পারিবারিক দুর্দশা 18/04/2024
![]() |
From Google |
বাড়িতে আসার পর বেশ অভাব অনটনের মধ্য দিয়েই যাচ্ছে মনে হচ্ছে আব্বা আম্মার জীবন। এদিকে ক্ষেতের টাকা দিতে হয়। এদিকে ঈদের বাজার করতে হয়। সমস্ত খরচ বাবাকেই বহন করতে হয়। এখন আবার সবকিছুর দাম টামও আকাশচুম্বী। যে টাকা আব্বা আয় করেন তা দিয়ে এত বড় একটা ফ্যামিলি চালানো বিশেষ করে এই বর্তমানে এসে তো খুব ভয়ঙ্কর রকমের কষ্ট হয়ে যায়।
সত্যি কথা বলতে আমি নিজেই এমনটা অনুভব করতে পারছি। পেট ভরে আমি নিজেও ক্ষেতে পারছি না। তাতে আমার কোন আপত্তি নেই। কিন্তু আব্বা দীর্ঘ এই জীবনের জার্নি করে এখন শেষ প্রান্তে আছে। তখনো ফ্যামিলির সকল দায়িত্ব বাবাকেই বহন করতে হচ্ছে।
সন্তান সন্তাদি, নাতি নাতনি সবাইকে একটু ভালো খাওয়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। নিজে অসুস্থ হলেও চিকিৎসা করাচ্ছেন না। কিন্তু সন্তানের সামান্য অসুস্থ হলেই নিজের সবটুকু বিলিয়ে দেয়। অথচ নিজে অসুস্থ।
আমার মনে হচ্ছে আব্বা আর পারছে না। আর আমাকে বলতেও পারছে না সরাসরি। তবে আমি আব্বা আম্মার চেহারা দেখে আন্দাজ করতে পারছি। কোন একটা সমস্যা হচ্ছে তাদের।
আব্বার হাতের মুঠোফোনটাও নষ্ট হয়ে গেছে বেশ কিছুদিন হলো। ফোন কিনবে সে টাকাটাও নাই। আজকে আমরা এক হাজার টাকা মেনেজ করে দিয়েছে আব্বার হাতে একটা ফোন যেন কেনে। তাও আবার এক হাজার টাকা নগদ দিয়ে আর এক হাজার টাকা বাকি রেখে। মোট দুই হাজার টাকা দিয়ে।
আব্বা, আম্মা, বোন সবার চেহারা দেখে মনে হচ্ছে খুব কষ্টেই দিন যাচ্ছ তাদের। আবার ছোট বোনের ভর্তির খরচ। এবং আমি কালকে ঢাকা যাবো সেখানে আমাকে কিছু দিতে হবে।
মনে হয় দুই চাকার গাড়িতে লোডটা একেবারে বেশিই হয়ে পড়েছে।
১৮/০৪/২০২৪
১০:৮ PM