আব্বা, আব্বা
ঈদের ছুটি। বেশ কিছুদিন বাড়িতে থাকার পর এবার ঢাকা যাওয়ার পালা। সিএনজি আসবে গৌবিন্দপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত। অটো দিয়ে সেখানে যেতে হবে। সাথে আছে বেশ কিছু ব্যাগ। আপা বাসায় কিছু জিনিস নিবে এজন্য।
গরমে বাড়িতে অবস্থা কাহিল। থাকেনা কারেন। আব্বা আম্মাও খুব একটা সুস্থ না। আব্বার পায়ে হয়েছে একটা ফোঁড়া। আব্বার খুব ফোঁড়া। পা ফুলে গিয়েছে অনেক। হাঁটাটাও অনেক কষ্ট হয়ে যায়।
ঘুমের মাঝে গত রাতে হঠাৎ পা ফসকে ফোঁড়াতে ব্যথা লেগেছে। চিৎকার দিয়ে উঠেছে আব্বা।
সকালে চলে আসবো। এদিকে আব্বার পায়ে খুব ব্যথা। ভাগিনার পাঞ্জাবি বানাতে হবে। না বানালে সে কান্না করবে।
তাই সকালে পায়ে ব্যথা নিয়েই পাঞ্জাবিটা কেটেছে। ভোরেই চলে গেছে বাজারে পাঞ্জাবি শিলাবে। রাহির জন্য পাজামার কাপড় দিবে। আমরা রেডি হয়ে অটো ভাড়া করে রওয়ানা হলাম। দোকান থেকে কাপড়গুলো আনতে হবে। আমরা যেতে যেতে কয়েকবার ফোন দিয়ে দিয়েছে আব্বা। কতদূর গিয়েছি আমরা।
আব্বা পায়ে ব্যথা নিয়েই হেঁটে হেঁটে আসছে জিনিসগুলো দিয়ে যাওয়ার জন্য। আমরা অটো নিয়ে সামনে আগালাম। দেখা হলো কাজি বাড়ি মসজিদের সামনে। এসে বলছে রাইয়ানের পাঞ্জাবি শিলায়ালছি। আর এখানে রাহির পাজামার কাপড় এটা। তোমার কাপড় এটা।(আপাকে)
বাবা তো চায় কিন্তু তার যতটুকু সামর্থ্য আছে তার চেয়ে বেশি করার চেষ্টা করে।
বাবা, বাবা, তুমি বাবা, বাবা, বাবা, তুমি বাবা