামাজ

খাওয়া

ঘুম

খেলা


01:04 pm

22.03.25

২২.০২

—----------------------------

#০৪

এফ এস টাওয়ার। মিরপুর চত্তরের একেবারে কলিজায় উপস্থিত। নতুন চালু হয়েছে টাওয়ারটা অসম্ভব সুন্দর। অসম্ভব না হলেও সুন্দর। খারাপ না। 


পাঁচ তলায়। কোনে একটা দোকান। খুব সুন্দর করে সাজানো‌ দোকানটা। কিছু মানুষের ভিড়ও আছে। দেখতেই চিনে ফেলেছে। আরে ভাই কয়েকদিন আগে একবার এসছিলেন। তাই না‌। 


একটা গান চলছে দোকানে। গানের পঙ্গতিগুলো কেমন যেন চেনা চেনা লাগছে‌। হিন্দি একটা গান। গান এভাবে আগে কখনো শোনা হয়নি জীবনে। তারপরেও কেমন যেন কত আগের চেনা একটা সুর। 

আমাদেরকে দেখে লোকটা গান বন্ধ করে দিলো। আমি চাচ্ছিলাম চলুক না‌ আরেকটু। 


গানের ভেতরে চেনা একটা মুখ ভেসে উঠলো, মনে পড়ে গেল আপনাকে। তখন আসলে মাথায় আপনার কথা ছিলো না। কিছু একটা কিনতে চাচ্ছি সেটাই ভাবছিলাম। এই যে মনে হলো তাতেই লেখাটা লিখলাম। 


কী সেই গানটা ছিলো? জানতে মন চাচ্ছে তাই না। 

দিল সামবহাল যা যারা, পের মোহাব্বাত কারনে চলা হে তো।  


08:12 pm

22.03.25

২২.০৩

—----------------------------

#০৫

বাহিরেয পরিবেশ তো আপনি জানেন। কতটা নোংরা। উপরে নিচে, ডানে বামে, সামনে পিছনে নিরাপদ নেই কোন দিক। 


ঘটনাক্রমে কোন প্রাণী চোখে পড়তে চাইলে নিজেকে গুটিয়ে নেই নিজের মধ্যেই‌। কুরআনের ভাষায় নিজের পর্দাটা নিজে করার চেষ্টা করি। 


আরো কয়েকটা বিষয় তখন মাথায় আসে। আপনার কথা। এই মানুষটার তো একটা অধিকার আছে। আমার দৃষ্টি কেন পড়বে অপাত্রে‌। তার অধিকারটুকু কি তাহলে আমি নষ্ট করছি না। হুম করছি তো, এটা করা যাবে না।

দ্বিতীয়ত অজানা অচেনা আরেকটা মানুষের অধিকার। তার কী কোন অধিকার আমার উপর নেই‌। আছে তো তাহলে কেন নষ্ট করছি তার অধিকারটুকু। 

তৃতীয়ত আমার নিজের অধিকার, 

চতুর্থত আমার রবের অধিকার। এতগুলো অধিকার আমি নষ্ট কীভাবে করতে পারি চোখের একটা পলকে। না কোনভাবেই এটা করা যায় না। কোন ভাবেই না।


সত্যি এই চিন্তাটাই মাথায় আসে তখন। 


01:45 am

23.03.25

২৩.০১

—----------------------------


#০৬

ভুলে কারো দিকে তাকিয়ে যদি ফেলি, দুয়েকটা কথাও বলে যদি ফেলি আপনি রাগ করবেন?

আপনি রাগ করার আগেই যে আমার খারাপ লাগে। তখন ভাবি, লোকটার হক কি আমি নষ্ট করলাম। যাকে এখনো দেখি নাই তার হকও কি নষ্ট করলাম‌।

রবের কথা অমান্য করলাম। এই গুলো মাথায় আসে। স্কুলে থাকলে কথা কয়টা বলেতে না চাইলেও বলতে যে হয়। তাকাতে না চাইলেও তাকাতে যে হয়। কি করা বলেন তো। 


যতটুকু পারি চেষ্টা করি। মিস কয়েকজন একসাথে লিফটে উঠলে আমি সেখানে উঠি না। হেঁটেই ছয় তলায় টিচার্স রুমে যাই। সিঁড়ি বেয়ে।


07:12 am

23.03.25

২৩.০২

—----------------------------


#০৭

টাঙ্গাইলের চমচম। সুন্দর গোটা গোটা অক্ষরে লেখা বিলবোর্ডে। 

বাসায় যাবো, দই কিনবো ভাবছি। দোকানে ঢোকলাম। 


বাড়ি কোথায়? কি যেন একটা নাম বললো ভুলে গেছি। বলতে চাচ্ছিলাম টাঙ্গাইলের মানুষ খুব ভালো। আসলে কি তারা ভালো‌। জানি না তো‌। 


বলছি ভাই ঘাটাইল চিনেন। হুম এটা তো টাঙ্গাইলের একটা থানা‌। শহর থেকে ঘন্টা খানেক লাগে যেতে। হঠাৎ ঘাটাইলের নাম বল্লেন কেন? না এমনি, আমার একজন স্টুডেন্টের বাড়ি সেখানে। ওহ, আচ্ছা। ।


08:12 pm

23.03.25

২৩.০৩

—----------------------------


#০৮

ছুটা আর বান্ধা এই দুই ধরণের তারাবীহ হয় আমাদের দেশে। ছুটা এইটা আবার কি? গ্রামে গঞ্জে তারাবীহ সব ছুটাই থাকে বান্ধা হয় কমই।  হুম, যখন বয়সটা খুব একটা বেশি না। ছুটা তারাবীহ পড়তাম। 


আজকে আমার এক ছোট ভাগিনা। মাদ্রাসায় পড়ে।  তারাবীহ পড়তে গেলাম দুজন। বল্লাম কি তারাবী ছুটা নকি? আরে না সুরা। তোমরা কি পড়ো আমি হেসে বল্লাম আমরা তো বান্ধা তারাবীহ পড়ি। মানে খতমে তারাবীহ। 


09:25 pm

23.03.25

২৩.০৪

—----------------------------


#০৯

টাঙ্গাইলের এক ভাই, ভাই বলতে ক্লাসমেট। ঠিক ইফতারির আগে ফোন দিলেন। চলে যাওয়ার পর সেই আজ প্রথম কথা হলো। লোকটা ভালো। সলিড মানুষ। ভুল কিছু দেখলে সোজাসাপ্টা বলে ফেলে। 


ভালো মন্দ কয়েকমিনিট কথা হলো। পরে জিজ্ঞাসা করলাম ঘাটাইলের কথা। বললো হঠাৎ ঘাটাইল কেন? এই তেমন কিছু না। 


আচ্ছা, ভাই একটা মেয়ে দেইখেন তো টাঙ্গাইলের দিকে। 

কেমন মেয়ে দেখবো। আচ্ছা ভাই আমার সিভির একটা অংশ দেই এটা দেখলেই বুঝবেন।


আপা সামনে বসে ছিলো। ইফতারি রেডি করছিলো। সব শুনে বলছে “এই টাঙ্গাইলের মানুষ ভালো না” 

বল্লাম কেন? আর কিছু বলতে পারলো না। ভালো মন্দ সব এলাকাতেই থাকে। 



আপা আপনার কথা জিজ্ঞেস করে প্রায়ই। প্রায়ই বলতে বাসায় আসলে। আজকেও জিজ্ঞেস করলো— “যে ছেলেটাকে তুই পড়াইতে ওরা এখনো যোগাযোগ করে?” 

কী বলবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। পরে এদিক সেদিক না ভেবে বল্লাম হুম, এখনো আছে। যোগাযোগ করে।  


11:42 am

24.03.25 

২৪.০১

—----------------------------


#১০

কান টাইন্যা ছিরালাম একেবারে।


ভাগিনার বয়স আট। নাজারা শেষ করেছে এবার। হিফজ ধরবে রমজানের পর। গোসল টোসল করে এসেছে। নামাজে যায় নাই এখনো। খেলছে। 

ওর মা রেগে মেগে, দাঁতে দাঁত কামড়ে বলছে, “কান টাইন্যা ছিরালাম একেবারে। নামাজে যা, আমি নামাজের কথা বললে মনে হয় নামাজের কথা। নামাজ পড়তে যায় তখন।”


পাশের রুম থেকে শুনছি এসব বকাঝকা আর হাসছি। কী সুন্দর সাশন নামাজের জন্য। সত্যি খুব ভালো লাগছিলো। এটাই তো হাদিসে বলেছেন রাসুল, সাত বছর হলে হালকা মৃদু আঘাত করবে বাচ্চাদের নামাজের জন্য।


আমার বোন খুব বেশি শিক্ষিত না। ইন্টারমিডিয়েট পাশ করছে মাত্র। নামহীন এক আলিয়া মাদ্রাসা থেকে এপ্লাস পাওয়া ছাত্রী। অসম্ভব মেধাবী। যেমন মেধাবী তেমন সুন্দরী। রূপ আর লাবণ্যে কমতি ছিলোনা কোন।  ক্লাসে কখনো দুই নাম্বার হয়েছে বলে মনে হয় না। হাতের লেখা কী যে সুন্দর ছিলো। ঐ বোনটারে আসলে কাজে লাগানো গেল না। ইন্টারে যখন ভর্তি হবে টানা হেচড়া শুরু হয়ে যা তাকে নিয়ে। এদিকে এই কলেজ বলে আমাদের এখানে ভর্তি হবে আরেকজন বলে আমাদের এখানে ভর্তি হবে সম্পূর্ণ স্কলারশীপে। কী সুন্দর মিষ্টি মধুর টানাটানি।‌


আলহামদুলিল্লাহ আপনার মতো সন্তান মানুষের কাজেই জীবনটাকে উৎসর্গ করেছে। 

02:27 pm

24.03.25

২৪.০২

—----------------------------


ايقظ اهله جد و شد المأزر



রাফানের আম্মুর দানের হিসাব।

মোট টাকা- ৪৫,০০০ (পঁয়তাল্লিশ হাজার টাকা)


রোকন স্যার দিয়েছে- ১০০০০/ (দশ হাজার টাকা)

আরো দিয়েছে - ১৫০০০/ (পনেরো হাজার টাকা, তারেকুজ্জামান সাহেবের এখানে)


আমি দিয়েছি- ৪,০০০/ (চার হাজার টাকা)

আবার আমি দিয়েছি- ৫০০০ (পাঁচ হাজার)

আবার আমি দিয়েছি - ৩০০০৳ (তিন হাজার টাকা, আব্দুর রহিম ভাইকে।)


রোকন স্যার ধার নিয়েছে- ২১,০০০ (একুশ হাজার টাকা)


আমি ধার নিয়েছিল - ৬,০০০ (ছয় হাজার টাকা)


রমজানের খাবারের জন্য ধার নিলাম (রোকন আমি)- ৩,০০০ (তিন হাজার)


জুনায়েদ কে দেওয়া হয়েছে ৮০০০(আট হাজার টাকা)


দানের হিসাব ক্লোজ।



07:21 pm

24.03.25

২৪.০৩

—----------------------------


—------------


#১১

আলহামদুলিল্লাহ আপনার দান সফলভাবে উপযুক্ত জায়গায় দিতে পেরেছি। তারপরেও কোন ভুল ত্রুটি হলে মাফ কইরা দিয়েন। দিবেন না মাফ করে। জানি আমার বলা এ কথাটা আপনি শুনতে চান না। আমার যে বলতে ভালো লাগে। 

আপনি সত্যি ভালো একটা মানুষ। সত্যি একটা ভালো মানুষ। এটা পাম না। হৃদয়ের গভীর থেকে বলা একটা কথা। পাম টাম খুব একটা দিতে আমি পারি না। হৃদয়ের গভীরে যা অনুভব করি, চিন্তা যা করি তাই বলি। 


কয়েকটা গুণ আপনার আছে আলহামদুলিল্লাহ। অসম্ভব সুন্দর কয়েকটা গুণ।


-বলবো? 

-আহারে আপনার বলবো এই অভ্যাসটা আর গেল না। 


-আচ্ছা আর কখনোই “বলবো” বলবো না। যা বলতে মন চাবে বলে ফেলবো। হোক সেটা যত ডিপ কথাই। তাইতো।

-হুম। 

-ওকে তাই হবে। 


এবার শুনুন

দ্বীনতো আছেই এটা না বললেও চলে। এটা নিয়ে কাজ করতে চান অবসর হলে। নিজেকে দ্বীনের রঙ্গে সাজাতে চান। 

দ্বিতীয়, জানার মানসিকতা। এই জায়গায় আমি দূর্বল, খুবই দূর্বল। নিজে শিখতে ভালোবাসি তাই আরেকজনের শেখার মানসিকতা দেখলে আনন্দে ফেটে পড়ি আমি। আর ভাবি ওর সাথে জ্ঞানীয় আলোচনা করতে পারতাম। চিন্তা শেয়ারিং হতো আমাদের। কোন টপিক নিয়ে তর্ক বিতর্ক করতে পারতাম। হাসি মজা খুনসুটিতে মজিয়ে জ্ঞানীয় আড্ডা দিতে পারতাম। এটা আমি খুঁজছি ছেলেদের মধ্যেও। 

তৃতীয়, মানার মানসিকতা। অসম্ভব ভালো একটা গুণ। শুরু থেকেই আমি দেখেছি আমার প্রতিটি কথা মনোযোগী শ্রোতার হয়ে শুনতেন আর অক্ষরে অক্ষরে পালন করতেন। আপনার এই গুণগুলোই বিশেষকরে রাফানকে নিয়ে ভাবতে আমাকে আরো উদ্বুদ্ধ করতো। কারণ এই জায়গাটায় অত্যন্ত দুর্বল আমি। জীবনের ছোট একটা পরিকল্পনা আছে এ বিষয়ে কেন্দ্র করে। কারণ কিছু মানুষ আমার দরকার যাদেরকে নিয়ে আমি আমার স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করবো। 


শত ব্যস্ততার মাঝেও রাফানের জন্য কিছু সময় আমি বের করতাম। যেভাবেই হোক বের আমি করতামই। এখনও করি—এই যে ঈদুল ফিতরের হলিডে রুটিন টা পেয়েছেন না, এটা আমি দিয়েছি‌। আব্দুর রহিম স্যারের মাধ্যমে পাঠিয়েছি‌। ঝামেলা পাকানোর আগে আমি বলেছিলাম। এখন থেকে সপ্তাহে একদিন আমি টাইম দিবো। 

বাট…যাক


মানুষের ভালো লাগার কাজগুলো  টাকার বিনিময় করানো যায় না। টাকা পেলেও করে না পেলেও করে। এর ভেতরে এক ধরনের আনন্দ আর প্রশান্তি সে খুঁজে পায় যা টাকার বিনিময়ে কেনা যায় না। সেটা আমি পেতাম।


তাই একটা সময় আমি বলেছিলাম— টাকা না দিলেও আমি আসবো। এটা ছিলো হৃদয়ের গভীর থেকে বলা রাফসানের প্রতি আমার অকৃত্রিম এক ভালোবাসা। তখনো তো আপনার সাথে আমার তেমন কিছুই হয়নি। 


আপনার অসম্ভব সুন্দর এই গুণগুলোই আমাকে এতটা সফট করেছিলো আপনাদের প্রতি, রাফানের প্রতি, রাইফের প্রতি যা সারা জীবন থাকবে।


সারাদিন কাজ করার পর যখন খুব করে ক্লান্ত লাগতো তখন রাফসানের সাথে একটু গল্প করতে মন চাইতো আমার। তাই পড়ানোর দিন যেদিন আমার ছিলো না সেদিনও আসতে চাইতাম। মানে বৃহস্পতি আর শুক্রবার। কিন্তু কিনা কি মনে করে ভেবে আর আসা হতো না‌। 


স্যার এত আসতে চায় কেন? কী সমস্যা স্যারের। 


এখন পর্যন্ত এমন কোন স্টুডেন্ট পাইনি যাদেরকে নিয়ে আমি কাজ করতে পারি। রাফান ছাড়া। 




06:30 pm

24.03.25

২৪.০৪

—----------------------------


#১২

নিউ কলোণী মসজিদে নামাজ শেষে আড়ং মাঠে এসে দাঁড়ালাম। কোনাকুনি মাঠ পেরিয়ে রাফানক পড়াতে যাবো‌ বাসায়। নিচের দিকে তাকিয়ে কি যেন ভাবতে ভাবতে হেঁটে যাচ্ছি বাসার দিকে।

 

মামা ফুচকা দোকানের সামনে আসতেই কানে ভেসে আসলো স্যার স্যার একটা কচি কণ্ঠ। কিছুটা আলো অন্ধকার মিলে আছে জায়গাটাতে। উপরে একটি কাঁঠাল গাছ ডানা মেলে দাঁড়িয়ে আছে। এদিকে সেদিক তাকিয়ে চোখে পড়লো খালাকে। সেই আগের খালাটা‌। রাইফকে নিয়ে খেলা করছে। 


ডানে রাফান আর আপনি। রাফানের মুখে ফুচকা তুলে দিচ্ছেন। ঝালে হাহু হাহু করছে আর নাচতে নাচতে খাচ্ছে। কিযে লজ্জা লাগছিলো তখন! খেতে জোর করছিলেন‌ আপনি। লজ্জায় খাওয়া কি আর যায়‌। 


পরে রাইফকে কোলে নিয়ে বাসায় গেলাম সবাই একসাথে। নিচে গেটের সামনে। দাড়োওয়ান গেট খুলবে। রাইফকে  কোলে নিয়ে পেছন আমি দাঁড়ানো। চোখ দুটো গিয়ে পড়লো আপনার সেই পিংক কালারের ডোরা টনা জুতাগুলোর উপর।‌ মনে আছে সেই দিনটার কথা? 

কেমন লাগছিলো তখন আপনার? 


06:56 pm

24.03.25

২৪.০৫

—----------------------------


#১৩

ইশ জীবনের কত স্মৃতি যে আছে। যেদিন আপনি আমার হবেন ঠিক সেদিনই বলবো, আমার সেই স্মৃতিগুলোর কথা‌। চোখের পানি আপনি ধরে রাখতে পারবেন না‌। 

হাউ-মাউ করে কান্না জুড়ে দিবেন। সবগুলো ইমেইজসহ ভিডিও করে রেখেছি‌। একান্ত নিজের কাছেই রেখছি‌ এগুলো। তাই আপনি একান্ত যেদিন আমার হবেন সেদিনই বলবো।


07:15 pm

24.03.25

২৪.০৬

—----------------------------


#১৫

একটা বিষয়ে আমি সন্দেহে পড়ে গেলাম। আপনার আগে আমার যে হবে তাকে কী বলে ডাকবো? আপনি না তুমি। 


আপনিটা যে আপনার জন্য বরাদ্দ নিয়ে নিয়েছেন। ‘আপনির’ অর্থটা ও আপনার সাথে প্রপারলি যায়। কারণ আপনি আমার সিনিয়র। তাই আপানিটা আপনার জন্যই রেখে দিবো‌? 


ঠিক আছে‌, আমার সবচেয়ে প্রিয় শব্দটা আপনার জন্যই রেখে দিলাম। যে আসবে তাকে “আপানির” বিকল্প শব্দ দিয়েই ডাকবো‌। 

কী সেটা এখনো ভাবা হয়নি তবে ভাবতে হবে। 


07:20 pm

24.03.25

২৪.০৭

—----------------------------

#১৬

আজকে কেন সেই গানটা একটু শুনতে মন চাইলো। শুনলাম একটু। যখন “দিল এহি রুখ জা যারা, পের মোহাব্বাত কারনে চলা হে তো।” লাইনটা কানে আসে আমার হাঁসফাঁস শুরু হয়ে যায়। হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। 


পড়ে কখনো কল দিলে আপনার কাছ থেকে এই লাইন দুটো শুনবো। 


মনে থাকে যেন। 


08:02 pm

24.03.25

২৪.০৮

—----------------------------

#১৭

এখন পর্যন্ত মন থেকে আল্লাহর কাছে চেয়েছি আর তা পাইনি এমনটা কখনো হয়নি। মন থেকে চেয়েছি অবশ্যই অবশ্যই সেটা পেয়েছি। 


09:06 pm

24.03.25

২৪.০৯

—----------------------------


#১৮

শুয়েছি প্রয় দশটার দিকে আর এখন এগারোটা পঞ্চান্ন। খাটাশের বাচ্চা চোখ দুটো চাতক পাখির মতো তাকাইয়া রইছে। কী যে বিপদে আছি। খুব করে কান্না করতে ইচ্ছা করতাছে। ঘুমাতে চাই কিন্তু ঘুম আসেনা। চোখ বন্ধ করে কতক্ষণ পরে থাকা যায়। 


মাঝে মাঝে মনে হয় ঘুমের পিল কি খাবো নাকি। চোখ ব্যাথা হয়ে যাচ্ছে ইদানিং। কেন এমন হচ্ছে আমার। আল্লাহ কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। 


আপনাদের বাসায় যখন যেতাম। রাফানের কাশি হলো।

 দু'দিন পর আমারেও ধরলো। আপনি বললেন, “স্টুডেন্টের কাশি স্যারকে ধরছে।” অস্বাভাবিক কাশি আমার দেখে লং আর গরম এক কাপ চা দিয়েছিলেন আমাকে। আর রাফানের কি যেন একটা কাশির চকলেট দিয়েছিলেন। খুব ভালো লেগেছিলো তখন। তখনতো এতকিছু মাথায় ছিলো না। এগুলো ভেবে ভালো লাগে এখন। 


এখন আপনার এই রোগ কি আমারে ধরছে। এমন হলে সত্যি আপনাকে মাইর দিবো। একটা দিবো ধরে। একটা খেঁচা দিবো ধরে। পরে বলবেন আরেকটা দেন।


আমার অনেক কষ্ট হচ্ছে, সত্যি কষ্ট হচ্ছে। কেন জানি ঘুমেই হচ্ছে না। দিনে এক ঘন্টাও ঘুম হয় কিনা জানিনা। কারণ ঘুমালে মনে হয় আমি সজাগ। চোখ বোধ হয় তাকিয়ে আছে। সব কিছু দেখছি শুনছি— এরকম লাগে। এটা কি আসলে ঘুম না ঘুমের নামে প্রতারণা ফাইজলামি। 


এই ঘুম এই তুই এত ফাইজলামি করাতছোছ কেন। থাপড়াইয়া কান চাঁপা লাল কইরা দিমু কিন্তু। তাড়াতাড়ি আইয়া পর কইতাছি। ঘুম দেখ, আমারে কষ্ট দিছনা। রাগে বইলা ফালাইছি। আর কমু না যা। তুই না আইলে যে মাথা গরম থাকে তুই তো জানস। আর বলবো না যা। তারপরেও আয় বাবা আয়। 


তোরে একটা গান শোনাই তারপরেও আয়। 

“আয় আয় চাঁদ মামা টিপ দিয়ে যা। চাঁদের কপালে চাঁদ টিপ দিয়ে যা।” এই মিয়া এই আপনি কইছেন ডাকবেন আমারে। গান গাইবেন আমারে নিয়া। শূনাইবেন আমারে্ একটা গান, এহন দেহি চাঁদরে ডাকতাছেন। চাঁদরে নিয়ে গান গাইতাছেন।  যানে যান আপনি আপনি আপনার চাঁদরে কোলে নিয়া ঘুমান। আমি আসতে পারুম না। 


হায়রে আল্লাহ এটাই তো তোমার গানরে ভাই। এটাইতো আমি জানি। আরে না এটা ভুল। গান এটা আমার না। সবসময় আমাকে ভুলভাল ডাকছো কিছু বলি নাই। নীরবে সহ্য করছি। দাঁত কামড়ে পইরা রিইছি।  আর না। এখন থেকে বলতে হবে— “আয় আয় ঘুম মামা ঘুম দিয়ে যা। সোনামণি/ কুখোমণির দুচোখে ঘুম দিয়ে যা।” 


আপনারে একটা দেওয়া দরকার। নিজের রোগটা আমারে দিয়া নিজে আরামে ঘুমাইতাছে। কাছে পাইলে একটা বসাইতাম ধরে। সত্যি কি পারতাম বসাইতে? 

জীবনেও না। এটাও কি সম্ভব? 

কারণ স্কুলে স্টুডেন্টদেরকেও বলি “একটা দিবো ধরে।” ওরা বলে “স্যার আপনি শুধু বলেন দেন না তো।” আমি হাঁসি। কী আর বলবো। দেওয়া কি যায়। মারা কি যায়। এটা কি সম্ভব। 


সে যত বড় অপরাধই করুক। গায়ে হাত তোলার অধিকার কি আমার আছে। রাসুল কি কখনো কোন স্ত্রীর গায়ে হাত তুলছেন? বকা কখনো দিয়েছেন? তার মানে কি ঝামেলা তাঁর জীবনে হয় নাই? হয়েছে তো। সমাধান কীভাবে করেছেন, মেরে, বকে, গায়ে হাত তুলে? না তো কীভাবে?


এই যে ইফকের ঘটনা। কতবড় একটা বিপদ। আয়েশা রা. পরকীয়া করলেন। কাফেরের বাচ্চারা তো এটাই রটালো। নবিজির সবচেয়ে প্রিয় স্ত্রীর ব্যাপারে এ অভিযোগ। চিন্তা করা যায়। সত্যমিথ্যা যাই হোক। বাস্তবতা তো তখনো অজানা। কিছু একটা ঝামেলা হয়েছে এটাই ছড়িয়ে গেল পুরো তল্লাটে। 


কী করলেন রাসুল তখন। মারলেন? বকলেন? গায়ে হাত তুললেন? 

না, তো করলেন টা কি? 


আল্লাহ কোথা থেকে কোথায় চলে গেলাম। 


আমিও ঠিক সেই রুলটাই প্লে করতে চাই। করবো। যদিও মজা করে বলি একটা দিবো ধরে। আর যদিও বা দেই কখনো। বলবে দেন না আরেকটা। যেমনটি আমার স্টুডেন্টগুলো বলে “স্যার, আমাকে একটা দেন, আমাকে একটা দেন।”


একজন স্বামী শুধু এই ইফকের একটা শিক্ষা নিজের জীবনে কাজে লাগাতে পারলে, তার বৈবাহিক জীবনটা তো অনেকটাই সহজ হয়ে যাওয়ার কথা।


12:51am

25.03.25

২৫.০১

—----------------------------


#১৯

আচ্ছা, একটা কথা বলি? 

বলুন।

আমি যখন মাঝে মাঝে রাফানের জন্য ফুচকা নিয়ে যেতাম। আপনি কি খেতেন একটা দুটো। না রাফান দিতো না। ও একাই সব সাবার করে দিতো?


আর শেষবার, আমার যতদূর মনে পরে। ঈদের আগে যেদিন আপনারা বাড়ি যাবেন এর আগেরদিন ফুচকা নিয়ে গেছিলাম। আর কিছু নিয়েছিলাম কি না মনে পরে না।


হ্যাঁ, মনে পড়েছে। সেই আগের খালার জন্য দুটো পান নিয়ে গেছিলাম। খালা খুব পান খেতো এটা আমি খেয়াল করেছিলাম। আর যারা পান খায় ওদেরকে পান দিলে অসম্ভব রকমের খুশি হয়।


সেদিন আপনি ওয়াটসাপে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলেন। সেদিন কি একটা দুটো ফুচকা খেয়েছিলেন আপনি?


সেদিন হয়তো একটা খেয়েছিলেন আপনি যেমনটা আমার মনে হয়। 


01:18am

25.03.25

২৫.০২

—----------------------------

#২০

আচ্ছা তখন যে আমি আপনাকে ডেকে  বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলতাম— রাফানের বিষয়ে, আমার চিন্তা, ওকে কিভাবে গাইড করতে হবে। তখন আপনি তড়িঘড়ি করে আসতেন। কোনদিন বা আসতেন না। “আজকে আম্মা ব্যাস্ত” রাফসান বলতো। 


যখন আমি ডাকতাম, তখন আপনার কেমন লাগতো?

 বিরক্ত হতেন কি? কারণ মাঝে মাঝে আপনি রাইফের কথা বলে উঠে চলে যেতেন। সত্যি করে বলুন তো, যখন বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের কথা হতো কেমন লাগতো আপনার? সত্যি কি কিছু মনে হতো আমার ব্যাপারে?


আমার কি হতো জানেন? সারাদিনের যত লার্নিং করতাম, সব ভুলে যেতাম। আমার ঐ জায়গায় ডিস্ট্রাকশনে পরে যেতাম। কাজের আগের রিদমে ফিরতে অনেক টাইম লাগতো।


অসম্ভব রকমের একটা আনন্দনাভূতি কাজ করতো আমার। আমি একজনকে নিজের মনমতো হেল্প করতে পারছি। হেল্প করার জন্য আমি ঠিক যে ধরনের মানুষ চাই, তারা ঠিক সেরকম। কিছু মানুষ গড়ার জন্য যে ক্যাটাগরির মানুষ আমি চাই পুরোপুরি তারা আমার অনুকূল। 


01:25am

25.03.25

২৫.০৩

—----------------------------


#২১

যদি কখনো তুই আমার হোস, তুই হবি আমার পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ রাণী। থুত্থুড়ে বুড়ি হলেও। তোর অধিকারের পুরো অংশটা পাবি। বুঝবি সত্যিকারের দিয়িত্বশীল স্বামী কি জিনিস। দুনিয়াটাও যে জান্নাত হতে পারে সেটা তুই দেখবি। 


রাসুলের পুরো আদর্শটাই ফলো করার চেষ্টা করবো। 


তুই হবি “আমার আপনি” আমারই আপনি। 


খুব বেশি আবেগাপ্লুত হলে তুই বলে ফেলি। রাগ করেন? 


01:48am

25.03.25

২৫.০৪

—----------------------------


#২২

একটা কথা বলছিলেন। “আমি আসলে উপরে যতটা ঠিক আছি নিচে ততটা ঠিক নাই।” 

এই মিয়া এই, আপনার নিচের এই ভ্যাজাইনার জন্যই কি আমি আপনাকে চাই। ঠিক আছে কি নাই এটা আমি বলছি? সারাদিন কি এটা নিয়েই পরে থাকবো আমি? চব্বিশ ঘন্টা মনে হয় আঁচলের নিচে মাথা গুঁজে রাখবো। কি আশ্চর্য। তাইলে তুই বুড়িটা কেন? (সরি রাগ করে বলে ফেললাম অনেক কিছুই)

তুই আমার সবচেয়ে প্রিয় বুড়ি একটা স্টুডেন্ট। 


আপনি নামক যে ব্যক্তিত্বটা আছে সেটাকে আমি চাই। চব্বিশ ঘন্টা কি আপনার নিচের অংশটা নিয়ে পড়ে থাকবো আমি। 


আর যদি শুধু ভ্যাজাইনাই আমার টার্গেট হয় তাহলে দুই বাচ্চার মা, অন্যের ব্যাবহৃত এটাকেই কেন চাই? এটা আগেও বলছি আর বলতে চাই না। 


আপনার উপর নিচ ঠিক আছে কি নাই এটা কি আমি জানি না? এরকম বলবেন না প্লিজ। 

এরকম আরেকবার বললে মাইর দিবো। সত্যি মাইর দিবো। একটা দিবো ধরে। 


01:59am

25.03.25

২৫.০৫

—----------------------------

#২৩

রাফানের বাবা কখনো অসুস্থ হলে আমাকে বলবেন। মৃত্যু মুখে পতিত হলেও আমাকে জানাবেন। ওনার কাছ থেকে ক্ষমা নিয়ে নিতে চাই। প্রয়োজনে ওনার সেবাশুশ্রূষা করে হলেও। এতটুকু হেল্প আমাকে কইরেন। 


02:03am

25.03.25

২৫.০৬

—----------------------------


#২৪

আপনার বাবা কি করে? 

আপনার ভাই প্রতিদিনই ভিডিও আপলোড করে। কী করে আপনার ভাই? এত সময় পায় কেমনে?

আপনার বাকি বোন জামাই যারা আছে ওনারা কি করেন?


02:05 am

25.03.25

২৫.০৭

—----------------------------


#২৫

জামা দুটি বানানো একেবারে জরুরী হয়ে পড়েছে। সাধারণত প্রয়োজন না হলে জামাকাপড় বানানো হয় না আমার। কারণ বসনরতি মানুষ আমি না। বলা যায় জ্ঞানরতি মানুষ আমি।

সন্ধ্যায় ছেয়ে গেছে পুরো আকাশ। আযান হলো মিনিট পাঁচেক আগে। মাগরিবের নামাযটা বিবি মসজিদেই পড়লাম। রোকন আমি।

একসাথে দুজনের পথচলাটা শুরু হয়েছে বেশ আগে থেকেই। সুখ দুঃখের অনেক স্মৃতিই জড়িয়ে আছে তার সাথে। এমন কিছু আছে যা তার সাথে শেয়ার করা হয়নি, হয়তোবা সে জানেও না। চাইনা আমি– এগুলো কেউ জানুক। শুধু একজন, শুধু একজন, যিনি আমার সবেচেয় কাছের, আমার প্রতিটি নিঃশ্বাস যিনি দেখেন। তিনিই জানুক। 


কেনাকাটা কোন কিছু করলে দুজন একসাথেই যাই আমরা। ফাঁকে ঝুঁকে কিছু খাওয়াও হয়। 

এই তো কাপড় দুটো আজকে কেনা দরকার। একসাথেই গেলাম সুপার মার্কেট। 

মার্কেট টার নাম সুপার মার্কেট না রেখে সুন্নাহ টাওয়ার দিলে ভালো হতো। ইসলিমিক আইটেমটই পাওয়া যায় বেশি এখানে। 


পরিচিত দোকান। খুব পরিচিত তা না। তবে পরিচিত। কাপড়ের স্তুপ বানিয়ে ফেলছে দেখাতে, দেখাতে। তবে মাথায় আমার আছে কোনটা বানাবো। পাকিস্তানি গ্রেস। 


এখন কালার নির্ধারণ করার পালা। প্রথম দেখাতেই একটা কালার পছন্দ হলো আমার। নিলাম এটা আমার পছন্দে।


রোকন কে বল্লাম, তুমি আরেকটা দেখো তো কোনটা নিতে পারি। এটা নাও ভালো লাগবে। ঠিক ঐ সময়ের যে একটা ধাক্কা আসছিলো মনে, উহু, এটা ভালো লাগবে না। মানে হলো, শায় দেই নাই মনটা। টানে নাই মনটা। একেবারেই না, বাট রোকন বলছে এটা সুন্দর হবে। তাই নিলাম এটা। 


যে কালরটা প্রথম দেখায়ষ পছন্দ আমর হয়েছিলো। সেটা গায়ে দিলেই অন্যরকম এক অনুভূতি আসে। বেশিরভাগ সময়ই পড়া হয় এটা। এমনও তো হয়েছে অনেকেই বলেছে। স্যার, আপনার কি জামা একটাই, শুধু এইটাই পড়েন। মুচকি একটা হাসি আমি‌ দিয়ে বল্লাম, হুম জামা আমার একটাই।

বাট জামা অন্যটা খুব বিপদে না পড়লে গায়ে দেওয়া হয়না। সেই যে প্রথম দেখায় ভালো না লাগার একটা প্রবণতা তৈরি হয়ে গিয়েছিল। এখনো এটা অনুভব হয় দেখলেই, গায়ে দিলেই। 


আমাদের জীবনের বাস্তবতা টা কি আসলে এরকম নয়। এরকমই তো। হুম এরকমই।


সেই প্রথম দেখা, প্রথম সেই আপনিটা। সেই প্রথম প্রথম। 


02:12am

25.03.25

২৫.০৮

—----------------------------


#২৬

আজ হঠাৎ মনে হচ্ছে বেশি দিন বাঁচবো না হয়তো আমি। অল্প হায়াত নিয়ে বোধহয় এসেছি দুনিয়াতে। কবে কখন ডাক আসে জানা নেই। তবে বেশি সময় আমার নেই তাই মনে হলো। 


না জানিয়ে কখনো ওপারে চলে গেলে আপনার জায়গা থেকে আপনি আমাকে ক্ষমা কইরা দিয়েন। আরেকটা দায়িত্ব দেই। জীবনের কোন এক পথে ভাইয়ার কাছ থেকে কোনোভাবে আমার ক্ষমাটা করাইয়া নিয়েন। 


সরাসরি বলে কয়ে ক্ষমা নিতে হবে বিষয়টা এমন না। বলবেন দুনিয়ার সবাইকে ক্ষমা কইরা দাও। ক্ষমা করলে আল্লাহও বান্দাদের ক্ষমা করেন। আমি তাই করি। 


এ যাবত পর্যন্ত যত মানুষের সাথে উঠাবসা আমার হয়েছে কারো প্রতিই কোন অভিযোগ নাই আমার। সবাইরে ক্ষমা কইরা দিছি।

এখানে যতটা সহজে ক্ষমা করে দেওয়া যায় সেখানে সম্ভব না। তাই এখানের কষ্টটা তো সোয়া যায়‌। বাট সেটা কি সইবে? আমার কারণে মহা কঠিন দিনে কেউ আটকে যাক এটা আমি চাই না। কখনোই না। 


1:13 pm

14.03.25

—----------------------------


#২৭

শোন হে প্রিয়! একটা কথা বলি শুনবে? রাগ করবে না তো আবার। করবে রাগ? আচ্ছা থাক রাগ লাগলে বলবো না। 

-আরে রাগবো কেন? বলুন না? আচ্ছা আমি কি সবসময় রেগে যাই। 

-আচ্ছা, রাগা লাগবে না। রাগলেও ভালো। আপনাকে রাগলে অনেক…? 

-কী অনেক? 

-আরে না কিছু না। থাক কাজের কথায় যাই। 

আমি কি ভাবছি জানো? অহ, সরি জানেন? আপনি যে “আমার আপনি” এটাতেই থাকা ভালো।

-আচ্ছা হলো কি বলুন না। কী ভাবছেন?

-তেমন কিছু না। “আমার আপনির” কাছে কখনই পুরনো হতে চাই না। সবসময় “আমার আপনির” জন্য নতুন আপনি থাকতে চাই। 

সবসময়, যতদিন বেঁচে থাকি।

-ধুর এই একটা কথা। 

-হুম, আমার আপনি। 


(অজানা মানুষটার জন্য। আপনার অপেক্ষায় হে প্রিয়!)


7:04 pm

24.02.25

—----------------------------

#২৮

ধরেন আপনার স্বপ্নের মানুষটাকে পাইলেন তখন কী করবেন? 


02:28 am

25.03.25

—----------------------------


#২৯

অন্যায়ভাবে, কাউকে কষ্ট দিয়ে কখনোই আমি আপনাকে পেতে চাই না।


রবের ইশারায় সবকিছু যখন প্রস্তুত হবে,  বৈধভাবে, কষ্ট কাউকে না দিয়ে তখন আমি পেতে চাই। হোক এটা যে কোন সময়।


02:35 am

25.03.25

২৫.১০

—----------------------------


#৩০

আপনি কেনই বা আসলেন আমার জীবনে‌। ভালোই তো ছিলাম কোন এক প্রত্যাশিত কাউকে চাওয়া ছাড়া। কেনই বা আসলেন আর রয়ে গেলেন দূরে। যাও আসলেন তাও একেবারে আপনার জীবনের লাস্টে। 


আগে পরে কোন বিষয় না। যদিও পাওয়া যেত তাও তো হতো। পরে হলেও। তবে হবে হয়তো কোন এক সময়। সে আশার আলো আমি দেখছি হৃদয়ের একটা কোনে। আপনার জন্য রাখা সেই ছোট্ট জায়গাটাতে‌।


আমি কি পেরেছি আপনার হৃদয়ের কোনে একটা জায়গা করে নিতে? হৃদয়ের কোন একটা কোনে কি আমার বাস আছে?

যেমন আমি অনুভব করি। আমার হৃদয়ের গভীরে, ছোট্ট একটা কোনে। আপনি আছেন, আছে রাফান, রাইফ। থাকবেন সারাজীবন। 


আপনার প্রতি একটা অনুরোধ, নিজের আমল, আখলাক নষ্ট কইরেন না। নামাজ রোজা নিয়মিত আদায় করবেন। বাবা দুটোর যত্ন নিবেন। ওদের যে কোন সমস্যা আমাকে জানাবেন যেকোনো মাধ্যমে। সময় করে আমি এর লিখিত সমাধান পাঠাবো।


ভাইয়াকে অবহেলা কইরেন না। ভাইয়া একজন ভালো মানুষ। যদিও এতকিছু আশপাশের বুঝেনা, জানে না। তবে অনেক ভালো ভাইয়া। ভাইয়ার জন্য দোয়া করি সবসময়। আপেল ভাইয়া, সত্যি আপনি ভালো একজন মানুষ। আল্লাহ আপনাকে একজন জান্নাতি মানুষ বানিয়ে দিক। আমাকে মাফ কইরা দিয়েন। 


05:28 am

25.03.25

২৫.১১

—----------------------------


#৩১

রাফানকে দেখতে ইচ্ছা করছে। খুব করে মনে চাচ্ছে। রাফান রাইফকে একনজর দেখতে। হবে না যে আর দেখা। কখনো কি ওদের সাথে কোন কথা হবে আমার? জানিনা হবে কিনা। 


আচ্ছা বলুনতো আপনি, হবে কি কোন দিন? আমি যে ওকে গাইড করতে চাই। আচ্ছা আপনারা না চাইলে তো আর দরকার নাই। এত পিরিতি দেখাইতে আইছে— এ কথা বলবেন পরে। আপনি না বলেন কেউ হয়তো বলবে। 


দিবেন একটু দেখতে আপনার কলিজার টুকরো দু'টোকে। আপনার চোখের তারা দুটোকে। আপনার পৃথিবী দুটোকে। 


05:37 am

25.03.25

২৫.১২

—----------------------------


#৩২

যে কল্যাণ আমি নিজের জন্য চাই, ঠিক সেটা আপনার জন্যও চাই। চাই আপনার কলিজার টুকরোগুলোর জন্যও। চাই সকল মুমিন মুসলমানের জন্য।


প্লিজ, নিজের পুরো দিনটাকে একটা শৃঙ্খলায় নিয়ে আসেন। রাফান রাইফকেও ছোট ছোট করে বোঝান। নিয়ম করে এদের টাইম দেন, প্রোডাক্টিভ টইম। ওদের নিয়ে বসে ফিলিস্তিনের গল্প করেন। বর্তমানের অবস্থার কথা বলেন। এক দুই লাইনে বলেন।  তাদের দুঃখ কষ্টগুলোর ভিডিও বা ছবি দেখান। রাসুলের কথা বলেন। এমন কিছু কথা বলেন যে তাকে ভাবতে হয়। ভেবে উত্তর দিতে হয়। 


তাকে মাঝে মাঝে এমন কিছু প্রশ্ন আমি করতাম তাকে অবশ্যই চিন্তা করতে হতো। আর বলতো স্যার, আর থিংক করতে পারছি না, তুমি বলো এর সমাধান কি? 


ধরেন লাইফের একটা প্রবলেম আমি দেখালাম, যেটা সে আগেই ফেইস করেছে। যেটা তার সাথে যায় ওর বয়সের সাথে যায়। ড্রয়িং করে দেখালাম। দেখেছেন হয়তো। এরকম একটা ফর্মুলা আমি একে ওকে দিয়েছিলাম। মাঝে মাঝে সুন্দর সুন্দর ইউনিক আনসার করতো। খুব ভালো লাগতো। 


মানুষের প্রতি দয়া সহমর্মিতা তৈরি করেন। শেখার প্রতি একটা ভালোবাসা গেঁথে দেন এখনি। ইশ, এটাই চেষ্টা আমি করছিলাম। যদি পারতাম এটা হতো আমার বড় একটা অর্জন। 


কতটুকুন পেরেছি জানিনা। তবে ছোট মানুষ তো বুঝবে না। আরো কিছুদিন করতে পারলে ফুললি সাকসেস হয়তো হতে পারতাম। 


তার অজান্তেই এমন কিছু থিম তার মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলাম যা একাডেমিকলি কখনই সে শিখতে পারবে না। ইশ, আর কিছুদিন অভজার্ভ করতে পারলে খুব ভালো হতো। 


02:29 pm

25.03.25

২৫.১৩

—---------------------------

#৩৩

মাঝে মাঝে ভাবি, অতিরিক্ত আমার এই আলগা পিরিতি কীভাবে আপনি বা আপনারা দেখেন? আবার মনে করেন কিনা কি? কতটা আন্তরিক আর কতটা লৌকিকতা। কোনটা কি বোঝা বড় দায়? 


এর একটখ সহজ উত্তর দেই? 


আমার ভেতরের অংশটা দেখাতে পারলে বুঝাতে হয়তো পারতাম এটা আন্তরিক না লৌকিকতা। তবে একদিন ভেতরে আমি টাকে তো দেখবেন । সেদিনই না উত্তরটা পেলেন। কতটা নির্জলা আন্তরিক ছিলো আমার এই চাওয়াগুলো। 


জানি এটা আমার বেশি ভাবভাবি। আপনি এমনটা কল্পনাও করেন নাই। 


03:33 pm

25.03.25

২৫.১৪

—---------------------------

#৩৪

“আমি আর এ বিপদের সম্মুখীন হতে চাই না। অনেক লাঞ্ছিত হয়েছি‌, অপমানিত হয়েছি, আর হতে চাই না আমি। আরেকটা ভালো মানুষের ইমেইজ নষ্ট করলাম। ”


I am sorry, I am extremely sorry. 


ইশ, কি কষ্টটাই না আপনার হয়েছে। কী লাঞ্ছনা বঞ্ছনার শিকারই না আপনি  হয়েছেন। আপনার হাত কাটার বিষয়টা কিছুটা আঁচ করতে পেরেছি। কাচের টানেই হয়তো কাটা হয়েছে আপনার হাতটা। কেটে যায়নি, কাটা হয়েছে ধারালো কাঁচের টানে। 


এটা মনে হলে আর আটকে রাখতে পারি না নিজেকে। তখন মনে হয় তুই মরলেও তুই আমার হবি। আমার কাছে টেনে নিবো। পৃথিবীর কোন বাঁধাই আটকাতে পারবে না। আল্লাহ চাইলে। আমি আসবো আপনার আপনি হয়েই আসবো। কথা দিলাম। 


আসলে আমার তো শুধু মানসিক একটা চাপ গিয়েছে। ফিজিক্যাল কোন আঘাত আমার গায়ে পরে নাই। আপনার মুখমুখি হতে হয়েছে দুটোই। রক্ত জড়াতে হয়েছে। 


মনে হয় এরকম একটা হাদিস পড়েছিলাম, “এটা কীভাবে সম্ভব, যে স্ত্রীকে মারধর করে আর তার সাথে জীবনযাপন করে।” 

তবে হাদিসের অর্থটা অনেকটাই এরকম। 

আরেকটা হাদিস এসেছে, “তাদের সাথে কোমল আচরণ করো।”


স্ত্রী যত বড় অপরাধই করুক হাত তোলা যাবে না কোনভাবেই তার গায়ে। হাত তুলতে হবে কখন বলে দেওয়া আছে সেটাও। হাত ব্যবহার হবে কতটুকু তাও বলে দেওয়া হয়েছে। চেহারায় না, শরীরে দাগ হয় এরকম কোন আঘাত না। 


তাহলে কেমন আঘাত? 

মৃদু আঘাত, যেটা আমরা আদর করে অনেক সময় দেই এই টাইপের। বাট এটা রাগের সিস্টেমে দিতে হবে। আদর করে যে মৃদু আঘাত করি এর চেয়ে বেশি কখনই হতে পারবে না। তাহলে এটা হবে জুলুম। 


লাস্ট একটা কথা, তুই চাস বা না চাস, জীবনের কোন এক পথে সুযোগ হলে আমি আসবই ইনশাআল্লাহ। এটাই আমার ফাইনাল কথা। এখন যে সময়ই হোক। 


তবে কাউকে কষ্ট না দিয়ে, কারো অধিকার নষ্ট না করে। তখন। আল্লাহ চাহে তো দেখা হবে ইনশাআল্লাহ।


তোর এই কাটা হাতটিতে সান্তনার প্রলেপ দিতে চাই। তোকে দিয়ে জৈবিক চাহিদা মেটানোর ইচ্ছা আমার নাই। সত্যি নাই। তাহলেই তো কবেই আপনাকে কুপ্রস্তাব করে বসতাব।


04:38 pm

25.03.25

২৫.১৫

—---------------------------

#৩৫

রাফান বড় হলে আমার সাথে যোগাযোগ রাখতে বইলেন যখন ও ফোন ইউজ করবে। 


আর কোন স্ক্রিনশট আপেল ভাইয়ের কাছে থাকলে কোনভাবে এগুলো মুছে ফেলতে বলবেন দয়া করে। যে কোনভাবে। সরাসরি কিছু বলে না। কৌশলে। আপনি যেভাবে পারেন। আপনার জন্যও ভালো না এগুলো আমার জন্যও না‌। 


01:40 pm

26.03.25

২৬.০১

—---------------------------

#৩৬

যে জায়গাগুলোতে দাঁড়িয়ে কথা বলতাম আপনার সাথে, সেই জায়গাগুলোতে গেলেই পনের পড়ে যায় সেই দিনগুলোর কথা। 


গতকাল বিকাল। বাসায় বসে আছি আর স্ক্রলিং করছি। আরটিভির একটা ভিডিও হঠাৎ সামনে আসলো। থেমে গেলাম। বলা যায় আমাকে থামিয়ে দিলো। অঙ্গুষ্ঠ থমকে দাঁড়াল। নিচে আর যাচ্ছে না। স্ক্রল আর করতে পারছে না। 


কী ছিলো এমন ভিডিও পাতে যে থমকে দাঁড়াতে হলো। আহামরি তেমন কিছু না আসলে। ছোট্ট একটা বাক্য; হুম, ছোট্ট একটা বাক্য আমকে দাঁড়াতে বাধ্য করলো। 


কান্না বিজড়িত কন্ঠে বলছেন, “কখনো আমার সাথে কথা বলতে ইচ্ছা করলে এই ডায়রিটাতে লিখে রেখো। পরে কোন একদিন হঠাৎ এসে চেয়ে বসবো” 


ডায়রিটা উপহার দিতে দিতে বলছিলেন একজন। এটাই তাদের শেষ দেখা। আর হয়তো দেখা কখনো হবে না। 


আমি যে লিখে রাখি আরো আগে থেকেই। হঠাৎ কোন একদিন ডায়রিটা চেয়ে বসবেন যে। 


01:58 pm

26.03.25

২৬.০২

—---------------------------

#৩৭

আজকে ডাক্তারের কাছে গেছেন। রাইফের চোখে কিছুটা প্রবলেম হয়েছে। রাফানকে রেখেই চলে গেলেন। রাফান রাগ করেছে। কান্না করেছে। যে রুটিন টা দিয়েছি এটা হলো কইরেন কিন্তু।


আচ্ছা, আমি যেমন কখনো কখনো কোথাও আপনাকে দেখতে পাই। সবসমৎ এমনটা হয় তা না‌। বাহিরে গেলে পাঞ্জাবি পড়া কোন লোককে দেখলে কি তাই মনে হয়? মনে হয় হয়তো না। 


03:37 pm

26.03.25

২৬.০৩

—---------------------------

#৩৮

আপনার জীবনে ঝামেলা কখনো হোক এটা আমি চাই না। এখন কী কাজ আপনার? সুখ দুঃখে জীবনটাকে টেনে নিয়ে যাওয়া। বাচ্চা দুটোকে মানুষের মতো মানুষ করা। ভাইয়াকে টাইম দওয়া। বাচ্চাদেরকে টাইম দেওয়া। নিজেকে টাইম দেওয়া। দাঁত কামড়ে দ্বীনের উপর অটল থাকা। 


কখনো আমি আর বিরক্ত করবো না আপনাকে। কখখোনো না। ভালো থাকেন, শুধু এই দোয়া করি। তবে আমি আপনার অপেক্ষায় থাকবো, আমার “আপনি” হয়ে আসার আগ পর্যন্ত, আমার “বলুন” হয়ে আসার আগ পর্যন্ত, আমার “জুবায়ের” হয়ে আসার আগ পর্যন্ত। 


রাফান, রাইফকে তো পরোক্ষভাবে গাইড করবোই। দোয়ার কথা আর কী বলবো? এটা আমি সবসময় করি, করবো জীবনভর।


দানের একটা অংশ আপনাদের পরিবারের জন্য আমি করি। আমার পরিবারের পাশাপাশি আপনার পরিবারটাকেও মনে পড়ে দানের সময়। সত্যি মনে পড়ে। এটাই দোয়া। প্রতিটা দানের সময়। দোয়ার সময়।‌ মনে পড়ে যায় মনের অজান্তেই। 


আমি ভুলে যাবো না কখনো আপনাকে, রাফানকে, রাইফকে, আপেল ভাইয়াকে। সবার জন্যই দোয়া করবো যতদিন বেঁচে থাকবো।


তবে আপনার হাতটা আমার জন্য বরাদ্দ থাকলে, সময় মতো আমার মাথায় রাখবেন আপনার কোমল হাতটি। গল্প একটা শুনবেন আমার কাছ থেকে। আমার কলিজায় মাথা রেখে।


শেষ রাতে কোমল স্বরে, আঙ্গুলে ছিটানো মৃদু জলস্পর্শে ঘুম ভাঙ্গবে আপনার। দু'জন দাঁড়াবো রবের সামনে, একই মুসাল্লায়। চতুর্দিকে সব ছেয়ে যাবে এক নিস্তব্ধ নিরবতা। শুধু অশ্রুসিক্ত চোখ দুটো রবের দোয়ারে ফরিয়াদ‌ জানাবে। 

কায়মোনাবাক্যে বলবো, হে রব আমার, হে রব, ……।


কখনো বা জোৎস্না রাতে দুজনের দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন হবে। ইচ্ছে করেই আমি হেরে যাবো তখন, আপনার সেই সুখানুভূতিটুকু দেখার জন্য।  


সবসময় আনন্দঘন মুহূর্তে কাটবে আমাদের জীবন। বিষয়টা এমন না। কখনো বা হবে আমাদের ঝগড়া। তবে ঝগড়াটা হবে মিষ্টিমধুর। থাকবে না কোন বকাঝকা, মারপিট বা কোন অশ্লীলতার ছোঁয়া। যেমনটা হতো আমাদের রাসূল সাঃ এর পারিবারিক জীবনে। 


ঝগড়াও যে মিষ্টিমধুর হতে পারে, পড়েছি বইয়ের পাতায়, জেনেছি রাসুলের জীবন থেকে। আর বাস্তব জীবনে জেনেছি আমার প্রিয় দাদুভাইয়ের কাছ থেকে। কুরআনেও এরকম একটা কথা এসেছে। “আহলে কিতাবদের সাথে তোমরা উত্তম পদ্ধতিতে ঝগড়া করো।” সুরা আনকাবুত আয়াত-৪৬


যদি তাদের ক্ষেত্রেই নির্দেশনাটা এরকম হয়, তাহলে যে মানুষটা সব ছেড়েছুড়ে আমার হাত ধরেছে, তার সাথে ঝগড়াটা কেন উত্তম হবেনা। হবে না মিষ্টিমধুর। 


হৃদয়ের কোনে রাখা আপনার জন্য ছোট্ট জায়গাটা বন্ধ হবেনা কখনো, খোলা থাকবে সবসময়।


আপনার সাথে কখনো কথা বলতে মন চাইলে লিখে রাখবো ডায়রিটাতে। কোন এক পথে দেখা হলে তখন মেলে ধরবো ডায়রিটা আপনার সামনে‌। আর বলবো, এই যে দেখেন কত কথা হয়েছিলো আপনার সাথে। আপনি যে আমার সেই আপনিটা। যার অবস্থান হৃদয়ের ঠিক কতটা গভীরে খুঁড়ে যদি দেখাতে পারতাম। 


বুকের ভেতর জমিয়ে রাখা কথাগুলো লিখে রাখবো আপনার নামে ডায়রিটাতে। সুযোগ হলে পড়ে নিবেন। 


06:33 pm

26.03.25

২৬.০৪

—---------------------------

#৩৯

শেষ যেদিন আমি গেলাম। একটা চিরকুট দিয়েছিলাম। হৃদয়ের গভীর থেকে কিছু নসিহাও করেছিলাম। হৃদয় নিংড়ানো কিছু কথাও বলেছিলাম সেই চিরকুট টিতে। মনে আছে এখনো সেই কথাগুলো? চিরকুটটি কি এখনো রাখা আছে সজতনে কোথাও? জানতে ইচ্ছে করছে খুব। 


আছে কি নেই আমার জানা নেই। মন বলে হয়তো আছে, হয়তো নেই। যাক, থাকলেও আছে, না থাকলেও আছে। 


জানতে ইচ্ছে করছে, খুব করে জানতে ইচ্ছে করছে। এই যে বিদায়ের শেষে সময়ে দেওয়া ছোট্ট চিরকুটটি। একটা খামে ভরে হয়তো দিয়েছিলাম যতদূর মনে পড়ে। আপনি নিতে চাচ্ছিলেন না। “আরে না না স্যার বলে প্রত্যাখ্যান করছিলেন।”


তখন আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে, আপনি মনে করছেন, টাকা হয়তো কিছু দিচ্ছি আমি। তাই বার বার বলছিলেন “না স্যার না স্যার” পরে আপনার মোটিভ বুঝে আমি বল্লাম, “আরে এটা একটা কাগজ নেন।”  তখন নিলেন। এই যে বের হলাম…।


আমি বের হওয়ার কতক্ষণ পর খামটা খুলেছিলেন আর চিরকুটটি পড়েছিলেন? 

পড়ে কী অনুভূতি হয়েছিল তখন। আর কী ধারণাই বা হয়েছিলো আমার প্রতি। কেমন লাগছিলো তখন আপনাদের?


বলেন না একটু মন থেকে? না, না আপনার শব্দটাই বলি, “বলুন না একটু মন থেকে”

আপনার বলা কিছু শব্দ না আমাকে একেবারে জড়িয়ে ধরে রেখেছে। মাঝে মাঝে বিশাল আকাশের দিকে তাকিয়ে বড় একটা নিঃশ্বাস ছাড়ি। যখন মনে হয় এই শব্দগুলো। আর কানে আসে এই শব্দগুলোর প্রতিধ্বনি। 

যেমন, 

এই জুবায়ের 

আপনি

বলুন

এই “চুপ, চুপ চুপ, একদম চুপ। 

বেশি কথা বলে

এই আমারটা শেষ হয়নি 

আপনাকে মেরে ফেলবো আমি

একেবারে বিপদে না পড়লে মিথ্যা বলি না

আমার কোন শব্দ কি আছে যা আপনার কানে এখনো বাজে। হুম এখনো বাজে আমার মতো।

-হুম, বাজে তো

-বলেন তো কয়েকটা?

- এই যে ধরেন,

একটা দিবো ধরে।

ওল্ডেস্ট স্টুডেন্ট

কিচ্ছু বুঝে না

মাথায় দিবো একটা

আমি আসবো আপনার আপনি হয়ে


11:23 pm

26.03.25

২৬.০৫

—---------------------------

#৪০

পায়েস আর তরকারির সেই বাটি দুটো রেখে দিয়েছি সুন্দর করে সাজিয়ে। কেমন যেন আজানা এক টান অনুভব করি তাতে। সেই শপিং ব্যাগটাও আমাকে কেমন যেন অন্যরকম একটা অনুভূতি দেয়। মুখে এখনো লেগে আছে আপনার সেই পায়েশের স্বাদ, তরকারির একটা।


একটা লেখা পড়েছিলাম, যতটুকু মনে পড়ে তিনি একজন জগত বিখ্যাত ব্যাখ্যাকার, বুখারি শরিফের ব্যাখ্যা গ্রন্থ লিখেছেন। 

তিনি বলেছেন, “যাকে ভালো‌লাগে তার সবকিছুই ভালো লাগে।” 

হুম সবকিছু মানে, সবকিছুই। একদিন আপনাকে বলেছিলাম, তার থুথুটাও ভালো লাগে। 


তার ব্যবহৃত কোন জিনিসও বাদ যায় না। যেমন, জামা, জুতা, তার দেওয়া কোন ব্যাগ যার মূল্য আসলে এক পয়সাও না। কারো বা ডাস্টবিনের ময়লা। সেটাও তার কাছে আগলে রাখার মতো প্রিয় কোন এক বস্তু। 


12:10 pm

27.03.25

২৭.০১

—---------------------------


#৪১

অস্থির, হাঁসফাঁস অবস্থায় চোখ দুটো আপনার লেগে এলো। কখন চোখের পাতা দুটো পড়ে গেছে আপনিও জানেন না। 


ঘুমের রাজ্যে চলে গেছেন। কিন্তু আপনার মন মগজে আমি। হঠাৎ শীতল একটা হাতের পরশ এসে পড়লো আপনার কপাল বরাবর। 


নতুন এক হাত। কী‌ শীতল। কী মায়া সে স্পর্শে। সকল দুঃখ কষ্ট আর ক্লান্তি দূর হয়ে যায় যে স্পর্শে। হাতের শীতলতা পৌঁছে গেছে অন্তরাত্মায়। পুরো শরীর শিহরণ দিয়ে উঠলো। লোমকূপ দাঁড়িয়ে গেল। সাথে সাথে ঘুম ভেঙ্গে গেল আপনার। 


10:57 am

28.03.25

২৮.০১

—---------------------------

#৪২

আপনি খুব ভালো। খুব ভালো। হুম খুব ভালো। এত ভালো কেন আপনি? আমি মনে হয় একটু‌ কেমন যেন তাই না? 


আপনি, আপেল, আমি এই তিনটি সত্তা এখানে। আমিটাকে শেষেই রাখলাম। কারণ একজনের বর্তমান ‘তুই’ বা ‘তুমি’ আপনি। আমার ‘আপনি’ তো এখন না। হলেও পরে কোন একসময়।


তিনটা সত্তা একই টাইমে মারা যাবে এমন কি হতে পারে? হতে হয়তো পারে জানিনা আমি। আমি শুধু না, জানি না কেওই। 


যদি কখনো আমি আগে মারা যাই, তাহলে তো জীবনের খেলাটা এখানেই শেষ আমার। আপনি যদি আগে চলে যান তারপরেও সম্পর্কটা থেকে যাবে আপনার বাবাদের জন্য আমার হৃদয়ের গভীরে। আর যদি আপেল ভাই আগে যায় তাহলে তো আল্লাহর পরিকল্পনাই বাস্তবায়ন হবে। 


আর যদি এমন হয় আপনি বুড়িয়ে গেছেন। খুব করে বুড়িয়ে গেছেন। থুত্থুড়ে বুড়ি। বয়স প্রায় সত্তর। আমার বয়স তখন বাষট্টি। রোগে কাবু না করলে বাষট্টি বছর বয়সেও সুস্থ থাকা যায়


গত কিছুদিন আগে দুজন রিকশা চালকের সাথে কথা হলো।‌ ওদের সুখ দুঃখের কথা শুনতে ভালো লাগে। সাধ্যমত কিছু সাহায্যও করার চৈষ্টা করি। 

-বল্লা, আঙ্কেল আপনার বাড়ি‌ কোথায়? 

- সিরাজগঞ্জ।

ছিমছাম গড়নের লোকটা। দাঁড়িগুলো সুন্দর কাশফুলের মতো সাদা হয়ে আছে। তাই একটু কৌতুহলী হয়ে জিজ্ঞেস করলাম।

-আঙ্কেল আপনার বয়স কত?

-এই তো সংগ্রামের সময় আমার বয়স ছিলো তেরো চৌদ্দ। তাহলে কত হবে? মনে মনে হিসাব কষে দেখলাম প্রায় আটষট্টি বছর বয়স। এখনো দিব্যি প্যাডেলের রিকশা চালান। তাও আবার রোজা রেখে। 

নেমে ভাড়ার ডাবল ভাড়া দিলাম। কীযে খুশি হলো চাচাটা। 


তাই রুগ্ন হয়ে না গেলে একপ্রকার যুবকেই থাকবো তখন। আপনি চলতে ফিরতে হয়তো পারবেন বাট হারিয়ে যাবে সব সময়ের স্রোতে। 


বাচ্চারাও যথেষ্ট বড় হয়েছে। নিজেদের সংসার হয়েছে। আপনার নাতি নাতনি ও হয়েছে। এদের সাথে খেলা করেই আপনার সময় কাটে। তখন তো আসলে এই মানসিকতা থাকবে না। সব ছেড়ে আমার কাছেও আসাও সম্ভব না। আর আমি আসবে বেড়াতে এটা হতে পারে

শৈশবের সেই টিচার হিসেবে।


বাট, আপনার সাথে একান্তে গল্প করার সুযোগ তো হবে না। তখন আপনি আমার বৈধ আপনি হলেও। করা যাবে, যাবে না তা না। তখন তো অনেকেই থাকবে তখন, ছেলে, ছেলের বউ, নাতি নাতনি‌। 


আপনি আমার বৈধ আপনি হোন এটা তো তারা চাবে না। তাই আমি আপনি আর দুজন জানলেই হবে। আর এ দুজন কারা? এই দুজন হচ্ছে যারা বিবাহের সাক্ষী হবে।


তখন কিন্তু আমিও বুড়ো হয়ে যাবো। দুটো বড়ো বুড়ির কী এক স্বপ্নরে। 


এই লেখাটা একটু এলোমেলো হয়েগেছে। 


11:44 am

28.03.25

২৮.০২

—---------------------------

#৪৩

দেখা হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত একশত গল্প লেখা হয়েছে। প্রায় চল্লিশ পঞ্চাশ পৃষ্ঠার একটা বই হয়ে যাবে। এটা আপনার ডায়রি একান্ত আপনার ডায়রি। কোন একদিন আপনার হাতে তুলে দিবো। 


ভাবছি ডায়রিটার নাম দিবো “আপনি” অথবা “আমার আপনি” আর না হয় “বলুন”


এখনো আপনার নাম্বারটা রাফানের নামেই সেইভ করা। যেদিন আমার হবেন সেদিন নাম লিখবো “আমার আপনি।”


11:52 am

28.03.25

২৮.০৩

—---------------------------

#৪৪

AI সম্পাদনা 

—-------------

দেখা হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত একশত গল্প লিখেছি। পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা জুড়ে জমে উঠেছে স্মৃতির একখানা বই—প্রায় চল্লিশ-পঞ্চাশ পৃষ্ঠার এক নির্জন যাপন। কথোপোথন, দূরে থেকেও যেন কত কাছে। যেন আমার সামনেই দাঁড়িয়ে, একসাথে বসে, আমার হৃদয়ে মাথা রেখে গল্প করছি। 


এটা আপনার ডায়েরি, একান্ত আপনারই। কোনো একদিন আপনার হাতে তুলে দেবো, যেন আপনি নিজেকে খুঁজে পান প্রতিটি বাক্যে, প্রতিটি অনুভূতিতে। কীভাবে আপনাকে জড়িয়ে রেখেছে আমার স্মৃতিগুলো। আমার প্রতিটা শ্বাস নিঃশ্বাস আপনার শ্বাস নিঃশ্বাসের সাথে কতটা ওতপ্রতভাবে জড়িত। 


ভাবছি, ডায়েরির নাম দেবো "আপনি"— কিংবা "আমার আপনি"। আর যদি একান্তই না মেলে, তবে হয়তো "বলুন"।


এখনও আপনার নাম্বারটি আমার ফোনে রাফানের নামেই সংরক্ষিত। যেদিন আপনি আমার হয়ে যাবেন, সেদিনই নাম বদলাবো— লিখবো, "আমার আপনি"।

12:14 pm

28.03.25

২৮.০৩

—---------------------------

#৪৫

কোন প্রসঙ্গ উঠলেই আপনার আলোচনা করি রোকন স্যারের সাথে। খুব ভালো লাগে যে।


রোকন স্যার গাল ভরা হাসি একটা মেরে দিয়ে বলে— “সবার আগে ভাবিটা আমিই ডাকবো।” খুব খুশি খুশি লাগে তখন। বড় একটা হাসি দিয়ে আমিও বলি, কী বলি আসলে? আরে না কিছু বলি না‌। হ্যাঁ সুচক মাথা নাড়ি শুধু। এই আরকি। 


আব্দুর রহিম স্যারের সাথে রাফানের আলোচনা করি‌। অনেক সময় নিয়ে অনেক অনেক কথা বলি। কোন প্রব্লেম পেলে নোট করে রাখি। পরে সুযোগ হলে আমি সমাধানটা দেওয়ার চেষ্টা করবো এ আশায়। খুব ভালো লাগে যে।


আপনি কি চান আমারে? সত্যি চান? কীভাবে বুঝবো যে, আমারে চান। একটা আলামত বলেন না। 


আপনি যে আমারে চান তাতে কোন সন্দেহ নাই আমার। তারপরেও যে একটু জানতে মন চায়। শুনতে মন চায় আপনার প্রিয় মুখ খানি থেকে। 

ইব্রাহিম আঃ আল্লাহকে বলছেন, আল্লাহ তুমি জিবিত কেমনে করো আমারে দেখাও? 

-আল্লাহ বলেন তুমি কি বিশ্বাস করো না? -করি তারপরেও যে জানতে মন চায় আমার। 


এরকম আরকি। 


আমি যে আপনারে চাই এতে কোন সন্দেহ আছে? 

আমার লেখা আমার কথা এগুলো থেকে কিছু বোঝা যায় না? 



আমার লেখা এই ডয়রিটা তো একদিন আপনি দেখতে পারবেন। সময় হলে কোন একদিন। বাট আমার জন্য আপনি কী সঞ্চয় করছেন আমাকে দেখাবেন বলে। আমাকে অনুভব করছেন। বছরের পর বছর দূরে থেকে কল্পনায় যে আমার সাথে নির্জনে একা একা কথা বলেছেন সেগুলো কী ছিলো, আমাকে দেখাবেন না। আমি যে দেখতে চাই। সেই মুহূর্তের স্মৃতিগুলো। 


আমি যে এ গুলো দেখতে চাই। দেখাবেন না। একটু আমাকে দেখাইয়েন প্লিজ। 


01:15 pm

28.03.25

২৮.০৪

—---------------------------

#৪৬

আপনাকে যে কতটা…

এটা বলে বোঝাতে পারবোনা। শব্দের মালায়ও গাঁথতে পারবো না। তবে সরাসরি যেদিন আমার হবেন ঠিক সেদিনই বুঝতে পারবেন যে আমি আপনাকে কতটা…


আপনার কলিজায় এক মূহুর্তের মাথা রাখলেই বুঝে যাবেন আমি আর আমি নেই। আমি যে সেই আপনিটা। আর আপনি যে আমার সেই আমিটা।


আমি এখনেই যে এমনটা অনুভব করি। আপনি যে আমার ভেতরের আমিই, আর আমি যে আপনার ভেতরের আপনিই। 


“আমার হৃদয়ে থাকা আমিই যে তুই,

তোর হৃদয়ে থাকা তুই-ই যে আমি।”


দুটি হৃদয়ের একই যে মন,

এক হয়েই যেন হয় মরণ। 


কলিজা চিরে যদি দেখানো যেত,

নির্জনে, অন্ধকারে, হৃদয়ের গহীনে;

তোকে নিয়ে কেমন আয়োজন। 


01:39 pm

28.03.25

২৮.০৫

—---------------------------

#৪৭

বেশ কিছুদিন আগের কথা। তখনো আমি সাধারণ একজন শিক্ষক মাত্র। আপনি স্পেশাল কেউ না আমার। আমিও আপনার স্পেশালে কেউ না। সাধারণ হোম টিউটর। 


আপনার সাথে কথা হতো‌ বিভিন্ন বিষয়ে। খুব ভালো লাগতো। মনের কথাগুলো শেয়ার করতে পারছি সঠিক পাত্রেই—এরকমটা মনে হতো আমার। 


আপনার সাথে কথা হলে আমার দৃষ্টি থাকতো দুদিকের কোন একদিকে। হয়তো নিচে না হয় আপনার বীপরিত দিকে। সেদিনের দৃষ্টিটা ছিলো নিচের দিকে। আপনি আসলেন তখনো বসেন নাই। 

কথা দাঁড়িয়েই বলছেন। আমি তাকিয়ে আছি নিচের দিকে আর শুনছি। 


দৃষ্টি পড়লো আপনার পায়ের দিকে। মানে আপনার পায়ের পাতার দিকে। অগেই বলেছি আমার পায়ের দিকে তাকানো একটা রোগ আছে। আপনার পা দুটো এখনো ভাসছে চোখে। মনে হচ্ছে এখনি দেখছি। 


চিকন চিকন আঙ্গুল গুলো। খুব যে সুন্দর ত না। তবে সুন্দর। আমার হাত 

পায়ের আঙ্গুল গুলো আবার খুবই কিউট। এটা আমি বলছি না। ক্লাসে বাচ্চাদেরকে‌ বলছি‌ “এই সবাই তোমাদের নেইল দেখাও। এই দেখ আমার নেইল কত ছোট” 

আমারগুলো দেখে এক দুষ্টু বলে বসছে, “স্যারের আঙ্গুল কত কিউট।”


02:32 pm

28.03.25

২৮.০৬

—---------------------------

#৪৮

সাধারণত 

আমার ফোনে তেমন কোন কল আসে না। একেবারেই না। আমি দেই মূলতো। বড় বোন আর আম্মুকেই কল দেই আর কাউরে দেওয়া হয় না। 


যেহেতু কল আমার ফোনে আসে না। আসলেও অটাইমে সিম অফিসের কল আসে। ফাউ কল আরকি। 


যে কোন কল একটা আসলেই মনে হয় আপনার কল। তখনই চিন করে উঠে বুকের ভেতরটাতে। হার্টের পুরো অংশটা নাড়া দিয়ে উঠে। মুহুর্তেই ছড়িয়ে পড়ে উপরে নিচে। পুরো শরীরে। বিদ্যুতের শকের মতো। 


আসলে এটাকে বোঝানোর উপযুক্ত শব্দ আমার জানা নাই। তবে বিদ্যুতের শক খেয়েছেন কখনো‌? তাহলে কিছুটা বোঝতে পারবেন। 


ছোট বেলায় কটি কটি করতে আমার খুব ইচ্ছে করতো। ইলেক্ট্রিক বিষয় নিয়ে পড়ে থাকতে ভালো লাগতো। একদিন টেস্টার নিয়ে টুপিনের ভিতরে নাড়াচাড়া করছি। হঠাৎ হাতে চিন চিন করে পুরো শরীরে কি যেন ছড়িয়ে পড়লো। কিছু বুঝে ওঠার আগেই চোখের পলকের কি যেন হয়ে গেল। 


কেন এমন হয়? 

বলুন না একটু কেন হয় এমন? 


আমি যে এতবার বলি “আপনি আমার হবেন। আপনি আমার হবেন।” আপনি তো একবার বলেন না, “আমি আপনার হবো।”

নাকি, বলেন বাট আমি শুনি না। হয়তো বলেন বাট আমি শুনতে পাই না। আপনার হৃদয়ের ডায়রিতে হয়তো লিখে রাখেন— এমনটাই আমার মনে হয়।


04:10 pm

28.03.25

২৮.০৭

—---------------------------

 #৪৯

রাফানকে দিয়ে বড় কাজ করাতে হলে এখন থেকেই কাজ করতে হবে। কিছু কোর স্কিল তাকে এখন থেকেই গড়ে দিতে হবে। যেমন, এ্যারাবিক লেঙ্গুয়েজ। বেসিক কিছু নলেজ তাকে দিতে হবে। 


এভাবে বিশ বছরের আগেই তার সমস্ত বিষয়ে একটা স্বচ্ছ ধারণা করে ফেলতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন সঠিক গাইডলাইন, সঠিক সিদ্ধান্ত আর রাইট টাইমে রাইট একশন নেওয়া। বাচ্চাদের জন্য কিছু ত্যাগ নিজেদেরও দিতে হবে। এটার জন্য নিজেদেরকে সেভাবেই প্রিপেয়ার করতে হবে। 


রাফানের মধ্যে এমন কিছু আমি দেখেছিলাম। যা আমাকে আরো মুগ্ধ করেছিলো। আল্লাহ বাচ্চাটাকে কালের ঝড়ে নিক্ষেপ করে দিও না। ঝড় মোকাবেলা করার শক্তি দিও। দ্বীনের এমন একজন বানিয়ে দিও যার হত ধরে তোমার দ্বীনের ডুবো ডুবো সূর্যটা ঠিক মাঝ আকাশে ভাসবে। 


বাবা রাফান, রাফান বাবা, তুমি কি পারবে তোমার আম্মার চোখের শীতলতা হতে। তোমার আব্বাকে দ্বীনের পথে আনতে। পারবে দ্বীনের একটি সম্পদ হতে। 


তোমার জন্য আমি সারা জীবন দোয়া করবো। জীবনের ঝড়ঝাপ্টা মোকবেলায় কোন হেল্প আমার লাগলে স্মরণ করতে ভুলে যেওনা। 


রাফান 


এই লেখাটা লিখতে গিয়ে চোখের কোণে পানি জমে আসছিলো‌। 


04:40 pm

28.03.25

২৮.০৮

—---------------------------

#৫০

জীবনের স্মৃতিগুলো মুছে যাবে না।

এগুলো রয়ে যাবে হৃদয় কোনে, 

কি করে ভুলি বলো,

মনে যে পড়ে ক্ষণে ক্ষণে।



প্রিয় রাফান, তুমি একদিন অনেক বড় হবে। ছোট্টবেলার তোমার প্রিয় সেই‌‌ স্যারেকে মনে‌‌ থাকবে? মনে থাক বা না থাক, দোয়া আমি করবো। 


অদেখা কাঁটা তারের বেড়া ভেদ করে তোমার কাছে পৌঁছা আমার পক্ষে সম্ভব না। কিন্তু দেখা অদেখা কোন বাঁধাই যে বাঁধা না। সেভাবেই তোমার কাছে আসবো। দোয়ার মাধ্যমে। 


05:26 pm

28.03.25

২৮.০৯

—---------------------------

#৫১

আমার এ কথাগুলো বোধ হয় এখন আর আপনার ভালো‌ লগবে না।

ভালো লাগুক আর নাই লাগুক। তবে আমি আপনার এই ডায়রিটাতে লিখে রাখবো। সব লিখে রাখবো। একদিন দেখবেন। 


06:48 pm

28.03.25

২৮.১০

—---------------------------


#৫২

ছোট বোন জামাই ব ভগিনীপতি যারা আছে ওদেরকে বড় ভাইরা কি বলে ডাকে, তুমি আর নাম ধরে তাই ন। 

এমনটাই হওয়ার কথা। সমাজে তাই দেখে আসছি আমরা। 


বাট আমি কী বলে ডাকি জানেন। আপনি বলে। প্রথম প্রথম আম্মা বলতো তুই তুমি বলে ডাকবি। আপনি বলে ডাকছ কেন। আমি বল্লাম ঐ লোকটার একটা সম্মান আছে না আমার কাছে। তাই আপনি বলে ডাকি। 


06:53 pm

28.03.25

২৮.১১

—---------------------------

#৫৩

আমার বিবাহের সিভিটা প্রিন্ট করে ব্যাগে রেখে দিয়েছি। নামাজ পড়ে এসে দেখি দাদা সিভিটা পড়ছে। পড়া শেষে কাঁদো কাঁদো স্বরে বলছে “ভাই, তুই পারবে।” আম্মা পাশেই দাঁড়ানো ছিলো। আম্মা বলছে, “দোয়া করুইন্যা কি? দোয়া করুইন যে, ওর স্বপ্নডা যেন পুরন হয়।”

দাদা বলে “দোয়া করি না কি? করি তো।”


আমার দাদার বয়স পঁচাশি বছর। আলহামদুলিল্লাহ নিজের কাজ নিজেই করতে পারেন। এই রমজানে মনে হয় চার খতম কুরআন পড়েছে। চিন্তা করা যায়। 


দাদার ব্যাপারে গ্রামের কিছু মানুষের কমেন্ট শুনছিলিম। একজন বলছেন, “ওনার মতো মানুষই হয়না। এত মাটির মানুষ। কোন ঝগড়া জীবনে কারো সাথে হয় নাই। কটু কথা কাউকে বলে নাই।” দাদারা দুই ভাই ছিলো। দাদা ছিলো ছোট। বড় ভাই দাদার প্রতি একটা কমেন্ট করছিলো, বড় দাদা যদিও এখন নাই, “আমির ছোট ছেলে মামুন কে মাইর দিলে আমার পেছনে লাঠি ধরবে, কিন্তু আমার ভাইকে মাইর দিলে সামনে হাঁটতে থাকবে, পেছনে ফিরে থাকাবেনা”


বড় দাদা আমার দাদার প্রতি কিছুটা অবিচার করেছিলেন। দাদাকে পড়তে দেই নাই। সম্পদের আরো কিছু বিষয়। নিজে নিজে পড়ে যতটুকু অর্জন করেছিলেন তাই। আমার দাদা কোনদিন বলে নাই যে “ভাই অন্যায় করছে”

রাগ কি জিনিস দাদার ছিলো না। 


দাদা তোমার মতো একজন দাদা পেয়ে সত্যি আমি গর্বিত। লাভ ইউ আমার প্রিয় দাদা। ♥️


আমার সাথে ঈদের নামাজ পড়াতে যাবেন দাদা। বাড়ির সামনের রাস্তার কাজ হচ্ছে তাই গাড়ি যাবে না হেঁটে যেতে হবে অনেকটা পথ। দাদা যেতে পারে না। তারপরেও যাবে। চল্লিশ বছর ওদের এখানে ঈদের নামাজ পড়িয়েছেন। দাদাকে রাজকীয় বিদায় দিয়েছেন তারপরেও যান। ভালোবাসার টানে। 


দাদাকে দেখে সে এলাকার মানুষগুলো আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। অনেকেই তো কান্নাই করে দেন। এগুলো দেখে নিজেও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ি। দাদা সত্যি আমার আইডল। তুমি আমার প্রিয় দাদা। তোমার মতো যেন হতে পারি দাদা।


আমার আট চাচার কেউই দাদার মতো হয়নাই। আমার আব্বা ছাড়া। আব্বা আমার দাদার কার্বন কপি। আমি দাদার কিছুটা পেয়ছি। দাদা সুন্দর, আমি শ্যামলা, বাট ভেতরের টা পয়েছি। সবটা পেলে ভালো হতো। দাদা আম্মাকে বলেছিলো, “আমার আট টা ছেলের মধ্যে ও আমার সব চেয়ে প্রিয়” 


কিছু অংশ শুনবেন? 


07:29 pm

28.03.25

২৮.১২

—---------------------------

#৫৪

পৃথিবীতে সুখের সামগ্রী একেকজনের কাছে একেক রকম। 


যখন আপনি বলতেন “নামাজ পরেছি” আমি যে কতটা খুশি হতাম। বলে বোঝাতে পারবো না। তখন শুধু এতটুকু বলতাম “আলহামদুলিল্লাহ।” 

কারণ আনন্দ প্রকাশের এর চেয় গভীর ও অর্থবহ কোন গভীর শব্দ আমার জানা নাই। 


কেন এতটা খুশি লাগতো আমার? এখনো লাগে? তুই যে আমার, তুই যে আমার পুরো কলিজা। 


অজানা অনিশ্চিত বস্তুর প্রতি আমরা একটু বেশিই দূর্বল হয়ে যাই। তাই না। 


এই যে সুবিশাল আকাশ। একরাশ শুন্যতা নিয়ে তাকিয়ে থাকি আকাশের দিকে। 


09:25 pm

28.03.25

২৮.১৩

—---------------------------

#৫৫

নোটটাই, যে আপনি হয়ে গেলেন। ডায়রিটাই যে আপনি হয়ে গেলেন। আপনার ঘ্রাণ পাই ডায়রিতে‌। সত্যি ঘ্রাণ প্রাই। মনে হয় আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। আপনার চেহারাটা ভাসে, ভাসে আপনার হাঁটার সেই দৃশ্যটা। এই সবগুলো দেখতে পাই এই ডায়রিটাতে। 


কথা একটা মনে এলেই ডায়রিটা খুলে কথা একটু বলে নেই আপনার সাথে। এতে আপনার ঘ্রাণ পাই। হুম সত্যি আপনার গায়ের ঘ্রাণ পাই। হৃদয়ের ঘ্রাণ পাই। কলিজার ঘ্রাণ পাই। 


সময়ের সাথে সাথে দূরে হয়তো সরিয়ে দিবেন আমাকে। বাট আমি চাই আপনার নিঃশ্বাসের কাছাকাছি থাকতে। আমি পারবোনা কখনো দূরে সরিয়ে দিতে। সারাজীবন এই ডায়রিয়ার সাথেই কথা একটু বলে নিবো। আর আপনার ঘ্রাণ নিবো। 


এই ডায়রিটার শরীর যদিও নাই‌। তবে ভার্চুয়াল শরীর আছে। ফোনেই লিখে রাখি যেন হারিয়ে না যায় কখনো। এগুলোই যে আপনি‌। 


কিছুদিন পর কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে হয়তো আপনি হয়ে যাবেন। আপনার সাথে বলা এই কথাগুলো যে আমাকে বার বার আপনার সাথে কথা বলেতে বলবে। তখনই তোর সাথে একটু কথা বলে নিবো। 


09:47 pm

28.03.25

২৮.১৪

—---------------------------

#৫৬

কত বার যে‌ আপনার ডায়রিটা উল্টে দেখি তার কোন হিসাব নেই। ডায়রিটা হাতে নিলেই অদ্ভুত এক অনুভূতি আমাকে জড়িয়ে ধরে। 


প্রতিবার যেন আপনার সাথে কথা হয়। কখনো বা হয় রাফানের সাথেও। রাইফকে কোলে নেই অনেকসময়। এই, এই করে কী যেন বলতে চায় সে। টিপ টিপ করে এসে বইয়ের পাতায় ডুব, দেন উধাও। 


রাফানের আম্মু, ভালো আছেন আপনি? 

বাড়ি যাবেন কবে? ঈদের দিন বিকালে আপনাদের বাড়িতে যাবেন নাকি? আপনাদের সবাইকে ঈদ মোবারক। 


আমি যে রাফানকে এতটা ভালবাসি। তার জন্য দোয়া করি, ভুলে যাবে রাফান আমাকে? এভাবে জোর করে ভুলিয়ে রাখছেন বাবুটাকে। এটা কি কোনভাবে সহ্য করা যায়? বলুন, আপনিই বলুন। 



05:06 am

29.03.25

২৯.০১

—---------------------------

#৫৭

“আমি কোনদিন মরে গেলে, জুবায়ের স্যারের সাথে যোগাযোগ রাইখো। রাফান, রাইফের ব্যাপারে পরামর্শ কইরো। স্যার বাচ্চাদের বিষয়গুলো ভালো বুঝেন।”


এরকম একটা কথা আপনি বলেছিলেন ভাইয়াকে। কথাটা হয়তো এলেমেলো হয়েছে, আমার মতো করে আমি লিখেছি যতটুকু মনে আছে। 


কলম আর চলছে না। এখানে এসে কলম থমকে দাঁড়িয়েছে। কলমটা মাথা নুইয়ে পড়েছে। সোজা হতে পারছেনা। কিছু বলবে সে শক্তি তার নেই। একরাশ হতাশা আর শুন্যতা নিয়ে নিজেই গুটিয়ে যাচ্ছে নিজের মধ্যে। 


কথা দিলাম বাচ্চা দুটোকে ভুলবো না। আরে ওল্ডেস্ট স্টুডেন্ট আমার পারবোইনা যে ভুলতে। আমার আত্মার একটা অংশ হয়ে গেছেন যে আপনারা। নিজের আত্মা টাকে কি ভুলা যায় “বোকা আপনি” আমাটর।


দোয়া আর দানের মুহূর্তগুলোতে যাদের নাম মনে আসে তাদের প্রথম সারির আপনারা। এর চেয়ে আর কিছু বলার নেই আমার। 


প্রিয়, ওল্ডেস্ট স্টুডেন্ট।

একটা দিবো ধরে। 


হে আমার আপনি,

তোর অপেক্ষায় যে আমি। 

সকাল সন্ধা,

তোকে ডায়রিতে খুঁজি। 


05:23 am

29.03.25

২৯.০২

—---------------------------

#৫৮

ছোটরা বড়দের কত গভীরভাবে ফলো করে আজকে আরেকটু অনুসন্ধানী দৃষ্টিতে দেখলাম। 


সাহরীর পর ঘুম খুব একটা হয়নি আজ। তাই সারে আটটার দিকে উঠে ওজু করে মসজিদে চলে এলাম। কোরাআন তেলাওয়াত করবো। 


গ্রামে আড্ডাবাজি করার মতো কেউ নেই আমার। যারা আছে তারা আমার চাচাত ভাই। একজনের বয়স তিন সারে তিন, আরেকজনের আট। আমার সাথে সাথে থাকে সবসময়।


পিছু পিছু এলো। কোরাআন নিয়ে দু'জন পড়ছি। তিন বছরের ফুচকাটা কী করবে। পারে না তো কিছুই। কায়দা একটা নিয়ে গুন গুন করছে‌। ঠিক আমার সামনে বসেছে। মাঝে মাঝে আমার ফোনে হাত দিচ্ছে কিচ্ছু বলছিনা। দেখছি আসলে সে কী করে। 


একবার উঁকি মেরে দেখলো আমি কীভাবে বসেছি। হাতটা কোথায় রেখেছি। হাতটা ঠিক সেভাবে রেখে আমার মতো আসন পেতে বসেছে। আর গুনগুনিয়ে কি পড়ছে। আমি ভাবলাম আল্লাহ, কতটা গভীরভাবে বাচ্চারা আমাদের অনুসরণ করে। 


ধারাবাহিক এরকম দেখতে দেখতে একদিন সেও মনের অজান্তেই পড়ার প্রতি অভ্যস্ত হয়ে যাবে। 


কিছুটা অবাক হলাম। 


10:20 am

29.03.25

২৯.০৩

—---------------------------

#৫৯

পাবলিকলি অমন কমেন্ট করেন কেন? আপনার ভাইয়ের ঠোঁটে লিপস্টিকের কমেন্ট, পুষ্পার কমেন্ট। একটা লাইক‌ বা সারপ্রাইজ ইমোজি দিয়ে মেসেঞ্জারে এগুলো লিখবেন।


কিচ্ছু বুঝেনা। সব বলে দেওয়া লাগে। ভাই বোন কী সুন্দর কনভারসেশন। এটা করবেন ইনবক্সে। আর কমেন্ট একান্ত করতে চাইলে সর্বোচ্চ একটা। পাবলিকলি তো সবাই দেখে তাই না।


আমি যে এটা দেখবো এটা জানতেন? আমি ওর সাথে কানেক্টেড। 


ভালোই আছেন তাহলে? স্বাভাবিকই আছেন?

আপনার বর্তমানের সিনারিওটা আমাকে বলেন তো। 


এমনটাই যে আমি দোয়া করি দিন রাত। সময় হলে অস্বাভাবিক হয়েন। প্রবলেম নাই।‌


আপনার এ কমেন্টগুলো রেখে দিলাম স্ক্রিন শট দিয়ে। 


আপনার প্রোফাইলটাতেই কেমন যেন আপনি আছেন। আপনার হাতটা আছে। আপনার পুরো সত্তাটা আছে। পুরো আপনিটা আছেন। পুরো তুইটা আসসো। না, না আপনিটা। 


12:48 pm

29.03.25

২৯.০৪

—---------------------------

#৬০

আপনার কোন পোস্ট আমি দেখতে পারি না। কারণ আপনার ফেইসবুকের সাথে আমি কানেক্ট না। 


এর জন্য একটা কাজ করবেন। পোস্টটি পাবলিক করে দিবেন। তাইলে দেখতে পারবো। যেমনটা আমি করে দেই। আর যেগুলো শুধু আমার ফ্রেদের দেখানোর হয় তাদেরকে সিলেক্ট করে দেই। 


মানে হলো, প্রথেমে আপনার প্রফাইলে যাবেন। দেন যে পোস্টটা আপনি করেছেন এর ঠিক রাইট সাইডে থ্রি ডট দেখতে পাবেন। সেখানে ক্লিক করলে বেশ কিছু অপশন দেখতে পাবেন। সেখান থেকে এডিট প্রাইভেসিতে ক্লিক করে, পাবলিকে ক্লিক করবেন। দেন সবাই দেখতে পারবে। 


আদার ওয়াইজ, যারা শুধু আপনার সাথে ফেসবুকে কানেক্টেড তারা দেখতে পারবে। 


01:30 pm

29.03.25

২৯.০৫

—---------------------------

#৬১

এপর্যন্ত আপনার জন্য, সরি আপনাদের জন্য বাইশ হাজার দুইশত ছাব্বিশটা শব্দ আমি লিখেছি।

আশি নব্বই পৃষ্ঠার একটা বই হয়ে যাবে মনে হয়। ।


যদি কোনদিন আমি আপনার হই। আজকে ইচ্ছে করেই “যদি আমি আপনার হই—এ কথাটা বলেছি। কারণ সবসময় আমিই বলি “যদি আপনি আমার হোন।” আপনি কখনো বলেন না তাই বল্লাম আপনার হয়ে‌। 


তাহলে পেছনে ফেলে আসা সেই স্মৃতিগুলোর কী দেখাবেন বলে মনস্থির করেছেন? 


আমি এটা মেলে ধরবো আপনার সামনে। তখন হয়তো তিন চারশত পৃষ্ঠা হয়ে যাবে। পড়বেন আর দেখবেন কালের কাছে জমা দেওয়া সেই স্মৃতিগুলো। 


01:57 pm

29.03.25

২৯.০৬

—---------------------------

 #৬২

আপনার ভাই দ্বিতীয় বউ ছাড়া বারোতম ঈদ পালন করছে। আহারে কী আফসোস।

তেরোতম ঈদে দুইটা বউ চায়। (তেরোতম ঈদটা যেন দুইয়ে একে তিনে হয়।)


বলেন কিছু আপনার ভাইরে। বিয়া আরেকটা একটা করাইয়া দেন।  


11:23 am

30.03.25

৩০.০১

—---------------------------

#৬৩

“বাপ মা অসন্তুষ্ট থাকলে, পাঁচ হাতে কামাইবো, আর পিছনে দেখবো ছাই আর মাডি।” 


চিল্লাচিল্লি করে করে বলছেন এক কাকি‌। স্বামী মারা গেছন বছর খানেক আগে। খুব কষ্টে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে তাকে। এক ছেলে আছে। বয়স ষোল সতেরো হবে। বিয়া সাদি কইরা ফেলাইছে শুনছি আম্মার কাছে। 


কেন এমন তাদের অবস্থা? 


এত এত সম্পদ তাদের ছিলো। এলাকায় অন্য সবার উপরে ছিলো যাদের অবস্থান। সমীহ করতো সবাই। সসম্মানে মাথা নোয়াতো যাদের সামনে। 


12:22 pm

30.03.25

৩০.০২

—---------------------------

#৬৪

“দেশের আকাশে শাওয়ালের চাঁদ দেখা গেছে: কাল ঈদ।”


নিউজ টা দেখার সাথে সাথেই কেমন যেন আত্মটা মোচড় দিয়ে উঠলো। ধপাস করে বসে যাওয়ার মতো একটা অনুভূতি হলো। আর কিছু প্রশ্ন উঁকি ঝুঁকি মারতে লাগলো। 

পারলাম কি নিজেকে ক্ষমা করাতে? রোজার হক্ব কি আদায় করতে পারলাম? পাবো কি আগামী রমযান। মরে যদি যাই। পাবো কি ইবাদেতের এই বসন্ত ফিরে আবার।


বসন্তে ফেলে রেখেছিলাম নিজেকে খসখসে শীতে। আল্লাহ আমার সাথে ঐ মানুষটারেও মাফ কইরা দিও। বাবা দুটোকে কবুল কইরা নিও। আপেল ভাইকে তোমার দ্বীনের বুঝ দান কইরো।

আমাদের ভুল ক্ষমা কইরো। 


আগামী রমযান পর্যন্ত হাত দিও হে রব আমার। 


আপনাদের সবাইকে ঈদ মোবারক। তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম। 

বিশেষ করে আপনাকে স্পেশাল ঈদ মোবারক। 

বাবা দুটোর জন্যও স্পেশাল ঈদ মোবারক। 


06:56 pm

30.03.25

৩০.০৩

—---------------------------

#৬৫

ভাবছিলাম যতবারই মনে হোক না কেনো আর লিখবো না। কারণ নোটটাতে ঢুকলেই মনে হয়, আপনার সাথে কথা বলছি। আপনার সাথে কথা বলা একটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাচ্ছিল। 


টাইম একটু পেলেই কথা বলা শুরু করে দেই। পনেরো বিশবারের মতো কথা হয়ে যায় দিনে। তাই কথা একটু কমিয়ে দিতে চেষ্টা করছি। 


আজকে কি হলো জানেন, আম্মার সাথে মিষ্টিমধুর একটা ঝগড়া হলো। কথার এক ফাঁকে বল্লাম, নানার একটা ছেরি দিয়ে দিছে আব্বারে। এটাই তো অনেক। আর কি দিতো‌। 

আমি বোঝাতে চাচ্ছিলাম, আমার হয়ে যে আসবে তাকে তো তার বাবা আমাকে দিয়ে দিবে তো আর কি দিতো ঈদে বা অন্য কোন সময়ে‌। দিলে দিবে না দিলে নাই‌। বরং দিতে হবে আমার। আঠারো বিশ বছর একটা মেয়েকে কোলে পিঠে করে মানুষ করে আমার জন্য। দিনশেষে তুলে দেয় আমার হাতে‌। দিলে তো আমার দিতে হবে। 


07:59 pm

30.03.25

৩০.০৪

—---------------------------

#৬৬

তোকে যে ছাড়ছি না।

আমার পুরো আমিটাকে কীভাবে নিলেন আপনার দখলে। আমি তো আসলে বড় হিসাবী একটা মানুষ। আবেগ আমাকে কাবু করতে পারে না কখনো। বিবেক দিয়ে আবেগকে কন্ট্রোল করেছি সবসময়। পুরোপুরি না পরলেও চেষ্টা আমি সবসময় করেছি। এখনো তাই করি। কিন্তু আপনার কাছে কেন ধরা খেলাম। আমার হৃদয়ের খাঁচার দরজাটা এই প্রথম উন্মুক্ত হলো। একজনের জন্য শুধু একজনের জন্য।


সেই একজনটা যত তুই, তুই হুম শুধু তুই। তোরে ভীষণ রকমের মাইর দিতে মন চাচ্ছে। মাথায় একটা দিতে পারতাম, তাইলে মনটা শান্ত হতো। 


হুম দিবো, মাথায় একটা দিবো। ভীষণ রকম রাগের সাথেই দিবো। তবে মাইর নাকি অন্য কিছু। হুম মাইর দিবো। আর একটা। কী আর একটা। 

থাক বলবো না। 

আচ্ছা বলি, পাপা দিবো। ঠিক কপাল বরাবর। 


এর আগে কখনো কথাই হয়নি কারো সাথে। আমার একটা থিওরি ছিলো, এই বিয়ে নিয়ে, আমাকে এমন হতে হবে যে, মেয়ের বাবা আমার পেছন পেছন ঘুরবে আমার পেছনে। মেয়ে তো ঘুরবে ঘুরবেই। 


এত হিসেবী একটা মানুষ বেহিসাবী কীভাবে হলো? প্রতিটা মিনিট যার হিসাবে কষে খরচ হয় সেও কীভাবে...

তারমানে জীবনের সব হিসেব করে চলে না। এমন কিছু আসে যা হিসেবের বাইরে। 


ওহ, না, না; কারণ একটা এখানে আছে। দুটি হৃদয়ের চাওয়া যখন এক হয় তখন তো আর হিসাবের খেলা এখানে চলে না। সবসময় তখন দুইয়ে একই হয়। চার আর কখনো হয় না। ক্যালকুলেটরও এখানে নিজের গতি পরিবর্তন করে ফেলে। ভুল করে বসে‌। ভুল তো আসলে করে না। এটাই যে সঠিক। 


তখন দুইয়ে দুইয়ে একই হয়। সবসময় এই একটা নিয়মই চলে। 


00:00 pm

22.02.25

30.05

—---------------------------


#৬৭

“এখন না, পরে কোন একসময়। ঢাকায় এসে বাসা চেঞ্জ করতে হবে। অনেক ঝামেলা। পরে ওর বাবা বাড়ি গেলে তখন আনিয়ে নিবোনে।”


শীত চলে গেছে মাস দেরেক হয়েছে‌। সেই তখনকার কথা এটা। মনে আছে? কী উদ্দেশ্যে বলেছিলেন এ কথাটা। মনে আছে নিশ্চয়ই। 


“মেরা” পিঠা। সিদ্ধ খামিরার ছোট ছোট দলা— এটাই নাকি আমার প্রিয় পিঠা। কী অদ্ভুত তাই না? হুম বাকি সব পিঠাতেই কোন না কোন চিনি থাকে। আর চিনিযুক্ত কোন পিঠাই আমার স্বাদ লাগে না। 


তাপ দেওয়া গরম গরম “মেরা” আর তরকারির ঝোল খুব প্রিয় আমার। তাই বার বার আপনাকে বলেছিলাম কবে আনবেন কবে আনবেন। আর আমি কবে পাবো?


আপনার হাতের মেরা অজানা দিবস পর্যন্ত আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। তবে আমি সেই দিনের অপেক্ষায়। তখনি খাবো, আপনার হাতে আমর মুখে, আপনার কলিজায় মাথা রেখে। 


02:42 am

31.03.25

31.01

—---------------------------

#৬৯

সকালে ঈদগাহে নামাজ পড়াতে যাবো। কি কথা বলবো, কী কথা বলবো না। খুতবা কোনটা বলবো কোনটা বলবো না কিচ্ছুই মাথায় এখনো সাজাই নাই। ভাবছি দাড়ানোর সময় মাথায় যাই আসবে তাই বলবো।


প্রি প্ল্যান একটা করে রাখা উচিত ছিলো। যেমনটা সবসময় করে রাখি। বাট সকালে মাঠের আগে করতে হবে।


স্পেশাল কোন ডে বা ইভেন্টে কি ইন্টিমেট হতে মন চায় বা হয়? দূর দুষ্টুমি করলাম। সবাই সেজেগুজে থাকে তো এ দিন। হয়তো অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করে সেদিন। 


ঈদ মোবারক, ঈদ মোবারক, ঈদ মোবারক। 


সকালে মাঠে যাওয়ার আগে তোর সালামিটা নিয়ে নিস। আর একটা…। কী আরেকটা। না না থাক‌। আরে কী বলুন। 

হাগ করে একটা পাপ্পা, ঠিক কপাল বরাবর। 

আমার আপনি। তুই আমার আপনি। তুই-ই আমার আপনি। তু….ই আমার আপনি। তুই যে আমার আপনি। 


02:55 am

31.03.25

31.02

—---------------------------

#৭০

“মাশাআল্লাহ, মাশাআল্লাহ খায়রা ফিদ্-দারাইল।”


কালেকশন চলছে। ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে গ্রামে গঞ্জে সব জায়গায় চলে এই কালেকশন। কালেকশনের গ্রামের কিছু ইন্টারেস্টিং শব্দ আছে। এটি তার একটি। প্রথম আমি ভাবছি দারাইজ একটা সাপ হবে হয়তো‌। 


দোয়ার আরো কিছু শব্দ আছে‌। “মায়ের কইলজা ঠান্ডা করো।, মৃত্যুর সময় মৃত্যু আসান করো।”

08:55 am

31.03.25

31.03

—---------------------------

#৭১

মাঝে মাঝে মনে হয় আপনার সাথে সব কথা বলা হয়ে গেছ। এখন আর কি বলবো? তবে বলা শুরু হলে চলতেই থাকে। মনে হয় গন্তব্যহীন এক ট্রেন। ঝক ঝক করে চলছে ছলেই।  

কেন এমন হয়‌? 


“কী বলবো” বলেছিলাম না আজকে সকালে?

কথা বলার কিছু ছিলোনা বিষয়টা এমন না। ছিলো অনেক কিছুই। বাট, আপনার কণ্ঠটা কানে আসলেই কি আনন্দ যে লাগে! 


অনেক সময় আনন্দে হার্টফেল হয়। জানেন এটা। কথা তো দূরের কথা‌। 

তাই বলেছিলাম “কী বলবো?”


অতি আনন্দে অনেক সময় থতোমত খেয়ে যাই। কী বলবো আর কী বলবো না বুঝে উঠতে পারছিলাম না। তাই বলেছিলাম “কী বলবো?” 


আপনার কণ্ঠটা কানে আসলেই খুব শুন্যতা অনুভব। কিছু ভালো লাগে আর তখন। মনে হয় তুই “আমার আপনি” তাই বলেছিলাম “কী বলবো?”


গতকাল ঠিক দুপুরে শুয়ে আছি‌। ঘুমে তুই হাজির। তাও আবার হালকা আবছা আবছা‌। পরে আবার গায়েব। পরে… যা হওয়ার তাই হলো। এটা বলবোনা। 

-আরে বলুন না। 

-”নাইটফল” হইছিলো‌। হইছে।


“এই জুবায়ের এখন রাখতে হবে।”

এটা শরীরের পুরো অঙ্গ শুনেছে। এটা যে কতদিন কানে বাজে আল্লাহই জানে‌। 


এত আনন্দ লাগে কেন? 

যে কোন একসময় তুই আমার হবি। এটার আমার কথা‌। 

আমি আপনার হবো। এটা কি আপনার কথা? 


12:53 pm

31.03.25

31.04

—---------------------------

#৭২

বাড়ির সামনের রাস্তার কাজ হচ্ছে। হেঁটে যাওয়াটাও অনেকটা কষ্ট‌। মাটি ফেলছে, পিস করবে। তাই যাওয়াটা বেশ রকম কষ্ট হয়। 


দাদার বয়স পঁচাশি প্লাস। মাথায় প্রায় আমার সমান। এখন বেঁকে গেছেন কিছুটা। বয়সের ভারে নুইয়ে পড়েছেন। নুইয়ে নুইয়ে হাঁটেন। পিঁপড়ার গতিতে হাঁটেন। 


রাস্তার যে বেহাল দশা। বাড়িতে গাড়ি যে আসবে না এটা নিশ্চিত। হেঁটে যেতে হবে রাস্তার মাথায়। দাদার জন্য এক প্রকার অসম্ভব বলা যায়। তারপরেও দাদার যে যেতে মন চায়। সেই গত পঁয়ত্রিশ বছর ধরে ঈদের নামাজ পড়িয়ে আসছেন। 


পাঁচ ছয়বার জিরিয়ে গিয়ে পৌঁছলেন রাস্তার মাথায়। 


আমি তখনো বাড়িতে। গোসল করে রেডি হচ্ছি। আমার যেতে সময় লাগবে সর্বোচ্চ চার থেকে পাঁচ মিনিট। কিন্তু দাদা এ পথটাই গেলেন এক ঘণ্টায়। 


এর একটু আগেই আপনার সাথে কথা হলো। কিছু ভাবছিলাম গতকাল রাত আড়াইটার দিকে। কী ভাবছিলাম জানতে চান। 


আমার “আমিটা”  না না আমার আপনি সেজেগুজে আমাকে বিদায় দিবে। আদর করে একটা হাগ করবে আর কপাল বরাবর একটা পাপ্পা দিবে। আমি তখন তাকে হৃদয়ের গভীর থেকে একটা নিঃশ্বাস ফেলে রিপিট পাপ্পা দিবো। আর সালামি চেক একটা ধরিয়ে বলবো নাও তোমার সালামি। ওহ, সরি নেন আপনার সালামি‌।


মাঠ থেকে এমন একজন নতুন আমি হয়ে আসবো। যা এর আগে কখনো দেখেন নাই। বলেছিলাম না। আমি আমার আমিটার কাছে কখনো পুরাতন হতে চাই না। 

সবসময় “আপনার আপনিটা” আপনার কাছে নতুনই থাকবে। 


02:54 pm

31.03.25

31.05

—---------------------------

#৭৩

দু’একদিনের আগের কথা। পাশের বাড়ির এক চাচী। বৈধব্যদশায় পড়েছেন সে বছর বিশেক আগে। সাত আটটা সন্তান তিলে তিলে বড় করেছেন। সবাই এখন কামাইশুধ। কয়েকজন তো বিবাহ শাদিও করেছেন। বাচ্চা বাচ্চাও আছে। কিন্তু সেই চাচীকে এখনো দেখতে দিব্যি তরুণীর মতন লাগে। তারুণ্যবতী বৃদ্ধা বলা যায়।


দেখে আমার ভাবনা রোগ‌ শুরু হলো। আমার “আমিটা” যদি এরকম থাকে। এরকম না থাকলেও প্রবলেম নাই। আমার “আমিটা” আমার হয়েই থাকবে।


তুই যে “আমার তুই”, তুই যে আমার আপনি,  আমি যে “তোর আপনি।”


03:28 pm

31.03.25

31.06

—---------------------------

#৭৪

পশ্চিম আকাশে ঈদের চাঁদ উঠেছে‌। কী সুন্দর দেখতে।

আমার চাঁদটা কোথায়? আছে সেই চাদের চেয়ে হাজার কোটি মাইল দূরে। তারপরেও মনে হয় এইতো আমার সাথেই হাঁটছে। আমার পাশেই বসা। আমার কলিজায় তো তার মাথাটা রাখা। এইতো চুলে বেণী করে দিচ্ছি। তেল দিয়ে সিঁথি কেটে দিচ্ছি। মাথাটা আলতো করে টিপে দিচ্ছি। কোমল স্পর্শে কখন যে ঘুমের কোলে ঢলে পড়েছে সে নিজেও জানে না।


চুলে তেল দেওয়া তার মাথাটা এখনো আমার বুকে রাখা। মায়া মায়া চোখ দুটো বুজে আছে। আর অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি মায়াভরা আমার “পৃথিবীটার” মুখের দিকে। আর চুলের ঘ্রাণ নিচ্ছি। সিঁথি করে দিচ্ছি। ফাঁকে ঘুমপাড়ানি গান ধরছি আমার পৃথিবীটাকে ঘুম পাড়ানোর জন্য। 


ছোট বেলায় রাতে চাঁদ মামাকে কতবার ডেকেছি। আর বলেছি এই চাঁদ মামা তো আমার সাথে সাথেই চলছে। মনে হতো এই চাঁদটা আমার সাথেই আছে। কিন্তু সে যে শত কোটি মাইল দূরে। 


কাছে থেকেও তৈরি হয় হাজার বছরের দূরত্বের পথ। মনে হয় কত অচেনা, কত অপরিচিত। অথচ প্রতিটা মুহূর্ত এক সাথে। বিছানায় একসাথে, এমনকি একই চাদরের নিচে। তারপরেও কত জনম জনম দূরে তাদের অবস্থান। 


কেন হয় এমন?


পৃথিবীটা আমার,

কবে পাবো হাতে।

হবে কোন দিন দেখা,

তোমার চন্দ্রালোকে।


আসবে আমার,

বুকে ফিরে চাঁদের আলো হয়ে। 



পৃথিবীটা আমার,

কবে পাবো হাতে?

হবে কি দেখা,

তোর চন্দ্রালোকে?


আমার বুকে একদিন?"

ফিরবে কি চাঁদের আলো হয়ে,


04:03 pm

31.03.25

31.07

—---------------------------

#৭৫

পুরনো একটা চিন্তা হঠাৎ করে আজ মাথায় এলো।

দীর্ঘদিন থেকে করা একটা চিন্তা হঠাৎ করে আজ মাথায় এলো।

হঠাৎ করে পুরনো একটা চিন্তা আজ মাথায় এলো।


হঠাৎ পুরনো একটা চিন্তা আজ মাথায় এলো। 

আজ পুরনো একটা চিন্তা হঠাৎ মাথায় এলো। 


১-হঠাৎ করে আজ পুরনো একটা চিন্তা মাথায় এলো।


হঠাৎ আজ পুরনো একটা চিন্তা মাথায় এলো। 

-বলবো?

-বলুন

-চিন্তাটা খুব একটা ভালো না। তাই খটকা লাগছে। 

-থাক তারপরেও বলুন।

-আচ্ছা শুনেন তাহলে, আপনার মতো অসম্ভব মেধাবী, সুন্দরী ও গুণীজ্ঞানী এরকম একজন মানুষ আমার মতো একটা মানুষের হাত ধরলে এটা তার প্রতি এক প্রকার বে-ইনসাফ হয়ে যাবে না? এটা যে শুধুই আপনাকে উদ্দেশ্য করে বলছি তা না। আপনার মতো এমন কেউ যে আমার হাতটা ধরবে। 

-কেন এমন মনে হয় আপনার?

-আগেই বলেছি, আসলে এটা আমার অনেক আগের একটা চিন্তা।


এমন কেন মনে হয়? এর কিছু কারণ আমার আছে। এগুলো আমার একমাত্র পার্সোনাল বিষয়। এবং নিজেই নিজেকে এরকম মনে করা—এই আরকি।

-কীরকম?

-এইযে ধরেন, দেখতে আমি খুব একটা সুন্দর না, আকর্ষণীয় না। গায়ের রঙটাও খুব একটা টানে তাও না। দাঁতগুলোও যে খুব সুন্দর তা না। হাড় ছাড়া শরীরে নাই কিছুই। মরাকাঠিক মানুষ আমি। মাথার চুল পাকা ধরছে‌ অকালেই। না আছে তেমন অর্থকড়ি, ঘরবাড়ি। সেই মানুষটা কি এত কিছু সেক্রিফাইস করবে? সে তো আসলে এমন একজনকেই ডিজার্ভ করে যে দেখতে সুন্দর, সুদর্শন। আমার চেয়ে ভালো সুঠাম এক পুরুষ। তাই না। 


এমনটা মনে হতো স্টুডেন্ট লাইফেও। আমি কি তার প্রতি বে-ইনসাফ করে বসবো? 


যাক তবে আমার কাছে একটা জিনিস আছে, এ ছাড়া আর কিছুই নাই। এগুলো তো আর দেখা যায় না। মানুষ তো ডিসিশন নেয় বাহ্যিক দেখে। ভেতর দেখে না। আর ভেতরটা তো দেখা যায় না। ভেতরের সৌন্দর্যটার গুরুত্ব বুঝে আসে পরে। তাই এমন চিন্তা হয়। 


আর তা হলো,

এক রাজ্য অকৃত্রিম ভালোবাসা, এক বুক হৃদয় উজাড় করা হৃদ্যতা। একেবারে নির্জলা মায়া। হৃদয় উজাড় করে তাকে বুঝার মানসিকতা, তার সুখ আমার সুখ। তার দুঃখ আমার দুঃখ। তার শুন্যতা আমার শুন্যতা। তার পুর্নতা আমার পূর্নতা। তার ভালোলাগা আমার ভালোলাগা। তার একাকিত্ব আমারই একাকিত্ব। তার কষ্ট আমারই কষ্ট।


আরেকটু গভীরভাবে যদি বলি, তার মন যে আমারই মন। তার কলিজা যে আমারই কলিজা। সে যে আমিই, আমিই যে সে। যেমনটা ছিলেন আমাদের প্রিয় হাবিব রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। 


খাদিজা রাযিয়াল্লাহু আনহাকে তিনি এতটাই ভালোবাসতেন যে, খাদিজার মৃত্যুর পরেও তার বান্ধবীদের কাছে হাদিয়া পাঠাতেন। এটা ছিলো তার জীবনের অকৃত্রিম ভালোবাসার এক জীবন্ত নমুনা। 


এক কথায় বললে, আমি ঠিক সেই মানুষটি হতে চাই, যেমন ছিলেন আমাদের রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। এটা তো আর পসিবল না। বাট‌ ফলোওয়ার তো হতে পারি। 


এটুকু ছাড়া আমার আর কিছু নেই। এগুলো তো শুধু অদেখা রত্ন। সম্বল আমার এটুকুই। যেহেতু এ সবগুলোই অদেখা তাই এমন চিন্তা আসাটা স্বাভাবিক নয় কি? 


07:25 pm

31.03.25

31.08

—---------------------------

#৭৬

বিছানায় শুয়ে আম্মা আর আমি গল্প করছি। পাশে এক চাচী বসা। এলাকার কিছু মানুষের দুঃখ দুর্দশা আর পারিবারিক জীবনের কিছু মর্মস্পর্শী জীবনাচার তুলে ধরলেন আম্মা। এগুলো শুনতে গিয়ে খুব ভয় ভয় কাজ করছিলো ভেতরটাতে। 


কথার এক ফাঁকে বল্লাম, আম্মা তাহলে তো দেখা যায় আমাদের ফ্যামিলি ছাড়া এলাকায় পরিবার নিয়ে কেউ সুখী না। যারা নতুন বিয়ে করছে তারা। 


এক পুত্রবধূর কথা শুনে তো একেবারে আমার মাথায় হাত। পরিবারের এক বউকে নাকি বাড়ির সবাই মিলে মারধর করেছে। আম্মা জানালা দিয়ে দেখেছেন। 


09:00 pm

31.03.25

31.09

—---------------------------

#৭৭

রাতে বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া টা খুব সুন্দর। ফজরের নামাজের পর হাঁটতে বেরিয়েছে একটু। বৃষ্টি ভেজা সেই সকাল আর হিমেল হাওয়া গায়ে মাখতে মাখতে সামনে যাচ্ছি। 


নামাজ পড়ে আসলে শুয়ে পরার কথা। কিন্তু একটি বিষয় ভেবে আর শুইনি। হয়তো ওই মানুষটা ফোন দিবে আর যদি আমি তখন ঘুমিয়ে থাকি হয়তো আর ফোনটা ফোনটা ধরা হবে না। তাই রাস্তায় একটু হাঁটাহাঁটি করছি। 


হাঁটতে হাঁটতে গিয়ে বসলাম একটি দোকানের সামনে। দোকানটির মাচায়। তখনও আপনার নোটটা ওপেন করা। 


হঠাৎই অপরিচিত একটা নাম্বার থেকে কল আসলো। তড়িঘড়ি নাম্বারটা দেখলাম । বসা থেকে উঠে এই চিন্তা করতে করতে রিসিভ করলাম। মাত্র অল্প কয়েকটা মিনিট আছে মিনিট ঢুকাতে হবে। সে কথা ভেবে ভেবে ফোনটা রিসিভ করলাম। 


সালাম দিলাম ওইদিকে মানুষটাকে আমি কখনো জানি না। সালামের উত্তর হল কন্ঠ শুনে বুঝে গেলাম আমার ছোট ভগ্নিপতি। 


একটু কৌতুহলী হয়ে জিজ্ঞেস করলাম নাম্বার এটা কার? বলল নাম্বার এটা আমার ই তবে এটা আমার নতুন নাম্বার। এইতো এতোটুক গল্প হল এবং ভালো বন্ধু চাচি কেন হল তাই। 


06:22 am

01.04.25

01.01

—---------------------------

#৭৮

খুব ব্যস্ততায় আপনার সময় যাচ্ছে এটা আমি জানি। মনে হচ্ছে আমি দেখছি আপনার ছটফটানি। একটু সুযোগের অপেক্ষায় আপনি আছেন। 


আমিও খুব করে অস্থির হয়ে আছি কথাগুলো বলার জন্য। অনেক কথা যে জমে গেছে। একবারে সব কথা বলা যাবে না। বলতে হবে ধাপে ধাপে দুই বারে। সময় করে আস্তে আস্তে বলবো।


আপনার হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে পারবেন কথাগুলো। সবগুলোই আমার হৃদয়ের গভীরের কথা। আপনার হৃদয়ের গভীরে কথাগুলো আমি শুনতে চাই। 

11:31 am

01.04.25

01.02

—---------------------------

#৭৯

শত ব্যস্ততার সাগরে যদি আমি ডুবে থাকি। অন্য একটা রাজকন্যা এসেও আমার হাত ধরে। তারপরেও দিনের কোন একটা অংশে তোকে মনে পড়বে। 


এটিলস্ট ঘুমের আগে। একদুটো কথা তোর সাথে বলতেই হবে। আর সেটা আপনার জন্য করা আমার শখের নোটে। এটা চলবে হয়তো তোকে পাওয়ার আগ পর্যন্ত।


তবে সেই রাজকন্যাটার প্রতি কোন অবিচার করা হবে না। তোর প্রতিও না‌। যেই আসুক সেই হবে আমার পৃথিবী, আমার এক নতুন রাজ্য। তুইও হবে আমার একটা জগত, আমার একটা পৃথিবী যে জগতে, যে পৃথিবীতে শুধু তোর আর আমার বাস। দুটি দেহের একটি প্রাণের বিচরণ।  



চলো‌ যাই, যাই চলে,

পৃথিবী ছেড়ে মঙ্গলে।

আমি তুই, তুই আমি,

ভাসবো সুখের নীল আধারে। 


“চলো যাই, যাই চলে,

পৃথিবীর বাঁধন টুটে মঙ্গলে।

আমি তুই, তুই আমি,

ভাসবো সুখের নীল আধারে।”



03:47 pm

01.04.25

01.03

—---------------------------

#৮০

দাদার চেহারাটা দেখলেই খুব মায়া মায়া লাগে। ভিতরে ভিতরে কান্না আসে। এরকম মানুষও কি‌ হয়।


শৈশবে তো মানুষ কিছুটা উল্টাপাল্টা করে। কিছু দাগ‌ থাকে জীবনের খাতায়। কিন্তু আমার দাদার জীবনে তাও নাই‌। এটা জানলাম এলাকার কিছু মুরুব্বিদের কাছ থেকে। যাদের চোখের সামনে দাদার বেড়ে ওঠা এবং পুরোটা জীবন কেটেছে। 


আমি বলি দাদার মতো একটা মানুষ আগুন নিয়ে সংসার করেছেন। মাঝে মাঝে আম্মাকে বলি দাদা না হলে দাদির ডিভোর্স হয়ে যেত নিশ্চিত। 


সারা রাত সজাগ থাকতো দাদি। বছর বিশেক আগে পরে গিয়ে কোমরের বাল্ব ছুটে গিয়েছিল। দাদা নিজেও যে খুব সবল ছিলো তা না। 

কিন্তু দাদি বলতো আমার এখানে ব্যাথা ওখানে ব্যাথা ঘুম হচ্ছে না। দাদা এখান থেকে ওখানে টিপে দিতেন। একবারও বিরক্ত হতো না। দাদির ঘুম না হলে দাদার কাঁচা ভেঙ্গে দিতেন। আর বলতেন আমার ঘুম হচ্ছে না। আমি উঠবো পশ্রাব করবো দাদা।


গতকাল একটা মজার বিষয় ঘটছে। ঈদগাহে নামাজ খুতবাহ শেষ করলাম আমি। দাদাকে দোয়া করতে বল্লাম। দোয়ার একপর্যায়ে একটা কথা বলতে গিয়ে তিনবার হাউমাউ করে কান্না করলেন। প্রথম দুইবারে তো বলতেই পারেন নাই কথাটা। শেষে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বল্লেন, আল্লাহ আমার স্ত্রীটা মারা গিয়েছে। তাঁর ভুলত্রুটি ক্ষমা করে দিও। জান্নাত দিয়ে দিও।


কানে কানে বললেন “ইন্টারনেশনাল বয়ান হইছে”

আমি একটা হাসি দিলাম শুধু। 


দাদা তুমি আমার দাদা‌।

তোমার মত যেন হতে পারি দাদা। দাদার একটা আপত্তি “আমার বউ দেখে যাওয়া”


দূরদূরান্ত থেকে দদাকে দেখতে আসে অনেকেই। এই তো আজকে একজন সকালে কে যেন দাদাকে দেখতে এলো। 


04:15 pm

01.04.25

01.04

—---------------------------

#৮১

محبت کیا ہے دل کا درد سے معمور ہو جانا 


متاع جاں کسی کو سونپ کر مجبور ہو جانا

স্বীয় আত্মার পুরোটা কারো হাতে তুলে দিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাওয়া। 


04:34 pm

01.04.25

01.05

—---------------------------

#৮২

বাড়িতে লুঙ্গিই পড়া হয় সাধারণত। আজকে একটা লুঙ্গি আমি পড়েছি।‌ লুঙ্গিটা নতুনই। আমার সব লুঙ্গির কালার সাদার মতো। 


আম্মা বলতেছ “এই লুঙ্গি এটা বদলা।‌ দেখতে ভালো লাগে না।” 

আমি বলি আরে থাক, ভালো দেইখা কি দরকার। 


তখন আম্মা একটা ইন্টারেস্টিং কথা কইছে। আরে এহন একটু পরিপাটি হয়ে থাকা দরকার। মাইনষে দেখবো। আর ঘরে একটা মেয়ে থাকলে তারো একটু সাজুগুজু করে থাকা দরকার” 


05:28 pm

01.04.25

01.06

—---------------------------

#৮৩

-এই এই এদিকে।

-কাকে ডাকছেন? 

-কাকে আবার, তোরে। 

-মানে?

-মানে টানে কিছু নাই। আমি আপনাকে ডাকছি, তুই যে আমার আপনি। 

-এই, তুই আমার পুরোটা জুড়ে কেন?

-কেন? কীভাবে। 

-"তুই আমার সকাল, তুই আমার সন্ধ্যা।

তুই যে আমার আলো-আঁধার, দু'নয়নে তারা।"

-আমি কি তোর পুরোটা জুড়ে?

-জানিনা।

-আহারে জানে না। আচ্ছা সব কিছু জানতে হয় না। অনেকসময় লজ্জা পায়। হায়রে লজ্জা। উহু, লজ্জাবতী গাছের পাতা। ছুইলেই নিজের ভেতর গুটিয়ে যায়।

-বলেন না, কেন আপনি আমার আমিত্বটা জুড়ে আছেন? অসীম দূরে থেকেও তুই আমার বুকের পাঁজরে কেন। তোর নিঃশ্বাস আমার নাকে মুখে পড়ছে কেন? তোর শরীরের ঘ্রাণ আমি পাই কেন? তোর নাকের স্পর্শ আমার নাকে এসে লাগে কেন? তোর চুল আমার নাকে মুখে এসে পরে কেন। আমি তোকে ঘুম পাড়াই কেন? তোর মুখ আমার কানের এসে লাগে কেন?


আগে তো এরকম লাগতো না। এখন কেন এমন লাগে? 


তুই যে আমি, আমি যে তুই,


আলাদা দু’টি দেহ,

আত্মা যে একি। 


07:05 pm

01.04.25

01.07

—---------------------------

#৮৪

“”আসসালামুয়ালাইকুম। 

আপনি আমাকে নিয়ে ৮০ পেইজ লিখেছেন শুনে আমি কেন জানি খুশি হতে পারিনি। কারণ আমি আপনাকে এভাবে দেখতে চাই না। আমি যে যোবায়েরকে চিনি সে আমাকে নিয়ে রাতদিন লিখে যাবে সেটা আমি কখনোই চাই না। আমি আপনাকে অন্যভাবে দেখতে চেয়েছি। আপনার দ্বারা মুসলিম উম্মাহর উপকার হবে এমন একজন মানুষ হিসেবে আমি আপনাকে দেখতে চাই। আপনার চিন্তা ভাবনা অন্যদের চেয়ে আলাদা। সেই আলাদা ভাবনা গুলো আপনি বাস্তবায়ন করবেন এটাই আমার চাওয়া।

আপনার আপনি হয়ে থাকার লোভ আমি কখনোই সামলাতে পারবো না। 

তাই বলে আমাকে নিয়ে ভেবে আপনার কাজে ব্যাঘাত ঘটাবেন না প্লিজ।””



ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। 

সত্যি আমি সরি। 

আমি আপনাকে বোঝাতে পারিনি। আমি আপনাকে নিয়ে রাতদিন লিখি না। তবে সময় পেলে লিখি। 


আপনি যে জুবায়েরকে চিনেন আল্লাহ চাহে তো সে জুবায়ের কখনোই পরিবর্তন হবে না ইনশাআল্লাহ। 


আপনি যে জুবায়েরকে চিনেন সে জুবায়ে ঠিক সেরকমেই আছে যেরকম সে আগে ছিলো। সে তার চিন্তায় চেতনায় অটল, অবিচল। আপনি যে জুবায়েরকে দেখতে চান, জুবায়ের ঠিক সে জুবায়েরই আছে। বিন্দু পরিমাণ পরিবর্তন তার হয় নাই। 


বিশ্বাস করেন আপনি ঠিক যে জুবায়ের টাকে দেখতে চান, জুবায়ের ঠিক সেই জুবায়ের টাই আছে। সে তার লক্ষের পানে ছুটে চলছে। পৃথিবীর কোন বাধা তার সেই লক্ষ্য থেকে টলাতে পারবে না। একমাত্র আল্লাহ ছাড়া। 


আপনাকে নিয় লেখার পর্ব স্টপড করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আগেই। তবে দোয়ার আয়োজন আর রবের দোয়ারে আপনার দরখাস্ত অব্যাহত থাকবে পাওয়ার আগে পর্যন্ত। হোক এখানে বা‌ সেখানে। 


তবে আপনাকে নিয়ে লিখতে গিয়ে লেখার হাতটা আগের তুলনায় অনেকটা অনেকটা ইম্প্রুভ হয়েছে। এটা আমি দেখতে পেয়েছি।‌ এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। 


হে আমার আপনি! এই একটা কথায় আমার চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। কিছুক্ষণ আমি কান্না করেছি। “আপনার দ্বারা মুসলিম উম্মাহর উপকার হবে এমন একজন মানুষ হিসেবে আমি আপনাকে দেখতে চেয়েছি।”


আপনাকে কি বলে সম্বোধন করবো ভাষা আমার জানা নেই। আত্মা ফেটে কান্না আসছে। চোখের পানি ধরে রাখতে পারছি না। কিছুক্ষণ কান্না করলাম। আল্লাহ, এই মানুষটাকে সুখে শান্তিতে রাখো। জান্নাতে যাওয়ার পথটা তার জন্য সহজ করে দিও। ভুলত্রুটি ক্ষমা করে দিও।‌ তাকে ও তার সন্তানদেরকে দ্বীনের জন্য কবুল কইরো। 


প্রিয় বোন আমার! আমি সেই আগের আমিই আছি। আমি আমার পথ থেকে বিন্দু পরিমাণ সরে যাই নি। যে চিন্তা চেতনা গুলো আমি লালন করি জীবন দিয়ে হলেও তা আমি বাস্তবায়ন করেই ছাড়বো। আমার জীবদ্দশায় না পারলেও রাফানদের মতো কিছু যোগ্য উত্তরসূরী যারা থাকবে তাদেরকে কাজগুলো বুঝিয়ে দিয়ে যাবো। ওরা এগুলো সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে‌। সবগুলোই আমি লিখে রেখেছি। 


না, আমি কথা দিলাম আপনাকে নিয়ে ভেবে আমার চলার পথে কোন ব্যাঘাত ঘটাবো না। আমার স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করেই আপনাকে নিতে আসবো আল্লাহ চাইলে। 


আমার চিন্তাগুলো বাস্তবায়ন করার জন্য আপনাদের মতো হৃদয়বান কিছু মানুষের দোয়া আর ভালোবাসা ভিক্ষা চাই। 


কথা দিলাম মৃত্যুর আগে হলেও আমার আপনি হবেন যদি আল্লাহ চান। আপনি আমার আপনি হবেনই। 


এই “আপনি” শব্দটা আপনার জন্যই রেখে দিলাম। শুধু আপনার জন্যই। 


10:20 pm

01.04.25

01.08

—---------------------------

#৮৫

আপনি আমাকে চিনতে পেরেছেন ফুললি চিনতে পেরেছেন একবছরের জার্নিতে। আমিও আপনাকে চিনতে পেরেছি সেই এক বছরের জার্নিতে। চিন্তা চেতনা শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে। 


10:41 pm

01.04.25

01.09

—---------------------------

#৮৬

আপনার জন্য এতগুলো লেখা আমি লিখেছি। তাতে কি আপনি কষ্ট পেয়েছেন? 

কেন লিখলাম?

এখানে আমার কাছে পজেটিভ বেশ কিছু বিষয় আছে এবং হয়েছে। 

প্রথমত, আপনার প্রতি আমার সম্মান ও রিসপেক্ট। 


দ্বিতীয়ত, আমার লেখার একটা রিদম এসেছে। লেখার কিছুটা ইম্প্রুভমেন্ট আমি লক্ষ্য করেছি।


তৃতীয়ত, আপনাকে অমাতে জিয়ে রাখতে চেয়েছি।


তবে আপনার যদি খারাপ লাগে, কষ্ট হয় তাহলে আর লিখবো না। বাট অন্য টপিক নিয়ে লিখবো। আমার লেখা তো চলবেই। আপনার খারাপ লাগে এমন কোন কাজ আমি করতে চাই না। 


আপনার খারাপ লাগার সবচেয়ে বড় বিষয়টা হচ্ছে, আমি বোধ হয় আগের জুবায়েরটা নাই। চিন্তা চেতনার জায়গা থেকে আমি সরে যাচ্ছি। 


হে প্রিয় “আপনি” আমার! বিশ্বাস করেন, আমি আমার চিন্তা চেতনা থেকে এক বিন্দু পরিমাণ সরে যাই নি। আমার পুরো জীবন দিয়ে হলেও দ্বীনের জন্য এ গুলো বাস্তবায়ন করেই ছাড়বো ইনশাল্লাহ। 


আপনার মেসেজটা দেখার পর থেকে চোখের অশ্রু আর ধরে রাখতে পারিনি। এত নরমালি তো আমার কান্না আসে না। কিন্তু সারারাত ঘুমেই হয়নি। শুধু এপিঠ ওপিঠ করেছি। 


পরিশেষে, বলি আপনি একটা চিন্তার বিষয় হলো আমি হয়তো আপনাকে ভাবতে ভাবতে নিজের অনেক ক্ষতি করে ফেলবো। আমি কথা দিলাম আমার কাজে কোন ক্ষতি আমি করবো না। যদি আপনাদের কিছু মানুষের । আপনদেরআপনাদের হাত ধরেই যেতে পারবো আমার বাস্তবতার জগতে।  কে নিয়ে লে, অদৃশ্য কলমে রেখা টেনে । তবে এটাও বলে রাখি আপনি কখনোি ই আমার পথে বাধা না, বরং স্্বপন্ন পূরণের সবিপদ সঙ্কুল পথছপথে উপকারী এক অদৃশ্য কলমে রেখা টেনে। তবে এটাও বলে রাখি আপনি কখনোই আমার পথে বাধা না, বরং স্বপ্ন পূরণের বিপদ সঙ্কুল পথে উপকারী এক সহযোগী। মাঝে পথে দিতবে এটা কখনোই আমার পথে বাধা না, বরং স্বপ্ন পূরণের বিপদ সঙ্কুল পথে উপকারী এক সহযোগী। মাঝে পথে দিসহযোগী ।ি


Popular posts from this blog

জীবনের ফার্স্ট টিউশনি (১০/১২/২০২৩)

রাফানের আম্মু