07/01/2024 (মাদরাসার বেতন)

 বেলা 11:50 AM। কোর্স দেখে দেখে প্র‌্যাক্টিস করছিলাম।  এদিকের বাড়িরর তেমন খুজ-খবর আমি নিচ্ছি না আমি। নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত বাড়িতে দেওয়ার মত কিছু এখনো হয় নি। তেমন ইনকাম করতে পারি না। মনের বিরুদ্ধে একটা টিউশনি নিতে হলো এক প্রকার বাদ্ধ হয়েই। বেতন আবার 5 হাজার। বাসা ভাড়া 2000 হাজার টকা। ওয়াই ফাই500 টাকা। 2000 হাজার টাকা এক মাসের খাবার খরচ। এই হলো মোট আমার মাসিক ইনকাম আর খরচের হিসাব। 

বেশ কিছু ঋণে পড়ে যাই এর ফাকে। কয়েকজনের কাছ থেকে টাকা এনে এখনো টাইম মতো দিতে পারি নাই। এর জন্য মনটা অনেক ছোট। 

এর মধ্যে ছোট বোন কল দিয়ে বলে আব্বা মাদ্রাসার বেতন দিতে পারে না। বেতন কত জিজ্ঞেস করলাম। 1000 হাজার টাকা। আব্বা রাত দিন পরিশ্রম করে আমাদের মানুষ করেছেন। নিজেরা না খেয়ে আমাদেরকে খাইয়েছেন। নিজের চিকিতসা না করে আমাদের চিকিতসা করেছেন। নিজের আরাম আয়েশের কথা চিন্তা না করে আমাদের আয়েশের ব্যবস্থা করেছেন। আমাদেরকে ফেনের নিচে শুয়েরেখে নিজেরা ফেন ছাড়া রুমে শুয়েছেন। 

যার সারাটা জীবন কেটেছে সংগ্রামে। জীবন যুদ্ধে। প্রকৃত জীবনটাকে তিনি দেখতে পারেন নি। অর্থ খড়ির অভাবে পড়া-লেখাও করতে পারে নি। সংসার নামক গাড়িটাকে টানতে টানতে জীবনের এক পরন্ত বিকেলে এসে পৌঁছেছেন। এখনো সংগ্রাম করেই যাচ্ছেন। আমাদের সামান্ন সুখের আশায়। সন্তানের হাসিমুখটা দেখার আশায়। 

এখন এসে ছোট বোনের 1000 হাজার টাকা মাদরাসার বেতন দিতে পারছেন না। আমি কেমন সন্তান বাবাকে হেল্প করতে পারছি না। 

ছোট বোনের ফোনে আমার আত্মাটা ছেত করে উঠলো। যে বাব মা কোন দিন আমাদের কে কোন কিছুর অভাব দেখতি দেয়নি। নিজরো না খেয়ে থাকলেও আমাদের হাসি মুখটাই দেখতে চেয়েছেন। তাদের জন্য  আমি কি করছি। 

Popular posts from this blog

জীবনের ফার্স্ট টিউশনি (১০/১২/২০২৩)

রাফানের আম্মু