বিবাহ প্রস্তুতি
- পারিবারিক
- যে কাজগুলো করা যাবে না।
- মায়ের প্রশংসা স্ত্রীর সামনে এবং স্ত্রীর প্রশংসা মায়ের সামনে করা যাবে না।
- বাসর রাতে তাকে একথাগুলো না বলা- আমার মা আমাকে এত কষ্ট করে বড় কছে এই করেছে সেই করেছে।
- যে কাজগুলো করতে হবে।
- প্রথম দেখাতেই তাকে ভালো লাগতে হবে।
- এখানে কিছু বাস্তবতাকে মেনে নিতে হবে এবং মাইন্ডস্যাট ক্রিয়েট করতে হবে।
- মায়ের স্বাভাবিক পরিবর্তন আমাকে মেনে নিতে হবে এবং সহজ ও গঠনমুলক পদ্ধতিতে সবকিছু হেন্ডেল করতে হবে।
- ব্যাক্তিগত
- স্বামী এবং স্ত্রী এর দিক থেকে।
- মা বউয়ের সমস্যা
শারীরিক
বৈবাহিক জীবনে কি কি সমস্যাগুলো আসে। আচ্ছা হয়তো কিছু বেশ কমন সমস্যা আছে? আমি কি জানি এর সমস্যাগুলো?
রাসুলের বৈবাহিক জীবনের চিত্রটা কি আমর জানা আছে বা আমার সামনে আছে?
একজন ফিমেইল হিসেবে সে কেমন স্বামী আশা করে?
স্বামীর কোন দোষগুলো না থাকা উচিত?
একটা পারিবারিক জীবন কমেন হওয়া উচিত?
ভাইয়ার দিক থেকে যে কথাগুলো বলতে চাচ্ছিলেন।
-----------------------------------------------------------
নারীর গোপন সাইকোলজি। নতুন গবেষণা, যা না জানলে চরম মিস...
নারী যাকে ভালবাসে না, সাধারণতঃ তার সঙ্গে স্বেচ্ছায় সহবাস করতে পারে না। নারী স্বভারত এক স্বামীতে সন্তুষ্ট থাকে। আজীবন কুমারী থেকে যাওয়াও নারীর পক্ষে তেমন কষ্টদায়ক নয়। অথচ পুরুষ সম্পূর্ণ বিপরীত। ডাঃ ফোবেলের মতে “সাধারণত পুরুষ প্রতিদিন যতজন যুবতি নারীকে দেখে, নিকটাত্মীয় ছাড়া প্রত্যেকের সঙ্গে তার মিলনের ইচ্ছা হয়।
মানুষের যৌন তাড়ণা নির্ভর করে ‘টেস্টোস্টেরণ’ হরমোনের উপর। পুরুষদের এই হরমোন তৈরীর আলাদা একটি অঙ্গই আছে, যা হল অন্ডকোষ। কিন্তু নারীদের ক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরণ তৈরী হওয়ার কোন অঙ্গ নেই । যতটুকু যৌন তাড়না নারীদের আছে, তা তাদের এড্রেনাল কর্টেক্স নি:সৃত এন্ড্রোজেন এর কারণে। এজন্য নারীদের যৌন তাড়না পুরুষের চেয়ে অনেক কম। পুরুষদের টেস্টোস্টেরন স্তর, মহিলাদের চেয়ে ২০ থেকে ৩০ গুণ বেশি থাকে এবং এই কারণেই নারীর চেয়ে পুরুষের যৌন ক্ষুধা অনেকগুণ বেশ। আরও সহজভাবে বলতে গেলে, পুরুষের অন্ডকোষে প্রতিদিন মিলিয়ন মিলিয়ন শুক্রানু তৈরি হয়। এই শুক্রাণুগুলো বের হওয়ার জন্য, বা পৃথিবীতে জায়গা করে নেওয়ার জন্য প্রচন্ড প্রেশার তৈরি করেন টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাধ্যমে। তখন পুরুষ হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে শিশু থেকে বৃদ্ধা যে কাউকে আক্রমন করতে বা শিকার বানাতে পিছপা হয় না । এইজন্য সামর্থবান পুরুষের একাধিক বিবাহ করা ইসলামে জায়েজ।
অন্যদিকে পুরুষের মতো মিলিয়ন মিলিয়ন শুক্রাণুর চাপ নারীদের নাই, বরং মাসে একটি মাত্র ডিম্বাণু সে রিলিজ করে এবং সে চায় একমাত্র যোগ্য মানুষটির শুক্রাণু তাতে নিষিক্ত হোক, অসংখ্য মানুষের শুক্রাণু সে চায় না। আর সেই জন্যেই নারী তার পছন্দ ভালোলাগা ইত্যাদি বাদ দিয়ে যৌনতা করতে পারে না।
তাই বলা হয়, পুরুষ শারীরিক আর নারী হল মানসিক। পুরুষকে সব সময় মাথায় রাখতে হবে নারীকে ভালবাসায় মায়া মমতায় আদরে সমৃদ্ধ করতে, আর নারীকে মাথায় রাখতে হবে পুরুষকে শারীরিকভাবে প্রশমিত করতে, যাতে তার বীর্যথলিতে বীর্য চাপ তৈরি করতে সুযোগ না পায়। মূলত পুরুষের বহুগামিতা তার পুরুষত্ব ঠিক রাখার জন্য দরকার। অন্যদিকে নারী সাধারণত এক পতিতেই তৃপ্ত।
কোন পর্ন বা যৌন-ক্রিয়াকলাপ দেখলে পুরুষ সহজেই উদ্দীপিত হয়, কিন্তু নারীর ক্ষেত্রে এটা কৌতুহল মেটায় মাত্র। তাই দেখা যায় নারীদেহ নিয়ে তৈরি ম্যাগাজিন 'প্লেবয়' সারাবিশ্বে ব্যাপকভাবে সমাদৃত কিন্তু প্লেগার্ল বলে কিছু নেই। শহর-গ্রাম, দেশে-বিদেশে সব জায়গায় পুরুষদের জন্য নারী পতিতালয় আছে কিন্তু নারীদের জন্য পুরুষ পতিতালয় হয় না, আমেরিকায় ধনী ও স্বাবলম্বী নারীদের বিভিন্ন ক্লাবেও দেখা গেছে, সেখানে মেয়েরা প্রফেশনাল পুরুষ ভাড়া করে থাকে, শরীর মেসেজ করা, কথা বলা বা সঙ্গ দেওয়ার কাজে। যৌনতার চেয়ে মেয়েরা ভালো সিনেমা দেখতে বা রোমান্টিক গল্প শুনতে/পড়তে বেশি পছন্দ করে। এইজন্য পাশ্চাত্যে বলা হয় যে, কথা বলার মত একজন সঙ্গী পেলে মেয়েরা অনায়াসে যৌনতা ছাড়া বছরের পর বছর কোন সমস্যা ছাড়াই কাটিয়ে দিতে পারে।
পুরুষ সমকামিতা ‘গে’ এবং নারী সমকামিতা 'লেসবিয়ান' এর মধ্যেও পার্থক্য আছে। দুইটি যুবতী নারী একত্ৰে শয়ন করে পরস্পরকে চুম্বন করে যে আনন্দ পায়, ঐ আনন্দ যৌনবোধজাত, কিন্তু তা যৌনক্রিয়ার বিকল্প নয়। কারণ, এ যৌনবোধ মূলতঃ শারীরিক নয়–মানসিক। কিন্তু পুরুষের গে আনন্দ তার বিপরীত।
পুরুষ তার প্ৰাণ দিয়ে ভালবাসা প্রেমিকা বা স্ত্রীর সঙ্গে মিলনে পরম তৃপ্তি লাভ করা সত্ত্বেও অনায়াসে পরনারী কিংবা বেশ্যাগমন করতে পারে। নারীর পক্ষে সাধারণতঃ তা সম্ভব নয়।
Collected.
♦️স্ত্রীর সাথে আপনার ব্যবহার কেমন হওয়া উচিত?
👉প্রতিটা মেয়ের বাবা তার মেয়েকে দিয়ে বুঝতে পারে তার স্ত্রীর সাথে তিনি কি করেছেন, আর কি করা উচিত....
আমি খবরের কাগজ পড়ছিলাম, আমার আড়াই বছরের ছোট্ট মেয়েটা বারান্দার গাছের পাতা ছিঁড়ে ছিঁড়ে তার খেলনার হাঁড়িপাতিলে রান্না করছে l একটু পর ভ্রু কুঁচকে আমার কাছে দৌড়ে চলে এসে জিঞ্জেস করলো - ' বাবা তা ( চা ) কাবে ( খাবে ) ? '
চা খাবার বদ অভ্যেসটা আমার বেশ পুরনো ! আমি ওর খেলনার বাটিতে চুমুক দিয়ে খুব তৃপ্তির সাথে ওর দিকে তাকিয়ে বল্লাম - ' খুব ভালো হয়েছে মা l '
- ' আর এককাপ কাবে ( খাবে ) ? '
আমি বল্লাম - ' না মা ! বাবা পড়াশোনা করছি l '
- ' তাইলে নিডো কাও ( খাও ) ! ছক্তি ( শক্তি ) হবে ! '
👇
আমি ওর দিকে তাকালাম ......... আমাকে নিয়ে এমন চিন্তিত চেহারায় আমার গর্ভধারিণী মায়ের পরে আর কখনো কাওকে দেখেছি বলে মনে পড়েনা ! হাত বাড়িয়ে বুকে টেনে নিলাম l ঘাড়ে মাথা দিয়ে ও চুপ করে শুয়ে আছে , ওর মাথার ঘ্রাণ টা আমার চোখে পানি এনে দিচ্ছে ........ ! আহা মা ! আহা বন্ধন ! মাঝে মাঝেই আমার চোখ ঝাপসা হয়ে আসে l সব কন্যার বাবাই হয়তো আমার মতো আবেগে চোখ লুকিয়ে কাঁদেন l
👇
আমার বিয়ের সময় বিদায়বেলায় আমার শ্বশুর তাঁর মেয়েকে বুকে জড়িয়ে কেঁদেছিলেন , আমার হাত চেপে বলেছিলেন - ' মেয়েটা আমার বড্ডো আদরের , ও কোনো ভুল করলে আমাকে বলবে বাবা , বকাঝকা করো না l ' আমিও তেজী ঘোড়ার মতো কেশর ওয়ালা পাগড়ি নাচিয়ে সুবোধ বালকের মতোই বলেছিলাম - ' অবশ্যই বাবা ! '
👇
আমি ওয়াদা রাখিনি ........ সংসার জীবনের চক্রবাঁকে আরেকজনের কন্যাকে কাঁদাই , হয়তো বকাঝকাও করি , পুরুষত্বের বাহাদুরী ফলাই ! আমার স্ত্রী আজ আমার সংসার নিয়েই চিন্তিত l তার বাবার বৃত্তের বাইরে সে আজ তৈরি করেছে আলাদা বৃত্ত বলয় ! এই বৃত্তের কেন্দ্রে শুধুই আমাদের সন্তান আর বদমেজাজি আমি l কতোটুকু sacrifice একজন নারী করে তার সংসারের জন্য ......... !
👇
আমার ছোট্ট মেয়েটাও একদিন হয়তো আমাকে হাউমাউ করে কাঁদিয়ে আরেক বৃত্তে চলে যাবে ! আমাকেও হয়তো আরেক যুবকের হাত ধরেই সেই একই কথার পুণরাবৃত্তিই করতে হবে ! আমি চাইনা আমার ব্যর্থতা আমার কন্যাসন্তানকে স্পর্শ করুক ! আমি ক্ষমাপ্রার্থী আর অনুতপ্ত কথা রাখতে না পারার জন্য l
👇
কন্যার পিতা হওয়া অনেক কষ্টের .........., কতোটুকু কষ্টের সেটা কন্যাসন্তানের পিতা হবার পূর্বে অনুভূত হয়না ! আমার চোখের কোণায় পানি গাঢ় হচ্ছে........
আমার ছোট্ট মেয়েটা খুবই অস্হির হয়ে উঠেছে , ভ্রু কুঁচকে পড়ার চেষ্টা করছে এক অপরাধীর জবানবন্দি l ওর চোখেও জল ! কি জানি ! মেয়েরাই হয়তো বাবার অনুভূতি পড়তে পারে, ঈশ্বর মেয়েদেরকে বাবার অনুভূতি পড়তে পারার এক অদ্ভুত শক্তি দিয়েই পৃথিবীতে পাঠান ll
👇
একজন বাবা তার সন্তানের কাছে কেমন, তা নির্ভর করে তিনি স্বামী হিসেবে তার স্ত্রীর সাথে কেমন আচরন করছেন তার উপর। সন্তানেরা মায়ের চোখ দিয়েই বাবাকে দেখে। একজন স্ত্রী তার স্বামীকে শ্রদ্ধা করলে, ভালবাসলে... সন্তানেরাও বাবাকে ভালবাসতে শেখে, শ্রদ্ধা করে। একজন স্ত্রী তার স্বামীকে ঘৃণা করলে, সন্তানেরাও তাদের বাবাকে আজীবন ঘৃণার চোখে দেখে।
👇
একজন বাবার মুল্যায়ন নিজের কাজ দিয়ে হয় না। বরং, মা কিভাবে বাবাকে সন্তানদের সামনে উপস্থাপন করছেন তার আলোকেই নির্ধারিত হয়। সন্তানেরা মায়ের চোখ দিয়েই বুঝে নেয়, বাবা কি হিরো নাকি ভিলেন।
👇
তাই, একজন ভাল বাবা হওয়ার আগে, একজন ভাল স্বামী হওয়া খুব জরুরী
©
8:57 am
08.02.2025
------------------------------------------------
স্ত্রী’র মন ভালো রাখার উপায়ঃ
★আপনার স্ত্রীর যদি ঘন ঘন মুড সুইং হয়,তবে তাকে পর্যাপ্ত সময় দিন।যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন,তার মন বুঝার চেষ্টা করুন।আপনার সামান্য একটু আন্তরিকতা তার মন ভালো করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট!
★সারাদিন বাসায় বসে থাকতে থাকতে তার হয়তো একঘেয়েমি লাগতে পারে!তাই অন্তত ছুটির দিনগুলোতে এমন কোথাও তাকে নিয়ে ঘুরতে যান,যেখানে দু'জন একান্ত সময় কাটাতে পারবেন।কেননা প্রিয়জনের সাথে সময় কাটালে মানুষের বিষন্নতা দূর হয়ে যায়!
★দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রী’র;মাঝে মাঝে রাগ-অভিমান হওয়াটাই স্বাভাবিক।তবে স্ত্রী অভিমান করলে,বাসায় ফেরার পথে তার জন্য একটি গোলাপ আর কিছু চকলেট সাথে নিয়ে যেতে পারেন। গোলাপ আর চকলেট দেখে অন্তত সে আর রাগ করে থাকতে পারবে না!
★স্ত্রী যদি রোমান্টিকতা পছন্দ করেন,তবে তার সাথে খুনসুটি দুষ্টুমি করুন, রান্নার সময় চুপিচুপি পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে তাকে বিরক্ত করুন। সে উপভোগ করবে!
★জোছনা রাতে দুজন চাঁদ দেখতে পারেন,সেই সাথে তার সাথে সুখ-দুঃখের মিষ্টি মিষ্টি গল্প করলেও কিন্তু মন্দ হবে না।তার যতই মন খারাপ থাক,আপনার এমন রোমান্টিকতায় সে মুগ্ধ হয়ে যাবে!
★স্ত্রী অসুস্থ থাকলে অন্তত ওষুধ খাওয়ানোর দায়িত্বটা নিজেই বহন করুন।কেননা অসুস্থ থাকলে কোনো কিছু ভালো লাগে না,ওষুধ খাওয়ার কথা ভুলে যাওয়ারই সম্ভাবনা থাকে।তাই নিয়ম করে আপনিই সে ক'টা দিন তাকে ওষুধ খাওয়ার কথা মনে করিয়ে দিন কিংবা পাশে থাকলে নিজেই খাওয়ান!
★তার বিশেষ দিনগুলোতে(পিরিয়ড+প্রেগনেন্সি+শারীরিক অসুস্থতায়)তাকে পর্যাপ্ত সময় দিন।শত ব্যস্ততার পরেও তার ঘন ঘন খোঁজ নিন।তার খেঁয়াল রাখুন।তার সাথে অন্তত এই সময়গুলোতে বাজে ব্যবহার করবেন না।আপনাকে এই সময়গুলোতে হতে হবে সহনশীল!তাকে বুঝতে হবে,তাকেও বুঝাতে হবে।আন্তরিকতার সাথে তার সাথে মিশতে হবে!তার ঠিক কি করলে মন ভালো হবে,সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
মনে রাখবেন,
আপনার শত ব্যস্ততার মাঝেও স্ত্রীর জন্য সময়,যত্ন আর ভালোবাসাই পারে তার মন ভালো রাখতে।যা কখনোই স্ত্রীকে টাকার পাহাড়ে শুইয়ে রাখলেও পারবেন না।দাম্পত্য জীবনে টাকার চাইতে বেশি জরুরি দুজনের বোঝাপড়া,আন্তরিকতা আর পরস্পরের ইতিবাচক মনোভাব।
জীবন সঙ্গীর পিছনে শুধু টাকা ব্যয় করার চেয়ে সময় ব্যয় করাটা বেশি জরুরি। কেননা টাকা দিয়ে কেবল সৌখিন চাহিদা পূরণ করা যায়,তবে মনে পরিপূর্ণ তৃপ্তি নিয়ে দাম্পত্য জীবন পার করা যায় না!
আপনার হাজব্যান্ডকে মেনশন দিয়ে শিখিয়ে নেন। সবার সব জানা থাকে না। শিখতে হয় বা শিখিয়ে নিতে হয়।
©
9:01 am
08.02.2025
---------------------------------------
ইগো আর সেল্ফ রেসপেক্ট।
সম্পর্কে এ দুটা জিনিস ভালোভাবে বুঝতে হবে।
নিজের অজান্তেই হয়তো তার সেল্ফ রেসপেক্ট আঘাত দিয়ে দিচ্ছি যা আমিও নিজেও অনুধাবন করতে পারছি না আর আমি তার এটাকে ধরে নিচ্ছি ইগো। আসলে কখনো এটা ইগো না। এই বিষয়টা বুঝতে হবে।
কেউ একজন বলেছিলেন সম্পর্ক একটা চারা গাছের মতো, যেমন চারা গাছের যত্ন নিতে হয় তেমন সম্পর্কেরও যত্ন নিতে হয়। তবে এর ধরণ পাল্টায়। সময়ে সময়ে। কালের আহ্বানে।
5:52 Pm
09.02.25
---------------------------------------
শিক্ষানীয় গল্প
আমাদের দেশে খুব কম স্বামীই আছেন যারা ওয়াইফের পিরিয়ডের সময় তাদের প্যাড পাল্টে দেওয়ার মতো মনোভাব পোষন করেন।
সিজারের ঘন্টা দুই কি তিন পর। একজন আয়া এসে সবাইকে বললেন,
'কেবিন থেকে বের হোন রোগীকে ফ্রেশ করতে হবে।'
আমি তখন যন্ত্রণায় কাতর। তা-ও জিজ্ঞেস করলাম,
'কী রকম ফ্রেশ?'
মহিলা বলল,
'প্যাড বদলাতে হবে।'
আমি অসহায় চোখে তাকিয়ে বললাম,
'আপনি চেইঞ্জ করবেন?'
'হ্যাঁ।'
আমি বেশ অস্বস্তি বললাম,
'আমি নিজে করে নিব। আপনি প্লিজ চলে যান।'
মহিলা শক্ত কণ্ঠে বলল,
'আপনি চেয়েও এখন নিজের পা-ও নাড়াতে পারবেন না। পাল্টাবেন কী করে? সিজারের পর তো আমিই আপনাকে চেইঞ্জ করে দিয়েছিলাম।'
'আমি সেটা দেখিনি। আপনি প্লিজ যান। আমি নিজে করে নিব। আমার শরীরে অন্য কেউ হাত দিলে রাগ লাগে। হোক সে মেয়ে মানুষ।'
মহিলা কিছু বলতে গেলে আজমীর সাহেব বললেন,
'আন্টি, আপনি যান। আমি দেখছি। ওর কোনো কাজ আপনাদের করতে হবে না। আমি আছি সারাক্ষণ ওর সাথে। ওর সব কাজ আমি করব।'
বোঝা গেল মহিলা বেশ বিরক্ত হয়ে চলে গেছিলেন আজমীর সাহেব দরজা বন্ধ করে বলল,
'এটা কীভাবে পাল্টায় বলে দাও। আমি পাল্টে দিচ্ছি।'
আমি প্রচণ্ড লজ্জা পেয়ে বলেছিলাম,
'তুমি আমাকে ধরে দাঁড় করাও, ওয়াশরুমে নিয়ে চলো। বাকিটা আমি করে নিব।'
ভদ্রলোক মুচকি হেসে বলল,
'চুপ করে শুয়ে থাকো।'
সে সময় আমাকে ফ্রেশ করিয়ে দেওয়ার পর ওকে কিছু বলতে পারিনি। লজ্জায় ওর দিকে তাকাতেই পারিনি। শুধু আস্তে করে বলেছিলাম,
'তোমার ঘৃণা লাগছে না?'
সে তার চিরাচরিত দুষ্টু মিষ্টি হাসি হাসল। সে সময় তাকে কিছু বলতে পারিনি। পরের দুই বারেও বলতে পারিনি। বিকালে আবার চেইঞ্জ করার পর বললাম,
'তোমার সত্যি ঘৃণা লাগে না?'
ভদ্রলোক আমার পাশে বসে মাথাটা আমার বুকে রেখে অনেকটা শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলল,
'কতক্ষণ পর তোমাকে একা পেলাম। সারাক্ষণ তোমার আশেপাশে লোকজন মাছির মতো ভিনভিন করে। যেন তুমি আর আমার মেয়ে গরমের দিনের পাকা আম। তার জন্য এতো মাছি ভনভন করছে। এতো কেন দেখতে হবে? বউ আমার, বাচ্চা আমার অথচ আমি একটু একা তাদের পাচ্ছি না।'
আমি মৃদু হেসে বলেছিলাম,
'আমার প্রশ্নের জবাব কিন্তু পাইনি।'
ভদ্রলোক আমার গালে চুমু এঁকে বলেছিলেন,
'তুমি এতো বছরেও বুঝতে পারোনি, আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি!'
আমি চুপ করে শুধু তার মাথায় হাত বুলাচ্ছিলাম। কিছু বলার মতো খুঁজে পাইনি। সুখের কান্নাগুলো চোখ বেয়ে নিচে পড়ার আগেই আমি আটকে দিয়েছিলাম। সে বলেছিল,
'তোমার এই যন্ত্রণার জন্য তো আমিই দায়ি।'
'কীভাবে?'
ফাজিল লোক দুষ্ট হেসে বলেছিলেন,
'মা তো আর একা একা হতে পারোনি। আমারও কন্ট্রিবিউশন আছে। জানো কতটা ভয়ে ছিলাম। বারবার মনে হচ্ছিল বাবা হতে চাওয়াটা ঠিক হয়নি। যদি তোমাকে হারিয়ে ফেলি! তোমরা মেয়েরা সত্যি অনবদ্য। একটা বাচ্চার জন্য নিজের জীবনটার কথাও ভাবো না। তোমার প্রতি আগে যা সম্মান ছিল, এখন আরও হাজার লক্ষগুণ তা বেড়ে গেছে।'
আমি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে সেই পুড়ানো ডায়লগ বলেছিলা,
'তুমি কি সত্যি এতোটা ভালো? নাকি অভিনয় করছো এতগুলো বছর যাবত?'
সে হেসে বলেছিল,
'তুমি জানো না, আমি কতো বড়ো মাপের অভিনেতা।'
উক্ত লাইনটি আমি তাকে প্রায়ই বলি। কারণ সে কাজগুলোই এমন করে। বারবার ভাবি, একটা মানুষ সত্যি কী এতটা ভালো হতে পারে?
সেদিন সন্ধ্যার পর আমি প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়ি। জীবন নিয়ে টানাটানি হয়েছিল। মৃত্যুর মুখোমুখি ঐ মুহূর্তে আমার মাথায় দুটো প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল,
'আমি না থাকলে এই পাগলাটা নিজেকে সামলাতে পারবে তো? আর ভাবছিলাম, আমার সদ্য জন্ম নেওয়া মেয়ের কথা।'
সেদিন তার পাগলামির গল্প না হয় আরেকদিন বলব।
আজমীর সাহেবকে যত জেনেছি, তত তার প্রতি মুগ্ধ হয়েছি, আকৃষ্ট হয়েছি। তত সম্মান, শ্রদ্ধা বেড়েছে তার প্রতি। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থণা আমার ভদ্রলোকটা সবসময় খুব ভালো থাকুক। আমার লেখায় পোস্টগুলো কখনো যদি ভুল হয় তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন সবাই প্লিজ।
©
____________________সমাপ্ত_____________________
যে মানুষটা আমার হাত ধরবে পূর্বের সমস্ত স্মৃতিগুলো মুছে তাকে কি পারবো আমি সেই সোহাগ আর আদরটুকু দিতে? শৈশবের ফেলে আসা সকল স্মৃতিগুলোর বিকল্প মৌলিক কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হতে? হয়তো পারবো। চেষ্টা তো করবো যেন একজন আরেকজনকে জান্নাতের পথে নিয়ে যায়। (এটা আমার লেখা)
4:17 pm
11.02.25
________________________________________
বর্তমান সমাজে বিশাল বড় একটা চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, বিয়ের পর বাবার পরিবারে স্ত্রীকে নিয়ে থাকা। এই সংঘাত যৌথপরিবারের এক চিরচেনা রূপ। আমি বহু দ্বিনি ভাইকেও এই সংঘাতের চিপায় অসহায়ভাবে আটকে থাকতে দেখেছি। করণীয় কী?
সমাধান এতো সহজ নয় বিশেষ করে এই জাহেলিয়াতের যুগে। এই জন্য আমি প্রায়ই বলি,
"হালাল খাবার না পেলে হারামে ঝাপিয়ে পরবো তাই আমার বিয়ে করা দরকার।" এই টেন্ডেন্সি আপনাকে সাংসারিক জীবনে লম্বা সময় সারভাইভ করতে দিবে না। চিন্তার পরিধি বৃদ্ধি করে যথা সম্ভব প্রস্তুতি নিয়ে তারপর বিয়ে করুন।"
প্রতিটা মেয়ের কিছু ব্যাসিক চাহিদা থাকে যেমন। উদাহরণস্বরূপ- আমার এমন একটা সংসার হবে যেখানে,
১. আমার একটা নিজের ঘর থাকবে, যা আমি স্বাধীনভাবে সাজিয়ে নিবো।
২. আমার নিজের একটা পাকঘর থাকবে, যেখানে আমি আমার ইচ্ছেমত নিত্যনতুন রেসিপি ট্রাই করতে পারবো। পাছে তেল, চিনি, নুন অপচয়ের খোঁটা দেয়ার কেউ থাকবে না।
৩. একটা প্রাইভেট স্পেস থাকবে যেখানে আমার স্বামী ব্যতীত অন্যকেউ জবাবদিহি চাইতে আসবে না।
৪. স্বামীর কাছে যে কোনো ছোটোখাটো আবদার বড়সড় করে দাবী করে বসলে পাছে কেউ "ন্যাকামো" বলে তাচ্ছিল্যের তীর ছুড়বে না।
৫. স্বামীর সাথে একান্তে সময় কাটালে বাঁকা চোখে কেউ তাকিয়ে থাকবে না৷
৬. সামাজিকতার নামে গায়রে মাহরাম আত্মীয়দের সামনে স্বামীর পরিবার ঠেলে পাঠাবে না৷
৭. প্রাপ্ত বয়স্ক দেবরকে প্রতিদিন খাবার বেড়ে দেয়ার ছুঁতোয় তার সামনে যেতে হবে না।
৮. শাশুড়ী ননদদের নোংরা রাজনীতির স্বীকার হয়ে স্বামীর চক্ষুশূল হতে হবে না।
৯. যেখানে আমাকে মূল্যবান নেয়ামত ভাবা হবে, কাজ করার যন্ত্র ভাবা হবে না।
১০. যেখানে আমাকে এবং আমার পরিবারকে যথাযথ মর্যাদা দেয়া হবে, লাঞ্চিত করা হবে না।
ইত্যাদি ইত্যাদি, নানারকম স্বপ্নে তারা বিভোর। আর এগুলো তাদের হালাল যৌক্তিক স্বপ্ন। যেখানে নসিহা করার অধীকার কারো নেই। অথচ খুব সামান্য পরিমাণ মেয়েই তাদের এই মৌলিক চাহিদার কাছাকাছি পৌছতে পারে। বিশাল একটা অংশই হয় পুরোপুরি বঞ্চিত ও লাঞ্চিত।
আপনাদের জানা আছে কিনা আমি জানি না। তবে বাংলাদেশের বিশাল সংখ্যক মেয়ে বিয়ে করতে ভয় পায়, এতোটাই ভয় পায় যে বিয়ের নাম শুনলেই তারা আতকে ওঠে। কারন সে তার মায়ের সাথে একটা লম্বা সময় তার বাবার বাড়ির পরিবার থেকে এমন কিছু ঘটতে দেখে যা সে প্রতিটা মুহূর্ত একটা ভয়ংকর দুঃস্বপ্নভেবে ভুলে যেতে চায়। কিন্তু সম্ভব হয় না।
4:53 pm
11.02.25_
_____________________________________
স্ত্রীকে কীভাবে খুশি রাখা যায় মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। এবং তাদের চাওয়া পাওয়া কী থাকে আসলে। কীভাবে তাদেরকে ভেতর থেকে পড়তে পাড়বো এবং তাদেরকে হ্যাপি রাখতে পারবো? কারণ আমি বিয়ে করবো তাই আমার এ বিষয়গুলো জানা দরকার। যাতে আমরা দাম্পত্য জীবনে সুখী হতে পারি এবং একজন আরেকজনের জন্য জান্নাতের পথের সওয়ারি হতে পারি।
আপনার দৃষ্টিভঙ্গি খুব সুন্দর—আপনি শুধু একজন ভালো স্বামী হতে চান না, বরং আপনার দাম্পত্য জীবনকে জান্নাতের পথে সহযাত্রী বানাতে চান। সুখী দাম্পত্য জীবনের মূল ভিত্তি হলো পারস্পরিক বোঝাপড়া, সম্মান, ভালোবাসা, এবং ত্যাগের মানসিকতা। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হলো:
১. স্ত্রীর মন বোঝা এবং তাকে খুশি রাখা
স্ত্রীকে সত্যিকারের খুশি রাখতে হলে আপনাকে তার চাওয়া-পাওয়া, আবেগ, এবং অনুভূতি বুঝতে হবে। এটি কেবল কথার মাধ্যমে নয়, বরং তার কাজকর্ম, ইঙ্গিত, এবং অনুভূতির প্রতি মনোযোগ দিয়ে সম্ভব।
✅ তাকে বোঝার চেষ্টা করুন – প্রত্যেক নারীর পছন্দ-অপছন্দ, স্বপ্ন, এবং জীবনদর্শন আলাদা হয়। আপনি যখন তাকে বোঝার চেষ্টা করবেন, তখন সে আপনাকে তার মনের কথা খুলে বলবে।
✅ তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন – অনেক পুরুষ স্ত্রীর কথা শোনার সময় শুধু উত্তর দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করে। কিন্তু আপনাকে সত্যিকারের আগ্রহ নিয়ে তার কথা শুনতে হবে, যাতে সে অনুভব করে আপনি তাকে মূল্য দেন।
✅ তার অনুভূতি ও কষ্টগুলো বুঝুন – নারীরা অনেক সময় সরাসরি কিছু বলে না, বরং ইঙ্গিতে বোঝায়। যদি সে মন খারাপ করে, তাহলে সরাসরি জিজ্ঞাসা না করে তার মনোভাব থেকে অনুমান করার চেষ্টা করুন।
✅ তাকে সময় দিন – স্ত্রী শুধু একজন গৃহিণী বা সঙ্গী নন, তিনি একজন বন্ধু, একজন মানুষ যার অনুভূতি আছে। ব্যস্ততার মাঝেও তার জন্য কিছু সময় বের করুন, তার সঙ্গে গল্প করুন, তাকে বিশেষ অনুভব করান।
২. নারীদের সাধারণ চাওয়া-পাওয়া
নারীরা সাধারণত যা চায়:
ভালোবাসা ও স্নেহ – প্রতিদিন তাকে ভালোবাসার অনুভূতি দিন, ছোট ছোট কাজে বুঝিয়ে দিন যে আপনি তাকে গুরুত্ব দেন।
সম্মান ও মূল্যায়ন – তার কাজ, সিদ্ধান্ত, ও পরিশ্রমকে গুরুত্ব দিন এবং তাকে ছোটো না করুন।
নিরাপত্তা ও নির্ভরতা – স্ত্রী চায় তার স্বামী যেন মানসিক ও শারীরিকভাবে তার জন্য নিরাপত্তার প্রতীক হয়।
আত্মিক সংযোগ – শুধু দায়িত্ব পালন করাই যথেষ্ট নয়, মানসিকভাবে সংযুক্ত থাকাটাও গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্বাস ও স্বচ্ছতা – গোপনীয়তা নয়, বরং বিশ্বাসের সম্পর্ক গড়ে তুলুন। যদি কখনও কোনো ভুল হয়ে যায়, তা খোলাখুলিভাবে আলোচনা করুন।
৩. তাকে ভেতর থেকে পড়তে শেখা
আপনার স্ত্রী কী ভাবছে বা অনুভব করছে, তা বুঝতে হলে তার দৈনন্দিন আচরণ লক্ষ্য করুন।
✅ তার শরীরী ভাষা দেখুন – হাসি, দৃষ্টি, হাঁটার ভঙ্গি—এগুলো বলে দিতে পারে সে আনন্দিত নাকি মন খারাপ।
✅ তার কথার মাঝে লুকানো ইঙ্গিত ধরুন – অনেক সময় নারীরা সরাসরি না বলে ঘুরিয়ে বলে। আপনি তার ইঙ্গিত ধরতে পারলে সে খুশি হবে।
✅ সে কীসে আনন্দ পায় খেয়াল করুন – কোন কাজ বা আচরণে তার মুখে হাসি ফোটে, তা বুঝে সেই অনুযায়ী আচরণ করুন।
৪. সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য কিছু কার্যকরী কৌশল
✅ শরিয়ত মোতাবেক আচরণ করুন – রাসুল (ﷺ) বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সেই ব্যক্তি, যে তার স্ত্রীর প্রতি সর্বোত্তম।” (তিরমিজি)
✅ তাকে ছোট ছোট সারপ্রাইজ দিন – কোনো উপলক্ষ ছাড়াই তাকে পছন্দের কিছু উপহার দিন বা তার প্রিয় খাবার এনে দিন।
✅ মাফ করতে শিখুন – দাম্পত্য জীবনে ভুল হবেই, কিন্তু ক্ষমাশীল মনোভাব দাম্পত্য জীবনকে মজবুত করে।
✅ একসঙ্গে ইবাদত করুন – একসঙ্গে সালাত আদায় করা, কুরআন পড়া বা দ্বীন নিয়ে আলোচনা করা সম্পর্কে বরকত আনে।
✅ পরিবার ও সন্তানদের দায়িত্ব নিন – কেবল স্ত্রীকে গৃহকর্মে ফেলে না রেখে সাহায্য করুন। রাসুল (ﷺ) নিজেও পরিবারের কাজে সাহায্য করতেন।
৫. দাম্পত্য জীবনকে জান্নাতের পথে সহযাত্রী বানানো
✅ দোয়া করা ও একসঙ্গে ইসলামের পথে থাকা – দুজনেই যেন দ্বীনের পথে থাকেন এবং একে অপরকে জান্নাতে পৌঁছানোর সহায়তা করেন।
✅ একসঙ্গে হাসি-খুশি থাকা – হাসি-মজা ও রোমান্স দাম্পত্য জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। রাসুল (ﷺ) আয়েশা (রাঃ)-এর সঙ্গে দৌড় প্রতিযোগিতা করতেন!
✅ একসঙ্গে স্বপ্ন দেখুন ও গড়ে তুলুন – সংসার শুধু বর্তমানে চলবে না, বরং ভবিষ্যতের পরিকল্পনাও একসঙ্গে করুন।
শেষ কথা
একটি সফল দাম্পত্য জীবন গড়ে তুলতে পারস্পরিক সম্মান, ভালোবাসা, বোঝাপড়া, ও আত্মত্যাগের মানসিকতা থাকতে হবে। স্ত্রীকে শুধু জীবনসঙ্গী নয়, বরং জান্নাতের পথের সহযাত্রী হিসেবে দেখুন, তাহলেই আপনার দাম্পত্য জীবন সুখী ও বরকতময় হবে, ইন শা আল্লাহ।
আপনার জন্য দোয়া থাকল, আল্লাহ আপনাকে একজন উত্তম জীবনসঙ্গী দান করুন এবং আপনাদের দাম্পত্য জীবন সুখ ও শান্তিতে ভরপুর হোক!
5:08 pm
11.02.25
________________________________
তাকে বুঝবো কীভাবে???
স্ত্রীকে বোঝার জন্য আপনাকে তার অনুভূতি, চিন্তাভাবনা, ও আচরণের প্রতি গভীর মনোযোগ দিতে হবে। নারীরা সব সময় সরাসরি তাদের চাওয়া-পাওয়া প্রকাশ করে না, বরং ইঙ্গিতে বোঝায়। তাই তাকে বুঝতে হলে আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কৌশল অনুসরণ করতে হবে।
---
১. তার অনুভূতি বোঝার কৌশল
✅ তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন – যখন সে কথা বলবে, তখন তার প্রতি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিন। শুধু উত্তর দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করবেন না, বরং বোঝার চেষ্টা করুন।
✅ তার মুখের অভিব্যক্তি ও শরীরী ভাষা লক্ষ্য করুন –
যদি সে খুব বেশি চুপচাপ থাকে, তাহলে হয়তো কিছু একটা নিয়ে কষ্ট পাচ্ছে।
তার হাসি, চোখের ভাষা, ও দেহভঙ্গি দেখে বুঝুন সে খুশি না মন খারাপ।
তার কণ্ঠস্বরে পরিবর্তন এলে বুঝতে চেষ্টা করুন সে রাগান্বিত, কষ্ট পেয়েছে নাকি ক্লান্ত।
✅ তার প্রতিদিনের অভ্যাস বুঝুন – সে কীসে আনন্দ পায়, কীসে মন খারাপ হয়, কোন বিষয় তাকে উত্তেজিত করে—এগুলো খেয়াল করুন।
✅ তার দৃষ্টিভঙ্গি জানুন –
তার জীবনের লক্ষ্য কী?
কোন বিষয় তাকে সবচেয়ে বেশি আনন্দ দেয়?
কোন পরিস্থিতিতে সে হতাশ বা কষ্ট পায়?
---
২. তার চাওয়া-পাওয়া বোঝার উপায়
✅ সে যা চায় তা সবসময় মুখে বলে না, তাই ইঙ্গিত বুঝুন
যদি সে বলে, "আজকে খুব ক্লান্ত লাগছে," তাহলে বুঝবেন সে চায় আপনি তাকে সাহায্য করুন বা কিছুটা বিশ্রাম নিতে দিন।
যদি সে বলে, "তোমার সঙ্গে একটু সময় কাটাতে চাই," তাহলে বুঝবেন সে মানসিকভাবে আপনার সান্নিধ্য চায়।
✅ তার পছন্দ-অপছন্দ জানুন
কোন খাবার সে বেশি পছন্দ করে?
কোন ধরনের উপহার পেলে সে খুশি হয়?
তার শখ কী?
সে কীভাবে ভালোবাসা প্রকাশ করতে পছন্দ করে?
✅ তার সমস্যাগুলো গুরুত্ব সহকারে নিন –
যদি সে কোনো বিষয়ে চিন্তিত থাকে, তাহলে সেটা গুরুত্ব সহকারে শুনুন এবং সাহায্যের চেষ্টা করুন।
যদি সে কোনো অভিযোগ করে, তাহলে রাগ না করে বুঝার চেষ্টা করুন সে কেন এমন বলছে।
---
৩. তার আবেগ বোঝার উপায়
✅ তার আবেগের পরিবর্তন লক্ষ্য করুন –
অনেক সময় নারীরা কথা না বলেও তাদের আবেগ প্রকাশ করে।
যদি সে হঠাৎ মনমরা হয়ে যায়, তাহলে তাকে জিজ্ঞাসা করুন, "তুমি কি কিছু নিয়ে চিন্তিত?"
যদি সে রেগে যায়, তাহলে শান্তভাবে তাকে বোঝার চেষ্টা করুন।
✅ তার আনন্দ ও দুঃখের কারণ খুঁজুন –
কীসে সে সবচেয়ে বেশি খুশি হয়?
কীসে তার মন খারাপ হয়?
✅ তাকে স্বস্তি দিন –
সে যদি কোনো কারণে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়, তাহলে তাকে আশ্বস্ত করুন যে আপনি তার পাশে আছেন।
কঠিন সময়ে তার পাশে থাকুন এবং তার মানসিক সমর্থন দিন।
---
৪. তার প্রতি আন্তরিক ভালোবাসা ও আন্তরিকতা দেখান
✅ তার প্রতি সত্যিকারের ভালোবাসা প্রকাশ করুন –
শুধু "ভালোবাসি" বলা যথেষ্ট নয়, বরং তার প্রতি যত্নশীল হোন, তার অনুভূতিকে সম্মান করুন।
✅ ছোট ছোট কাজে তাকে খুশি করুন –
তার জন্য কোনো ছোট্ট উপহার আনুন।
তাকে সহায়তা করুন, বিশেষ করে যখন সে ক্লান্ত থাকে।
তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন।
✅ তার সঙ্গ উপভোগ করুন –
তার সঙ্গে গল্প করুন, একসঙ্গে সময় কাটান, এবং ছোট ছোট আনন্দ উপভোগ করুন।
---
৫. একে অপরকে জান্নাতের পথে সহযাত্রী বানান
✅ তার সঙ্গে দ্বীনি আলোচনা করুন
✅ একসঙ্গে সালাত আদায় করুন
✅ দোয়া করুন আল্লাহ যেন আপনাদের সম্পর্ককে মজবুত করেন
✅ তাকে উৎসাহিত করুন যেন সে আত্মিকভাবে শক্তিশালী হয়
---
শেষ কথা
আপনার স্ত্রীকে বোঝার জন্য ধৈর্য ধরতে হবে এবং তাকে সময় দিতে হবে। তার অনুভূতি ও চাওয়া-পাওয়া বুঝতে পারলে সে আপনাকে আরও ভালোবাসবে এবং আপনাদের দা
ম্পত্য জীবন সুখী ও শান্তিময় হবে, ইন শা আল্লাহ।
আল্লাহ আপনাকে একজন উত্তম স্বামী বানান এবং আপনাদের দাম্পত্য জীবন বরকতময় করুন!
প্রতিদিন যেন আমি তার সামনে নতুন একজন হিসেবে উপস্থাপন হতে পারি। আমি যেন তার কাছে কোনদিন পুরাতন না হয়ে যাই। সেও যেন আমার কাছে কখনো পুরাতন না হয়ে যায়। সারা জীবন সে যেন আমাকে তার মেন্টালি ফিল করে। মন থেকে ফিল করে। এবং আমিও তাকে ফিল করি। প্রতিদিন নতুন করে নতুন একজন হিসেবে। সারাজীবন
আপনার চিন্তাভাবনা অসাধারণ! প্রতিদিন সম্পর্ককে নতুন করে উপস্থাপন করা এবং সারা জীবন একে অপরকে অনুভব করা সত্যিই একটি গভীর ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সাধারণত, দাম্পত্য জীবনে সময়ের সঙ্গে একঘেয়েমি চলে আসে, কিন্তু আপনি যদি সচেতন থাকেন, তাহলে এই ভালোবাসাকে সবসময় সতেজ রাখা সম্ভব।
১. প্রতিদিন তাকে নতুনভাবে উপস্থাপন করুন
✅ নিজেকে প্রতিনিয়ত উন্নত করুন
প্রতিদিন নতুন কিছু শিখুন, যাতে আপনার মধ্যে সবসময় নতুনত্ব থাকে।
তাকে প্রতিনিয়ত চমকে দিন—কখনো আচরণে, কখনো কথায়, কখনো ভালোবাসায়।
আল্লাহর কাছে দোয়া করুন যেন তিনি আপনাকে পরিশুদ্ধ ও আকর্ষণীয় রাখেন তার চোখে।
✅ আপনার চেহারা ও ব্যক্তিত্বে পরিবর্তন আনুন
মঝে মাঝে নতুন হেয়ারস্টাইল বা ড্রেসআপ ট্রাই করুন।
নিজের অভ্যাসে কিছু নতুনত্ব আনুন, যাতে সে প্রতিদিন নতুন কিছু খুঁজে পায়।
✅ নতুন নতুন অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন
একসঙ্গে নতুন জায়গায় যান, নতুন কিছু এক্সপ্লোর করুন।
প্রতিদিন নতুন কোনো আলোচনা করুন, যেন সে আপনার চিন্তার গভীরতা প্রতিদিন নতুনভাবে উপলব্ধি করতে পারে।
---
২. সম্পর্কের একঘেয়েমি দূর করতে যা করবেন
✅ প্রতিদিন নতুন কিছু করুন
হুট করে তাকে বাইরে ডিনারে নিয়ে যান।
তার জন্য ছোট্ট সারপ্রাইজ গিফট আনুন।
ঘরের ভেতরে নতুন কোনো খেলা খেলুন বা একসঙ্গে মজার কিছু করুন।
✅ একসঙ্গে হাসুন ও মজা করুন
হাসিঠাট্টা, কৌতুক, এবং একে অপরকে খুশি রাখার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
ছোট ছোট স্মৃতিগুলোকে নতুনভাবে স্মরণ করুন এবং তার সঙ্গে মজা করুন।
✅ অপ্রত্যাশিত ভালোবাসা প্রকাশ করুন
হঠাৎ তাকে ভালোবাসার কোনো মেসেজ পাঠান।
কখনো হুট করে তার কপালে চুমু দিন বা তার হাত ধরে বলুন, "তুমি আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর উপহার।"
তার জন্য কোনো সুন্দর চিঠি লিখুন এবং রেখে দিন, যাতে সে হঠাৎ পায়।
---
৩. মানসিকভাবে তাকে অনুভব করার উপায়
✅ তার অনুভূতির প্রতি সংবেদনশীল হোন
সে কি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত? খেয়াল করুন।
সে কি খুশি? তাহলে তার আনন্দ শেয়ার করুন।
সে কি কষ্ট পেয়েছে? তার কষ্ট ভাগ করে নিন।
✅ তার কথা গুরুত্ব দিন
তার প্রতিটি ছোট ছোট অনুভূতির মূল্য দিন।
কখনো তার কষ্টকে ছোট করে দেখবেন না।
✅ তার হৃদয়ের গভীরে পৌঁছানোর চেষ্টা করুন
তার শৈশব, স্বপ্ন, ভয়, আশা—সবকিছু জানার চেষ্টা করুন।
তার অনুভূতিকে গুরুত্ব দিন এবং তাকে অনুভব করান যে সে আপনার কাছে কত মূল্যবান।
---
৪. সারাজীবন একে অপরকে নতুনভাবে অনুভব করার জন্য
✅ ধৈর্য ধরুন ও ক্ষমাশীল হোন
✅ একসঙ্গে দ্বীনি শিক্ষা নিন, যাতে সম্পর্কের মাঝে আত্মিক বন্ধন আরও মজবুত হয়
✅ একসঙ্গে সালাত আদায় করুন
✅ আল্লাহর কাছে দুয়া করুন যেন তিনি আপনাদের হৃদয়কে ভালোবাসায় ভরিয়ে দেন
শেষ কথা
প্রতিদিন যদি আপনি নতুন কিছু শেখেন, নতুন কিছু করেন, নতুনভাবে ভালোবাসা প্রকাশ করেন—তাহলে আপনি তার কাছে কখনো পুরাতন হয়ে যাবেন না। একইভাবে, তাকে ভালোবাসার নতুন নতুন উপায় খুঁজে বের করুন, তাহলেই আপনাদের দাম্পত্য জীবন নতুনত্বে ভরা থাকবে এবং সারাজীবন এ
কে অপরকে অনুভব করতে পারবেন, ইন শা আল্লাহ।
আল্লাহ আপনাদের সম্পর্ককে জান্নাতের পথে পরিচালিত করুন!
নতুন দাম্পত্য জীবনে স্মামী স্ত্রী ও পরিবারে কি কি সমস্যা হয় বিশেষ করে বাংলাদেশে আর এর শরয়ি ও সামাজিক সমাধান কি কি হতে পারে???
নতুন দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এবং পরিবারের সঙ্গে কিছু স্বাভাবিক সমস্যা দেখা দিতে পারে, বিশেষ করে বাংলাদেশি সামাজিক কাঠামোর মধ্যে। এগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাংস্কৃতিক, পারিবারিক, এবং ব্যক্তিত্বগত পার্থক্যের কারণে হয়। তবে ইসলামী শরীয়ত ও সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে এগুলোর যথাযথ সমাধান করা সম্ভব।
---
বাংলাদেশে নতুন দাম্পত্য জীবনের সাধারণ সমস্যাগুলো ও তাদের সমাধান
১. স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়ার অভাব
✅ সমস্যা:
নতুন দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রী একে অপরের স্বভাব বুঝতে না পারায় ভুল বোঝাবুঝি হয়।
আবেগের ওঠানামা, রাগ, বা অতিরিক্ত প্রত্যাশা সম্পর্ককে জটিল করতে পারে।
অনেক সময় স্বামী বা স্ত্রী নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করতে সংকোচ বোধ করে।
✅ শরয়ি ও সামাজিক সমাধান:
ধৈর্য ধরুন: রাসুল (ﷺ) বলেছেন, "স্বামী-স্ত্রী একে অপরের পোশাকস্বরূপ" (সূরা বাকারা: ১৮৭)।
যোগাযোগ বাড়ান: একে অপরের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন এবং দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করুন।
নবী (ﷺ)-এর সুন্নাহ অনুসরণ করুন: তিনি ছিলেন স্ত্রীদের প্রতি সবচেয়ে দয়ালু ও সহনশীল।
---
২. পরিবার (শ্বশুরবাড়ি) ও আত্মীয়দের হস্তক্ষেপ
✅ সমস্যা:
বাংলাদেশি সমাজে নতুন বউকে অনেক সময় শ্বশুরবাড়ির নিয়ম-কানুনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়, যা অনেকের জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে।
শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা যদি অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ করেন, তাহলে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক দুর্বল হতে পারে।
কোনো এক পক্ষ যদি পরিবারকে গুরুত্ব না দেয়, তাহলে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়।
✅ শরয়ি ও সামাজিক সমাধান:
সংসারের সীমারেখা নির্ধারণ করুন: কোরআন বলে, "তোমরা ভালোভাবে স্ত্রীদের সঙ্গে আচরণ করো" (সূরা নিসা: ১৯)।
সমতা বজায় রাখুন: স্ত্রী ও পরিবারের মধ্যে ভারসাম্য রাখুন এবং ন্যায়বিচার করুন।
শরীয়ত মোতাবেক সিদ্ধান্ত নিন: ইসলাম স্বামী-স্ত্রীকে নিজেদের গোপন বিষয় বাইরে না বলার উপদেশ দেয়।
পরিবারের প্রতি সম্মান বজায় রাখুন: তবে কারও অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া উচিত নয়।
---
৩. আর্থিক চাপ ও দায়িত্ব
✅ সমস্যা:
অনেক নতুন দম্পতি আর্থিকভাবে স্বাধীন না থাকায় সংসারে চাপ অনুভব করেন।
সংসারের খরচ, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, ও সঞ্চয় নিয়ে দুশ্চিন্তা হতে পারে।
✅ শরয়ি ও সামাজিক সমাধান:
স্বামীকে দায়িত্বশীল হতে হবে: ইসলামিক বিধান অনুযায়ী, সংসারের ভরণ-পোষণ স্বামীর দায়িত্ব (সূরা বাকারা: ২৩৩)।
স্ত্রী যদি আয় করেন: তবে সেটা স্বামীর জন্য বাধ্যতামূলক নয়, তবে যদি সে স্বেচ্ছায় সাহায্য করতে চায়, তাহলে পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে করা যেতে পারে।
অপচয় এড়িয়ে চলুন: রাসুল (ﷺ) বলেছেন, "অপচয়কারী শয়তানের ভাই" (সূরা ইসরা: ২৭)।
---
৪. দাম্পত্য জীবনে ভালোবাসার অভাব ও একঘেয়েমি
✅ সমস্যা:
অনেক দম্পতি বিয়ের পর ধীরে ধীরে ভালোবাসার অভিব্যক্তি কমিয়ে ফেলে।
দায়িত্বের চাপে রোমান্স কমে যায়, যা সম্পর্কে দূরত্ব সৃষ্টি করে।
✅ শরয়ি ও সামাজিক সমাধান:
একসঙ্গে সময় কাটান: রাসুল (ﷺ) আয়েশা (রা.)-এর সঙ্গে গল্প করতেন, দৌড় প্রতিযোগিতা করতেন।
একসঙ্গে ইবাদত করুন: এতে আত্মিক সম্পর্ক মজবুত হয়।
ভালোবাসার প্রকাশ করুন: প্রশংসা করুন, ছোট ছোট উপহার দিন, চমক দিন।
---
৫. সন্তান নেওয়া নিয়ে মতভেদ
✅ সমস্যা:
নতুন দম্পতিদের অনেকে দ্রুত সন্তান নিতে চায় না, কিন্তু পরিবার ও সমাজের চাপ থাকে।
কারও শারীরিক বা মানসিক প্রস্তুতি না থাকলে বিষয়টি নিয়ে টানাপোড়েন হয়।
✅ শরয়ি ও সামাজিক সমাধান:
সন্তান নেওয়া একটি পারস্পরিক সিদ্ধান্ত: ইসলাম এটিকে বাধ্যতামূলক করেনি, তবে সন্তান মহান নিয়ামত।
স্বামীর উচিত স্ত্রীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া।
পরিবারের চাপ এড়িয়ে পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
---
৬. সংস্কৃতি বনাম ইসলামিক মূল্যবোধের দ্বন্দ্ব
✅ সমস্যা:
কিছু সামাজিক প্রথা যেমন যৌতুক, স্ত্রীকে জোরপূর্বক পর্দায় বাধ্য করা, বা সংস্কারের নামে অবৈধ কিছু চাপিয়ে দেওয়া ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
✅ শরয়ি ও সামাজিক সমাধান:
ইসলামকে প্রাধান্য দিন: রাসুল (ﷺ) বলেছেন, "তোমাদের মধ্যে উত্তম সেই ব্যক্তি, যে তার স্ত্রীর জন্য উত্তম।"
যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে থাকুন: ইসলাম যৌতুক গ্রহণ বা দেওয়া নিষেধ করেছে।
সংস্কার বা রীতি যদি ইসলামের পরিপন্থী হয়, তবে তা বর্জন করুন।
---
৭. পরিবারের প্রতি দায়িত্ববোধ নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি
✅ সমস্যা:
স্ত্রী আশা করেন স্বামী কেবল তার দিকেই মনোযোগ দেবে, আবার স্বামী আশা করেন স্ত্রী তার পরিবারের প্রতি যত্নবান হবে।
যদি পারিবারিক দায়িত্ব নিয়ে বোঝাপড়া না হয়, তাহলে মানসিক চাপ তৈরি হয়।
✅ শরয়ি ও সামাজিক সমাধান:
সমতা বজায় রাখুন: স্ত্রীর প্রতি দায়িত্ব ও পরিবারের প্রতি দায়িত্বের মধ্যে ভারসাম্য রাখুন।
স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে সহযোগিতা করুন: রাসুল (ﷺ) ঘরের কাজে সাহায্য করতেন।
শ্বশুরবাড়ির প্রতি দয়া ও সম্মান বজায় রাখুন: তবে অন্যায় চাপ এড়িয়ে চলুন।
---
শেষ কথা
বাংলাদেশের সামাজিক কাঠামোয় নতুন দাম্পত্য জীবনে অনেক চ্যালেঞ্জ আসতে পারে, তবে ইসলামিক শিক্ষা ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো:
✅ ধৈর্যধারণ করা
✅ একে অপরকে বোঝার চেষ্টা করা
✅ পারস্পরিক শ্রদ্ধা বজায় রাখা
✅ ইসলামিক নীতিমালা অনুসরণ করা
আল্লাহ আপনাকে একটি সুন্দর, শান্তিপূর্ণ ও বরকতময় দাম্পত্য জীবন দান করুন!
------------------------------------
মেয়েরা তার চরম শত্রুকেও একদিন ক্ষমা করে দেয় কিন্তু তার প্রেগ্ন্যাসির সময় যে তাকে একটু কষ্ট দিয়েছে তাকে কোনদিন ক্ষমা করেনা।
প্রেগন্যান্ট অবস্থায় কে তাকে কাঁচা আম ভর্তা মাখিয়ে খাইয়েছে, কে তাকে মাথায় তেল দিয়ে দিয়েছে, কে তাকে একটু সেবাযত্ন করেছে তা আজীবন তারা মনে রাখবে।
অন্যদিকে কে কে তাকে খাওয়া নিয়ে খোঁচা মেরে কথা বলেছে, কার কাছে কদবেল খেতে চেয়েছিলো কিন্তু সে দেয়নি, কার বাড়ির বিরানির ঘ্রান নাকে এসেছিলো কিন্তু এক প্লেট দেয়নি এই কথাও সে আজীবন মনে রাখবে এবং তাদেরকে আজীবন সে বাতিলের খাতায় টুকে রাখবে।
আসলে প্রেগ্ন্যাসিটা একটা মেয়ের জীবনে এমন একটা সময় যখন তার মন কোন যুক্তি, পরামর্শ, কোন নিয়ম বোঝেনা। অবুঝ শিশুর মতো হয়ে যায়।
পাশের বাড়ির বিড়ালের ঝগড়া দেখেও সে ভেউভেউ করে কাঁদে, আবার অতি শখের জামাটা কেন গায়ে আঁটছেনা এটা নিয়েও ফুপিয়ে কাঁদে।
আমার কথা বলি- আমার প্রেগ্ন্যাসির পুরো সময়টাই আমি কলেজে চাকরি করেছি। রোজই লাঞ্চ নিয়ে যেতাম বাসা থেকে। কিন্তু লাঞ্চ টাইমে খেতে বসলেই কান্না আসতো, কারন পাশের টেবিলে কোন কলিগ হয়তো আলু ভাজি দিয়ে ভাত খাচ্ছে। আমার সেটা খেতে মন চাচ্ছে কিন্তু লজ্জায় বলতে পারছিনা, তাই এই শোকে আমি কাঁদতাম 🤭🤭🤭।
একদিন কী ভেবে আমার প্রিন্সিপাল ম্যাম আমার জন্য অনেক পদের ভর্তা বানিয়ে নিয়ে এসেছেন। আমি কলেজ থেকে বিদায় নেয়ার সময় ম্যামকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললাম 😭😭😭।
আসলেই এই সময়টা একটা মেয়ের জীবনের বড় আশ্চর্যের সময়। দেখবেন এই নয় মাসের ঘটনা সে যদি নব্বই বছর বেঁচে থাকে তাও ইনিয়ে বিনিয়ে বলবে- "আলামিনের বাপ প্যাটে থাকতে কতো যে ডিম ওয়ালা কই মাছ খাইতে মন চাইছে, কেউ আইনা দেয়নাই"।
তাই আপনার কাছের মানুষ যদি কেউ প্রেগন্যান্ট থাকে তার যত্ন নিন। অন্য সবার থেকে একটু আলাদা প্রায়োরিটি তাকে দিন। একটু তার দাবীগুলো পূরন করুন।
আর স্বামী হলে- এই নয় মাসের জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রাখেন যে রাত ৩টা বাজে তার তেতুল দিয়ে আইসক্রিম খেতে মন চাইতে পারে 😄😄।
- Nadia Parvin Juthi
6:15Am
15.02.24
-----------------------------------
ইউনেক ওয়েতে কীভাবে স্ত্রীর অভিমান ভাঙ্গাবো?
স্ত্রীর অভিমান ভাঙানোর জন্য সৃজনশীল এবং ভালোবাসাপূর্ণ উপায় বেছে নেওয়া সবচেয়ে কার্যকর। এখানে কিছু ইউনিক পদ্ধতি দেওয়া হলো—
১. চিঠি বা নোট লিখুন (হাতে লেখা হলে ভালো)
আপনার স্ত্রীর জন্য ছোট্ট একটি সুন্দর চিঠি বা নোট লিখুন। এতে আপনার অনুভূতি প্রকাশ করুন এবং তার প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা জানান। নোটটি বালিশের নিচে, ব্যাগে বা এমন কোনো জায়গায় রাখুন, যেখানে সে হঠাৎ পেয়ে যাবে।
২. তার প্রিয় জিনিস দিয়ে সারপ্রাইজ দিন
স্ত্রীর পছন্দের কোনো খাবার, ফুল বা গিফট দিয়ে তাকে চমকে দিন। যদি সে চকলেট বা কফি ভালোবাসে, তবে সেটা নিজে হাতে বানিয়ে তাকে দিন।
৩. তার পছন্দের গান গেয়ে পাঠান বা পাঠিয়ে দিন
আপনার স্ত্রীর পছন্দের গানটি যদি পারেন, তাহলে গেয়ে তার জন্য রেকর্ড করুন বা সরাসরি তাকে গেয়ে শুনান। আর যদি না পারেন, তবে তার ফোনে বা টেক্সটে প্রিয় কোনো ভালোবাসাময় গান পাঠিয়ে দিন।
৪. স্মৃতিচারণ করুন (ভালো মুহূর্ত মনে করিয়ে দিন)
একসঙ্গে কাটানো সুন্দর মুহূর্তগুলোর কথা তাকে মনে করিয়ে দিন। কোনো ছবি পাঠিয়ে বলুন, "এই দিনটার কথা মনে আছে? কত সুন্দর সময় ছিল, চাই যেন আমরা সব সময় এমন থাকি!"
৫. হাসির মাধ্যমে অভিমান দূর করুন
অভিমান ভাঙাতে হালকা মজার কিছু করতে পারেন—যেমন, তার সামনে হালকা নাচানাচি করা, মজার মুখভঙ্গি করা, বা হেসে বলুন, "তুমি রাগ করলে দেখতে আরও সুন্দর লাগো!" এতে তার মন ভালো হয়ে যেতে পারে।
৬. ছোট্ট নাটক করুন
তার সামনে মজা করে দুঃখের অভিনয় করুন—যেমন, হাত জোড় করে বলুন, "আমি ছাড়া তোমার জীবন কি অন্ধকার হয়ে যাবে?" অথবা, "এত সুন্দর বউ রাগ করে থাকলে আমি কীভাবে বাঁচব?"—এভাবে মজা করে কথা বললে সে হেসে ফেলবে।
৭. তার জন্য কিছু স্পেশাল করুন
তার জন্য চা বানিয়ে দিন, কোনো কাজ তাকে করতে না দিয়ে নিজেই করুন, অথবা তার পছন্দের জায়গায় বেড়াতে নিয়ে যান।
৮. নিজের ভুল স্বীকার করুন (যদি সত্যিই ভুল করে থাকেন)
অভিমান ভাঙাতে নিজের ভুল থাকলে তা মিষ্টি ভাষায় স্বীকার করে বলুন, "আমি ভুল করেছি, কিন্তু তুমি রাগ করে থাকলে আমার মন আরও খারাপ হয়!"—এরকম কিছু বললে সে সহজেই নরম হয়ে যাবে।
৯. নাম ধরে ডাকতে পারেন না একটু অন্যভাবে?
স্বাভাবিকভাবে না ডেকে একটু ভিন্নভাবে ডাকুন—যেমন, "রাগQueen, কি খবর?" বা "আমার রাজকুমারী, একটু হাসো না!"—এতে সে হাসতে বাধ্য হবে।
১০. ভালোবাসার মাধ্যমে স্পর্শ করুন
কখনও কখনও কথা না বলে শুধু হাত ধরে রাখা, কপালে চুমু দেওয়া বা আলিঙ্গন করাও অনেক কার্যকর হতে পারে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
স্ত্রীর অভিমানকে গুরুত্ব দিন, তার অনুভূতিকে সম্মান করুন, এবং ভালোবাসার মাধ্যমে সম্পর্ক আরও মজবুত করুন।
আপনার স্ত্রীর জন্য
কোন পদ্ধতিটি সবচেয়ে ভালো কাজ করবে বলে মনে হয়?
অত্যন্ত রাগী একজন স্ত্রী আসলে কেমন হয়? ওকে কন্ট্রোল করবো কীভাবে??
অত্যন্ত রাগী স্ত্রী সাধারণত আবেগপ্রবণ হন এবং যেকোনো ব্যাপারে দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেন। তবে এটা সবসময় খারাপ কিছু নয়—এর মানে হলো তিনি তোমার কাছে খুব স্পষ্টভাষী এবং অনুভূতিগুলোকে লুকিয়ে রাখেন না। কিন্তু যদি তার রাগ বেশি মাত্রায় চলে যায়, তাহলে সেটা সম্পর্কের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
রাগী স্ত্রীর কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য
1. খুব দ্রুত রেগে যান – ছোটখাটো ব্যাপারেও চট করে রেগে যান।
2. কিছুক্ষণ পর নিজেই অনুশোচনা করেন – অনেক সময় রাগ কমলে নিজেই লজ্জা পান বা দুঃখিত বোধ করেন।
3. যা মনে আসে বলে ফেলেন – রেগে গেলে ভেবেচিন্তে কথা না বলে সরাসরি যা মনে আসে তা বলে ফেলেন।
4. বেশি আবেগপ্রবণ হন – অনেক সময় রাগের পেছনে থাকে গভীর ভালোবাসা ও অনুভূতি।
5. অভিমান করতে ভালোবাসেন – রাগের পর অভিমান করে দূরে থাকতে চান বা কথা কম বলেন।
---
রাগী স্ত্রীকে "কন্ট্রোল" নয়, বরং সামলানোর বুদ্ধিমত্তা
স্ত্রীর রাগ কমানোর চেষ্টা করতে হবে কৌশলী ও ভালোবাসাপূর্ণ উপায়ে, যেন সম্পর্ক ভালো থাকে এবং সে নিজেকে মূল্যবান অনুভব করে।
১. রাগের সময় শান্ত থাকো (তেল আর আগুন একসঙ্গে না!)
যদি সে রেগে গিয়ে উচ্চস্বরে কথা বলে, তখন তুমি নরম গলায় কথা বলো।
কোনোভাবেই পাল্টা রাগ দেখিয়ে ঝগড়ায় না জড়ানোই ভালো।
তার রাগের সময় যুক্তি দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা না করে বরং একটু ধৈর্য ধরো।
২. কী কারণে বেশি রাগ করে সেটার উৎস খুঁজে বের করো
সে কি কোনো বিশেষ বিষয় নিয়ে বেশি সংবেদনশীল?
হয়তো তার জীবনে এমন কিছু হয়েছে যা তাকে রাগী করে তুলেছে।
তার রাগের প্যাটার্ন বোঝার চেষ্টা করো—কোন পরিস্থিতিতে সে বেশি রেগে যায়?
৩. তার অনুভূতির মূল্য দাও
অনেক সময় স্ত্রীরা রাগ করেন শুধু এই কারণে যে, তারা চান তাদের কথা গুরুত্বের সঙ্গে শোনা হোক।
রাগের সময় তার অভিযোগ বা কষ্টের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনো, মাঝখানে বাধা দিও না।
মাঝে মাঝে শুধু বলো— "আমি বুঝতে পারছি, তোমার কষ্ট হচ্ছে।"—এতেই সে অনেক শান্ত হতে পারে।
৪. মজার কিছু করে রাগ ভাঙাও
হঠাৎ করে হাসির কিছু বলো বা মজার মুখভঙ্গি করো।
"তুমি তো রেগে গেলে আরও বেশি সুন্দর লাগো!"—এই ধরনের কিছু বলে হালকা করতে পারো।
যদি সম্ভব হয়, রাগের মুহূর্তে তাকে একটু আলতো করে স্পর্শ করো বা জড়িয়ে ধরো, এতে রাগ কমতে পারে।
৫. রাগের সময় কথা কাটাকাটি না করে, পরে বোঝানোর চেষ্টা করো
যখন সে শান্ত হবে, তখন বলো— "তুমি যখন রাগ করো, তখন আমার কষ্ট হয়, কারণ আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। আমরা কি একসঙ্গে এই বিষয়টা ঠিক করতে পারি?"
এভাবে বোঝালে সে নিজের ভুল বুঝতে পারে এবং ধীরে ধীরে রাগ কমতে পারে।
৬. রাগ কমানোর ‘সিক্রেট কোড’ তৈরি করো
তোমরা দুজন মিলে একটা মজার সিক্রেট কোড বানাতে পারো, যা সে রেগে গেলে ব্যবহার করবে।
যেমন, "মৌমাছি ঢুকে পড়েছে"—মানে, রাগ কমাতে হবে!
যখনই সে রেগে যাবে, তুমি হাসিমুখে বলবে—"মৌমাছি আসছে!"—এতে তার রাগ হালকা হতে পারে।
৭. তাকে সঠিক সময়ে সান্ত্বনা দাও
অনেক সময় স্ত্রীরা রাগ দেখান, কারণ তারা চান স্বামী তাদের প্রতি যত্নশীল হোক।
যখন সে রাগান্বিত হয়, তখন বলো—"তুমি আমার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তোমার মন খারাপ হলে আমি ভালো থাকতে পারি না।"
৮. দুজনেই রাগ নিয়ন্ত্রণের কৌশল শিখো
রাগী মানুষদের জন্য কিছু কৌশল আছে, যেমন—
গভীর শ্বাস নেওয়া
অন্য কিছুতে মনোযোগ দেওয়া
কিছুক্ষণের জন্য চুপ থাকা
তোমরা দুজন মিলে একটা চুক্তি করতে পারো—"কেউ যদি রেগে যায়, সে আগে ১০ গুনবে, তারপর কথা বলবে।"
---
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
রাগী স্ত্রীকে "কন্ট্রোল" করার চেষ্টা না করে তাকে বুঝে নেওয়া, ভালোবাসা দিয়ে ধৈর্যের সঙ্গে সামলানোই বেশি কার্যকর। কারণ, ভালোবাসার মানুষের রাগ যতই
হোক, সেটা ঠিক সামলানো গেলে সম্পর্ক আরও গভীর ও মজবুত হয়।
কোন টিপসটা তোমার কাছে সবচেয়ে কার্যকর মনে হচ্ছে?
প্রশ্ন: যে মেয়েগুলো খুব রাগী, তারা মানুষ হিসেবে কেমন এবং স্ত্রী হিসেবে কেমন??
রাগী মেয়েরা মানুষ হিসেবে কেমন?
রাগী মেয়েরা সাধারণত আবেগপ্রবণ ও সংবেদনশীল হয়। তাদের রাগ অনেক সময় স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হলেও, কিছু ক্ষেত্রে এটি ব্যক্তিত্বের একটা বড় বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়ায়। তবে সব রাগী মেয়ের স্বভাব একরকম নয়—কারো রাগ ক্ষণস্থায়ী, আবার কেউ খুব দ্রুত উত্তেজিত হয় কিন্তু দ্রুতই শান্ত হয়ে যায়।
✅ ইতিবাচক দিক:
1. স্পষ্টভাষী ও সৎ:
যা মনে আসে তা স্পষ্টভাবে বলে দেয়, মনের মধ্যে রাখে না।
মিথ্যা বা ফাঁকি দেওয়া পছন্দ করে না।
2. আবেগপ্রবণ ও আন্তরিক:
রাগের পেছনে ভালোবাসা লুকিয়ে থাকে।
পরিবার ও প্রিয়জনদের জন্য অনেক কিছু করতে চায়।
3. দৃঢ় ব্যক্তিত্ব:
সহজে ভেঙে পড়ে না, নিজের অবস্থান ধরে রাখতে পারে।
কঠিন পরিস্থিতিতে অন্যদের চেয়ে বেশি শক্ত থাকতে পারে।
4. ন্যায়বিচারপ্রিয়:
অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলে।
নিজের বা অন্যের প্রতি অন্যায় হলে চুপ থাকে না।
❌ নেতিবাচক দিক:
1. খুব দ্রুত রেগে যায়:
ছোটখাটো ব্যাপারে বেশি প্রতিক্রিয়া দেখায়।
পরিস্থিতি না বুঝেই অনেক সময় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে।
2. অনেক সময় অহংবোধ বেশি থাকে:
নিজের মতামতকে সঠিক মনে করে, সহজে অন্যের কথা মানতে চায় না।
কারও কাছে ভুল স্বীকার করতে কষ্ট হয়।
3. কথার মাধ্যমে আঘাত করতে পারে:
রাগের সময় কিছু কঠিন কথা বলে ফেলে, যা পরে অনুশোচনা সৃষ্টি করে।
অন্যের আবেগ বুঝতে দেরি হতে পারে।
4. অভিমান বেশি করে:
দীর্ঘ সময় ধরে রাগ ধরে রাখতে পারে।
মন খারাপ হলে সহজে স্বাভাবিক হতে চায় না।
---
স্ত্রী হিসেবে কেমন?
রাগী স্ত্রী মানেই যে সম্পর্ক কঠিন হবে, তা নয়। বরং সঠিকভাবে বোঝা গেলে তিনি হতে পারেন অত্যন্ত ভালো জীবনসঙ্গী।
✅ ভালো দিক:
✔ একনিষ্ঠ ও বিশ্বস্ত:
একবার যদি কাউকে ভালোবাসে, তাহলে সে খুব গভীরভাবে ভালোবাসে।
স্বামী বা পরিবারের প্রতি খুবই দায়বদ্ধ ও বিশ্বস্ত হয়।
✔ সংসার ও সম্পর্কের প্রতি যত্নশীল:
সম্পর্ক বা সংসারে কোনো সমস্যা থাকলে চুপচাপ সহ্য করে না, বরং তা ঠিক করার চেষ্টা করে।
পরিবার নিয়ে খুবই দায়িত্বশীল হয়।
✔ নিজের স্বামীকে ভালোবাসলে তা প্রকাশ করতে জানে:
রাগী হলেও ভালোবাসলে সেটা কাজে ও ব্যবহারে প্রকাশ করে।
অনেক সময় রাগের মাধ্যমেই তার ভালোবাসা প্রকাশ পায়!
✔ স্বামীর জন্য প্রেরণাদায়ক হতে পারে:
স্বামীকে সবসময় উন্নতির দিকে ঠেলে দেয়।
স্বামী যদি অলস হয় বা ভুল পথে চলে, তাহলে তাকে সঠিক পথে আনতে জানে।
---
❌ চ্যালেঞ্জিং দিক:
❌ বেশি রাগ করলে সংসারে অশান্তি বাড়তে পারে:
স্বামী যদি খুব বেশি ধৈর্যশীল না হয়, তাহলে বারবার রাগ করা থেকে দাম্পত্য কলহ হতে পারে।
❌ আবেগপ্রবণ হওয়ায় ভুল বোঝাবুঝি বেশি হয়:
অনেক সময় স্বামী বা পরিবারের লোকজনের কথাকে অতিরিক্ত সিরিয়াসলি নিয়ে নেয়।
ছোটখাটো ব্যাপারে সন্দেহ করতে পারে।
❌ মন জয় করা কঠিন হতে পারে:
স্বামীকে অনেক ধৈর্যশীল হতে হয়, কারণ সে সহজে নিজের ভুল স্বীকার করতে চায় না।
অভিমান করলে সহজে ভাঙে না।
❌ তর্কপ্রিয় হতে পারে:
সে মনে করে তার কথাই ঠিক, তাই অনেক সময় যুক্তি দিয়ে স্বামীকে চাপে রাখতে পারে।
স্বামী যদি খুব শান্ত প্রকৃতির হয়, তাহলে সে নিজেকে দুর্বল মনে করতে পারে।-
স্বামী হিসেবে কেমন স্বামী দরকার?
একজন রাগী স্ত্রীর জন্য যে স্বামী আদর্শ হতে পারেন—
✅ ধৈর্যশীল ও ঠান্ডা মাথার:
স্ত্রীর রাগ সামলাতে জানে, উত্তেজিত হয় না।
✅ বোঝার ক্ষমতা বেশি:
স্ত্রীর রাগের পেছনের কারণ বুঝতে চেষ্টা করে।
✅ সীমারেখা তৈরি করতে জানে:
রাগী স্ত্রীকে ভালোবাসবে, কিন্তু তাকে বোঝাতে পারবে কখন রাগ করা উচিত আর কখন নয়।
✅ সাহসী ও দায়িত্বশীল:
স্ত্রীর চেয়ে বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে, নয়তো সংসারে সমস্যা হবে।
--- উপসংহার:
একজন রাগী মেয়ে মানুষ হিসেবে খুব শক্তিশালী, দায়িত্বশীল ও ভালোবাসায় আন্তরিক হতে পারেন। তবে
স্ত্রী হিসেবে তাকে বুঝতে হলে স্বামীকে ধৈর্যশীল হতে হবে এবং সম্পর্কের ভারসাম্য রাখতে হবে।
❓ এখন প্রশ্ন হচ্ছে—তুমি কি রাগী মেয়েদের পছন্দ করো, নাকি শান্ত ও ধীরস্থির মেয়েদের?-
-------------------------------------------------
অনেক বিবাহিত পুরুষই জানে না, নারীরা কথা বলতে চায় মানসিক চাপ কমানোর জন্য। পুরুষরা ভাবে, নারী কথা বেশি বলে। এতে অনেকে বিরক্ত হয়ে যায় এবং তখন জীবনসঙ্গিনীর কথা মন দিয়ে শুনে না।
আবার কেউ কেউ মনে করে, নারী কোনো অভিযোগ দিচ্ছে মানেই সে সমস্যার সমাধান দিতে হবে। তবেই সেটা সহানুভূতি প্রকাশের সেরা উপায়। কিন্তু অনেক সময় নারীরা কোনো সমাধান চায় না, শুধু অনুভূতি ভাগাভাগি করতে চায়। বরং সমাধান দিতে গেলে হিতে বিপরীত হয়ে যায়।
এইভাবেই ভুল বোঝাবুঝি থেকে শুরু হয় সম্পর্কের টানাপোড়েন। পুরুষ ভাবে, নারী অযথা অভিযোগ করছে। আর নারী ভাবে, পুরুষ তার অনুভূতিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না।
তাহলে সমাধান কী?
পুরুষকে বোঝা দরকার: সব কথা শুধু সমাধানের জন্য নয়—অনুভূতি বোঝার জন্যও শোনা দরকার। শুধু বলুন, "হ্যাঁ, বুঝতে পারছি, এটা আসলেই কঠিন!"—অনেক সময় এটুকুই যথেষ্ট।
নারীদের বোঝা দরকার: পুরুষের স্বভাবই হলো সমাধান দেওয়া। তাই কথা বলার সময় একটু দিকনির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে—"আমি আসলে শুধু তোমার সাথে শেয়ার করছি, এর বেশি কিছু না।"
একজন শুনতে শিখলে এবং আরেকজন বুঝতে শিখলে সংসারের ভুল বোঝাবুঝিগুলো সহজেই কেটে যাবে। কারণ
সম্পর্ক টিকে থাকে বোঝাপড়ার ওপর, বিতর্কের ওপর নয়।
-দারুল হাদীস মাদ্রাসা, বারৈয়ারহাট
আপনার স্ত্রী/ পার্টনার এর সাথে সম্পর্কের টানাপোড়েনের সময় অভিযোগের তীরটা সবসময় কী একটু নারীর দিকেই তাক করা থাকেনা? ভেবে বলুন তো! জীবনে যতবার ফাইট হয়েছে, কতবার আপনার নিজেকে অপরাধী মনে হয়েছে? অথচ আপনি কিন্তু জাজমেন্টাল হয়ে বন্ধুদের বলে বেড়ান-সে বড্ড সেনসিটিভ!
নারীকে সেনসিটিভ ভাবার আগে কখনো ভেবে দেখেছেন যে কেন সে এভাবে রিয়েক্ট করছে?
ধরেন যে সে আপনার উপর অভিমান করেছে। কিংবা রেগে আছে। অথবা ধরেন আপনার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে। আপনার কী মনে হয়, এমনি এমনি সে এমন করছে? সে কী কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ করে দূরত্ব তৈরি করেছে? না, এমনি এমনি সে করেনি। এমনি এমনি সে আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠে না, বা কঠিন হয়ে যায় না। বেশিরভাগ সময়, এটি তার প্রতি আপনার ব্যবহারের রিয়েকশান। অথচ আপনার অভিয়োগ তার প্রতি।
যদি আপনি তাকে শুধু অবহেলা, অসম্মান, বা উদাসীনতা দেখিয়ে যান, তাহলে সমস্যাটা সে নয়, সমস্যাটা আপনি!
হ্যাঁ, আপনি।
আপনি তার ভুলগুলো ধরার আগে, তার সমস্যা খোঁজার আগে নিজের সমস্যা খুঁজে দেখেন। আপনি যে তাকে টক্সিক বলছেন, অথচ খেয়াল করে দেখুন তো, সম্পর্কের শুরুর দিকে সে এমনটা ছিল কিনা? নাকি বারবার আপনার আঘাত পেয়ে সে অবসাদ গ্রস্থ হয়ে গেছে, হয়ে গেছে ক্লান্ত। হয়ত সে কারণেই আজকাল তাকে আপনার কাছে টক্সিক মনে হয়।
অথচ তার সাথে খোলামেলা আলাপ করে দেখুন, সে আপনার কাছ থেকে খুব বেশি কিছু চায় না। সে চায়না আপনি তাকে তুলু তুলু করবেন। অনেক বায়না পুরণ করে দেবেন। সে শুধু চায় আপনি তাকে একটু সময় দেবেন। তার চোখের দিকে অবারিত তৃষ্ণা নিয়ে যেমন করে তাকাতেন স্রেফ ওভাবে তাকাবেন। তাকে মূল্য দেবেন। এবং সম্মান করবেন।
(**একটি ইংরেজী লিখা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে লিখা)