আল্লাহকে বলে দিবো।


সা'দ আদিয়ান। ছোট্ট একটি ছেলে। ফুটফুটে কী মায়াবী চেহারা তার। একটু আদর করতে ইচ্ছে করবে যে কারোই। বয়স সাত-ছয় হবে। মিরপুরের নামকরা একটি স্কুলে ক্লাস ওয়ানে পড়ে সে। 

কথাবার্তা, চালচলনে পারিবারিক ছোট ছোট বেশ কিছু শিক্ষার আভাস পাওয়া যায়। এইতো দিনকয়েক আগের কথা। দিনটা ছিল মঙ্গলবার। প্রতিদিনের মতো শিক্ষক আজকেও ক্লাসে এসেছেন। পড়াশোনা, দুষ্টুমি, হাসি-মজা– সবমিলিয়ে আনন্দের সাথেই ক্লাসটি উপভোগ করে ছোট্ট এই কুসুমকলিগুলো।

স্যারের অ্যানসারটি আদিয়ান বেশ ভালোভাবেই পেরেছে। আদর করে স্যার মৃদু আঘাত করলেন তার পিঠে। যাকে 'ওয়েল ডান' বা 'আদুরে চাপড়' বলা যায়।

আদর প্রকাশের কত পদ্ধতিই না আছে দুনিয়াতে! স্যারেরও আছে ছোট ছোট আদরের কিছু স্টাইল- 'আদুরে চাপড়' তার একটি। যাকে স্যার 'আদুরে চাপড়' বলেই ডাকেন। 

মিষ্টি 'আদুরে চাপড়ের' উপর ভর করে আদিয়ান স্যারের সাথে খুনসুটি করে বললো- 'আমি আম্মুকে বলে দেবো।' স্যার একটু কৌতূহলী হয়ে চোখে-মুখে মায়াবী একটি হাঁসি মেখে বললেন ‘আমিও বলে দিবো’

গালভরা একটি হাঁসি দিয়ে আদিয়ান বললো 'তাহলে বাবাকে বলে দিবো।'

-স্যার, 'দাও, আমিও বলে দিবো।'

কাজ কোথাও হচ্ছে না ভেবে হাত দুটি দেখিয়ে গলা ফাটিয়ে হাঁসি একটা মেরে বলে ফেললো 'তাহলে আল্লাহকে বলে দেবো।'

ওয়াও, মাশাআল্লাহ, স্যার তো পুরা শকড। কিছুটা নির্বাক হয়ে গেলেন। মুহুর্তেই নীরবতা ভেঙ্গে বললেন- 'আমিও আল্লাহকে বলে দেবো'

কী সুন্দর মধুর একটি বাক্য ছোট্ট এই কুসুমকলিটির মুখে। ছোট্ট এইটুকু একটা বাচ্চা- কী সুন্দর তার বলার ধরণ। রবের সাথে কত গভীর সম্পর্ক তার। দুনিয়ার কেউ কথা আমার না শুনলেও রব আমার সব কথা শুনবেন। 

ছোট্ট এই বাক্যটি সাধারণ কোন বাক্য না। মুসলিম উম্মার হৃদয় নাড়িয়ে দেয়া একটি উচ্চারণ। এইতো বছর খানেক আগের কথা। বছর হয়তো হয়নি এখনো। সে যাই হোক। ইস.... হায়েনাদের হামলায় সিরিয়ার ছোট্ট একটা সোনামণি শহিদ হওয়ার সময় বলেছিল سأخبرالله بكل شيئ 'আমি আল্লাহকে সব বলে দেব'

স্যার একটু কৌতূহলী হলেন। প্যারেন্টসদের কাছে জানতে চাইলেন তার ব্যাপারে। মাশাআল্লাহ, তারা খুব যত্নশীল প্যারেন্টস। সন্তানের প্রতিটি পদক্ষেপে যত্নের সাথে দেখেন। আদব-আখলাক, কথাবার্তা সবকিছুতেই যেন একজন আদর্শ মানুষের ছাপ ফুটে উঠে এমনটাই চান তারা। চেষ্টায় কোন কমতি করছেন না বোধ হয়। এই বাক্যটিই তার জলন্ত প্রমাণ। 

এখন দেখা হলেই চোখে-মুখে একচিলতে হাঁসি মেখে– স্যার, আল্লাহকে বলে দেবো। স্যারও হাস্যোজ্জ্বল মুখে বলেন - আমিও আল্লাহকে বলে দেবো। 

-------------------------------------------------------------------

কাটা ছেঁড়া অংশ:

এখানে একটা সংলাপ দেওয়া যায়।  প্যারেন্টস দের সাথে করে কথা বলার সংলাপ। 


স্যারের অ্যানসারটা খুব ভালো ভাবেই পেরেছে সা'দ আদিয়ান । 

পৃথিবীতে কত রকমের মানুষেরই না বাস। প্রত্যেকেরই নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে। থাকে আদরেরও বেশ কিছু ধরণ। স্যারেরও আছে ছোট ছোট আদরের কিছু স্টাইল-  'আদুরে চাপড়' তার একটি। যাকে স্যার 'আদুরে চাপড়' বলেই ডাকেন। 

মধুর ও মজার এই খুনসুটিটা  লম্বা হচ্ছিল।

কোথাও কাজ হচ্ছে না ভেবে সর্বশেষ আশ্রয় স্থল কে হতে পারে। দুনিয়ার জীবনে মা বা ছাড়া ভরসা ও আস্থার কে আছে আর। 

কাজ কোথাও হচ্ছে না ভেবে এবার বলা যায় কার কথা- এটি ভেবে হাত দুটি দেখিয়ে গলা ফাটিয়ে হাঁসি একটা দিয়ে বলে ফেললো 'তাহলে আল্লাহকে বলে দেবো।'

কি আবার বলো। আল্লাহকে বলে দেবো। 

তাহলে ছোট্ট এই সোনামনি টা জানালো কি করে। নাকি নিজের থেকেই বলেছে। 

জানল কোথা থেকে সে এই বাক্যটি। 

ছোট্ট এই ছেলেটির মুগ্ধ করলো। শব্দটা স্যারের হৃদয় ছুঁয়েছে। ছোট্ট এইটুকু একটা বাচ্চা মনে হয় আল্লাহর সাথে তার সম্পর্ক কত গভীর। 'তাহলে আল্লাহকে বলে দেবো' 

সিরিয়ার ছোট্ট একটা সোনামনি ইসরায়েলী হায়েনাদের হামলায় নিহত হওয়ার সময় বলেছিল سأخبرالله بكل شيئ' আমি আল্লাহকে সব বলে দেব'

এটা কি সে জানে? স্যার একটু কৌতূহলের সাথেই জানতে চান তার প্যারেন্টসদের কাছে। মাশাআল্লাহ সে জানে না। স্যার আরেকটু অবাক হলেন। 

মাশাআল্লাহ! কী সুন্দর তার ভাবনা। দুনিয়ার কেউ না শুনলেও আল্লাহ আমায় শুনবেন। তাই হাত উঠিয়ে হেঁসে হেঁসে বলছে আল্লাহকে বলে দেবো। স্যার, ঠিক আছে আমিও বলে দেবো।

দেখা হলেই গালভরা একচিলতে হাঁসি মেখে– স্যার, আল্লাহকে বলে দেবো। স্যারও হাস্যোজ্জ্বল মুখে বলেন - আমিও আল্লাহকে বলে দেবো। বাচ্চাদের অকৃত্রিম

বাচ্চাদের অকৃত্রিম ভালোবাসা আর মুক্তা ঝরা হাঁসি কার ভালো লাগে না 

Popular posts from this blog

জীবনের ফার্স্ট টিউশনি (১০/১২/২০২৩)

রাফানের আম্মু