এবারে আমার ঈদ। 03/04/2024 থেকে 11/04/2024

 



স্বপ্ন ছিলো অনেক। কথায় আছে স্বাদ আছে সাধ্য নাই। এরকম আরকি। তবে আমার বিষয়টি সাময়িক। কারণ আমি আমার স্বপ্নের পিছনে দৌড়াচ্ছি। রাত-দিন আমার স্বপ্ন আমাকে তাড়া করছে। পুরো রমজান রাতদিন জেগে কাজ করেছি। কখনো রিসার্চ কখনো কনটেন্ট আবার ইডিট করা, আবার কখনো স্ক্রিপ্ট সংগ্রহ করার জন্য নানা ভাবে গবেষণা। 

রমজানে এড দিবো দিবো এই করে করে আর দেওয়া হলো না। কন্টেন্ট তৈরি হয় নাই। আরো কন্টেন্ট দরকার। তবে কাজ করা বন্ধ হয় নাই। এই কাজের বিনিময়ে পকেটে কিছু আসে নাই তাতে আমার কোন আফসোসও নাই। 


কোন মতে রাফানের টিউশনি থেকে পাঁচ হাজার যা দিয়েছিলো সেখান থেকে বাসা ভাড়া আর ওয়াই ফাই বিল দিয়েছি 2500 দুই হাজার পাঁচশত টাকা। বাকি আছে 2500 শত টাকা। এ জন্য কারো জন্য কিনার সুযোগ হয় নাই। কারণ বাড়ি থেকে আসা যাওয়ার খরচ ও ভাড়া বাবদ যে খরচ হবে তার জন্যই রেখে দিতে হবে। তাই করতে হলো। কিন্তু হৃদয় ভাঙা আত্ম চিৎকার নিজে নিজে সহ্য করে যাচ্ছি। মে মানুষগুলো তাদের জীবনের কোন চাওয়া নিজেদের ইচ্ছেমতো পূর্ণ করতে পারেনি এখনো তাদের নৌযৌওয়ান একজন ছেলে থাকতেও ..…

100টাকার ভাড়া নিয়েছে 500টাকা। গাজীপুর থেকে ত্রিশাল। নানান চড়াই উতড়াই পেরিয়ে আসলাম বাড়ি। আগে আপাকে জানিয়ে দিয়েছালাম এবার কাউকে কিছু দেওয়া আমার পক্ষে পসিবল না। তারাও মে এখন খুব একটা সিচুয়েশনে আছে বিষয়টা তা না। এখন তারা রেশনে্র চাল খেয়েই দিনাতিপাত করছে। এক কথায় বললে তারাও নিজের জন্য কিছু কিনতে পারে নাই। ইভেন আমার ছোট মে মামা আছে নুসাইবা সে কবে যছ তার জন্য একটা জামা কেনা হয়েছিলো! এর মধ্যেও রমজানে বাড়িতে ইফতারির জন্য পাঠিয়েছে ১০০০ (এক হাজার টাকা।) আবার বাড়িতে আসার সময় আমার হাতে তুলে দিয়েছে ১৫০০(পনেরশত টাকা) বারবার জন্য একটা লুঙ্গি আর আমার জন্য যাই কিনি মেনে কিনি। সেখানে আপার কিছু পোশাক আমাকে এতটাই ব্যথিত করেছে বলে বুঝাতে পারছি না। ময়লা এবং অনেক পুরোনো। 

বাড়িতে এসে যা টাকা পকেটে ছিলো সব জমা দিলাম আম্মার হাতে। কত ছিলো এর হিসাব আমার ছিল না। আর বিশেষ করে আমার টাকার হিসাব থাকে না। 

ভাগিনাকে নিয়ে এলাম। আব্বা তাকে নিয়ে বাজারে গেলেন। আমরা বলে দিলেন যেন আব্বা নিজের জন্য একটা লুঙ্গি কেনে। কিন্তু ভাগিনার মনের বাসনা পূরণ করতে গিয়ে বারবার কিছুই কেনা হলো না। জুতা একজোড়া ও ছিলো না আব্বার। হারুন কিনে দিয়েছে একজোড়া। সেটাই বাবার ঈদের নতুন পোশাক। 

আর আম্মার জন্য তো কিছু কেনাই হয় নাই। কিছু কেনা হয়েছে কিনা তাও জানি না। তবে যখনই কোন কিছু লাগবে কিনা জিজ্ঞেস করি তখনই তাদের কমন একটা উত্তর আরে আমার সব কিছুই আছে। 

নিজেকে নিজের কাছে অনেক ছোট মনে হচ্ছে। ভালো কোন তরকারী বা কোন কিছু কেনার পর আর কিছু করার থাকে না। 

আব্বা এত কষ্ট করছে। এখন কাজ করতে কষ্ট হয়। তারপরেও জীবন চালানোর জন্য না চাইলেও বাধ্য হয় করতে হচ্ছে। 


তখন মাঠ পড়াতে যেতে হবে। দাদা আর আমি একসাথে যাবো। সেই সময় তুলা ছবি। 



Popular posts from this blog

জীবনের ফার্স্ট টিউশনি (১০/১২/২০২৩)

রাফানের আম্মু