দৌড় প্রতিযোগিতা
وأما مسابقة النبي صلى الله عليه وسلم لعائشة فصحيحة ثابتة، فقد روت رضي الله عنها أنها كانت مع النبي صلى الله عليه وسلم في سفر قالت: فسابقته فسبقته على رجلي، فلما حملت اللحم سابقته فسبقني فقال: هذه بتلك السبقة. رواه أبو داود وابن ماجه وأحمد، وصححه البوصيري والألباني.
দৌড় প্রতিযোগিতা: ভালোবাসার একটি অনন্য দৃষ্টান্ত
মরুভূমির উষ্ণ বালুকারাশি সূর্যের শেষ আলোতে সোনালি হয়ে উঠেছে। মদিনার প্রান্তরে এক শান্ত সন্ধ্যা। নবী মুহাম্মদ (সা.) তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রী আয়েশা (রা.)-এর সঙ্গে হাঁটছেন। এই পথচলা শুধু গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য নয়; এটি ছিল এক বিশেষ মুহূর্ত, যেখানে ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও বন্ধুত্ব একসূত্রে গাঁথা।
হঠাৎ, নবীজি আয়েশাকে (রা.) একটি মিষ্টি প্রস্তাব দেন। “চল, দৌড় প্রতিযোগিতা করি,” বললেন তিনি। আয়েশার (রা.) চোখে আনন্দের ঝিলিক খেলে গেল। তাঁর মনোভাব যেন বলল, ‘চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলাম!’
দুজনেই প্রস্তুতি নিলেন। বালুর উপর পা রাখার মুহূর্তে যেন পৃথিবীও একটু থেমে গেল। নবীজি (সা.) তাঁর কোমল হাসি দিয়ে আয়েশাকে উৎসাহ দিচ্ছিলেন। দৌড় শুরু হলো। নবীজি (সা.) ইচ্ছাকৃতভাবে কিছুটা পিছিয়ে গেলেন, যেন আয়েশা (রা.) সহজেই জয়ী হতে পারেন।
“আমি জিতে গেছি!” খিলখিল করে হাসলেন আয়েশা (রা.), আর নবীজি (সা.) সেই হাসিতে মুগ্ধ হয়ে উঠলেন। তিনি বললেন, “আয়েশা, তোমার জয় আমাকে আনন্দ দেয়।”
কয়েক বছর পর আরেক দৌড়ে নবীজি (সা.) জয়ী হলেন। মৃদু হাসি দিয়ে বললেন, “এই দৌড়ে আমি আগের প্রতিযোগিতার প্রতিশোধ নিলাম।”
এই ঘটনাগুলো শুধু খেলাধুলার অংশ নয়; এগুলো ছিল ভালোবাসা ও জীবনের সহজ সরল আনন্দ উপভোগ করার এক মহান উদাহরণ। নবীজি (সা.) তাঁর জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে শিক্ষার সুর বেঁধে দিয়েছেন। দাম্পত্য জীবনে মিষ্টি মুহূর্ত তৈরির মাধ্যমে তিনি দেখিয়েছেন, কীভাবে সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক গভীর ও অর্থবহ করা যায়।
এই দৌড় প্রতিযোগিতা আমাদের শিক্ষা দেয় যে, দাম্পত্য জীবন শুধু দায়িত্ব পালনের নয়, বরং ভালোবাসা ও বন্ধুত্বের এক অনন্য সমন্বয়। একজন মহান পুরুষের জীবনে এ ধরনের সরল আনন্দও ছিল। তাই, আমাদের সম্পর্কগুলোকেও উষ্ণতা ও ভালোবাসায় পূর্ণ করে তোলা উচিত।
-------------------------------------------------
