বাস্তবতার আগে ও বাস্তবতার পরে

 স্কুল আমাদের বাড়ি থেকে পাঁচ মিনিটের দুরত্বে। একটি নদীর পারে। তখনো হয়তো স্কুল জীবন শুরু হয়নি । তবে মাঝে মাঝে আসা যাওয়া হয়। এতটুকুই। ্আর সেই ছোটকাল  থেকেই আমার খাবারের বাচ বিচার এক অভ্যাসে পরিণত হয়।  কিছই খেতাম না। শুধু মাছ আর গোস্ত আর দুধ ছাড়া কিছুই খেতে পারতাম না। তাই ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। ডাক্তার বলে দিয়েছে যা দিয়ে খেতে চায় তা দিয়ে খাওয়াবেন। কিন্তু সবসময় কি আর গোস্ত দুধ আর মাছ খাওয়া নো সম্ভব। 

কিন্তু বাস্তবতা বড় কঠিন বড় নিষ্ঠুর। সে কাউকে ছাড় দেয় না। সবাইকে তার সঠিক জাবাটুকু দিয়ে দেয়। এতে বিন্দু মাত্র কার্পন্য করে না। এখন এসে আমি বাস্তবতার   আঙ্গিনায় দাড়িয়ে। এখন দিনে েএকবার বার খাবার খাওয়া হয়। কখনো খাওয়া হয় না। কখনো খাবার কিছু থাকে না। সকালে  যে খেতে হয় তা তো ভুলেই গেছি। গত তিন চার দিন ধরে খুব ক্লান্ত লাগছে। কারণ সকালে খাওয়া হয় না। খাবার হচ্ছে প্রায় তিনটার দিকে আবার নিজের রান্না বান্না করে। কখনো পটল ভাজি। কখনো ডাল আর ডিম ভাজি। 

গত   একদিন আগের কথা। এনাম ভাই হঠাত বাসায় এসেছে। আমি ইন্টারভিউ দিয়ে বাসায় েএসে শুয়ে ছিলাম। ক্লান্ত হয়ে যাওয়ার কারণে তখনো গোসলও করা হয়নি। তাই গোসল করলাম। এনাম ভাই নাকি মোবাইল কিনবে। তাই বসুন্ধরা সিটিতে যাবে। রোকনকে নিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু তার  টিউশনি থাকার কারণে আসতে দেরি হচ্ছে তাই আমাকে নিয়েই চলে গেল। 

যেহেতু নতুন  মোবাইর কিনছে হয়ত একটা পার্টি হবে। এদিকে আবার পেটে ক্ষুধাও লেগেছে প্রচুর। আশায় ছিলাম হয়তো বা পার্টিটা হবে। হয়তো পেট ভড়ে কিছ একটা খাওয়া যাবে। কিন্তু পরিশেষে আশায় ‍ুগুড়ে বালি । লজ্জায় আর আমরা কিছু বল্লামও না। কারণ নিজের  থেকে না খাওায়ালে তো আর চেয়ে ..........

তাই খাবো কি? পেটে তো অনেক  ক্ষুধা। কিছু ছিলও না খাবার মতো। াআমরা াপ্রয়া নিশ্চিত ছিলাম পার্টি িএকটা হবে। সে যাই  হোক। একটা ডিম ভেজে সাদা ভাত দিয়ে খেলাম কয়টা ভাত। তখনও পেট ভরে খেতে পারি নি। 

এভাবেই চলছে আমার জীবন। খেয়ে না খেয়ে।  আলাহামদুলিল্লাহ। 

Popular posts from this blog

জীবনের ফার্স্ট টিউশনি (১০/১২/২০২৩)

রাফানের আম্মু