পারিবারের বর্তমান অবস্থা








ইমির বিয়ের কথা চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই। আমরা পাত্তা না দিলেও তারা আমাদের পিছু ছাড়ছে না। গ্রামের ভাষায় একটা কথা আছে 'উইজ্জ্যা আসলে ছাড়তে নাই' এ জন্য আমরা সামনে বাড়ার চেষ্টা করলাম। দেখা দেখির পর্ব আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। গতকাল আমরা গিয়ে সব ঠিক ঠাক করে আসলাম দিন তিরিখও প্রায় নির্ধারিত হয়ে গেছে। (আগস্টের ৯/১০ তারিখ।)

বিবাহের বিষয় এটা ছোট খাটো কোন বিষয় না এটা। বিশাল বড় এক কর্মযজ্ঞ এটা। টাকা পয়সা ও মানুষের বিষয়। বিশেষ করে টাকা পয়সার বিষয়ই টাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। 

এই তো বিবাহের আলোচনা চলছে এক টাকা নাই ঘরে। আব্বার ইনকামও এখন তেমন নাই। আমার ইনকামও এখনো শুরু হয়নি। ঘরে একটা খাট নাই। একটা খাট আনা একে বারে জরুরি হয়ে গেছে। খাট আনবে তো দূরের কথা। গতকাল ছেলের বাড়িতে যাবে সেই টাকাটা নাই। আমার হাতে ছিলো দুই হাজার টাকা আব্বার হাতে দিলাম আসা যাওয়াতে দুই হাজার টাকা শেষ। 

ছেলের বাড়ি থেকে আসার পর বাড়ি থেকে আম্মা ফোন দিছে তুলির জন্য কিছু নেওয়ার জন্য। তুলির জ্বর ছিলো। কিন্তু পকেটে টাকা পয়সা একটাও নাই। খুব লজ্জা লাগছিলো। বাড়ি থেকে আবদার এসেছে আর আমি কিছু নিতে পারি নাই। আব্বা বাজার করবে আব্বার পকেটে এক টাকাও নাই। বাজার করবে কিভাবে? তাই রায়হান কাকার কাছ থেকে ধার নিয়েছে পাঁচশত টাকা। বাজার করার জন্য। শুধু তল পেঁয়াজ রসুন কিনতেই পাঁচ শত টাকা শেষ। তুলির আম আর কেক কিনা দরকার আব্বার হাতে টাকা নাই। আব্বা এসে আমাকে বললেন টাকা দেও। আমার তো কিছু করার ছিলো না। আমার পকেটে বিশ টাকা ছাড়া কিছুই ছিলো না। বল্লাম আমার কাছে তো টাকা নাই। 

পরে চিন্তা করছিলাম বাড়িতে এসে কি বলবো? অল্প কয়টা বাজার যেগুলো আব্বা করেছিলো সে গুলো নিয়ে বাড়িতে চলে আসলাম। 

Popular posts from this blog

জীবনের ফার্স্ট টিউশনি (১০/১২/২০২৩)

রাফানের আম্মু