বাংলার নাটক







আমরা বেশ কুড়েমি জাতি। কষ্ট করতে চাইনা। বাছ-বিচারের কষ্টটা ও শিকার করতে চাই না। তাই বাছ-বিচার ছাড়াই জাজমেন্টাল স্বভাব রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে গেছে আমাদের‌।

চতুর্দিকে নাটক আর মিথ্যার ছড়াছড়ি থাকলেও যেখান থেকে মিথ্যার দেয়াল ভেঙ্গে সত্যের আলো উঁকি দিবে, বাস্তব চিত্র উঠে আসবে সেটাই সুদক্ষ এক নাট্যমঞ্চে পড়িণত হয়েছে। 

দীর্ঘ দের যুগ ধরে শতশত নাটক মঞ্চস্থ করার পর দিনকয়েকের ব্যবধানে কি আর সেই রেশ কাটে এত সহজে। নাটকের হাত বড় সিদ্ধহস্ত এখন। সবকিছুই নাটকের বস্তায় ভরে ছুড়ে মারবে জনমানুষের কানে, চোখে-মুখে। এভাবেই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি আমরা। বাস্তবতা নিরুপণের সময় আমাদের কোথায়। আগেই বললাম বেশ কুড়েমি আমরা। 

মায়ের শোকে কাতর ছেলেটাকে আরেক শোকের সাগরে চুবানো হচ্ছে। গলা টিপে পানির নিচে তলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ছেলেটি ছটফট করছে। কেউ শুনতে পাচ্ছেনা তার কথা। শুনতে পাচ্ছেনা তা না‌ , শুনছে না। অথচ সে মানব সাগরে ভেসে আছে। 

কী সুন্দর নাটক সাজানো হলো এখানেও। ছেলেটাকে উপস্থাপন করা হলো মায়ের খুনি হিসেবে। আহ! তার নিষ্পাপ হৃদয় কতটা অসহায়। একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কেউ শুনছে না। সাজানো নাটকের বলি সে। পরে তো তেলের ইঁদুর বের হলো। ততক্ষণে ছেলেটাকে জীবন্ত হত্যা করা হলো। প্রাণ যদিও আছে

 এখনো। 


Popular posts from this blog

জীবনের ফার্স্ট টিউশনি (১০/১২/২০২৩)

রাফানের আম্মু