22.02.25 (মিট)



প্রথম দেখা। মাদ্রাসায়। 
বিফের তরকারি, আর পায়েশ। 



তোকে যে ছাড়ছি না।
আমার পুরো আমিটাকে কীভাবে নিলেন আপনার দখলে। আমি তো আসলে বড় হিসাবী মানুষ। আবেগ আমাকে কাবু করতে পারে না কখনো। বিবেক দিয়ে আবেগকে কন্ট্রোল করেছি সবসময়। এখনো তাই করি। কিন্তু আপনার কাছে কেন ধরা খেলাম। আমার হৃদয়ের খাঁচার দরজাটা এই প্রথম উন্মুক্ত হলো। একজনের জন্য শুধু একজনের জন্য।

সেই একজনটা তুই, তুই হুম শুধু তুই। তোরে ভীষণ রকমের মাইর দিতে মন চাচ্ছে। মাথায় একটা দিতে পারতাম, তাইলে মনটা শান্ত হতো। 

হুম দিবো, মাথায় একটা দিবো। ভীষণ রকম রাগের সাথেই দিবো। তবে মাইর নাকি অন্য কিছু। হুম মাইর দিবো। আর একটা। কী আর একটা। 
থাক বলবো না। 
আচ্ছা বলি, পাপা দিবো। ঠিক কপাল বরাবর। 


এর আগে কখনো কথাই হয়নি কারো সাথে। আমার একটা থিওরি ছিলো, এই বিয়ে নিয়ে, আমাকে এমন হতে হবে যে, মেয়ের বাবা আমার পেছন পেছন ঘুরবে আমার পেছনে। মেয়ে তো ঘুরবে ঘুরবেই। 

এত হিসেবী একটা মানুষ বেহিসাবী কীভাবে হলো? প্রতিটা মিনিট যার হিসাবে কষে খরচ হয় সেও কীভাবে...
তারমানে জীবনের সব হিসেব করে চলে না। এমন কিছু আসে যা হিসেবের বাইরে। 

ওহ, না, না; কারণ একটা এখানে আছে। দুটি হৃদয়ের চাওয়া যখন এক হয় তখন তো আর হিসাবের খেলা এখানে চলে না। সবসময় তখন দুইয়ে একই হয়। চার আর কখনো হয় না। ক্যালকুলেটরও এখানে নিজের গতি পরিবর্তন করে ফেলে। ভুল করে বসে‌। ভুল তো আসলে করে না। এটাই যে সঠিক। 

তখন দুইয়ে দুইয়ে একই হয়। সবসময় এই একটা নিয়মই চলে। 




Popular posts from this blog

জীবনের ফার্স্ট টিউশনি (১০/১২/২০২৩)

রাফানের আম্মু