19/03/2024
আজ ঘুম থেকে উঠেছি সকাল 10+। গোসল করে লেপটপের সামনে বসলাম। সাপোর্টে নক দিলাম। প্ল্যান জানতে চাইলাম। আজকও 24 ঘন্টা টাইম দিয়েছে।
এর পর কন্টেন্ট এর জন্য রিসার্চ করলাম। দুপুরের পর রান্না বান্না করলাম।
আসলে আমার জীবনটা কেমন যে অতিবাহিত হচ্ছে। এই যে রুম আর লেপটপের সামেনে বসে সারাদিন কাটানো। নামাজ আর প্রয়োজন ছাড়া কখনো বাহিরে যাওয়া হয় না। বহিরের রোদ আর আলো বাতাস তেমন লাগে না। সকালে ঘুম থেকে উঠে গোসল করে লেপটপের সামনে। একেবারে রাত পর্যন্ত। কখনো একটা কখনো দুইটা।
এভাবেই চলছে আমার জীবন।
আজকে কিছুটা বৃষ্টি বৃষ্টি ভাব ছিলো। ইফতারির আগে বেশ বৃষ্টিও হয়েছে। কিন্তু মাগরিবের পর টিউশনি আছে তাতে কিভাবে যাবো । কোন ছাাতা যে নাই। আসলে কত আশা যে মনে বাসা বেধে আছে। কিন্তু কিছুই করতে পারছি না। খেতে মন চায় খেতে পারছি না। বই কিনতে মন চায় কিন্তু কিনতে পারছি না। নিজের উপর েইনভেস্ট করতে চাই করতে পারছি না। বাড়িতে আব্বা-আম্মা বোনদেরকে কিছু দিতে পারঠিছ না। যাক এগুলো ‘অভারকাম করার জন্যই এত কষ্ট। পরিশ্রম।
এটা আমার জীবনের প্রথম টিউশনি। তাদের ফেমেলিটা কেন যেন আমার কাছে খুব ভালো লাগে। প্রতিদিন যেতে মন চায়। ছেলেটা পড়তে চায়। তাই তাকে পড়াতে ভালো লাগে। অনেক মজার মজার গল্প করি। সে আনন্দের সাথে শিখে। আমার খুব ভালো লাগে।
আজকে যেতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু বৃষ্টির কারণে যাবো কি যাবো না বুঝে উঠতে পারছিলাম না। না যাওয়ার সিদ্ধান্তই নিয়েছিলাম। বাট তাদেরকে জানাইনি। কিন্তু মনে মনে ভাবছিলাম বৃষ্টি কমলে যাবো। আর না হয় পরে জানিয়ে দিবো।
কিছুক্ষণ পর অবশ্য বৃষ্টি কমলো তখন বাজে 7:30 আর মাত্র ত্রিশ মিনিট সময় আছে। কারণ পরে এসে তারাবি পড়তে হবে। তাই পড়ানো শেষ করে আসতে চাচ্ছিলাম দরজা খুলে বের হবো এমন সময় রাফানের আম্মু আমাকে বললেন “স্যার! একটু দাড়ান”
কেন দাড়াতে বললো আমি জানি না। তখন দেখলাম তিনি ভিতরে গেলেন এবং রাফানের হাতে একটা ব্যাগ ধরিয়ে দিলেন। আর রাফান চেক করে করে আসছিলো যে ব্যগে কি আছে? তখনও আমি কৌতুহল তাকিয়ে রইলাম। কি আছে?
কৌতুহল নিয়েই বাসায় আসলাম। কারণ সেখানে দেখার মতো কোন সুযোগ ছিলো না।
বাসায় এসে দেখলাম। 500 গ্রাম আজওয়া খেজুর।
যাক খেজুরটা পেয়ে ভালোই হয়েছে আজ রোজার আট দিন চেলগেছে এখনো বাসায় খেজুর দিয়ে ইফতার করতে পারিনি। কোন দিন ভাত দিয়ে আবার কোন দিন খিচুড়ি। তবে সাধারণত ছোলা আর মুড়ি। সাথে এক গ্লাস পানি। তাও আবার গরম পানি। নেই কোন ফিল্টার। তাই পানিয়ে ফুটিয়েই খেতে হয়। এভাবেই চলে আমাদের দিন। তারপরেও আলহামদুলিল্লাহ।